ইসলাম ডেস্ক

হজরত নুহ (আ.) ছিলেন মানবজাতির আদিপিতা হজরত আদম (আ.)–এর অষ্টম প্রজন্মের নবী ও রাসুল। হাদিসের ভাষ্য মতে, তিনিই পৃথিবীর প্রথম রাসুল তথা শরিয়তপ্রাপ্ত বার্তাবাহক। নুহ (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা দীর্ঘ জীবন দান করেছিলেন। প্রায় ১ হাজার বছর তিনি জাতিকে আল্লাহর পথে ডাকেন। তবে খুব অল্প মানুষই তাঁর আনীত শরিয়তে বিশ্বাস স্থাপন করে। অবশেষে আল্লাহ তাআলা সেই অবাধ্য জাতিকে এক প্রলয়ঙ্কর মহাপ্লাবনে ধ্বংস করে দেন। কেবল মুক্তি পায় মুষ্টিমেয় বিশ্বাসী মানুষেরা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা নুহ (আ.)-এর দাওয়াত প্রসঙ্গে এরশাদ করেন, ‘আমরা নুহকে তার কওমের কাছে পাঠালাম তাদের ওপরে মর্মান্তিক আজাব নাজিল হওয়ার আগেই তাদেরকে সতর্ক করার জন্য। নুহ তাদের বলল, হে আমার জাতি, আমি তোমাদের জন্য স্পষ্ট সতর্ককারী। তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, তাঁকে ভয় করো এবং আমার আনুগত্য করো। তাতে আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দেবেন। তবে এটা নিশ্চিত যে, আল্লাহর নির্ধারিত সময় যখন এসে যাবে, তখন তা এতটুকুও পিছানো হবে না। যদি তোমরা তা জানতে।’ (সুরা নুহ: ১-৪)
হজরত নুহ (আ.) তাদের বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। শিরক থেকে ফিরে এসে এক আল্লাহর ইবাদতের দাওয়াত দেন। তবে অল্প কিছু লোক ছাড়া কেউই তাঁর কথায় ইমান আনেনি। বরং বিভিন্নভাবে নুহ (আ.)-এর দাওয়াতি কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করে গেছে। তার অবাধ্য কওম ইমান আনতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ৫টি আপত্তি জানায়। এর প্রতিটি আপত্তির জবাব নুহ (আ.) তাদের দিয়েছেন। তারপরও তারা তাঁর প্রতি ইমাম আনেনি। বরং তাঁকে ব্যঙ্গ করতেও ছাড়েনি।
কওমের ৫ আপত্তি ও জবাব
প্রথম আপত্তি ও জবাব: এরশাদ হয়েছে, তাঁর কওমের অবিশ্বাসীরা বলল, ‘এ লোক তো তোমাদের মতই মানুষ। আসলে সে তোমাদের ওপরে নেতৃত্ব করতে চায়। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তো একজন ফেরেশতা পাঠাতে পারতেন। এ ছাড়া এ লোক যেসব কথা বলছে, তাতো আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের কাছে কখনো শুনিনি। আসলে লোকটার মধ্যে পাগলামী রয়েছে কিংবা তার সাথে কোনো জিন রয়েছে। অতএব তোমরা এ ব্যক্তির দিকে ভ্রুক্ষেপ করো না। বরং কিছুদিন অপেক্ষা করো।’ (সুরা মুমিনুন: ২৪-২৫)
এ কথার জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘তোমরা কি এ বিষয়ে অবাক হচ্ছ যে, তোমাদের পালনকর্তার পয়গাম তোমাদের মধ্য থেকেই একজনের মাধ্যমে তোমাদের কাছে এসেছে, যাতে সে তোমাদের ভীতি প্রদর্শন করে ও তার ফলে তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও।’ (সুরা আরাফ: ৬৩)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যদি আমরা কোনো ফেরেশতাকে রাসুল করে পাঠাতাম, তবে সে মানুষের আকারেই হতো। কিন্তু এতেও তারা ওই সন্দেহই প্রকাশ করত, যা এখন করছে।’ (সুরা আনআম: ৯)
দ্বিতীয় আপত্তি ও জবাব: তারা বলেছিল, আপনার অনুসারীরা সমাজের গরিব ও নিচু জাতের। সুতরায় আপনি তাদের সঙ্গ পরিত্যাগ করুন। এর জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘আমি কোনো (গরিব) ইমানদার ব্যক্তিকে তাড়িয়ে দিতে পারি না। তারা অবশ্যই তাদের পালনকর্তার দিদার লাভে ধন্য হবে। বরং আমি তোমাদেরই মূর্খ দেখছি। হে আমার কওম, আমি যদি ওসব লোকদের তাড়িয়ে দেই, তাহলে কে আমাকে আল্লাহর পাকড়াও থেকে রক্ষা করবে? তোমরা কি উপদেশ গ্রহণ করবে না?’ (সুরা হুদ: ২৯-৩০)
তৃতীয় আপত্তি ও জবাব: তারা বলেছিল, আপনি জাতির নেতৃত্বস্থানীয় কেউ নন, সুতরাং কেন আমরা আপনার কথা মান্য করব? জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘তোমাদের দৃষ্টিতে যারা দীনহীন-অবাঞ্ছিত, তাদের আল্লাহ কোনো কল্যাণ দান করবেন না—এট আমি বলব না। তাদের মনের কথা আল্লাহ ভালো করেই জানেন। সুতরাং এমন কথা বললে আমি অন্যায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।’ (সুরা হুদ: ৩১)
চতুর্থ আপত্তি ও জবাব: তারা বলেছিল, আপনার দাওয়াত আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রথাবিরোধী। সুতরাং আমরা তা মানব না। জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘হে আমার কওম, আমার মধ্যে কোনো পথভ্রষ্টতা নেই। বরং আমি বিশ্বপালকের পক্ষ থেকে প্রেরিত রাসুল। আমি তোমাদের কাছে আমার প্রভুর বার্তা পৌঁছে দেই এবং সদুপদেশ দিয়ে থাকি। কেননা আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন বিষয় জানি, যা তোমরা জানো না।’ (সুরা আরাফ: ৬১-৬২)
পঞ্চম আপত্তি ও জবাব: তারা বলেছিল, মূলত আপনি ক্ষমতা চাচ্ছেন। জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘এ দাওয়াতের বিনিময়ে আমি তোমাদের কাছে কোনো ধনদৌলত বা কোনো বিনিময় কামনা করি না। আমার পুরস্কার তো কেবল বিশ্বপালকের কাছেই রয়েছে।’ (সুরা শুআরা: ১০৯)
চূড়ান্ত অবাধ্যতা ও নুহ (আ.)-এর বদদোয়া
নুহ (আ.) সাড়ে নয়শ বছরের দীর্ঘ জীবন লাভ করেন। সুতরাং প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে তিনি দাওয়াত পৌঁছান। তবে কওমের লোকজন তাঁকে সবসময় নিবৃত করার চেষ্টা করে গেছে। তারা বলেছে, ‘হে নুহ, যদি আপনি বিরত না হন, তবে পাথর মেরে আপনার মস্তক চূর্ণ করে দেওয়া হবে।’ (সুরা শুআরা: ১১৬) তবে নুহ (আ.) হতাশ হননি। বরং কওমের নির্বুদ্ধিতার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে গেছেন।
তবে দীর্ঘ নয়শ বছর দাওয়াত দেওয়ার পর আল্লাহ তাআলা জানিয়ে দিলেন, ‘তোমার কওমের যারা ইতিমধ্যে ইমান এনেছে, তারা ছাড়া আর কেউ ইমান আনবে না। অতএব তুমি ওদের কার্যকলাপে বিমর্ষ হইও না।’ (সুরা হুদ: ৩৬) তখন নুহ (আ.) ও আল্লাহর কাছে চূড়ান্ত ফায়সালার জন্য দোয়া করেন এবং বলেন, ‘অতএব আপনি আমার ও তাদের মাঝে চূড়ান্ত ফায়সালা করে দিন এবং আমাকে ও আমার সঙ্গী মুমিনদের (ওদের হাত থেকে) মুক্ত করো।’ (সুরা শুআরা: ১১৮)
নৌকা তৈরি ও মহাপ্লাবন
এ বিষয়ে সুরা হুদের ৩৭ থেকে ৪৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। নুহ (আ.)-কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি আমার সম্মুখে আমারই নির্দেশনা মোতাবেক একটা নৌকা তৈরি করো এবং (স্বজাতির প্রতি দয়া পরবশ হয়ে) জালেমদের ব্যাপারে আমাকে কোনো কথা বলো না। অবশ্যই ওরা ডুবে মরবে।’
এরপর নুহ নৌকা তৈরি শুরু করলেন। তাঁর কওমের নেতারা যখন পাশ দিয়ে যেত, তখন তারা তাঁকে বিদ্রুপ করত। নুহ তাদের বললেন, ‘তোমরা যদি আমাদের উপহাস করে থাক, তবে জেনে রেখো তোমরা যেমন আমাদের উপহাস করছ, আমরাও তেমনি তোমাদের উপহাস করছি। অচিরেই তোমরা জানতে পারবে লাঞ্ছনাকর আজাব কাদের ওপরে আসে এবং কাদের ওপরে নেমে আসে চিরস্থায়ী গজব।’
পরের ঘটনা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অবশেষে যখন আমার হুকুম এসে গেল এবং চুলা উদ্বেলিত হয়ে উঠল, (অর্থাৎ রান্নার চুলা থেকে পানি উথলে উঠল), তখন আমি বললাম, সব ধরনের জোড়া প্রাণীর দুটি করে এবং যাদের ওপরে আগেই হুকুম নির্ধারিত হয়ে গেছে তাদের বাদ দিয়ে তোমার পরিবারবর্গ ও সব ইমানদারদের নৌকায় তুলে নাও।’
নুহ (আ.)-এর প্রতি ইমান আনা লোকজনকে নৌকায় আরোহন করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বললেন, ‘তোমরা এতে আরোহণ করো। আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি। নিশ্চয়ই আমার প্রভু অতীব ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’
এরপর নৌকাটি তাদের বহন করে নিয়ে চলল পর্বতপ্রমাণ তরঙ্গমালার মাঝ দিয়ে। অনেক দিন পর্যন্ত সেই মহাবন্যা স্থায়ী হলো। এক টানা অনেক দিন বৃষ্টি হলো। নুহ (আ.)-এর একজন পুত্র অবাধ্য ছিল, সেও বন্যার পানিতে ডুবে মরল। পৃথিবীর বুকে সেই নৌকায় আশ্রয় নেওয়া কয়েকজন মানুষ ছাড়া কেউই আর বেঁচে রইল না। অবশেষে আল্লাহর নির্দেশ এলো, ‘হে পৃথিবী, তোমার পানি গিলে ফেল (অর্থাৎ হে প্লাবনের পানি, নেমে যাও)। হে আকাশ, ক্ষান্ত হও (অর্থাৎ তোমার বিরামহীন বৃষ্টি বন্ধ করো)।’
অবশেষে পানি কমল এবং আজাবের সময় শেষ হলো। নৌকা ভিড়ল জুদি পাহাড়ে। আদেশ এলো, ‘হে নুহ, এখন (নৌকা থেকে) অবতরণ করো আমাদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি সহকারে তোমার ওপর এবং তোমার সঙ্গী দলগুলোর ওপর...।’
অন্য সুরায় এ আজাবের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এভাবে—‘তখন আমি খুলে দিলাম আকাশের দুয়ারসমূহ প্রবল বৃষ্টির মাধ্যমে। ভূমি থেকে প্রবাহিত করলাম নদীসমূহকে। এরপর উভয় পানি মিলিত হলো একটি পূর্ব নির্ধারিত কাজে (অর্থাৎ ডুবিয়ে মারার কাজে)। আমি নুহকে আরোহন করালাম এক কাষ্ঠ ও পেরেক নির্মিত জলযানে। যা চলত আমার দৃষ্টির সম্মুখে। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রতিশোধ ছিল, যাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। ‘আমরা একে নিদর্শন হিসাবে রেখে দিয়েছি। অতএব কোনো চিন্তাশীল আছে কি?’ (সুরা কামার: ১১-১৫)

হজরত নুহ (আ.) ছিলেন মানবজাতির আদিপিতা হজরত আদম (আ.)–এর অষ্টম প্রজন্মের নবী ও রাসুল। হাদিসের ভাষ্য মতে, তিনিই পৃথিবীর প্রথম রাসুল তথা শরিয়তপ্রাপ্ত বার্তাবাহক। নুহ (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা দীর্ঘ জীবন দান করেছিলেন। প্রায় ১ হাজার বছর তিনি জাতিকে আল্লাহর পথে ডাকেন। তবে খুব অল্প মানুষই তাঁর আনীত শরিয়তে বিশ্বাস স্থাপন করে। অবশেষে আল্লাহ তাআলা সেই অবাধ্য জাতিকে এক প্রলয়ঙ্কর মহাপ্লাবনে ধ্বংস করে দেন। কেবল মুক্তি পায় মুষ্টিমেয় বিশ্বাসী মানুষেরা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা নুহ (আ.)-এর দাওয়াত প্রসঙ্গে এরশাদ করেন, ‘আমরা নুহকে তার কওমের কাছে পাঠালাম তাদের ওপরে মর্মান্তিক আজাব নাজিল হওয়ার আগেই তাদেরকে সতর্ক করার জন্য। নুহ তাদের বলল, হে আমার জাতি, আমি তোমাদের জন্য স্পষ্ট সতর্ককারী। তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, তাঁকে ভয় করো এবং আমার আনুগত্য করো। তাতে আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দেবেন। তবে এটা নিশ্চিত যে, আল্লাহর নির্ধারিত সময় যখন এসে যাবে, তখন তা এতটুকুও পিছানো হবে না। যদি তোমরা তা জানতে।’ (সুরা নুহ: ১-৪)
হজরত নুহ (আ.) তাদের বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। শিরক থেকে ফিরে এসে এক আল্লাহর ইবাদতের দাওয়াত দেন। তবে অল্প কিছু লোক ছাড়া কেউই তাঁর কথায় ইমান আনেনি। বরং বিভিন্নভাবে নুহ (আ.)-এর দাওয়াতি কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করে গেছে। তার অবাধ্য কওম ইমান আনতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ৫টি আপত্তি জানায়। এর প্রতিটি আপত্তির জবাব নুহ (আ.) তাদের দিয়েছেন। তারপরও তারা তাঁর প্রতি ইমাম আনেনি। বরং তাঁকে ব্যঙ্গ করতেও ছাড়েনি।
কওমের ৫ আপত্তি ও জবাব
প্রথম আপত্তি ও জবাব: এরশাদ হয়েছে, তাঁর কওমের অবিশ্বাসীরা বলল, ‘এ লোক তো তোমাদের মতই মানুষ। আসলে সে তোমাদের ওপরে নেতৃত্ব করতে চায়। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তো একজন ফেরেশতা পাঠাতে পারতেন। এ ছাড়া এ লোক যেসব কথা বলছে, তাতো আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের কাছে কখনো শুনিনি। আসলে লোকটার মধ্যে পাগলামী রয়েছে কিংবা তার সাথে কোনো জিন রয়েছে। অতএব তোমরা এ ব্যক্তির দিকে ভ্রুক্ষেপ করো না। বরং কিছুদিন অপেক্ষা করো।’ (সুরা মুমিনুন: ২৪-২৫)
এ কথার জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘তোমরা কি এ বিষয়ে অবাক হচ্ছ যে, তোমাদের পালনকর্তার পয়গাম তোমাদের মধ্য থেকেই একজনের মাধ্যমে তোমাদের কাছে এসেছে, যাতে সে তোমাদের ভীতি প্রদর্শন করে ও তার ফলে তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও।’ (সুরা আরাফ: ৬৩)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যদি আমরা কোনো ফেরেশতাকে রাসুল করে পাঠাতাম, তবে সে মানুষের আকারেই হতো। কিন্তু এতেও তারা ওই সন্দেহই প্রকাশ করত, যা এখন করছে।’ (সুরা আনআম: ৯)
দ্বিতীয় আপত্তি ও জবাব: তারা বলেছিল, আপনার অনুসারীরা সমাজের গরিব ও নিচু জাতের। সুতরায় আপনি তাদের সঙ্গ পরিত্যাগ করুন। এর জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘আমি কোনো (গরিব) ইমানদার ব্যক্তিকে তাড়িয়ে দিতে পারি না। তারা অবশ্যই তাদের পালনকর্তার দিদার লাভে ধন্য হবে। বরং আমি তোমাদেরই মূর্খ দেখছি। হে আমার কওম, আমি যদি ওসব লোকদের তাড়িয়ে দেই, তাহলে কে আমাকে আল্লাহর পাকড়াও থেকে রক্ষা করবে? তোমরা কি উপদেশ গ্রহণ করবে না?’ (সুরা হুদ: ২৯-৩০)
তৃতীয় আপত্তি ও জবাব: তারা বলেছিল, আপনি জাতির নেতৃত্বস্থানীয় কেউ নন, সুতরাং কেন আমরা আপনার কথা মান্য করব? জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘তোমাদের দৃষ্টিতে যারা দীনহীন-অবাঞ্ছিত, তাদের আল্লাহ কোনো কল্যাণ দান করবেন না—এট আমি বলব না। তাদের মনের কথা আল্লাহ ভালো করেই জানেন। সুতরাং এমন কথা বললে আমি অন্যায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।’ (সুরা হুদ: ৩১)
চতুর্থ আপত্তি ও জবাব: তারা বলেছিল, আপনার দাওয়াত আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রথাবিরোধী। সুতরাং আমরা তা মানব না। জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘হে আমার কওম, আমার মধ্যে কোনো পথভ্রষ্টতা নেই। বরং আমি বিশ্বপালকের পক্ষ থেকে প্রেরিত রাসুল। আমি তোমাদের কাছে আমার প্রভুর বার্তা পৌঁছে দেই এবং সদুপদেশ দিয়ে থাকি। কেননা আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন বিষয় জানি, যা তোমরা জানো না।’ (সুরা আরাফ: ৬১-৬২)
পঞ্চম আপত্তি ও জবাব: তারা বলেছিল, মূলত আপনি ক্ষমতা চাচ্ছেন। জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘এ দাওয়াতের বিনিময়ে আমি তোমাদের কাছে কোনো ধনদৌলত বা কোনো বিনিময় কামনা করি না। আমার পুরস্কার তো কেবল বিশ্বপালকের কাছেই রয়েছে।’ (সুরা শুআরা: ১০৯)
চূড়ান্ত অবাধ্যতা ও নুহ (আ.)-এর বদদোয়া
নুহ (আ.) সাড়ে নয়শ বছরের দীর্ঘ জীবন লাভ করেন। সুতরাং প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে তিনি দাওয়াত পৌঁছান। তবে কওমের লোকজন তাঁকে সবসময় নিবৃত করার চেষ্টা করে গেছে। তারা বলেছে, ‘হে নুহ, যদি আপনি বিরত না হন, তবে পাথর মেরে আপনার মস্তক চূর্ণ করে দেওয়া হবে।’ (সুরা শুআরা: ১১৬) তবে নুহ (আ.) হতাশ হননি। বরং কওমের নির্বুদ্ধিতার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে গেছেন।
তবে দীর্ঘ নয়শ বছর দাওয়াত দেওয়ার পর আল্লাহ তাআলা জানিয়ে দিলেন, ‘তোমার কওমের যারা ইতিমধ্যে ইমান এনেছে, তারা ছাড়া আর কেউ ইমান আনবে না। অতএব তুমি ওদের কার্যকলাপে বিমর্ষ হইও না।’ (সুরা হুদ: ৩৬) তখন নুহ (আ.) ও আল্লাহর কাছে চূড়ান্ত ফায়সালার জন্য দোয়া করেন এবং বলেন, ‘অতএব আপনি আমার ও তাদের মাঝে চূড়ান্ত ফায়সালা করে দিন এবং আমাকে ও আমার সঙ্গী মুমিনদের (ওদের হাত থেকে) মুক্ত করো।’ (সুরা শুআরা: ১১৮)
নৌকা তৈরি ও মহাপ্লাবন
এ বিষয়ে সুরা হুদের ৩৭ থেকে ৪৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। নুহ (আ.)-কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি আমার সম্মুখে আমারই নির্দেশনা মোতাবেক একটা নৌকা তৈরি করো এবং (স্বজাতির প্রতি দয়া পরবশ হয়ে) জালেমদের ব্যাপারে আমাকে কোনো কথা বলো না। অবশ্যই ওরা ডুবে মরবে।’
এরপর নুহ নৌকা তৈরি শুরু করলেন। তাঁর কওমের নেতারা যখন পাশ দিয়ে যেত, তখন তারা তাঁকে বিদ্রুপ করত। নুহ তাদের বললেন, ‘তোমরা যদি আমাদের উপহাস করে থাক, তবে জেনে রেখো তোমরা যেমন আমাদের উপহাস করছ, আমরাও তেমনি তোমাদের উপহাস করছি। অচিরেই তোমরা জানতে পারবে লাঞ্ছনাকর আজাব কাদের ওপরে আসে এবং কাদের ওপরে নেমে আসে চিরস্থায়ী গজব।’
পরের ঘটনা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অবশেষে যখন আমার হুকুম এসে গেল এবং চুলা উদ্বেলিত হয়ে উঠল, (অর্থাৎ রান্নার চুলা থেকে পানি উথলে উঠল), তখন আমি বললাম, সব ধরনের জোড়া প্রাণীর দুটি করে এবং যাদের ওপরে আগেই হুকুম নির্ধারিত হয়ে গেছে তাদের বাদ দিয়ে তোমার পরিবারবর্গ ও সব ইমানদারদের নৌকায় তুলে নাও।’
নুহ (আ.)-এর প্রতি ইমান আনা লোকজনকে নৌকায় আরোহন করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বললেন, ‘তোমরা এতে আরোহণ করো। আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি। নিশ্চয়ই আমার প্রভু অতীব ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’
এরপর নৌকাটি তাদের বহন করে নিয়ে চলল পর্বতপ্রমাণ তরঙ্গমালার মাঝ দিয়ে। অনেক দিন পর্যন্ত সেই মহাবন্যা স্থায়ী হলো। এক টানা অনেক দিন বৃষ্টি হলো। নুহ (আ.)-এর একজন পুত্র অবাধ্য ছিল, সেও বন্যার পানিতে ডুবে মরল। পৃথিবীর বুকে সেই নৌকায় আশ্রয় নেওয়া কয়েকজন মানুষ ছাড়া কেউই আর বেঁচে রইল না। অবশেষে আল্লাহর নির্দেশ এলো, ‘হে পৃথিবী, তোমার পানি গিলে ফেল (অর্থাৎ হে প্লাবনের পানি, নেমে যাও)। হে আকাশ, ক্ষান্ত হও (অর্থাৎ তোমার বিরামহীন বৃষ্টি বন্ধ করো)।’
অবশেষে পানি কমল এবং আজাবের সময় শেষ হলো। নৌকা ভিড়ল জুদি পাহাড়ে। আদেশ এলো, ‘হে নুহ, এখন (নৌকা থেকে) অবতরণ করো আমাদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি সহকারে তোমার ওপর এবং তোমার সঙ্গী দলগুলোর ওপর...।’
অন্য সুরায় এ আজাবের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এভাবে—‘তখন আমি খুলে দিলাম আকাশের দুয়ারসমূহ প্রবল বৃষ্টির মাধ্যমে। ভূমি থেকে প্রবাহিত করলাম নদীসমূহকে। এরপর উভয় পানি মিলিত হলো একটি পূর্ব নির্ধারিত কাজে (অর্থাৎ ডুবিয়ে মারার কাজে)। আমি নুহকে আরোহন করালাম এক কাষ্ঠ ও পেরেক নির্মিত জলযানে। যা চলত আমার দৃষ্টির সম্মুখে। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রতিশোধ ছিল, যাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। ‘আমরা একে নিদর্শন হিসাবে রেখে দিয়েছি। অতএব কোনো চিন্তাশীল আছে কি?’ (সুরা কামার: ১১-১৫)
ইসলাম ডেস্ক

হজরত নুহ (আ.) ছিলেন মানবজাতির আদিপিতা হজরত আদম (আ.)–এর অষ্টম প্রজন্মের নবী ও রাসুল। হাদিসের ভাষ্য মতে, তিনিই পৃথিবীর প্রথম রাসুল তথা শরিয়তপ্রাপ্ত বার্তাবাহক। নুহ (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা দীর্ঘ জীবন দান করেছিলেন। প্রায় ১ হাজার বছর তিনি জাতিকে আল্লাহর পথে ডাকেন। তবে খুব অল্প মানুষই তাঁর আনীত শরিয়তে বিশ্বাস স্থাপন করে। অবশেষে আল্লাহ তাআলা সেই অবাধ্য জাতিকে এক প্রলয়ঙ্কর মহাপ্লাবনে ধ্বংস করে দেন। কেবল মুক্তি পায় মুষ্টিমেয় বিশ্বাসী মানুষেরা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা নুহ (আ.)-এর দাওয়াত প্রসঙ্গে এরশাদ করেন, ‘আমরা নুহকে তার কওমের কাছে পাঠালাম তাদের ওপরে মর্মান্তিক আজাব নাজিল হওয়ার আগেই তাদেরকে সতর্ক করার জন্য। নুহ তাদের বলল, হে আমার জাতি, আমি তোমাদের জন্য স্পষ্ট সতর্ককারী। তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, তাঁকে ভয় করো এবং আমার আনুগত্য করো। তাতে আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দেবেন। তবে এটা নিশ্চিত যে, আল্লাহর নির্ধারিত সময় যখন এসে যাবে, তখন তা এতটুকুও পিছানো হবে না। যদি তোমরা তা জানতে।’ (সুরা নুহ: ১-৪)
হজরত নুহ (আ.) তাদের বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। শিরক থেকে ফিরে এসে এক আল্লাহর ইবাদতের দাওয়াত দেন। তবে অল্প কিছু লোক ছাড়া কেউই তাঁর কথায় ইমান আনেনি। বরং বিভিন্নভাবে নুহ (আ.)-এর দাওয়াতি কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করে গেছে। তার অবাধ্য কওম ইমান আনতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ৫টি আপত্তি জানায়। এর প্রতিটি আপত্তির জবাব নুহ (আ.) তাদের দিয়েছেন। তারপরও তারা তাঁর প্রতি ইমাম আনেনি। বরং তাঁকে ব্যঙ্গ করতেও ছাড়েনি।
কওমের ৫ আপত্তি ও জবাব
প্রথম আপত্তি ও জবাব: এরশাদ হয়েছে, তাঁর কওমের অবিশ্বাসীরা বলল, ‘এ লোক তো তোমাদের মতই মানুষ। আসলে সে তোমাদের ওপরে নেতৃত্ব করতে চায়। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তো একজন ফেরেশতা পাঠাতে পারতেন। এ ছাড়া এ লোক যেসব কথা বলছে, তাতো আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের কাছে কখনো শুনিনি। আসলে লোকটার মধ্যে পাগলামী রয়েছে কিংবা তার সাথে কোনো জিন রয়েছে। অতএব তোমরা এ ব্যক্তির দিকে ভ্রুক্ষেপ করো না। বরং কিছুদিন অপেক্ষা করো।’ (সুরা মুমিনুন: ২৪-২৫)
এ কথার জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘তোমরা কি এ বিষয়ে অবাক হচ্ছ যে, তোমাদের পালনকর্তার পয়গাম তোমাদের মধ্য থেকেই একজনের মাধ্যমে তোমাদের কাছে এসেছে, যাতে সে তোমাদের ভীতি প্রদর্শন করে ও তার ফলে তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও।’ (সুরা আরাফ: ৬৩)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যদি আমরা কোনো ফেরেশতাকে রাসুল করে পাঠাতাম, তবে সে মানুষের আকারেই হতো। কিন্তু এতেও তারা ওই সন্দেহই প্রকাশ করত, যা এখন করছে।’ (সুরা আনআম: ৯)
দ্বিতীয় আপত্তি ও জবাব: তারা বলেছিল, আপনার অনুসারীরা সমাজের গরিব ও নিচু জাতের। সুতরায় আপনি তাদের সঙ্গ পরিত্যাগ করুন। এর জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘আমি কোনো (গরিব) ইমানদার ব্যক্তিকে তাড়িয়ে দিতে পারি না। তারা অবশ্যই তাদের পালনকর্তার দিদার লাভে ধন্য হবে। বরং আমি তোমাদেরই মূর্খ দেখছি। হে আমার কওম, আমি যদি ওসব লোকদের তাড়িয়ে দেই, তাহলে কে আমাকে আল্লাহর পাকড়াও থেকে রক্ষা করবে? তোমরা কি উপদেশ গ্রহণ করবে না?’ (সুরা হুদ: ২৯-৩০)
তৃতীয় আপত্তি ও জবাব: তারা বলেছিল, আপনি জাতির নেতৃত্বস্থানীয় কেউ নন, সুতরাং কেন আমরা আপনার কথা মান্য করব? জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘তোমাদের দৃষ্টিতে যারা দীনহীন-অবাঞ্ছিত, তাদের আল্লাহ কোনো কল্যাণ দান করবেন না—এট আমি বলব না। তাদের মনের কথা আল্লাহ ভালো করেই জানেন। সুতরাং এমন কথা বললে আমি অন্যায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।’ (সুরা হুদ: ৩১)
চতুর্থ আপত্তি ও জবাব: তারা বলেছিল, আপনার দাওয়াত আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রথাবিরোধী। সুতরাং আমরা তা মানব না। জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘হে আমার কওম, আমার মধ্যে কোনো পথভ্রষ্টতা নেই। বরং আমি বিশ্বপালকের পক্ষ থেকে প্রেরিত রাসুল। আমি তোমাদের কাছে আমার প্রভুর বার্তা পৌঁছে দেই এবং সদুপদেশ দিয়ে থাকি। কেননা আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন বিষয় জানি, যা তোমরা জানো না।’ (সুরা আরাফ: ৬১-৬২)
পঞ্চম আপত্তি ও জবাব: তারা বলেছিল, মূলত আপনি ক্ষমতা চাচ্ছেন। জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘এ দাওয়াতের বিনিময়ে আমি তোমাদের কাছে কোনো ধনদৌলত বা কোনো বিনিময় কামনা করি না। আমার পুরস্কার তো কেবল বিশ্বপালকের কাছেই রয়েছে।’ (সুরা শুআরা: ১০৯)
চূড়ান্ত অবাধ্যতা ও নুহ (আ.)-এর বদদোয়া
নুহ (আ.) সাড়ে নয়শ বছরের দীর্ঘ জীবন লাভ করেন। সুতরাং প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে তিনি দাওয়াত পৌঁছান। তবে কওমের লোকজন তাঁকে সবসময় নিবৃত করার চেষ্টা করে গেছে। তারা বলেছে, ‘হে নুহ, যদি আপনি বিরত না হন, তবে পাথর মেরে আপনার মস্তক চূর্ণ করে দেওয়া হবে।’ (সুরা শুআরা: ১১৬) তবে নুহ (আ.) হতাশ হননি। বরং কওমের নির্বুদ্ধিতার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে গেছেন।
তবে দীর্ঘ নয়শ বছর দাওয়াত দেওয়ার পর আল্লাহ তাআলা জানিয়ে দিলেন, ‘তোমার কওমের যারা ইতিমধ্যে ইমান এনেছে, তারা ছাড়া আর কেউ ইমান আনবে না। অতএব তুমি ওদের কার্যকলাপে বিমর্ষ হইও না।’ (সুরা হুদ: ৩৬) তখন নুহ (আ.) ও আল্লাহর কাছে চূড়ান্ত ফায়সালার জন্য দোয়া করেন এবং বলেন, ‘অতএব আপনি আমার ও তাদের মাঝে চূড়ান্ত ফায়সালা করে দিন এবং আমাকে ও আমার সঙ্গী মুমিনদের (ওদের হাত থেকে) মুক্ত করো।’ (সুরা শুআরা: ১১৮)
নৌকা তৈরি ও মহাপ্লাবন
এ বিষয়ে সুরা হুদের ৩৭ থেকে ৪৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। নুহ (আ.)-কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি আমার সম্মুখে আমারই নির্দেশনা মোতাবেক একটা নৌকা তৈরি করো এবং (স্বজাতির প্রতি দয়া পরবশ হয়ে) জালেমদের ব্যাপারে আমাকে কোনো কথা বলো না। অবশ্যই ওরা ডুবে মরবে।’
এরপর নুহ নৌকা তৈরি শুরু করলেন। তাঁর কওমের নেতারা যখন পাশ দিয়ে যেত, তখন তারা তাঁকে বিদ্রুপ করত। নুহ তাদের বললেন, ‘তোমরা যদি আমাদের উপহাস করে থাক, তবে জেনে রেখো তোমরা যেমন আমাদের উপহাস করছ, আমরাও তেমনি তোমাদের উপহাস করছি। অচিরেই তোমরা জানতে পারবে লাঞ্ছনাকর আজাব কাদের ওপরে আসে এবং কাদের ওপরে নেমে আসে চিরস্থায়ী গজব।’
পরের ঘটনা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অবশেষে যখন আমার হুকুম এসে গেল এবং চুলা উদ্বেলিত হয়ে উঠল, (অর্থাৎ রান্নার চুলা থেকে পানি উথলে উঠল), তখন আমি বললাম, সব ধরনের জোড়া প্রাণীর দুটি করে এবং যাদের ওপরে আগেই হুকুম নির্ধারিত হয়ে গেছে তাদের বাদ দিয়ে তোমার পরিবারবর্গ ও সব ইমানদারদের নৌকায় তুলে নাও।’
নুহ (আ.)-এর প্রতি ইমান আনা লোকজনকে নৌকায় আরোহন করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বললেন, ‘তোমরা এতে আরোহণ করো। আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি। নিশ্চয়ই আমার প্রভু অতীব ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’
এরপর নৌকাটি তাদের বহন করে নিয়ে চলল পর্বতপ্রমাণ তরঙ্গমালার মাঝ দিয়ে। অনেক দিন পর্যন্ত সেই মহাবন্যা স্থায়ী হলো। এক টানা অনেক দিন বৃষ্টি হলো। নুহ (আ.)-এর একজন পুত্র অবাধ্য ছিল, সেও বন্যার পানিতে ডুবে মরল। পৃথিবীর বুকে সেই নৌকায় আশ্রয় নেওয়া কয়েকজন মানুষ ছাড়া কেউই আর বেঁচে রইল না। অবশেষে আল্লাহর নির্দেশ এলো, ‘হে পৃথিবী, তোমার পানি গিলে ফেল (অর্থাৎ হে প্লাবনের পানি, নেমে যাও)। হে আকাশ, ক্ষান্ত হও (অর্থাৎ তোমার বিরামহীন বৃষ্টি বন্ধ করো)।’
অবশেষে পানি কমল এবং আজাবের সময় শেষ হলো। নৌকা ভিড়ল জুদি পাহাড়ে। আদেশ এলো, ‘হে নুহ, এখন (নৌকা থেকে) অবতরণ করো আমাদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি সহকারে তোমার ওপর এবং তোমার সঙ্গী দলগুলোর ওপর...।’
অন্য সুরায় এ আজাবের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এভাবে—‘তখন আমি খুলে দিলাম আকাশের দুয়ারসমূহ প্রবল বৃষ্টির মাধ্যমে। ভূমি থেকে প্রবাহিত করলাম নদীসমূহকে। এরপর উভয় পানি মিলিত হলো একটি পূর্ব নির্ধারিত কাজে (অর্থাৎ ডুবিয়ে মারার কাজে)। আমি নুহকে আরোহন করালাম এক কাষ্ঠ ও পেরেক নির্মিত জলযানে। যা চলত আমার দৃষ্টির সম্মুখে। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রতিশোধ ছিল, যাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। ‘আমরা একে নিদর্শন হিসাবে রেখে দিয়েছি। অতএব কোনো চিন্তাশীল আছে কি?’ (সুরা কামার: ১১-১৫)

হজরত নুহ (আ.) ছিলেন মানবজাতির আদিপিতা হজরত আদম (আ.)–এর অষ্টম প্রজন্মের নবী ও রাসুল। হাদিসের ভাষ্য মতে, তিনিই পৃথিবীর প্রথম রাসুল তথা শরিয়তপ্রাপ্ত বার্তাবাহক। নুহ (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা দীর্ঘ জীবন দান করেছিলেন। প্রায় ১ হাজার বছর তিনি জাতিকে আল্লাহর পথে ডাকেন। তবে খুব অল্প মানুষই তাঁর আনীত শরিয়তে বিশ্বাস স্থাপন করে। অবশেষে আল্লাহ তাআলা সেই অবাধ্য জাতিকে এক প্রলয়ঙ্কর মহাপ্লাবনে ধ্বংস করে দেন। কেবল মুক্তি পায় মুষ্টিমেয় বিশ্বাসী মানুষেরা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা নুহ (আ.)-এর দাওয়াত প্রসঙ্গে এরশাদ করেন, ‘আমরা নুহকে তার কওমের কাছে পাঠালাম তাদের ওপরে মর্মান্তিক আজাব নাজিল হওয়ার আগেই তাদেরকে সতর্ক করার জন্য। নুহ তাদের বলল, হে আমার জাতি, আমি তোমাদের জন্য স্পষ্ট সতর্ককারী। তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, তাঁকে ভয় করো এবং আমার আনুগত্য করো। তাতে আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দেবেন। তবে এটা নিশ্চিত যে, আল্লাহর নির্ধারিত সময় যখন এসে যাবে, তখন তা এতটুকুও পিছানো হবে না। যদি তোমরা তা জানতে।’ (সুরা নুহ: ১-৪)
