ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক
ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ উপায়ে আয়রোজগার করা অপরিহার্য এবং ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে উপার্জনের বৈধ ক্ষেত্রকে ‘আত-তায়্যিবাত’ বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা নবী-রাসুলদের হালাল খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে রাসুলগণ, তোমরা হালাল রিজিক খাও আর সৎকর্ম করো।’ (সুরা মুমিনুন: ৫১)। মুমিনদের ক্ষেত্রেও হালাল রিজিক উপার্জন করা অপরিহার্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, আমি যে রিজিক তোমাদের দিয়েছি, তা থেকে পবিত্রগুলো আহার করো।’ (সুরা বাকারা: ১৭২)
ব্যক্তির জন্য বরাদ্দ রিজিক সে লাভ করবেই। সুতরাং হারাম উপায়ে উপার্জন করে আল্লাহর অবাধ্য হওয়ার কোনো অর্থ নেই। তাই নবী (স.) মুসলিম উম্মাহর জন্য বৈধ উপায়ে জীবিকা উপার্জন অপরিহার্য করেছেন। নবী (স.) বলেছেন, ‘হে মানুষ, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং বৈধ উপায়ে আয়রোজগার করো। কেননা কোনো প্রাণীই তার নির্ধারিত রিজিক পূর্ণ না করে মৃত্যুবরণ করবে না, যদিও কিছু বিলম্ব ঘটে। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করো এবং সৎভাবে জীবিকা অর্জন করো। যা হালাল তা-ই গ্রহণ করো এবং যা হারাম তা বর্জন করো।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২১৪৪)
অন্য হাদিসে হারাম উপার্জনের পরিণাম বর্ণনা করে নবী (স.) বলেন, ‘হারামপুষ্ট দেহ জান্নাতে যেতে পারবে না।’ (শুআবুল ইমান লিল বায়হাকি: ৫৭৫৯)
এ যুগে মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক সদস্যের জন্য হালাল রোজগারের বিষয়ে অধিক সতর্কতা কাম্য। নবী (স.) বলেছেন, ‘মানুষের সামনে এমন এক যুগ আসবে, যখন কেউ পরোয়া করবে না—কী উপায়ে সম্পদ অর্জন করল; হারাম, না হালাল উপায়ে।’ (বুখারি: ১৯৩১)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ উপায়ে আয়রোজগার করা অপরিহার্য এবং ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে উপার্জনের বৈধ ক্ষেত্রকে ‘আত-তায়্যিবাত’ বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা নবী-রাসুলদের হালাল খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে রাসুলগণ, তোমরা হালাল রিজিক খাও আর সৎকর্ম করো।’ (সুরা মুমিনুন: ৫১)। মুমিনদের ক্ষেত্রেও হালাল রিজিক উপার্জন করা অপরিহার্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, আমি যে রিজিক তোমাদের দিয়েছি, তা থেকে পবিত্রগুলো আহার করো।’ (সুরা বাকারা: ১৭২)
ব্যক্তির জন্য বরাদ্দ রিজিক সে লাভ করবেই। সুতরাং হারাম উপায়ে উপার্জন করে আল্লাহর অবাধ্য হওয়ার কোনো অর্থ নেই। তাই নবী (স.) মুসলিম উম্মাহর জন্য বৈধ উপায়ে জীবিকা উপার্জন অপরিহার্য করেছেন। নবী (স.) বলেছেন, ‘হে মানুষ, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং বৈধ উপায়ে আয়রোজগার করো। কেননা কোনো প্রাণীই তার নির্ধারিত রিজিক পূর্ণ না করে মৃত্যুবরণ করবে না, যদিও কিছু বিলম্ব ঘটে। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করো এবং সৎভাবে জীবিকা অর্জন করো। যা হালাল তা-ই গ্রহণ করো এবং যা হারাম তা বর্জন করো।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২১৪৪)
অন্য হাদিসে হারাম উপার্জনের পরিণাম বর্ণনা করে নবী (স.) বলেন, ‘হারামপুষ্ট দেহ জান্নাতে যেতে পারবে না।’ (শুআবুল ইমান লিল বায়হাকি: ৫৭৫৯)
এ যুগে মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক সদস্যের জন্য হালাল রোজগারের বিষয়ে অধিক সতর্কতা কাম্য। নবী (স.) বলেছেন, ‘মানুষের সামনে এমন এক যুগ আসবে, যখন কেউ পরোয়া করবে না—কী উপায়ে সম্পদ অর্জন করল; হারাম, না হালাল উপায়ে।’ (বুখারি: ১৯৩১)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াতপ্রাপ্তির পর মক্কায় ১৩ বছর অবস্থান করেন। এই সময় তিনি মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। এক যুগের বেশি সময় তিনি দিনরাত এক করে মক্কার মরুপ্রান্তরে এই মেহনত চালিয়ে যান। এতে তিনি কখনো ক্লান্ত হননি, হতাশ হননি, বিরক্ত হননি এবং নিরাশও হননি।
৫ ঘণ্টা আগেকয়েক দিন আগে আমার ছেলের বিয়ে ঠিক হয়। দুই পরিবার মিলে আমরা তারিখও নির্ধারণ করি। ইংরেজি মাস হিসেবে তারিখ নির্ধারণ করায় আরবি কোন তারিখ পড়ছে তা কেউ তেমন ভেবে দেখিনি। কয়েক দিন পর পাত্রীপক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘তাদের এক মুরব্বি বলেছেন, তারিখটি মহররম মাসে পড়ছে, তাই ওই মাসে বিয়ের আয়োজন করা যাবে না।
৫ ঘণ্টা আগেমহররম চার পবিত্র মাসের একটি। ইসলামি বর্ষপঞ্জি শুরু হয় এ মাসের মাধ্যমে। মহররম মাসের মর্যাদা কোরআন ও হাদিসে বিশেষভাবে উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া আশুরার কারণে মাসটি মুসলমানদের কাছে বেশ গুরুত্ব বহন করে। এই মাসে শান্তি ও তাকওয়ার সঙ্গে সময় কাটানোর কথা বলে ইসলাম।
৫ ঘণ্টা আগেইসলামি বিদ্যাপীঠের সূচনা হয়েছিল নবী করিম (সা.) যুগে, দ্বিতীয় বা তৃতীয় হিজরি শতকে। তবে ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছায় সেলজুক আমলে। সে সময় ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মতত্ত্বের পাশাপাশি বিজ্ঞান, দর্শন, রাষ্ট্রকৌশল, তাসাওফ, চিকিৎসা, গণিত ও সাহিত্য শিক্ষা দেওয়া হতো। সেলজুক প্রধানমন্ত্রী নিজামু
৫ ঘণ্টা আগে