মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
ব্যাংকের ব্যক্তিমালিকানাধীন সব ধরনের অ্যাকাউন্টই জাকাতযোগ্য। এতে গচ্ছিত টাকা ব্যক্তির নগদ অর্থ হিসেবে ধরা হবে। অ্যাকাউন্ট হোল্ডার নিসাবের মালিক হওয়ার পর এক বছর অতিবাহিত হলে তাঁকে নিজের স্বর্ণ-রৌপ্য, ব্যবসায়িক পণ্য ও নগদ টাকার সঙ্গে ব্যাংকে গচ্ছিত টাকারও জাকাত দিতে হবে।
কারেন্ট অ্যাকাউন্ট, সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ফিক্সড ডিপোজিট, দীর্ঘমেয়াদি ডিপোজিট, বন্ড, সার্টিফিকেটসহ সব ধরনের অ্যাকাউন্ট এই হুকুমের আওতাভুক্ত। যৌথ মালিকানাধীন অ্যাকাউন্টের টাকা আলাদা আলাদা হিসাব করা হবে। (ফাতাওয়ায়ে উসমানি)
নিজের হাতে থাকা জাকাতযোগ্য সম্পদ (স্বর্ণ-রৌপ্য, ব্যবসায়িক পণ্য, নগদ টাকা) ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সংরক্ষিত টাকা মিলিয়ে যেদিন নিসাব পূর্ণ হবে, সেদিন থেকে জাকাতবর্ষ শুরু হবে। এরপর বছরের মাঝখানে অতিরিক্ত যা জমা হবে, সবই নিসাবের সঙ্গে যুক্ত হবে। এগুলোর জন্য আলাদা বর্ষ হিসাব করা হবে না। তবে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের জমাকৃত টাকা ছাড়া ব্যাংক থেকে অতিরিক্ত সুদ হিসেবে যা জমা হয়, তা জাকাতযোগ্য নয়; বরং এগুলো সওয়াবের নিয়ত না করে জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করে দিতে হবে। (বায়হাকি ও ফাতাওয়া হিন্দিয়া)
প্রতি জাকাতবর্ষ শেষ হওয়ার পর নিজের হাতে থাকা জাকাতযোগ্য সম্পদ ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখে যত টাকা হবে, তার আড়াই শতাংশ জাকাত দিতে হবে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যদি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে না জানিয়ে তার অ্যাকাউন্ট থেকে জাকাত বাবদ টাকা কেটে নেয়, তা জাকাত হিসেবে আদায় হবে না। অবশ্য অনুমতি নিলে অথবা আগে থেকে অনুমতি দেওয়া থাকলে আদায় হবে। (রদ্দুল মুহতার)
সাধারণত অজ্ঞতা ও অসাবধানতার কারণে অনেকে বছরের পর বছর জাকাত দেন না। বুঝে আসার পর কেউ যদি জাকাত দিতে চান, তাহলে নিসাব পূর্ণ হওয়ার দিন থেকে যত বছর অতিবাহিত হয়েছে, সব বছরের জাকাত দিতে হবে। প্রথম বছরের জাকাত যত টাকা আসবে, দ্বিতীয় বছরে তা হিসাব থেকে বাদ যাবে। পরবর্তী বছরগুলোতেও একইভাবে হিসাব করা হবে। কয়েক বছর জাকাত দেওয়ার পর যদি সম্পদ নিসাব থেকে কমে যায়, তাহলে আর জাকাত দিতে হবে না। (জাওয়াহিরুল ফিকহ)
ব্যাংকের ব্যক্তিমালিকানাধীন সব ধরনের অ্যাকাউন্টই জাকাতযোগ্য। এতে গচ্ছিত টাকা ব্যক্তির নগদ অর্থ হিসেবে ধরা হবে। অ্যাকাউন্ট হোল্ডার নিসাবের মালিক হওয়ার পর এক বছর অতিবাহিত হলে তাঁকে নিজের স্বর্ণ-রৌপ্য, ব্যবসায়িক পণ্য ও নগদ টাকার সঙ্গে ব্যাংকে গচ্ছিত টাকারও জাকাত দিতে হবে।
কারেন্ট অ্যাকাউন্ট, সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ফিক্সড ডিপোজিট, দীর্ঘমেয়াদি ডিপোজিট, বন্ড, সার্টিফিকেটসহ সব ধরনের অ্যাকাউন্ট এই হুকুমের আওতাভুক্ত। যৌথ মালিকানাধীন অ্যাকাউন্টের টাকা আলাদা আলাদা হিসাব করা হবে। (ফাতাওয়ায়ে উসমানি)
