মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: আমি প্রবাসে থাকি। পরিবারের কাছে ব্যাংকের মাধ্যমে কখনো টাকা পাঠাই না। বরং একজন হুন্ডি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে লেনদেন করি। এটি কি আমার জন্য বৈধ হবে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ওমান
উত্তর: ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে হুন্ডি ব্যবসা মৌলিকভাবে জায়েজ। তাই হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন করাও জায়েজ। কারণ, হুন্ডি ব্যবসা একধরনের মুদ্রা বিনিময়। অর্থাৎ, এক দেশের মুদ্রার বিনিময়ে অন্য দেশের মুদ্রার বেচাকেনা। এটি শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ। এখানে বাড়তি টাকা নিলে তা পরিশ্রমের মজুরি হিসেবে গণ্য হবে। (ফাতাওয়া শামি: ৫/১৩১; ফাতহুল মুলহিম: ১/৫৯০; ফাতাওয়া কাসিমিয়া: ২০/২৬৬)
তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো, লেনদেন চুক্তির বৈঠকেই কমপক্ষে এক পক্ষকে মুদ্রা হস্তান্তর করতে হবে। দুই পক্ষের কেউই যদি মুদ্রা হস্তান্তর না করে, তবে তা ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ হবে না। মহানবী (সা.) হাদিসে বলেছেন, ‘এই পণ্যগুলো যদি একটি অন্যটি থেকে আলাদা হয় বা একই পণ্য না হয়, তবে তোমরা যেভাবে ইচ্ছা বিক্রি করতে পারো। তবে তা হতে হবে নগদ। (মুসলিম: ১৫৮৭)
তবে আমাদের দেশে হুন্ডি ব্যবসা আইনিভাবে নিষিদ্ধ। আর ইসলামের নীতি হলো, রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ কোনো বিষয় যদি কোরআন-হাদিসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয় এবং রাষ্ট্রের কল্যাণে প্রণীত হয়, তা মান্য করা সব নাগরিকের কর্তব্য। হুন্ডি ব্যবসা ও এর মাধ্যমে লেনদেন থেকে বিরত থাকা ইসলামি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। তাই এই আইন মেনে চলা জরুরি। কারণ, শরিয়ত যে বিষয় থেকে বিরত থাকার সুযোগ রেখেছে, সে বিষয়ে জড়িত হয়ে আইন লঙ্ঘন করে নিজেকে বিপদে ফেলা ইসলাম অনুমোদন করে না।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আল্লাহর পথে ব্যয় করো, তবে নিজেদের হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখোমুখি কোরো না।’ (সুরা বাকারা: ১৯৫)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
প্রশ্ন: আমি প্রবাসে থাকি। পরিবারের কাছে ব্যাংকের মাধ্যমে কখনো টাকা পাঠাই না। বরং একজন হুন্ডি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে লেনদেন করি। এটি কি আমার জন্য বৈধ হবে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ওমান
উত্তর: ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে হুন্ডি ব্যবসা মৌলিকভাবে জায়েজ। তাই হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন করাও জায়েজ। কারণ, হুন্ডি ব্যবসা একধরনের মুদ্রা বিনিময়। অর্থাৎ, এক দেশের মুদ্রার বিনিময়ে অন্য দেশের মুদ্রার বেচাকেনা। এটি শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ। এখানে বাড়তি টাকা নিলে তা পরিশ্রমের মজুরি হিসেবে গণ্য হবে। (ফাতাওয়া শামি: ৫/১৩১; ফাতহুল মুলহিম: ১/৫৯০; ফাতাওয়া কাসিমিয়া: ২০/২৬৬)
তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো, লেনদেন চুক্তির বৈঠকেই কমপক্ষে এক পক্ষকে মুদ্রা হস্তান্তর করতে হবে। দুই পক্ষের কেউই যদি মুদ্রা হস্তান্তর না করে, তবে তা ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ হবে না। মহানবী (সা.) হাদিসে বলেছেন, ‘এই পণ্যগুলো যদি একটি অন্যটি থেকে আলাদা হয় বা একই পণ্য না হয়, তবে তোমরা যেভাবে ইচ্ছা বিক্রি করতে পারো। তবে তা হতে হবে নগদ। (মুসলিম: ১৫৮৭)
তবে আমাদের দেশে হুন্ডি ব্যবসা আইনিভাবে নিষিদ্ধ। আর ইসলামের নীতি হলো, রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ কোনো বিষয় যদি কোরআন-হাদিসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয় এবং রাষ্ট্রের কল্যাণে প্রণীত হয়, তা মান্য করা সব নাগরিকের কর্তব্য। হুন্ডি ব্যবসা ও এর মাধ্যমে লেনদেন থেকে বিরত থাকা ইসলামি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। তাই এই আইন মেনে চলা জরুরি। কারণ, শরিয়ত যে বিষয় থেকে বিরত থাকার সুযোগ রেখেছে, সে বিষয়ে জড়িত হয়ে আইন লঙ্ঘন করে নিজেকে বিপদে ফেলা ইসলাম অনুমোদন করে না।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আল্লাহর পথে ব্যয় করো, তবে নিজেদের হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখোমুখি কোরো না।’ (সুরা বাকারা: ১৯৫)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
১৯ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
১ দিন আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
২ দিন আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
২ দিন আগে