আ স ম আল আমিন, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামের পরিভাষায় মাকাসিদ আশ-শারিয়াহ হলো ইসলামি আইনসংশ্লিষ্ট পরিভাষা। সাধারণভাবে মাকাসিদ আশ-শারিয়াহ বলতে বোঝানো হয়, ইসলামি শরিয়তের বিধিবিধানগুলোর অন্তর্নিহিত লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে। যে মহান লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আল্লাহ তাআলা ইসলামের বিধিবিধান প্রবর্তন করেছেন, তা-ই মাকাসিদ আশ-শারিয়াহ।
আদি পিতা হজরত আদম (আ.)-এর সময়কাল থেকেই আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন নবীকে অহির মাধ্যমে জীবনবিধান দিয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই তখন থেকে মাকাসিদ আশ-শারিয়াহরও সূচনা। নবী-রাসুলদের মাধ্যমে ঐশী জীবনবিধান পাঠানোর উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(আমি) সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী রাসুল প্রেরণ করেছি, যাতে রাসুলগণ আসার পর আল্লাহর বিরুদ্ধে মানুষের কোনো অভিযোগ না থাকে। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সুরা নিসা: ১৬৫) অন্য আয়াতে তিনি এরশাদ করেন, ‘আর আমি রাসুল না পাঠানো পর্যন্ত কাউকে শাস্তি দিই না।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ১৫) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমার আগে আমি যে রাসুলই প্রেরণ করেছি, তাকে এ আদেশ পাঠিয়েছি যে আমি ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই। সুতরাং আমারই ইবাদত করো।’ (সুরা আম্বিয়া: ২৫) সুতরাং নবী-রাসুলের মাধ্যমে শরিয়ত তথা জীবনবিধান পাঠানোর উদ্দেশ্যই হলো, মানুষকে এক আল্লাহর দাসত্ব করার নির্দেশ দেওয়া এবং আল্লাহর ইবাদতের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।
ইসলামে মাকাসিদ আশ-শারিয়াহর তিনটি স্তর রয়েছে: এক. অত্যাবশ্যকীয়, দুই. প্রয়োজনীয়, তিন. সৌন্দর্যবর্ধক। আর মাকাসিদ আশ-শারিয়াহ তথা ইসলামি জীবনবিধানের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যগুলো হলো পাঁচটি। এক. জীবনের নিরাপত্তা, দুই. ধর্মবিশ্বাসের সংরক্ষণ, তিন. মানবিক মর্যাদার সুরক্ষা, চার. বিবেক-বুদ্ধির সুরক্ষা এবং পাঁচ. ধনসম্পদের নিরাপত্তা।
ইসলামি জীবনবিধান হলো মানুষের কল্যাণের জন্য নিবেদিত। শুধু পার্থিব কল্যাণ নয়, পরকালীন সাফল্যের দিকেও ধাবিত করে তা। তাই সব মুসলমানের উচিত, ইসলামের বিধিবিধান যথাযথভাবে মেনে চলা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
ইসলামের পরিভাষায় মাকাসিদ আশ-শারিয়াহ হলো ইসলামি আইনসংশ্লিষ্ট পরিভাষা। সাধারণভাবে মাকাসিদ আশ-শারিয়াহ বলতে বোঝানো হয়, ইসলামি শরিয়তের বিধিবিধানগুলোর অন্তর্নিহিত লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে। যে মহান লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আল্লাহ তাআলা ইসলামের বিধিবিধান প্রবর্তন করেছেন, তা-ই মাকাসিদ আশ-শারিয়াহ।
