মাহমুদ হাসান ফাহিম
আমাদের প্রতিটি কাজ, প্রতিটি কথার জন্য রয়েছে সর্বজনীন চার সাক্ষী। সব সময়ই আমরা তাদের আওতাভুক্ত। যত গোপনই করি না কেন, এই চার সাক্ষী থেকে আমরা তা কখনো গোপন করতে পারি না।
১. মাটি
আমাদের ইহলৌকিক আশ্রয় এই পৃথিবী। প্রতিটি মুহূর্তেই তার ওপর আমাদের অবস্থান ও চলাফেরা। তাই পৃথিবীর মাটি প্রতিটি মুহূর্তের সাক্ষী দেবে একদিন। ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন জমিন তার যাবতীয় সংবাদ জানিয়ে দেবে।’ (সুরা জিলজাল: ৪) হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল (সা.) সাহাবিদের জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমরা কি জানো, জমিনের সংবাদ কী? সাহাবিগণ বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভালো জানেন। তখন রাসুল (সা.) বললেন, জমিনের সংবাদ হলো, প্রতিটা মানুষ জমিনে যা করে, সে তার সাক্ষ্য দেবে; অমুক বান্দা এই এই কাজ করেছে, অমুক দিনে করেছে। এটাই হলো জমিনের সংবাদ।’ (সুনানে তিরমিজি: ২৪২৯)
২. ফেরেশতা
আমাদের অমলনামা লিপিবদ্ধ করার কাজে নিয়োজিত আছেন দুজন ফেরেশতা। আমরা ভালো-মন্দ যা-ই করি না কেন, সবই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়, আমাদের ভালোমন্দের সাক্ষ্য হিসেবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘অবশ্যই তোমাদের জন্য নিযুক্ত আছে তত্ত্বাবধায়ক (ফেরেশতা)। সম্মানিত লেখকগণ। তোমরা যা করো তারা সব জানে।’ (সুরা ইনফিতর: ১০-১২) অন্য আয়াতে এসেছে, ‘তারা কি মনে করে যে আমি তাদের গোপন কথাবার্তা ও তাদের কানাকানি শুনতে পাই না? অবশ্যই শুনতে পাই। এ ছাড়া আমার ফেরেশতাগণ তাদের কাছেই রয়েছে। যারা (সবকিছু) লিপিবদ্ধ করছে।’ (সুরা যুখরুফ: ৮০)
৩. অঙ্গপ্রত্যঙ্গ
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আমাদের কাছে আল্লাহর দেওয়া আমানত। এই আমানতের যথাযথ হিফাজত না করলে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে। এবং তা-ই হবে কিয়ামতের দিনে আমার পক্ষে বা বিপক্ষে সাক্ষী। ইরশাদ হয়েছে, ‘আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব। ফলে তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পা সাক্ষ্য দেবে তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে।’ (সুরা ইয়াসিন: ৬৫) অন্য আয়াতে এসেছে, ‘অবশেষে যখন তারা জাহান্নামের কাছে পৌঁছাবে, তখন তাদের কান, তাদের চোখ ও তাদের ত্বক তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে।’ (সুরা হামিম সাজদাহ: ২০)
৪. আল্লাহ তাআলা
আল্লাহ তাআল্লাই সবচেয়ে বড় সাক্ষী; প্রথম ও শেষ সাক্ষী। যদিও এখানে গুরুত্ব বিবেচনায় চতুর্থ তথা শেষ স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি হলেন সর্বদ্রষ্টা, সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। অন্তরের কথাও জানেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে গোপন থাকে না আসমান-জমিনের কোনো কিছুই। তাঁর কাছে দৃশ্য-অদৃশ্য সবই সমান। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চিত জেনে রেখো, আল্লাহর কাছে আসমান-জমিনের কোনো কিছুই গোপন থাকে না।’ (সুরা আল ইমরান: ৫)
লেখক: শিক্ষক
আমাদের প্রতিটি কাজ, প্রতিটি কথার জন্য রয়েছে সর্বজনীন চার সাক্ষী। সব সময়ই আমরা তাদের আওতাভুক্ত। যত গোপনই করি না কেন, এই চার সাক্ষী থেকে আমরা তা কখনো গোপন করতে পারি না।
১. মাটি
আমাদের ইহলৌকিক আশ্রয় এই পৃথিবী। প্রতিটি মুহূর্তেই তার ওপর আমাদের অবস্থান ও চলাফেরা। তাই পৃথিবীর মাটি প্রতিটি মুহূর্তের সাক্ষী দেবে একদিন। ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন জমিন তার যাবতীয় সংবাদ জানিয়ে দেবে।’ (সুরা জিলজাল: ৪) হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল (সা.) সাহাবিদের জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমরা কি জানো, জমিনের সংবাদ কী? সাহাবিগণ বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভালো জানেন। তখন রাসুল (সা.) বললেন, জমিনের সংবাদ হলো, প্রতিটা মানুষ জমিনে যা করে, সে তার সাক্ষ্য দেবে; অমুক বান্দা এই এই কাজ করেছে, অমুক দিনে করেছে। এটাই হলো জমিনের সংবাদ।’ (সুনানে তিরমিজি: ২৪২৯)
