ইসলাম ডেস্ক
কন্যাসন্তান আল্লাহর শ্রেষ্ঠতম উপহার। কোরআন-হাদিসে তাদের আল্লাহর রহমত ও সৌভাগ্যের প্রতীক বলা হয়েছে। তাদের অভিশাপ মনে করা জাহেলি যুগের প্রথা। সে যুগে লোকলজ্জার ভয়ে তাদের জীবন্ত দাফন করা হতো।
ইসলাম সেই কুসংস্কার রুখে দেয়। কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করাকে সুসংবাদ বলে অভিহিত করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তাদের কাউকে কন্যাসন্তানের সুসংবাদ দেওয়া হয়...।’ (সুরা নাহল: ৫৮)
কন্যাসন্তান সৌভাগ্যের প্রতীক। সাহাবি ওয়াসিলা বিন আসকা (রা.) বলেন, ‘কন্যাসন্তান মা-বাবার সৌভাগ্যের নিদর্শন। কারণ কোরআনে আল্লাহ তাআলা কন্যাসন্তান দেওয়ার কথা প্রথমে উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান দেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দেন। অথবা যাকে ইচ্ছা পুত্র-কন্যা উভয়টিই দেন এবং যাকে ইচ্ছা নিঃসন্তান রাখেন।’ (সুরা শুরা: ৫০-৫১; তাফসিরে কুরতুবি)
কন্যাসন্তান জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যাকে কন্যাসন্তান দেওয়া হয় এবং সে তাদের উত্তমভাবে লালন-পালন করে, তার জন্য তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায় হবে।’ (সহিহ্ বুখারি ও সহিহ্ মুসলিম)
অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘যার তিনটি মেয়ে আছে এবং তাদের জন্য বিয়ে কিংবা মৃত্যু পর্যন্ত খরচ করে, তার জন্য তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণ হবে।’ তখন এক নারী জিজ্ঞেস করলেন, ‘আর দুইটি থাকলে?’ তিনি বলেন, ‘দুইটি থাকলেও।’ (শুআবুল ইমান)
কন্যাসন্তান জান্নাতে যাওয়ার মাধ্যম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যার ঘরে কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে, এরপর সে তাকে কষ্ট দেয়নি, মেয়ে হওয়ায় তার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেনি এবং পুত্রসন্তানকে তার ওপর প্রাধান্য দেয়নি, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
এটুকুই নয়, কন্যাসন্তানের সমাদর জান্নাতে মহানবী (সা.)-এর সান্নিধ্য লাভের মাধ্যম হবে বলেও হাদিসে এসেছে।
আরও পড়ুন:
কন্যাসন্তান আল্লাহর শ্রেষ্ঠতম উপহার। কোরআন-হাদিসে তাদের আল্লাহর রহমত ও সৌভাগ্যের প্রতীক বলা হয়েছে। তাদের অভিশাপ মনে করা জাহেলি যুগের প্রথা। সে যুগে লোকলজ্জার ভয়ে তাদের জীবন্ত দাফন করা হতো।
ইসলাম সেই কুসংস্কার রুখে দেয়। কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করাকে সুসংবাদ বলে অভিহিত করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তাদের কাউকে কন্যাসন্তানের সুসংবাদ দেওয়া হয়...।’ (সুরা নাহল: ৫৮)
কন্যাসন্তান সৌভাগ্যের প্রতীক। সাহাবি ওয়াসিলা বিন আসকা (রা.) বলেন, ‘কন্যাসন্তান মা-বাবার সৌভাগ্যের নিদর্শন। কারণ কোরআনে আল্লাহ তাআলা কন্যাসন্তান দেওয়ার কথা প্রথমে উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান দেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দেন। অথবা যাকে ইচ্ছা পুত্র-কন্যা উভয়টিই দেন এবং যাকে ইচ্ছা নিঃসন্তান রাখেন।’ (সুরা শুরা: ৫০-৫১; তাফসিরে কুরতুবি)
কন্যাসন্তান জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যাকে কন্যাসন্তান দেওয়া হয় এবং সে তাদের উত্তমভাবে লালন-পালন করে, তার জন্য তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায় হবে।’ (সহিহ্ বুখারি ও সহিহ্ মুসলিম)
অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘যার তিনটি মেয়ে আছে এবং তাদের জন্য বিয়ে কিংবা মৃত্যু পর্যন্ত খরচ করে, তার জন্য তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণ হবে।’ তখন এক নারী জিজ্ঞেস করলেন, ‘আর দুইটি থাকলে?’ তিনি বলেন, ‘দুইটি থাকলেও।’ (শুআবুল ইমান)
কন্যাসন্তান জান্নাতে যাওয়ার মাধ্যম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যার ঘরে কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে, এরপর সে তাকে কষ্ট দেয়নি, মেয়ে হওয়ায় তার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেনি এবং পুত্রসন্তানকে তার ওপর প্রাধান্য দেয়নি, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
এটুকুই নয়, কন্যাসন্তানের সমাদর জান্নাতে মহানবী (সা.)-এর সান্নিধ্য লাভের মাধ্যম হবে বলেও হাদিসে এসেছে।
আরও পড়ুন:
কোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি সম্মান একটি মৌলিক মানবিক গুণ, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। প্রত্যেক মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এবং একে অপরকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম, বর্ণ, জাতি কিংবা পেশা ভেদে কাউকে ছোট করা মানবতার পরিপন্থী। সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক...
২ দিন আগেসপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ এই দিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ—এর অন্যতম কারণ জুমার নামাজ। জুমার নামাজ আদায় করলেই কেবল এই দিনের বরকত, ফজিলত লাভের আশা করা যায়।
২ দিন আগেএক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২ দিন আগে