আবরার নাঈম, ইসলামবিষয়ক গবেষক
পৃথিবীর প্রতিটি সৃষ্টিজীব আল্লাহ তাআলার দয়ার চাদরে আবৃত। তন্মধ্যে সবচেয়ে বড় নিয়ামত হলো সুস্থতা ও অবসর। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, এই দুটি নিয়ামতকে আমরা অবহেলায় নষ্ট করে ফেলি। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, এমন দুটি নিয়ামত আছে, যে ব্যাপারে বেশির ভাগ মানুষ ধোঁকায় নিপতিত—সুস্বাস্থ্য ও অবসর।’ (তিরমিজি: ২৩০৪)
এক হাদিসে নবী (সা.) এ বিষয়ে পাঁচটি অমূল্য নসিহত করেছেন। হজরত আমর ইবনে মায়মুন (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘পাঁচটি বিষয় আসার আগে পাঁচটি বিষয়কে মূল্যায়ন করো।’ (শরহুস সুন্নাহ: ৭ / ২৭৭) নসিহতগুলো হলো—
১. বার্ধক্যের আগে যৌবনকে: যৌবন আল্লাহ প্রদত্ত মহান এক নিয়ামত। তার যথাযথ প্রয়োগ খুব কম মানুষই করতে পারে। যৌবনের ইবাদত আল্লাহর কাছে বেশি পছন্দনীয়। তাই যৌবনে নফসের তাড়নায় না কাটিয়ে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হতে হবে।
২. অসুস্থতার আগে সুস্থতাকে: সুস্থতা দামি এক নিয়ামত। অসুস্থ হলে বুঝে আসে, সুস্থতা কত দামি জিনিস। তাই সুস্থ অবস্থায় আল্লাহর ইবাদত বেশি বেশি করা দরকার।
৩. দারিদ্র্যের আগে ধনাঢ্যকে: ধন-সম্পদ আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। দারিদ্র্য আসার আগে সম্পদের কদর করা উচিত। কারণ দারিদ্র্য অনেক সময় মানুষকে বিপথে নিয়ে যায়, সম্পদের প্রাচুর্য যেমন আল্লাহকে ভুলিয়ে দেয়।
৪. ব্যস্ততার আগে অবসরকে: মানুষের জীবনের অধিকাংশ সময় নানা কর্মব্যস্ততায় কেটে যায়। যখন একটু অবসর পায় তখন অহেতুক কাজে জড়িয়ে পড়ে। অথচ সে চাইলে মানুষের সেবায়, ধর্মের সেবায় নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারত।
৫. মৃত্যুর আগে জীবনকে: মৃত্যু এক অনিবার্য সত্য। তা থেকে পালানোর সুযোগ নেই। প্রতিটি জীব মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে, এটাই চিরন্তন সত্য। তাই মৃত্যুর আগে জীবনকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশিত পথে পরিচালিত করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
পৃথিবীর প্রতিটি সৃষ্টিজীব আল্লাহ তাআলার দয়ার চাদরে আবৃত। তন্মধ্যে সবচেয়ে বড় নিয়ামত হলো সুস্থতা ও অবসর। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, এই দুটি নিয়ামতকে আমরা অবহেলায় নষ্ট করে ফেলি। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, এমন দুটি নিয়ামত আছে, যে ব্যাপারে বেশির ভাগ মানুষ ধোঁকায় নিপতিত—সুস্বাস্থ্য ও অবসর।’ (তিরমিজি: ২৩০৪)
এক হাদিসে নবী (সা.) এ বিষয়ে পাঁচটি অমূল্য নসিহত করেছেন। হজরত আমর ইবনে মায়মুন (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘পাঁচটি বিষয় আসার আগে পাঁচটি বিষয়কে মূল্যায়ন করো।’ (শরহুস সুন্নাহ: ৭ / ২৭৭) নসিহতগুলো হলো—
১. বার্ধক্যের আগে যৌবনকে: যৌবন আল্লাহ প্রদত্ত মহান এক নিয়ামত। তার যথাযথ প্রয়োগ খুব কম মানুষই করতে পারে। যৌবনের ইবাদত আল্লাহর কাছে বেশি পছন্দনীয়। তাই যৌবনে নফসের তাড়নায় না কাটিয়ে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হতে হবে।
২. অসুস্থতার আগে সুস্থতাকে: সুস্থতা দামি এক নিয়ামত। অসুস্থ হলে বুঝে আসে, সুস্থতা কত দামি জিনিস। তাই সুস্থ অবস্থায় আল্লাহর ইবাদত বেশি বেশি করা দরকার।
৩. দারিদ্র্যের আগে ধনাঢ্যকে: ধন-সম্পদ আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। দারিদ্র্য আসার আগে সম্পদের কদর করা উচিত। কারণ দারিদ্র্য অনেক সময় মানুষকে বিপথে নিয়ে যায়, সম্পদের প্রাচুর্য যেমন আল্লাহকে ভুলিয়ে দেয়।
৪. ব্যস্ততার আগে অবসরকে: মানুষের জীবনের অধিকাংশ সময় নানা কর্মব্যস্ততায় কেটে যায়। যখন একটু অবসর পায় তখন অহেতুক কাজে জড়িয়ে পড়ে। অথচ সে চাইলে মানুষের সেবায়, ধর্মের সেবায় নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারত।
৫. মৃত্যুর আগে জীবনকে: মৃত্যু এক অনিবার্য সত্য। তা থেকে পালানোর সুযোগ নেই। প্রতিটি জীব মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে, এটাই চিরন্তন সত্য। তাই মৃত্যুর আগে জীবনকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশিত পথে পরিচালিত করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
পবিত্র কোরআনের ৬২ তম সুরা, সুরা জুমুআ। এটি মাদানি সুরা, যা জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে কেন্দ্র করে নাজিল হয়েছে। এই সুরার মূল বার্তা হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে ইমানদারদের পরিশুদ্ধ জীবন লাভ এবং ইহুদিদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।
৫ ঘণ্টা আগেজনসম্পদকে আমানত হিসেবে দেখা, এর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর অপব্যবহার থেকে বিরত থাকা ইমানের অপরিহার্য অংশ। এটি একজন মুমিনের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্যের পরিচায়ক। এই সম্পদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নৈতিক ও ইমানি কর্তব্য।
৮ ঘণ্টা আগেআমি প্রবাসে আছি সাত বছর হলো। এখনো বিয়ে করিনি। বিয়ের পর আর প্রবাসে আসার ইচ্ছে নেই। তাই মা-বাবাকে বলেছি, পাত্রী দেখার জন্য। যদি সবকিছু ঠিক থাকে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে দেশে চলে আসব। প্রবাসে বসে মোবাইলে বিয়ে করা কি আমার জন্য জায়েজ হবে? এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
৮ ঘণ্টা আগেজীবিকা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম ব্যবসা-বাণিজ্য। ইসলামে ব্যবসা এক মর্যাদাপূর্ণ পেশা। তবে এই পেশার মর্যাদা নির্ভর করে সততা ও নিষ্ঠার ওপর। আজকের দুনিয়ায় যখন লাভ ও প্রতিযোগিতার মোহে সততাকে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে, তখন ইসলামে একজন সৎ ব্যবসায়ীর জন্য রয়েছে এক অনন্য সুসংবাদ। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন সূর্যের
৮ ঘণ্টা আগে