২. ফেরেশতা
আমাদের অমলনামা লিপিবদ্ধ করার কাজে নিয়োজিত আছেন দুজন ফেরেশতা। আমরা ভালো-মন্দ যা-ই করি না কেন, সবই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়, আমাদের ভালোমন্দের সাক্ষ্য হিসেবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘অবশ্যই তোমাদের জন্য নিযুক্ত আছে তত্ত্বাবধায়ক (ফেরেশতা)। সম্মানিত লেখকগণ। তোমরা যা করো তারা সব জানে।’ (সুরা ইনফিতর: ১০-১২) অন্য আয়াতে এসেছে, ‘তারা কি মনে করে যে আমি তাদের গোপন কথাবার্তা ও তাদের কানাকানি শুনতে পাই না? অবশ্যই শুনতে পাই। এ ছাড়া আমার ফেরেশতাগণ তাদের কাছেই রয়েছে। যারা (সবকিছু) লিপিবদ্ধ করছে।’ (সুরা যুখরুফ: ৮০)
৩. অঙ্গপ্রত্যঙ্গ
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আমাদের কাছে আল্লাহর দেওয়া আমানত। এই আমানতের যথাযথ হিফাজত না করলে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে। এবং তা-ই হবে কিয়ামতের দিনে আমার পক্ষে বা বিপক্ষে সাক্ষী। ইরশাদ হয়েছে, ‘আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব। ফলে তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পা সাক্ষ্য দেবে তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে।’ (সুরা ইয়াসিন: ৬৫) অন্য আয়াতে এসেছে, ‘অবশেষে যখন তারা জাহান্নামের কাছে পৌঁছাবে, তখন তাদের কান, তাদের চোখ ও তাদের ত্বক তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে।’ (সুরা হামিম সাজদাহ: ২০)
৪. আল্লাহ তাআলা
আল্লাহ তাআল্লাই সবচেয়ে বড় সাক্ষী; প্রথম ও শেষ সাক্ষী। যদিও এখানে গুরুত্ব বিবেচনায় চতুর্থ তথা শেষ স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি হলেন সর্বদ্রষ্টা, সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। অন্তরের কথাও জানেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে গোপন থাকে না আসমান-জমিনের কোনো কিছুই। তাঁর কাছে দৃশ্য-অদৃশ্য সবই সমান। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চিত জেনে রেখো, আল্লাহর কাছে আসমান-জমিনের কোনো কিছুই গোপন থাকে না।’ (সুরা আল ইমরান: ৫)
লেখক: শিক্ষক
ইমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজ। আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সুগভীর সম্পর্ক স্থাপনের অব্যর্থ উপায় এটি। নামাজ জীবন সাজিয়ে তোলে। যাপিত জীবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। কোরআন-হাদিসে নামাজ আদায়কারীর জন্য অনেক পুরস্কারের ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে। সেখান থেকে নির্বাচিত ৬টি পুরস্কারের গল্প শুনুন।
৭ ঘণ্টা আগেজাহাজ নির্মাণ শিল্পে আরব মুসলিমরা পূর্ণ পারদর্শিতা অর্জন করেছিল। জাহাজ নির্মাণ কারখানাকে তারা ‘দারুস সানাআ’ বলত। আরবদের বদৌলতেই আজ বিশ্ববাসী নৌশিল্পে এত উৎকর্ষ সাধন করতে সক্ষম হয়েছে। আধুনিক রণপোত শিল্প আরবরাই পত্তন করেছিল। ইউরোপের অধিবাসীরা স্পেন, সিসিলি এবং আফ্রিকায় আরবদের কাছ থেকে এই বিদ্যা...
১৩ ঘণ্টা আগেবিয়ে দুজন মানুষের সম্পর্কের স্বীকৃতি। ভালোবাসা, আস্থা, দায়িত্ববোধ ও সহনশীলতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে এই সম্পর্ক। বিয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ তার জীবনের সঙ্গীকে খুঁজে পায়, যার সঙ্গে ভাগ করে নেয় সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা।
১৭ ঘণ্টা আগেকবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা এই পঙ্ক্তিগুলো শুধু কাব্যের সৌন্দর্য নয়, এগুলো একটি চেতনার ঘোষণা। কাজী নজরুল ইসলাম এই চার লাইনের মধ্যে তুলে ধরেছেন ইসলামের সর্বজনীনতা, সাম্যের দীক্ষা এবং মানবতাবাদের এক অভিন্ন বার্তা। কিন্তু আমরা যখন এই কবিতার আলোকে বর্তমান বাংলাদেশের দিকে তাকাই, তখন অনেক প্রশ্ন ভিড়...
১ দিন আগে