আদি পিতা হজরত আদম (আ.)-এর সময়কাল থেকেই আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন নবীকে অহির মাধ্যমে জীবনবিধান দিয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই তখন থেকে মাকাসিদ আশ-শারিয়াহরও সূচনা। নবী-রাসুলদের মাধ্যমে ঐশী জীবনবিধান পাঠানোর উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(আমি) সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী রাসুল প্রেরণ করেছি, যাতে রাসুলগণ আসার পর আল্লাহর বিরুদ্ধে মানুষের কোনো অভিযোগ না থাকে। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সুরা নিসা: ১৬৫) অন্য আয়াতে তিনি এরশাদ করেন, ‘আর আমি রাসুল না পাঠানো পর্যন্ত কাউকে শাস্তি দিই না।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ১৫) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমার আগে আমি যে রাসুলই প্রেরণ করেছি, তাকে এ আদেশ পাঠিয়েছি যে আমি ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই। সুতরাং আমারই ইবাদত করো।’ (সুরা আম্বিয়া: ২৫) সুতরাং নবী-রাসুলের মাধ্যমে শরিয়ত তথা জীবনবিধান পাঠানোর উদ্দেশ্যই হলো, মানুষকে এক আল্লাহর দাসত্ব করার নির্দেশ দেওয়া এবং আল্লাহর ইবাদতের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।
ইসলামে মাকাসিদ আশ-শারিয়াহর তিনটি স্তর রয়েছে: এক. অত্যাবশ্যকীয়, দুই. প্রয়োজনীয়, তিন. সৌন্দর্যবর্ধক। আর মাকাসিদ আশ-শারিয়াহ তথা ইসলামি জীবনবিধানের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যগুলো হলো পাঁচটি। এক. জীবনের নিরাপত্তা, দুই. ধর্মবিশ্বাসের সংরক্ষণ, তিন. মানবিক মর্যাদার সুরক্ষা, চার. বিবেক-বুদ্ধির সুরক্ষা এবং পাঁচ. ধনসম্পদের নিরাপত্তা।
ইসলামি জীবনবিধান হলো মানুষের কল্যাণের জন্য নিবেদিত। শুধু পার্থিব কল্যাণ নয়, পরকালীন সাফল্যের দিকেও ধাবিত করে তা। তাই সব মুসলমানের উচিত, ইসলামের বিধিবিধান যথাযথভাবে মেনে চলা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
জাহাজ নির্মাণ শিল্পে আরব মুসলিমরা পূর্ণ পারদর্শিতা অর্জন করেছিল। জাহাজ নির্মাণ কারখানাকে তারা ‘দারুস সানাআ’ বলত। আরবদের বদৌলতেই আজ বিশ্ববাসী নৌশিল্পে এত উৎকর্ষ সাধন করতে সক্ষম হয়েছে। আধুনিক রণপোত শিল্প আরবরাই পত্তন করেছিল। ইউরোপের অধিবাসীরা স্পেন, সিসিলি এবং আফ্রিকায় আরবদের কাছ থেকে এই বিদ্যা...
৫ ঘণ্টা আগেবিয়ে দুজন মানুষের সম্পর্কের স্বীকৃতি। ভালোবাসা, আস্থা, দায়িত্ববোধ ও সহনশীলতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে এই সম্পর্ক। বিয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ তার জীবনের সঙ্গীকে খুঁজে পায়, যার সঙ্গে ভাগ করে নেয় সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা।
৮ ঘণ্টা আগেকবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা এই পঙ্ক্তিগুলো শুধু কাব্যের সৌন্দর্য নয়, এগুলো একটি চেতনার ঘোষণা। কাজী নজরুল ইসলাম এই চার লাইনের মধ্যে তুলে ধরেছেন ইসলামের সর্বজনীনতা, সাম্যের দীক্ষা এবং মানবতাবাদের এক অভিন্ন বার্তা। কিন্তু আমরা যখন এই কবিতার আলোকে বর্তমান বাংলাদেশের দিকে তাকাই, তখন অনেক প্রশ্ন ভিড়...
২০ ঘণ্টা আগেমানুষ হিসেবে আমাদের একটি স্বভাবজাত চাহিদা হলো, আমরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে খুব পছন্দ করি। প্রশংসা মিথ্যা হলেও বলতে বারণ করি না, শুনতেই থাকি। বরং আরও বেশি কামনা করি। এর বিপরীতে নিন্দা বা সমালোচনা একদমই সহ্য করতে পারি না। চরম বাস্তব ও সত্য হলেও সমালোচককে থামিয়ে দিই। ক্ষমতা থাকলে নিন্দুককে দমিয়ে দিই...
১ দিন আগে