শরিফ আহমাদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
চলছে হিজরি সনের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল। মুসলিম উম্মাহর কাছে এ মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। এ মাসে রাসুলুল্লাহ (সা.) পৃথিবীতে আগমন করেছেন। এ মাসেই তিনি ইন্তেকাল করেছেন। তাই এটি একই সঙ্গে আনন্দ ও বেদনার মাস। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসার নজরানা হিসেবে এ মাসব্যাপী তিনটি বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা যায়।
এক. সিরাত পাঠ: সিরাতচর্চা করা মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। রাসুল (সা.)-এর প্রতি ইমান আনার দাবি হলো, তাঁর জীবনযাপন, আখলাক-চরিত্র ও আদর্শ সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং সে সবকে আমলে পরিণত করা। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। এমন ব্যক্তির জন্য যে আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করে।’ (সুরা আহজাব: ২১)
দুই. সিরাত মাহফিল: মুসলমানদের ইসলামের বিধিবিধানের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া মহানবী (সা.)-এর নির্দেশ। তিনি সাহাবিদের নসিহত করতেন। তাই যুগে যুগে আলেমেরা ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে এ ধারা অব্যাহত রেখেছেন। এর মাধ্যমে নারী-পুরুষ ব্যাপকভাবে ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারে। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আপনি উপদেশ দিতে থাকুন, নিশ্চয়ই উপদেশ মুমিনদের উপকারে আসে।’ (সুরা জারিয়াত: ৫৫)
তিন. সুন্নতের চর্চা: বর্তমান সমাজে অনেক রকম কুসংস্কার আছে। শিরক-বিদআত মহামারি আকার ধারণ করেছে। এসব থেকে বাঁচতে রবিউল আউয়াল মাসটি হোক সুন্নত মোতাবেক আমল করার মাস। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের মধ্যে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, তোমরা যতক্ষণ পর্যন্ত তা ধরে রাখবে, পথভ্রষ্ট হবে না। আল্লাহ তাআলার কিতাব ও নবীর সুন্নত।’ (মুয়াত্তা মালেক: ৬৮৫, মুস্তাদরাক হাকেম: ৩১৯)
চলছে হিজরি সনের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল। মুসলিম উম্মাহর কাছে এ মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। এ মাসে রাসুলুল্লাহ (সা.) পৃথিবীতে আগমন করেছেন। এ মাসেই তিনি ইন্তেকাল করেছেন। তাই এটি একই সঙ্গে আনন্দ ও বেদনার মাস। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসার নজরানা হিসেবে এ মাসব্যাপী তিনটি বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা যায়।
এক. সিরাত পাঠ: সিরাতচর্চা করা মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। রাসুল (সা.)-এর প্রতি ইমান আনার দাবি হলো, তাঁর জীবনযাপন, আখলাক-চরিত্র ও আদর্শ সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং সে সবকে আমলে পরিণত করা। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। এমন ব্যক্তির জন্য যে আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করে।’ (সুরা আহজাব: ২১)
দুই. সিরাত মাহফিল: মুসলমানদের ইসলামের বিধিবিধানের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া মহানবী (সা.)-এর নির্দেশ। তিনি সাহাবিদের নসিহত করতেন। তাই যুগে যুগে আলেমেরা ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে এ ধারা অব্যাহত রেখেছেন। এর মাধ্যমে নারী-পুরুষ ব্যাপকভাবে ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারে। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আপনি উপদেশ দিতে থাকুন, নিশ্চয়ই উপদেশ মুমিনদের উপকারে আসে।’ (সুরা জারিয়াত: ৫৫)
তিন. সুন্নতের চর্চা: বর্তমান সমাজে অনেক রকম কুসংস্কার আছে। শিরক-বিদআত মহামারি আকার ধারণ করেছে। এসব থেকে বাঁচতে রবিউল আউয়াল মাসটি হোক সুন্নত মোতাবেক আমল করার মাস। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের মধ্যে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, তোমরা যতক্ষণ পর্যন্ত তা ধরে রাখবে, পথভ্রষ্ট হবে না। আল্লাহ তাআলার কিতাব ও নবীর সুন্নত।’ (মুয়াত্তা মালেক: ৬৮৫, মুস্তাদরাক হাকেম: ৩১৯)
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ মিনিট আগেমহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। ছিলেন দয়া ও ভালোবাসার মূর্ত প্রতীক। জাতি, ধর্ম, বর্ণনির্বিশেষে সবার জন্য ছিল তাঁর বুকভরা দরদ আর ভালোবাসা। তাঁর চরিত্রের অতি বিস্ময়কর একটি দিক ছিল, সবার সঙ্গে তিনি ভালো ব্যবহার করতেন। সুন্দর আচরণ করতেন। বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়াতেন।
৬ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন এক মহামানবের ওপর নাজিল হয়েছে, যিনি ছিলেন উম্মি; যাঁর কোনো অক্ষরজ্ঞান ছিল না। এটিই প্রমাণ করে, এ গ্রন্থের চমকপ্রদ আলংকারিক ভাষা ও শৈলী কোনো নিরক্ষর মানুষের ব্যক্তিগত ভাষা হতে পারে না। এই মহাগ্রন্থের অলৌকিকতা বিশেষ করে এর সাহিত্য ও ভাষাশৈলীতে নিহিত।
১৭ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে