ইসলাম ডেস্ক
পৃথিবীতে আমরা কেউই চাপমুক্ত নই; দুশ্চিন্তা ও হতাশা সবারই থাকে। তবে এটি অস্বাভাবিক মাত্রায় হলে তা মানসিক রোগে রূপ নেয়, যা অনেক শারীরিক রোগেরও কারণ। তাই প্রতিটি মানুষের দুশ্চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। চিন্তামুক্ত থাকার জন্য কোরআন-হাদিসে বেশ কিছু আমলের কথা এসেছে। এখানে ৪টি আমলের কথা আলোচনা করছি।
নফল নামাজ
আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা, তাঁর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার পাশাপাশি নামাজের মাধ্যমে হতাশা দূর করা যায়। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) যখন দুশ্চিন্তায় পড়তেন, নামাজে মগ্ন হতেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাও...।’ (সুরা বাকারা: ১৫৩)
ইসতিগফার
আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করলে হতাশা কেটে যায়। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইসতিগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আল্লাহ তাকে সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২০)
দরুদ শরিফ
মহানবী (সা.)-এর প্রতি অধিক হারে দরুদ পাঠ করলেও হতাশা ও টেনশন থেকে মুক্তি মেলে। দীর্ঘ এক হাদিসে এসেছে, উবাই ইবনে কাব (রা.) দরুদ পড়া প্রসঙ্গে নবীজিকে বললেন, ‘আমি আমার সবটুকু সময়ে আপনার প্রতি দরুদ পড়ব।’ তখন মহানবী (সা.) বলেন, ‘তাহলে তা তোমার চিন্তামুক্তির জন্য যথেষ্ট হবে এবং তোমার গুনাহ মাফ করা হবে।’ (সুনানে তিরমিজি: ২৪৫৭)
দোয়া
দুশ্চিন্তায় পড়লে বা হতাশায় পতিত হলে রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি বিশেষ দোয়া পড়তেন। দোয়াটি হলো ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজজি ওয়াল কাসাল, ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া আউজুবিকা মিন দালায়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষের দমনপীড়ন থেকে।’ (সহিহ বুখারি: ২৮৯৩)
পৃথিবীতে আমরা কেউই চাপমুক্ত নই; দুশ্চিন্তা ও হতাশা সবারই থাকে। তবে এটি অস্বাভাবিক মাত্রায় হলে তা মানসিক রোগে রূপ নেয়, যা অনেক শারীরিক রোগেরও কারণ। তাই প্রতিটি মানুষের দুশ্চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। চিন্তামুক্ত থাকার জন্য কোরআন-হাদিসে বেশ কিছু আমলের কথা এসেছে। এখানে ৪টি আমলের কথা আলোচনা করছি।
নফল নামাজ
আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা, তাঁর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার পাশাপাশি নামাজের মাধ্যমে হতাশা দূর করা যায়। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) যখন দুশ্চিন্তায় পড়তেন, নামাজে মগ্ন হতেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাও...।’ (সুরা বাকারা: ১৫৩)
ইসতিগফার
আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করলে হতাশা কেটে যায়। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইসতিগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আল্লাহ তাকে সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২০)
দরুদ শরিফ
মহানবী (সা.)-এর প্রতি অধিক হারে দরুদ পাঠ করলেও হতাশা ও টেনশন থেকে মুক্তি মেলে। দীর্ঘ এক হাদিসে এসেছে, উবাই ইবনে কাব (রা.) দরুদ পড়া প্রসঙ্গে নবীজিকে বললেন, ‘আমি আমার সবটুকু সময়ে আপনার প্রতি দরুদ পড়ব।’ তখন মহানবী (সা.) বলেন, ‘তাহলে তা তোমার চিন্তামুক্তির জন্য যথেষ্ট হবে এবং তোমার গুনাহ মাফ করা হবে।’ (সুনানে তিরমিজি: ২৪৫৭)
দোয়া
দুশ্চিন্তায় পড়লে বা হতাশায় পতিত হলে রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি বিশেষ দোয়া পড়তেন। দোয়াটি হলো ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজজি ওয়াল কাসাল, ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া আউজুবিকা মিন দালায়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষের দমনপীড়ন থেকে।’ (সহিহ বুখারি: ২৮৯৩)
ঘুম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শরীরের ক্লান্তি আর অবসাদ দূর হয় ঘুমে। ঘুমোলেই ভেসে ওঠে নানা স্বপ্ন। কখনো ভয়ের, কখনো আসার কখনোবা আনন্দের। কোন স্বপ্ন দেখলে করণীয় কী—সে বিষয়ে রয়েছে ইসলামের নির্দেশনা।
৩৫ মিনিট আগেজান্নাত লাভের বহু পথ-পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আছে। এমন চারটি আমল রয়েছে; যা করলে নির্বিঘ্নে জান্নাত যাওয়া যাবে। হজরত আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল—
১ ঘণ্টা আগেসন্তানকে ইবাদতে উৎসাহ দেওয়া মা-বাবার মহান দায়িত্ব। ছোটবেলা থেকেই নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা পরবর্তী জীবনে নীতিমান ও ধার্মিক হয়ে বেড়ে ওঠে। খেলার ছলে নামাজের ভঙ্গি শেখানো, দোয়া মুখস্থ করানো, পরিবারের সঙ্গে ইবাদতে অংশ নিতে বলা—এগুলো তাদের মনে ধর্মীয় চেতনা গড়ে তোলে।
৬ ঘণ্টা আগেকোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে।
১ দিন আগে