Ajker Patrika

হালাল উপায়ে আয়-রোজগার

ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ৩৮
হালাল উপায়ে আয়-রোজগার

ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ উপায়ে আয়রোজগার করা অপরিহার্য এবং ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে উপার্জনের বৈধ ক্ষেত্রকে ‘আত-তায়্যিবাত’ বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা নবী-রাসুলদের হালাল খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে রাসুলগণ, তোমরা হালাল রিজিক খাও আর সৎকর্ম করো।’ (সুরা মুমিনুন: ৫১)। মুমিনদের ক্ষেত্রেও হালাল রিজিক উপার্জন করা অপরিহার্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, আমি যে রিজিক তোমাদের দিয়েছি, তা থেকে পবিত্রগুলো আহার করো।’ (সুরা বাকারা: ১৭২)

ব্যক্তির জন্য বরাদ্দ রিজিক সে লাভ করবেই। সুতরাং হারাম উপায়ে উপার্জন করে আল্লাহর অবাধ্য হওয়ার কোনো অর্থ নেই। তাই নবী (স.) মুসলিম উম্মাহর জন্য বৈধ উপায়ে জীবিকা উপার্জন অপরিহার্য করেছেন। নবী (স.) বলেছেন, ‘হে মানুষ, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং বৈধ উপায়ে আয়রোজগার করো। কেননা কোনো প্রাণীই তার নির্ধারিত রিজিক পূর্ণ না করে মৃত্যুবরণ করবে না, যদিও কিছু বিলম্ব ঘটে। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করো এবং সৎভাবে জীবিকা অর্জন করো। যা হালাল তা-ই গ্রহণ করো এবং যা হারাম তা বর্জন করো।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২১৪৪)

অন্য হাদিসে হারাম উপার্জনের পরিণাম বর্ণনা করে নবী (স.) বলেন, ‘হারামপুষ্ট দেহ জান্নাতে যেতে পারবে না।’ (শুআবুল ইমান লিল বায়হাকি: ৫৭৫৯) 

এ যুগে মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক সদস্যের জন্য হালাল রোজগারের বিষয়ে অধিক সতর্কতা কাম্য। নবী (স.) বলেছেন, ‘মানুষের সামনে এমন এক যুগ আসবে, যখন কেউ পরোয়া করবে না—কী উপায়ে সম্পদ অর্জন করল; হারাম, না হালাল উপায়ে।’ (বুখারি: ১৯৩১) 

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত