কাউসার লাবীব
প্রত্যেক সামর্থ্যবান পুরুষ-নারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব। আল্লাহ ও তার রাসুলের শর্তহীন আনুগত্য, ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষাও আছে কোরবানিতে। নবীজি (সা.)-কে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আপনি আপনার রবের জন্য নামাজ আদায় করুন এবং কোরবানি দিন।’ (সুরা কাউসার: ২)
আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোরবানি করা পশুর মাংস ভাগ করার উত্তম নিয়ম রয়েছে। এমনিতে কোরবানির পশুর মাংস কোরবানিদাতার ইচ্ছে হলে, নিজেই পুরোটা খেতে পারবেন। তবে কোরবানির প্রকৃত শিক্ষা এটা নয়। কোরবানি মানেই ত্যাগ। সমাজের অসহায় মানুষ যেন বছরে একদিন হলেও মাংস-ভাত খেতে পারে—সে বিষয়ে খেয়াল রাখা কোরবানিদাতাদের কর্তব্য।
কোরবানির মাংস কীভাবে ভাগ করতে হবে—তার ইঙ্গিত পবিত্র কোরআনে পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর (কোরবানির) উটগুলো আমি করেছি আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। তাতে তোমাদের জন্য কল্যাণ আছে, কাজেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো অবস্থায় এগুলোর ওপর তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর। যখন তা পার্শ্বভরে পড়ে যায়, তখন তা থেকে তোমরা আহার করো এবং আহার করাও—যে কিছু চায় না তাকে এবং যে চায় তাকেও। এভাবে আমি এগুলো তোমাদের অধীন করে দিয়েছি, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (সুরা হজ: ৩৬)
উক্ত আয়াত থেকে কোরবানির মাংস মোটামুটি ৩টি ভাগে ভাগ করার ইঙ্গিত পাওয়া যায়—
১. কোরবানি দাতা নিজেদের জন্য এক ভাগ রাখবে। আহার করবে।
২. আত্মীয়স্বজনদের এক ভাগ দেবে—অর্থাৎ যারা চায় না।
৩. যারা অভাবী-গরিব-ভিক্ষুক তাদের এক ভাগ দেবে—অর্থাৎ যারা চায়।
ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মতে, কোরবানির পশুর মাংস উল্লিখিত তিন ভাগে ভাগ করা মোস্তাহাব এবং উত্তম। নবী করিম (সা.)-ও এমনটি করতেন।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কোরবানির পদ্ধতি বর্ণনা করে বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল কোরবানির মাংসের এক-তৃতীয়াংশ নিজের পরিবারের সদস্যদের খাওয়াতেন, এক-তৃতীয়াংশ গরিব প্রতিবেশীদের খাওয়াতেন এবং এক-তৃতীয়াংশ ভিক্ষুকদের দান করতেন। (আল-মুগনি : ৯/৪৪৯)
প্রত্যেক সামর্থ্যবান পুরুষ-নারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব। আল্লাহ ও তার রাসুলের শর্তহীন আনুগত্য, ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষাও আছে কোরবানিতে। নবীজি (সা.)-কে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আপনি আপনার রবের জন্য নামাজ আদায় করুন এবং কোরবানি দিন।’ (সুরা কাউসার: ২)
আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোরবানি করা পশুর মাংস ভাগ করার উত্তম নিয়ম রয়েছে। এমনিতে কোরবানির পশুর মাংস কোরবানিদাতার ইচ্ছে হলে, নিজেই পুরোটা খেতে পারবেন। তবে কোরবানির প্রকৃত শিক্ষা এটা নয়। কোরবানি মানেই ত্যাগ। সমাজের অসহায় মানুষ যেন বছরে একদিন হলেও মাংস-ভাত খেতে পারে—সে বিষয়ে খেয়াল রাখা কোরবানিদাতাদের কর্তব্য।
কোরবানির মাংস কীভাবে ভাগ করতে হবে—তার ইঙ্গিত পবিত্র কোরআনে পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর (কোরবানির) উটগুলো আমি করেছি আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। তাতে তোমাদের জন্য কল্যাণ আছে, কাজেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো অবস্থায় এগুলোর ওপর তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর। যখন তা পার্শ্বভরে পড়ে যায়, তখন তা থেকে তোমরা আহার করো এবং আহার করাও—যে কিছু চায় না তাকে এবং যে চায় তাকেও। এভাবে আমি এগুলো তোমাদের অধীন করে দিয়েছি, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (সুরা হজ: ৩৬)
উক্ত আয়াত থেকে কোরবানির মাংস মোটামুটি ৩টি ভাগে ভাগ করার ইঙ্গিত পাওয়া যায়—
১. কোরবানি দাতা নিজেদের জন্য এক ভাগ রাখবে। আহার করবে।
২. আত্মীয়স্বজনদের এক ভাগ দেবে—অর্থাৎ যারা চায় না।
৩. যারা অভাবী-গরিব-ভিক্ষুক তাদের এক ভাগ দেবে—অর্থাৎ যারা চায়।
ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মতে, কোরবানির পশুর মাংস উল্লিখিত তিন ভাগে ভাগ করা মোস্তাহাব এবং উত্তম। নবী করিম (সা.)-ও এমনটি করতেন।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কোরবানির পদ্ধতি বর্ণনা করে বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল কোরবানির মাংসের এক-তৃতীয়াংশ নিজের পরিবারের সদস্যদের খাওয়াতেন, এক-তৃতীয়াংশ গরিব প্রতিবেশীদের খাওয়াতেন এবং এক-তৃতীয়াংশ ভিক্ষুকদের দান করতেন। (আল-মুগনি : ৯/৪৪৯)
কোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি সম্মান একটি মৌলিক মানবিক গুণ, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। প্রত্যেক মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এবং একে অপরকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম, বর্ণ, জাতি কিংবা পেশা ভেদে কাউকে ছোট করা মানবতার পরিপন্থী। সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক...
২ দিন আগেসপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ এই দিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ—এর অন্যতম কারণ জুমার নামাজ। জুমার নামাজ আদায় করলেই কেবল এই দিনের বরকত, ফজিলত লাভের আশা করা যায়।
২ দিন আগেএক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২ দিন আগে