নিজের হাতে থাকা জাকাতযোগ্য সম্পদ (স্বর্ণ-রৌপ্য, ব্যবসায়িক পণ্য, নগদ টাকা) ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সংরক্ষিত টাকা মিলিয়ে যেদিন নিসাব পূর্ণ হবে, সেদিন থেকে জাকাতবর্ষ শুরু হবে। এরপর বছরের মাঝখানে অতিরিক্ত যা জমা হবে, সবই নিসাবের সঙ্গে যুক্ত হবে। এগুলোর জন্য আলাদা বর্ষ হিসাব করা হবে না। তবে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের জমাকৃত টাকা ছাড়া ব্যাংক থেকে অতিরিক্ত সুদ হিসেবে যা জমা হয়, তা জাকাতযোগ্য নয়; বরং এগুলো সওয়াবের নিয়ত না করে জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করে দিতে হবে। (বায়হাকি ও ফাতাওয়া হিন্দিয়া)
প্রতি জাকাতবর্ষ শেষ হওয়ার পর নিজের হাতে থাকা জাকাতযোগ্য সম্পদ ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখে যত টাকা হবে, তার আড়াই শতাংশ জাকাত দিতে হবে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যদি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে না জানিয়ে তার অ্যাকাউন্ট থেকে জাকাত বাবদ টাকা কেটে নেয়, তা জাকাত হিসেবে আদায় হবে না। অবশ্য অনুমতি নিলে অথবা আগে থেকে অনুমতি দেওয়া থাকলে আদায় হবে। (রদ্দুল মুহতার)
সাধারণত অজ্ঞতা ও অসাবধানতার কারণে অনেকে বছরের পর বছর জাকাত দেন না। বুঝে আসার পর কেউ যদি জাকাত দিতে চান, তাহলে নিসাব পূর্ণ হওয়ার দিন থেকে যত বছর অতিবাহিত হয়েছে, সব বছরের জাকাত দিতে হবে। প্রথম বছরের জাকাত যত টাকা আসবে, দ্বিতীয় বছরে তা হিসাব থেকে বাদ যাবে। পরবর্তী বছরগুলোতেও একইভাবে হিসাব করা হবে। কয়েক বছর জাকাত দেওয়ার পর যদি সম্পদ নিসাব থেকে কমে যায়, তাহলে আর জাকাত দিতে হবে না। (জাওয়াহিরুল ফিকহ)
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগেআত্মীয়তার বন্ধন আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। পারস্পরিক সম্পর্কের এ বন্ধন না থাকলে হয়তো পৃথিবীর রূপ ভিন্ন থাকত। মা তার সন্তানের প্রতি, ভাই তার ভাইয়ের প্রতি, স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার যে রূপ আমরা দেখতে পাই—তা হয়তো থাকত না। কোরআন ও হাদিসে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেজুলুম আরবি শব্দ। জুলুমের অর্থ ব্যাপক এবং অনেক বিস্তৃত। সাধারণত জুলুম অর্থ নির্যাতন, নিপীড়ন। শরিয়তের পরিভাষায় জুলুম বলা হয়—কোনো উপযুক্ত জিনিসকে উপযুক্ত স্থানে না রেখে অনুপযুক্ত স্থানে রাখা। যে জুলুম করে তাকে জালিম বলা হয়। মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে একজন অন্যজনের ওপর জুলুম করে।
১৯ ঘণ্টা আগেমা-বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাঁদের আদর-সোহাগে আমাদের জীবনের ভিত্তি রচিত হয়। তাঁদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে গড়ে ওঠে সুন্দর ভবিষ্যৎ। তাঁদের ভরসায় আমরা শক্তি পাই এবং তাঁদের দোয়ায় জীবন সার্থক হয়। ইসলাম তাই মা-বাবাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে এবং তাঁদের প্রতি সদাচরণকে আল্লাহ তাআলার ইবাদতের
১ দিন আগে