ইজাজুল হক
ইসলাম মানুষের জীবনে শৃঙ্খলার কথা বলে; সব ধরনের আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা বলে। তাই খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, যৌন চাহিদা পূরণের মতো সহজাত বিষয়গুলো ইসলাম লাগামহীন ছেড়ে দেয়নি। বরং এতে টেনে দিয়েছেন কিছু সীমারেখা, যেন বান্দা ভোগ-বিলাসিতার স্রোতে গা ভাসিয়ে আল্লাহ তাআলাকে ভুলে না যায়। এ কারণে ইসলাম নির্দেশিত পদ্ধতি মেনে এসব কাজ করলে তা ইবাদতে পরিণত হওয়ার ঘোষণা এসেছে।
মানুষের সহজাত যৌন চাহিদা পূরণ ও প্রজন্ম ধরে রাখার একমাত্র ইসলামসম্মত পদ্ধতি বিয়ে। বিয়ে একটি সামাজিক প্রক্রিয়া। লোকচক্ষুর অন্তরালে দুজন নারী-পুরুষ একত্র হয়ে বিয়ে করতে পারেন না। বরং নির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে সমাজের মানুষকে জানিয়ে বিয়ে করাই ইসলামের বিধান। এ জন্য পাত্রী দেখা, অভিভাবকের অনুমতি গ্রহণ, দেনমোহর আদায়, সাক্ষীর উপস্থিতি, ভোজের আয়োজন, মসজিদে আক্দ করানো ইত্যাদি বিধান রাখা হয়েছে।
সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ইসলাম গোপন বিয়ের অনুমোদন দেয় না। ইসলামসম্মত পন্থায় বিয়ে করলে একজন মানুষ সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করে; তার মধ্যে বিনয় ও দায়িত্বশীলতা আসে। নারী যেন সহজলভ্য ও কেবল ভোগের পণ্য হয়ে না ওঠে, এ জন্য বিয়ের সামাজিক স্বীকৃতি আবশ্যক। তাই বিয়ের সঙ্গে নারীর অভিভাবকের অনুমতি, সম্মানজনক দেনমোহর, ভরণপোষণের দায়িত্ব গ্রহণসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। নারীর সামাজিক মর্যাদা ও আর্থিক সক্ষমতার জন্য এসব শর্ত অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
অবাধ যৌনাচার সমাজের শৃঙ্খলা নষ্ট করে বলেই ইসলাম সব ধরনের ব্যভিচার নিষিদ্ধ করে। আর গোপনে বিয়ে ব্যভিচারের পথ খুলে দেয়। তাই বিয়ের জন্য আশপাশের মানুষকে জানানো এবং সাক্ষী রাখার কথা বলে। এ ছাড়া মসজিদে বিয়ে পড়ানো, দফ বাজিয়ে ঘোষণা দেওয়া ইত্যাদির কথাও হাদিসে এসেছে। আবার বিয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করতেও রাখা হয়েছে তালাকের মতো আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। ফলে স্ত্রীকে ফেলে চলে যাওয়া, বাচ্চার দায়িত্ব নিতে না চাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। এভাবে ইসলাম নারী ও শিশুর জীবনের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে।
গোপন বিয়ের অনুমতি না থাকার আরেকটি কারণ হলো, এর কোনো প্রমাণ থাকে না। ফলে অন্যায়ের অসংখ্য পথ খুলে যায়। এ ছাড়া বিচ্ছেদ, গর্ভপাত, সন্তানের দায়িত্ব না নেওয়ার মতো অসংখ্য অজুহাত তৈরি হয়। তাই বিয়েকে সামাজিকভাবে সম্পন্ন করার তাগিদ দেয় ইসলাম। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুস্থ-সুন্দর একটি পৃথিবী রেখে যেতে এবং নিজের চরিত্র পবিত্র রাখতে ইসলামের নির্দেশিত পথে সামাজিকভাবে বিয়ে করার বিকল্প নেই। সাময়িক লিপ্সা, কামনা ও রোমাঞ্চের বশীভূত হয়ে অনৈসলামিক পথে পা বাড়ানো একজন বিশ্বাসীর জন্য কখনো উচিত হবে না।
ইসলাম মানুষের জীবনে শৃঙ্খলার কথা বলে; সব ধরনের আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা বলে। তাই খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, যৌন চাহিদা পূরণের মতো সহজাত বিষয়গুলো ইসলাম লাগামহীন ছেড়ে দেয়নি। বরং এতে টেনে দিয়েছেন কিছু সীমারেখা, যেন বান্দা ভোগ-বিলাসিতার স্রোতে গা ভাসিয়ে আল্লাহ তাআলাকে ভুলে না যায়। এ কারণে ইসলাম নির্দেশিত পদ্ধতি মেনে এসব কাজ করলে তা ইবাদতে পরিণত হওয়ার ঘোষণা এসেছে।
মানুষের সহজাত যৌন চাহিদা পূরণ ও প্রজন্ম ধরে রাখার একমাত্র ইসলামসম্মত পদ্ধতি বিয়ে। বিয়ে একটি সামাজিক প্রক্রিয়া। লোকচক্ষুর অন্তরালে দুজন নারী-পুরুষ একত্র হয়ে বিয়ে করতে পারেন না। বরং নির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে সমাজের মানুষকে জানিয়ে বিয়ে করাই ইসলামের বিধান। এ জন্য পাত্রী দেখা, অভিভাবকের অনুমতি গ্রহণ, দেনমোহর আদায়, সাক্ষীর উপস্থিতি, ভোজের আয়োজন, মসজিদে আক্দ করানো ইত্যাদি বিধান রাখা হয়েছে।
সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ইসলাম গোপন বিয়ের অনুমোদন দেয় না। ইসলামসম্মত পন্থায় বিয়ে করলে একজন মানুষ সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করে; তার মধ্যে বিনয় ও দায়িত্বশীলতা আসে। নারী যেন সহজলভ্য ও কেবল ভোগের পণ্য হয়ে না ওঠে, এ জন্য বিয়ের সামাজিক স্বীকৃতি আবশ্যক। তাই বিয়ের সঙ্গে নারীর অভিভাবকের অনুমতি, সম্মানজনক দেনমোহর, ভরণপোষণের দায়িত্ব গ্রহণসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। নারীর সামাজিক মর্যাদা ও আর্থিক সক্ষমতার জন্য এসব শর্ত অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
অবাধ যৌনাচার সমাজের শৃঙ্খলা নষ্ট করে বলেই ইসলাম সব ধরনের ব্যভিচার নিষিদ্ধ করে। আর গোপনে বিয়ে ব্যভিচারের পথ খুলে দেয়। তাই বিয়ের জন্য আশপাশের মানুষকে জানানো এবং সাক্ষী রাখার কথা বলে। এ ছাড়া মসজিদে বিয়ে পড়ানো, দফ বাজিয়ে ঘোষণা দেওয়া ইত্যাদির কথাও হাদিসে এসেছে। আবার বিয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করতেও রাখা হয়েছে তালাকের মতো আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। ফলে স্ত্রীকে ফেলে চলে যাওয়া, বাচ্চার দায়িত্ব নিতে না চাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। এভাবে ইসলাম নারী ও শিশুর জীবনের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে।
গোপন বিয়ের অনুমতি না থাকার আরেকটি কারণ হলো, এর কোনো প্রমাণ থাকে না। ফলে অন্যায়ের অসংখ্য পথ খুলে যায়। এ ছাড়া বিচ্ছেদ, গর্ভপাত, সন্তানের দায়িত্ব না নেওয়ার মতো অসংখ্য অজুহাত তৈরি হয়। তাই বিয়েকে সামাজিকভাবে সম্পন্ন করার তাগিদ দেয় ইসলাম। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুস্থ-সুন্দর একটি পৃথিবী রেখে যেতে এবং নিজের চরিত্র পবিত্র রাখতে ইসলামের নির্দেশিত পথে সামাজিকভাবে বিয়ে করার বিকল্প নেই। সাময়িক লিপ্সা, কামনা ও রোমাঞ্চের বশীভূত হয়ে অনৈসলামিক পথে পা বাড়ানো একজন বিশ্বাসীর জন্য কখনো উচিত হবে না।
পারস্পরিক যোগাযোগ ও যাতায়াতের ক্ষেত্রে রাস্তার গুরুত্ব অপরিসীম। একটি জাতির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও প্রগতি বহুলাংশে নির্ভর করে তার উন্নত যাতায়াতব্যবস্থার ওপর। রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন রাখা এবং চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী বস্তু সরিয়ে ফেলা একটি মহৎ কাজ, যা ইসলামে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ হিসেবে গণ্য।
৩৬ মিনিট আগেসপ্তাহের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন হলো বৃহস্পতিবার। জুমার দিনের পূর্ববর্তী দিন হওয়ায় এর রয়েছে বিশেষ মর্যাদা। এ দিনে রোজা রাখা, নেক আমল করা ও ইবাদত করার ফজিলত অপরিসীম। হাদিসের বর্ণনা অনুসারে, আল্লাহর কাছে দিনটির রয়েছে বিশেষ কদর।
১২ ঘণ্টা আগেতওবা হলো নিজের ভুল স্বীকার করে সঠিক পথে ফিরে আসা। এটি এমন এক পবিত্র অঙ্গীকার, যার মাধ্যমে মানুষ পাপের পথ ছেড়ে আল্লাহর দিকে মুখ ফেরায়, তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং ভবিষ্যতে সেই পাপে না ফেরার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে। একজন মুমিনের জীবনে তওবা একটি অপরিহার্য অধ্যায়।
১৪ ঘণ্টা আগেমা যেমন সীমাহীন কষ্ট সহ্য করে আমাদের গর্ভে ধারণ করেন, জন্ম দেন, দুধ পান করান এবং লালন-পালনের অতুলনীয় দায়িত্ব পালন করেন; তেমনি বাবাও অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের বেঁচে থাকার সব উপকরণ সরবরাহ করেন। সন্তানের ভবিষ্যৎ-চিন্তায় তাঁরা সব সময় অধীর থাকেন। তাঁদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার তুলনা পৃথিবীতে আর কিছু...
১৪ ঘণ্টা আগে