মুফতি আবুল ফাতাহ কাসেমী
প্রশ্ন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ঘিবলি স্টাইল কার্টুন তৈরির বিষয়টি ইসলাম কীভাবে দেখে?
উত্তর: মানুষ আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব। সর্বোত্তম আকৃতিতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ যাকে যে আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন, সে আকৃতিতে তাকে দেখতে ভালোবাসেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি মানুষকে সর্বোত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা আত-তিন: ৪)। মানুষকে যেকোনো ধরনের বিকৃত আকৃতিতে প্রকাশ করা উচিত নয়। ইসলামে এ ধরনের কাজ নিষেধ। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেন, যে আল্লাহর সৃষ্টি পরিবর্তন করে, তার ওপর রাসুল (সা.) অভিসম্পাত করেছেন। (সুনানে নাসায়ি: ৫২৫৩)
কার্টুনে মানুষের চেহারা বিকৃতি করা হয়। মানুষ যেমন, তেমন থাকে না। অন্য রকম করা হয়। ঘিবলিতেও তা-ই করা হয়। মানুষের চেহারা তুলিতে বিকৃতি বা ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে বিকৃতি, কম্পিউটারে এডিট করে বিকৃতি এবং মানুষের সরাসরি ফিজিক্যাল বিকৃতি করা ইসলামে নিষেধ। অধিকাংশ ফকিহর মতে, আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃতি করা হারাম। তা ছবিতে হোক বা প্রযুক্তির যেকোনো মাধ্যমে। এ বিষয়ে কাতারভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ইসলাম ওয়েব’-এর এক ফতোয়ায় বলা হয়েছে, ‘সফটওয়্যার ইত্যাদি ব্যবহার করে ছবিতে কোনো বিকৃতি সাধন করা জায়েজ নয়।’ (ফতোয়া: ১৯২৫১৩)
সাহাবায়ে কেরাম, প্রসিদ্ধ চার মাজহাবের ইমাম ও ইসলামিক স্কলাররা বলেন, কোনো প্রাণীর ছবি প্রস্তুত করা হারাম। ভাস্কর্য, হস্তশিল্প, অঙ্কন, ক্যামেরা বা আধুনিক যেকোনো প্রযুক্তির মাধ্যমে কারও ছবি বানানো হারাম। হারাম বা নিষিদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে এগুলোর বিধান অভিন্ন। (ইমদাদুল মুফতিয়িন: ২ / ৮২৫-৮২৬)
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে অনেকে নিজের কার্টুন বা ডিজিটাল অবতার তৈরি করে। আবার অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় (এআই)-এর বিভিন্ন টুলস (স্টুডিও ঘিবলি, চ্যাটজিপিটি) ব্যবহার করে নিজেদের ছবিকে কার্টুনে রূপান্তর করে থাকে। সাময়িক বিনোদনের জন্য অনেকে এসব অনর্থক কাজ করছেন, যা ইসলামে বৈধ নয়। এ রকম অপ্রয়োজনীয় কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা ইসলামে অপছন্দনীয়। এক হাদিসে রাসুল সা. বলেছেন, ইসলামের সৌন্দর্য হলো, নিজেকে অহেতুক কাজ থেকে বিরত রাখা। (জামে তিরমিজি: ২৩১৭)। পরিপূর্ণ ইমান ও ব্যক্তিগত জীবন সাজানোর জন্য অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকার বিকল্প নেই।
উত্তর দিয়েছেন: অনুবাদক ও মুহাদ্দিস, জামিয়া কাসেম নানুতবি, রামপুরা, ঢাকা।
প্রশ্ন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ঘিবলি স্টাইল কার্টুন তৈরির বিষয়টি ইসলাম কীভাবে দেখে?
উত্তর: মানুষ আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব। সর্বোত্তম আকৃতিতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ যাকে যে আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন, সে আকৃতিতে তাকে দেখতে ভালোবাসেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি মানুষকে সর্বোত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা আত-তিন: ৪)। মানুষকে যেকোনো ধরনের বিকৃত আকৃতিতে প্রকাশ করা উচিত নয়। ইসলামে এ ধরনের কাজ নিষেধ। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেন, যে আল্লাহর সৃষ্টি পরিবর্তন করে, তার ওপর রাসুল (সা.) অভিসম্পাত করেছেন। (সুনানে নাসায়ি: ৫২৫৩)
কার্টুনে মানুষের চেহারা বিকৃতি করা হয়। মানুষ যেমন, তেমন থাকে না। অন্য রকম করা হয়। ঘিবলিতেও তা-ই করা হয়। মানুষের চেহারা তুলিতে বিকৃতি বা ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে বিকৃতি, কম্পিউটারে এডিট করে বিকৃতি এবং মানুষের সরাসরি ফিজিক্যাল বিকৃতি করা ইসলামে নিষেধ। অধিকাংশ ফকিহর মতে, আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃতি করা হারাম। তা ছবিতে হোক বা প্রযুক্তির যেকোনো মাধ্যমে। এ বিষয়ে কাতারভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ইসলাম ওয়েব’-এর এক ফতোয়ায় বলা হয়েছে, ‘সফটওয়্যার ইত্যাদি ব্যবহার করে ছবিতে কোনো বিকৃতি সাধন করা জায়েজ নয়।’ (ফতোয়া: ১৯২৫১৩)
সাহাবায়ে কেরাম, প্রসিদ্ধ চার মাজহাবের ইমাম ও ইসলামিক স্কলাররা বলেন, কোনো প্রাণীর ছবি প্রস্তুত করা হারাম। ভাস্কর্য, হস্তশিল্প, অঙ্কন, ক্যামেরা বা আধুনিক যেকোনো প্রযুক্তির মাধ্যমে কারও ছবি বানানো হারাম। হারাম বা নিষিদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে এগুলোর বিধান অভিন্ন। (ইমদাদুল মুফতিয়িন: ২ / ৮২৫-৮২৬)
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে অনেকে নিজের কার্টুন বা ডিজিটাল অবতার তৈরি করে। আবার অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় (এআই)-এর বিভিন্ন টুলস (স্টুডিও ঘিবলি, চ্যাটজিপিটি) ব্যবহার করে নিজেদের ছবিকে কার্টুনে রূপান্তর করে থাকে। সাময়িক বিনোদনের জন্য অনেকে এসব অনর্থক কাজ করছেন, যা ইসলামে বৈধ নয়। এ রকম অপ্রয়োজনীয় কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা ইসলামে অপছন্দনীয়। এক হাদিসে রাসুল সা. বলেছেন, ইসলামের সৌন্দর্য হলো, নিজেকে অহেতুক কাজ থেকে বিরত রাখা। (জামে তিরমিজি: ২৩১৭)। পরিপূর্ণ ইমান ও ব্যক্তিগত জীবন সাজানোর জন্য অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকার বিকল্প নেই।
উত্তর দিয়েছেন: অনুবাদক ও মুহাদ্দিস, জামিয়া কাসেম নানুতবি, রামপুরা, ঢাকা।
আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
৯ ঘণ্টা আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
১৭ ঘণ্টা আগেপ্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখার মধ্যে বেশ ফজিলত রয়েছে। হাদিসের ভাষায় এই তিনটি রোজাকে বলায় হয় আইয়ামে বিজের রোজা। এই রোজা প্রতি আরবি মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখে রাখতে হয়।
১ দিন আগেএকজন মুসলমানের জীবনে ইমান এক অমূল্য সম্পদ। তবে সৎকার ছাড়া ইমানও মূল্যহীন। আসুন, ইমান ও সৎকাজের পুরস্কার সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিই।
২ দিন আগে