হজরত নুহ (আ.) তাদের বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। শিরক থেকে ফিরে এসে এক আল্লাহর ইবাদতের দাওয়াত দেন। তবে অল্প কিছু লোক ছাড়া কেউই তাঁর কথায় ইমান আনেনি। বরং বিভিন্নভাবে নুহ (আ.)-এর দাওয়াতি কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করে গেছে। তার অবাধ্য কওম ইমান আনতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ৫টি আপত্তি জানায়। এর প্রতিটি আপত্তির জবাব নুহ (আ.) তাদের দিয়েছেন। তারপরও তারা তাঁর প্রতি ইমাম আনেনি। বরং তাঁকে ব্যঙ্গ করতেও ছাড়েনি।
কওমের ৫ আপত্তি ও জবাব
প্রথম আপত্তি ও জবাব: এরশাদ হয়েছে, তাঁর কওমের অবিশ্বাসীরা বলল, ‘এ লোক তো তোমাদের মতই মানুষ। আসলে সে তোমাদের ওপরে নেতৃত্ব করতে চায়। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তো একজন ফেরেশতা পাঠাতে পারতেন। এ ছাড়া এ লোক যেসব কথা বলছে, তাতো আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের কাছে কখনো শুনিনি। আসলে লোকটার মধ্যে পাগলামী রয়েছে কিংবা তার সাথে কোনো জিন রয়েছে। অতএব তোমরা এ ব্যক্তির দিকে ভ্রুক্ষেপ করো না। বরং কিছুদিন অপেক্ষা করো।’ (সুরা মুমিনুন: ২৪-২৫)
এ কথার জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘তোমরা কি এ বিষয়ে অবাক হচ্ছ যে, তোমাদের পালনকর্তার পয়গাম তোমাদের মধ্য থেকেই একজনের মাধ্যমে তোমাদের কাছে এসেছে, যাতে সে তোমাদের ভীতি প্রদর্শন করে ও তার ফলে তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও।’ (সুরা আরাফ: ৬৩)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যদি আমরা কোনো ফেরেশতাকে রাসুল করে পাঠাতাম, তবে সে মানুষের আকারেই হতো। কিন্তু এতেও তারা ওই সন্দেহই প্রকাশ করত, যা এখন করছে।’ (সুরা আনআম: ৯)
দ্বিতীয় আপত্তি ও জবাব: তারা বলেছিল, আপনার অনুসারীরা সমাজের গরিব ও নিচু জাতের। সুতরায় আপনি তাদের সঙ্গ পরিত্যাগ করুন। এর জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘আমি কোনো (গরিব) ইমানদার ব্যক্তিকে তাড়িয়ে দিতে পারি না। তারা অবশ্যই তাদের পালনকর্তার দিদার লাভে ধন্য হবে। বরং আমি তোমাদেরই মূর্খ দেখছি। হে আমার কওম, আমি যদি ওসব লোকদের তাড়িয়ে দেই, তাহলে কে আমাকে আল্লাহর পাকড়াও থেকে রক্ষা করবে? তোমরা কি উপদেশ গ্রহণ করবে না?’ (সুরা হুদ: ২৯-৩০)
তৃতীয় আপত্তি ও জবাব: তারা বলেছিল, আপনি জাতির নেতৃত্বস্থানীয় কেউ নন, সুতরাং কেন আমরা আপনার কথা মান্য করব? জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘তোমাদের দৃষ্টিতে যারা দীনহীন-অবাঞ্ছিত, তাদের আল্লাহ কোনো কল্যাণ দান করবেন না—এট আমি বলব না। তাদের মনের কথা আল্লাহ ভালো করেই জানেন। সুতরাং এমন কথা বললে আমি অন্যায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।’ (সুরা হুদ: ৩১)
চতুর্থ আপত্তি ও জবাব: তারা বলেছিল, আপনার দাওয়াত আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রথাবিরোধী। সুতরাং আমরা তা মানব না। জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘হে আমার কওম, আমার মধ্যে কোনো পথভ্রষ্টতা নেই। বরং আমি বিশ্বপালকের পক্ষ থেকে প্রেরিত রাসুল। আমি তোমাদের কাছে আমার প্রভুর বার্তা পৌঁছে দেই এবং সদুপদেশ দিয়ে থাকি। কেননা আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন বিষয় জানি, যা তোমরা জানো না।’ (সুরা আরাফ: ৬১-৬২)
পঞ্চম আপত্তি ও জবাব: তারা বলেছিল, মূলত আপনি ক্ষমতা চাচ্ছেন। জবাবে নুহ (আ.) বলেন, ‘এ দাওয়াতের বিনিময়ে আমি তোমাদের কাছে কোনো ধনদৌলত বা কোনো বিনিময় কামনা করি না। আমার পুরস্কার তো কেবল বিশ্বপালকের কাছেই রয়েছে।’ (সুরা শুআরা: ১০৯)
চূড়ান্ত অবাধ্যতা ও নুহ (আ.)-এর বদদোয়া
নুহ (আ.) সাড়ে নয়শ বছরের দীর্ঘ জীবন লাভ করেন। সুতরাং প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে তিনি দাওয়াত পৌঁছান। তবে কওমের লোকজন তাঁকে সবসময় নিবৃত করার চেষ্টা করে গেছে। তারা বলেছে, ‘হে নুহ, যদি আপনি বিরত না হন, তবে পাথর মেরে আপনার মস্তক চূর্ণ করে দেওয়া হবে।’ (সুরা শুআরা: ১১৬) তবে নুহ (আ.) হতাশ হননি। বরং কওমের নির্বুদ্ধিতার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে গেছেন।
তবে দীর্ঘ নয়শ বছর দাওয়াত দেওয়ার পর আল্লাহ তাআলা জানিয়ে দিলেন, ‘তোমার কওমের যারা ইতিমধ্যে ইমান এনেছে, তারা ছাড়া আর কেউ ইমান আনবে না। অতএব তুমি ওদের কার্যকলাপে বিমর্ষ হইও না।’ (সুরা হুদ: ৩৬) তখন নুহ (আ.) ও আল্লাহর কাছে চূড়ান্ত ফায়সালার জন্য দোয়া করেন এবং বলেন, ‘অতএব আপনি আমার ও তাদের মাঝে চূড়ান্ত ফায়সালা করে দিন এবং আমাকে ও আমার সঙ্গী মুমিনদের (ওদের হাত থেকে) মুক্ত করো।’ (সুরা শুআরা: ১১৮)
নৌকা তৈরি ও মহাপ্লাবন
