Ajker Patrika

শিশুর চারিত্রিক গঠনে ইসলামের চার শিক্ষা

আবদুল্লাহ নুর
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২০: ০৫
কন্যাসন্তান। ছবি: সংগৃহীত
কন্যাসন্তান। ছবি: সংগৃহীত

একজন শিশুর ভবিষ্যৎ তার বাবা-মায়ের ওপর নির্ভর করে। বাবা-মায়ের ছোট ছোট কাজগুলোই হয় তার জন্য অনুসরণীয়। একজন শিশুকে ভবিষ্যতের কর্ণধার হিসেবে গড়ে তুলতে শুধু বইয়ের পাতার শিক্ষাই যথেষ্ট নয়। বইয়ের পাশাপাশি প্রয়োজন সামাজিক শিক্ষা। আর উভয় শিক্ষা মিলে একজন শিশু হয়ে ওঠে আদর্শবান নাগরিক।

বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ

শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকে সম্মান করতে শিক্ষা দেওয়া। কখনোই তাঁদের সঙ্গে যেন বেয়াদবিমূলক আচরণ না করে, সেদিকে খেয়াল রাখা। আর ছোটদের প্রতি স্নেহ করতে উৎসাহ দেওয়া। খেলাধুলার সময় বাচ্চাদের অগ্রাধিকার দিতে বলা। খেলনাসামগ্রী নিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে যেন মারামারি না করে, সেদিকে খেয়াল রাখা। কেননা, ইসলাম বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ করতে নির্দেশ করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং বড়দের প্রতি সম্মান করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (আদাবুল মুফরাদ: ৩৫৬)

অপর থেকে কিছু আশা না করা

ছোট শিশু কাদামাটির মতো। ওদের যেভাবে গড়া হবে, ওরা সেভাবেই গড়ে উঠবে। শিশুরা সর্বদা অন্যের জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট থাকে। তবে এই আকৃষ্ট থেকে বিরত রাখার জন্য বাবা-মায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই বাচ্চাদের শুরু থেকে এ শিক্ষা দেওয়া যে—কারও থেকে কখনোই কিছু না চাওয়া। চাই সেটা খাবার হোক বা অন্য কিছু। হাদিসে এসেছে, হজরত সামুরা ইবনে জানদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ভিক্ষাবৃত্তি হলো ক্ষতস্বরূপ; এর দ্বারা মানুষ মুখমণ্ডল ক্ষতবিক্ষত করে’। (সুনানে নাসায়ি: ৫/৯৭)

মানুষকে দান করতে উৎসাহিত করা

দান একটি মহৎ আমল। সদকায়ে জারিয়া। এর সওয়াব এক পুরুষ থেকে পরবর্তী শত পুরুষ পর্যন্ত পেতে পারেন। বাবা-মা যখন কাউকে কিছু দান করবেন, তখন উচিত সঙ্গে থাকা বাচ্চার মাধ্যমে দেওয়া। চাই সে দান মসজিদ হোক বা মাদ্রাসা অথবা কোনো অসহায় ব্যক্তিকে। এর দ্বারা বাচ্চাকে এটা শিক্ষা দেওয়া যে—কারও থেকে কিছু নেওয়ার তুলনায় দেওয়া উত্তম। আর হাদিসে এসেছে, হজরত হাকিম ইবনে হিজাম (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ওপরের হাত নিচের হাতের চেয়ে উত্তম।’ (সহিহ্ বুখারি: ২/১১২)

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা

বাচ্চাদের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে তার পরিচ্ছন্নতায়। পরিচ্ছন্ন শিশুকে সবাই কোলে নেয় ও আদর করে। আর এ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় মায়ের ভূমিকা অপরিসীম। মা তাঁর সন্তানকে পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে উৎসাহ দেবেন। ময়লা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে শিক্ষা দেবেন। আর পরিচ্ছন্নতা হলো ইমানের অঙ্গ।

হজরত আবু মালিক আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৫৫৬)

লেখক: খতিব ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারা বড় হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে লজ্জিত হবে: সেনাপ্রধান

যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকারকে বহিষ্কারের কারণ জানাল এনসিপি

পাহাড়ের মাটিতে এখন মরুভূমির ফলের স্বাদ

আবাসন কোম্পানির অনিয়ম অনুসন্ধানে গড়িমসি, দুদকের উপপরিচালক বরখাস্ত

বিপুল বকেয়া সত্ত্বেও ব্যবসা হারানোর ভয়ে বাংলাদেশ-নেপালে সম্প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় চ্যানেলগুলো

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত