মুফতি আবু দারদা
ঝড়-তুফানসহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মহান আল্লাহর পরীক্ষা। এ সময় ধৈর্য ধরে নিজেদের সুরক্ষায় পরিকল্পিতভাবে কাজ করা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করাই মুমিনের কাজ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা, জানমাল ও ফলফলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যারা বালা-মুসিবতের সময় বলে—নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী, তাদের ওপরই রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও রহমত; এবং তারাই হেদায়াতপ্রাপ্ত।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫-১৫৭)
হাদিসে এসেছে, ঝড়-তুফান হলে এবং জোরে বাতাস বইলে মহানবী (সা.) একটি দোয়াটি পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা, ওয়া খাইরা মা ফিহা, ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহি। ওয়া আউজু বিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মাফিহা, ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এর, এর মধ্যকার এবং এর সঙ্গে আপনার পাঠানো কল্যাণ চাই। আর আমি আপনার কাছে এর, এর ভেতরে নিহিত এবং যা এর সঙ্গে প্রেরিত হয়েছে, তার অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি: ৩২০৬; মুসলিম: ৮৯৯)
অন্য হাদিসে বজ্রপাতের সময় পড়ার দোয়াও বর্ণিত হয়েছে। ইবনে উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বজ্রপাতের আওয়াজ শুনতেন, তখন এ দোয়া পড়তেন—‘আল্লাহুম্মা সায়্যিবান নাফিআ, আল্লাহুম্মা ছায়্যিবান হানিআ। আল্লাহুম্মা লা তাকতুলনা বি-গদাবিকা, ওয়ালা তুহলিকনা বি-আজাবিকা, ওয়া আ-ফিনা কাবলা যা-লিকা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, উপকারী বৃষ্টি দিন। হে আল্লাহ সহজ বৃষ্টি দিন। আপনি আপনার গজব দিয়ে আমাদের হত্যা করে দেবেন না এবং আপনার আজাব দিয়ে ধ্বংস করে দেবেন না। এসবের আগেই আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন।’ (বুখারি: ৭২১; তিরমিজি: ৩৪৫০)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ঝড়-তুফানসহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মহান আল্লাহর পরীক্ষা। এ সময় ধৈর্য ধরে নিজেদের সুরক্ষায় পরিকল্পিতভাবে কাজ করা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করাই মুমিনের কাজ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা, জানমাল ও ফলফলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যারা বালা-মুসিবতের সময় বলে—নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী, তাদের ওপরই রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও রহমত; এবং তারাই হেদায়াতপ্রাপ্ত।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫-১৫৭)
হাদিসে এসেছে, ঝড়-তুফান হলে এবং জোরে বাতাস বইলে মহানবী (সা.) একটি দোয়াটি পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা, ওয়া খাইরা মা ফিহা, ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহি। ওয়া আউজু বিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মাফিহা, ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এর, এর মধ্যকার এবং এর সঙ্গে আপনার পাঠানো কল্যাণ চাই। আর আমি আপনার কাছে এর, এর ভেতরে নিহিত এবং যা এর সঙ্গে প্রেরিত হয়েছে, তার অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি: ৩২০৬; মুসলিম: ৮৯৯)
অন্য হাদিসে বজ্রপাতের সময় পড়ার দোয়াও বর্ণিত হয়েছে। ইবনে উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বজ্রপাতের আওয়াজ শুনতেন, তখন এ দোয়া পড়তেন—‘আল্লাহুম্মা সায়্যিবান নাফিআ, আল্লাহুম্মা ছায়্যিবান হানিআ। আল্লাহুম্মা লা তাকতুলনা বি-গদাবিকা, ওয়ালা তুহলিকনা বি-আজাবিকা, ওয়া আ-ফিনা কাবলা যা-লিকা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, উপকারী বৃষ্টি দিন। হে আল্লাহ সহজ বৃষ্টি দিন। আপনি আপনার গজব দিয়ে আমাদের হত্যা করে দেবেন না এবং আপনার আজাব দিয়ে ধ্বংস করে দেবেন না। এসবের আগেই আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন।’ (বুখারি: ৭২১; তিরমিজি: ৩৪৫০)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
৩ ঘণ্টা আগেমহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র রিজিকদাতা। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে থাকেন। তাই রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা জরুরি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ৪টি আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়।
৪ ঘণ্টা আগেইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১১ ঘণ্টা আগে