এ বিষয়ে সুরা হুদের ৩৭ থেকে ৪৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। নুহ (আ.)-কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি আমার সম্মুখে আমারই নির্দেশনা মোতাবেক একটা নৌকা তৈরি করো এবং (স্বজাতির প্রতি দয়া পরবশ হয়ে) জালেমদের ব্যাপারে আমাকে কোনো কথা বলো না। অবশ্যই ওরা ডুবে মরবে।’
এরপর নুহ নৌকা তৈরি শুরু করলেন। তাঁর কওমের নেতারা যখন পাশ দিয়ে যেত, তখন তারা তাঁকে বিদ্রুপ করত। নুহ তাদের বললেন, ‘তোমরা যদি আমাদের উপহাস করে থাক, তবে জেনে রেখো তোমরা যেমন আমাদের উপহাস করছ, আমরাও তেমনি তোমাদের উপহাস করছি। অচিরেই তোমরা জানতে পারবে লাঞ্ছনাকর আজাব কাদের ওপরে আসে এবং কাদের ওপরে নেমে আসে চিরস্থায়ী গজব।’
পরের ঘটনা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অবশেষে যখন আমার হুকুম এসে গেল এবং চুলা উদ্বেলিত হয়ে উঠল, (অর্থাৎ রান্নার চুলা থেকে পানি উথলে উঠল), তখন আমি বললাম, সব ধরনের জোড়া প্রাণীর দুটি করে এবং যাদের ওপরে আগেই হুকুম নির্ধারিত হয়ে গেছে তাদের বাদ দিয়ে তোমার পরিবারবর্গ ও সব ইমানদারদের নৌকায় তুলে নাও।’
নুহ (আ.)-এর প্রতি ইমান আনা লোকজনকে নৌকায় আরোহন করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বললেন, ‘তোমরা এতে আরোহণ করো। আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি। নিশ্চয়ই আমার প্রভু অতীব ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’
এরপর নৌকাটি তাদের বহন করে নিয়ে চলল পর্বতপ্রমাণ তরঙ্গমালার মাঝ দিয়ে। অনেক দিন পর্যন্ত সেই মহাবন্যা স্থায়ী হলো। এক টানা অনেক দিন বৃষ্টি হলো। নুহ (আ.)-এর একজন পুত্র অবাধ্য ছিল, সেও বন্যার পানিতে ডুবে মরল। পৃথিবীর বুকে সেই নৌকায় আশ্রয় নেওয়া কয়েকজন মানুষ ছাড়া কেউই আর বেঁচে রইল না। অবশেষে আল্লাহর নির্দেশ এলো, ‘হে পৃথিবী, তোমার পানি গিলে ফেল (অর্থাৎ হে প্লাবনের পানি, নেমে যাও)। হে আকাশ, ক্ষান্ত হও (অর্থাৎ তোমার বিরামহীন বৃষ্টি বন্ধ করো)।’
অবশেষে পানি কমল এবং আজাবের সময় শেষ হলো। নৌকা ভিড়ল জুদি পাহাড়ে। আদেশ এলো, ‘হে নুহ, এখন (নৌকা থেকে) অবতরণ করো আমাদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি সহকারে তোমার ওপর এবং তোমার সঙ্গী দলগুলোর ওপর...।’
অন্য সুরায় এ আজাবের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এভাবে—‘তখন আমি খুলে দিলাম আকাশের দুয়ারসমূহ প্রবল বৃষ্টির মাধ্যমে। ভূমি থেকে প্রবাহিত করলাম নদীসমূহকে। এরপর উভয় পানি মিলিত হলো একটি পূর্ব নির্ধারিত কাজে (অর্থাৎ ডুবিয়ে মারার কাজে)। আমি নুহকে আরোহন করালাম এক কাষ্ঠ ও পেরেক নির্মিত জলযানে। যা চলত আমার দৃষ্টির সম্মুখে। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রতিশোধ ছিল, যাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। ‘আমরা একে নিদর্শন হিসাবে রেখে দিয়েছি। অতএব কোনো চিন্তাশীল আছে কি?’ (সুরা কামার: ১১-১৫)

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

হজরত নুহ (আ.) ছিলেন মানবজাতির আদিপিতা হজরত আদম (আ.)–এর অষ্টম প্রজন্মের নবী ও রাসুল। হাদিসের ভাষ্য মতে, তিনিই পৃথিবীর প্রথম রাসুল তথা শরিয়তপ্রাপ্ত বার্তাবাহক। নুহ (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা দীর্ঘ জীবন দান করেছিলেন। প্রায় ১ হাজার বছর তিনি জাতিকে আল্লাহর পথে ডাকেন।
২১ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজরত নুহ (আ.) ছিলেন মানবজাতির আদিপিতা হজরত আদম (আ.)–এর অষ্টম প্রজন্মের নবী ও রাসুল। হাদিসের ভাষ্য মতে, তিনিই পৃথিবীর প্রথম রাসুল তথা শরিয়তপ্রাপ্ত বার্তাবাহক। নুহ (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা দীর্ঘ জীবন দান করেছিলেন। প্রায় ১ হাজার বছর তিনি জাতিকে আল্লাহর পথে ডাকেন।
২১ মার্চ ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

হজরত নুহ (আ.) ছিলেন মানবজাতির আদিপিতা হজরত আদম (আ.)–এর অষ্টম প্রজন্মের নবী ও রাসুল। হাদিসের ভাষ্য মতে, তিনিই পৃথিবীর প্রথম রাসুল তথা শরিয়তপ্রাপ্ত বার্তাবাহক। নুহ (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা দীর্ঘ জীবন দান করেছিলেন। প্রায় ১ হাজার বছর তিনি জাতিকে আল্লাহর পথে ডাকেন।
২১ মার্চ ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেসাকী মাহবুব

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

হজরত নুহ (আ.) ছিলেন মানবজাতির আদিপিতা হজরত আদম (আ.)–এর অষ্টম প্রজন্মের নবী ও রাসুল। হাদিসের ভাষ্য মতে, তিনিই পৃথিবীর প্রথম রাসুল তথা শরিয়তপ্রাপ্ত বার্তাবাহক। নুহ (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা দীর্ঘ জীবন দান করেছিলেন। প্রায় ১ হাজার বছর তিনি জাতিকে আল্লাহর পথে ডাকেন।
২১ মার্চ ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে