ড. মো. আবদুল কাদির
আল্লাহ তাআলা মানুষকে জাগতিক জীবনে যত নিয়ামত দান করেছেন, স্বাধীনতা তার মধ্যে একটি। ইসলামের দৃষ্টিতে প্রত্যেক মানুষই জন্মগতভাবে স্বাধীন। স্বাধীনতার ক্ষেত্রে এটিই ইসলামের মূলনীতি। মানুষ মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কারও দাস নয়। প্রত্যেক মানুষের স্বাধীনভাবে জীবনযাপনের অধিকার ইসলামে স্বীকৃত। কোনো অবস্থাতেই মানুষের এই জন্মগত অধিকার ক্ষুণ্ন করার অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি।
স্বীকৃত সব মানবিক অধিকার ও মর্যাদা জাতি-ধর্ম-বর্ণ ও পুরুষ-নারীনির্বিশেষে সব মানুষের প্রতি সমানভাবে প্রযোজ্য। মহানবী (সা.) বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘হে লোক সকল, জেনে রেখো, তোমাদের সকলের পালনকর্তা একজন। আর তোমাদের পিতাও একজন। জেনে রেখো, অনারবের ওপর আরবের আর আরবের ওপর অনারবের এবং কৃষ্ণাঙ্গের ওপর শ্বেতাঙ্গের আর শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই—তাকওয়ার মানদণ্ড ব্যতীত। সকল মুসলমান একে অপরের ভাই।’
মহান আল্লাহ সব মানুষকে সমান মর্যাদা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। তাই ধর্ম-বর্ণ, অঞ্চল-ভাষা বা অন্য কোনো কারণে কোনো জনগোষ্ঠীকে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা অথবা শোষণ করার এখতিয়ার কারও নেই। জুলুম, বঞ্চনা আর শোষণ থেকে আত্মরক্ষা করা এবং নিজেদের অধিকার আদায়ে সক্রিয় ও সচেষ্ট হওয়া মুমিনের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যারা অত্যাচারিত হলে প্রতিরোধ করে (তারাই মুমিন)।’ (সুরা শুরা: ৩৯)
দেশের সব নাগরিকের কাছে তার মাতৃভূমি আমানতস্বরূপ। জীবন দিয়ে হলেও মাতৃভূমির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা করা এবং দেশের সীমান্ত-চৌহদ্দি শত্রুর হাত থেকে সুরক্ষিত রাখা মুমিনের অন্যতম ইমানি দায়িত্ব। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যারা কাজ করে, তাদের মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়ে মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় এক দিন সীমান্ত পাহারায় নিয়োজিত থাকা দুনিয়া ও দুনিয়ার সবকিছু অপেক্ষা উত্তম।’ (বুখারি, হাদিস: ২৮৯২)
স্বাধীনতা আল্লাহর অনন্য নিয়ামত। তাই স্বাধীনতা অর্জনের পর আমাদের দায়িত্ব হলো, তা অক্ষুণ্ন রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করা। আর স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখতে হলে প্রয়োজন সমাজে আইনের শাসন নিশ্চিত করা, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের মাধ্যমে ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠা করা এবং ঘুষ, দুর্নীতি, হত্যা, লুণ্ঠনসহ সব গর্হিত ও অন্যায় কাজের চির অবসান ঘটানো।
লেখক: অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আল্লাহ তাআলা মানুষকে জাগতিক জীবনে যত নিয়ামত দান করেছেন, স্বাধীনতা তার মধ্যে একটি। ইসলামের দৃষ্টিতে প্রত্যেক মানুষই জন্মগতভাবে স্বাধীন। স্বাধীনতার ক্ষেত্রে এটিই ইসলামের মূলনীতি। মানুষ মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কারও দাস নয়। প্রত্যেক মানুষের স্বাধীনভাবে জীবনযাপনের অধিকার ইসলামে স্বীকৃত। কোনো অবস্থাতেই মানুষের এই জন্মগত অধিকার ক্ষুণ্ন করার অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি।
স্বীকৃত সব মানবিক অধিকার ও মর্যাদা জাতি-ধর্ম-বর্ণ ও পুরুষ-নারীনির্বিশেষে সব মানুষের প্রতি সমানভাবে প্রযোজ্য। মহানবী (সা.) বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘হে লোক সকল, জেনে রেখো, তোমাদের সকলের পালনকর্তা একজন। আর তোমাদের পিতাও একজন। জেনে রেখো, অনারবের ওপর আরবের আর আরবের ওপর অনারবের এবং কৃষ্ণাঙ্গের ওপর শ্বেতাঙ্গের আর শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই—তাকওয়ার মানদণ্ড ব্যতীত। সকল মুসলমান একে অপরের ভাই।’
মহান আল্লাহ সব মানুষকে সমান মর্যাদা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। তাই ধর্ম-বর্ণ, অঞ্চল-ভাষা বা অন্য কোনো কারণে কোনো জনগোষ্ঠীকে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা অথবা শোষণ করার এখতিয়ার কারও নেই। জুলুম, বঞ্চনা আর শোষণ থেকে আত্মরক্ষা করা এবং নিজেদের অধিকার আদায়ে সক্রিয় ও সচেষ্ট হওয়া মুমিনের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যারা অত্যাচারিত হলে প্রতিরোধ করে (তারাই মুমিন)।’ (সুরা শুরা: ৩৯)
দেশের সব নাগরিকের কাছে তার মাতৃভূমি আমানতস্বরূপ। জীবন দিয়ে হলেও মাতৃভূমির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা করা এবং দেশের সীমান্ত-চৌহদ্দি শত্রুর হাত থেকে সুরক্ষিত রাখা মুমিনের অন্যতম ইমানি দায়িত্ব। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যারা কাজ করে, তাদের মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়ে মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় এক দিন সীমান্ত পাহারায় নিয়োজিত থাকা দুনিয়া ও দুনিয়ার সবকিছু অপেক্ষা উত্তম।’ (বুখারি, হাদিস: ২৮৯২)
স্বাধীনতা আল্লাহর অনন্য নিয়ামত। তাই স্বাধীনতা অর্জনের পর আমাদের দায়িত্ব হলো, তা অক্ষুণ্ন রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করা। আর স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখতে হলে প্রয়োজন সমাজে আইনের শাসন নিশ্চিত করা, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের মাধ্যমে ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠা করা এবং ঘুষ, দুর্নীতি, হত্যা, লুণ্ঠনসহ সব গর্হিত ও অন্যায় কাজের চির অবসান ঘটানো।
লেখক: অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
নামাজ মহান আল্লাহ তাআলার সঙ্গে বান্দার এক গভীর সংযোগের মাধ্যম। এই ইবাদত আদায়ের সময় আমাদের উচিত সর্বোচ্চ মনোযোগ ও বিনয় বজায় রাখা। তাই নামাজের মধ্যে কোনো কিছু বিঘ্ন ঘটলে তা থেকে সতর্ক থাকা অপরিহার্য।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানী বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী হজ ও ওমরাহ মেলা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই মেলার উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেমানুষ সমাজবদ্ধ জীব। তার জীবন কেবল নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সাথে সুসম্পর্ক ও সুশৃঙ্খল বন্ধনের মাধ্যমে জীবনের পরিপূর্ণতা আসে। ইসলামে এই আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনের পরিভাষায় একে বলা হয় ‘সিলায়ে রেহমি’ এবং এটি রক্ষা করাকে ওয়াজিব...
১৪ ঘণ্টা আগেনিঃসঙ্গ কফিনটি পৃথিবীর ক্ষণস্থায়িত্ব আর অনিশ্চয়তার কথাই মনে করিয়ে দেয় বারবার। মনে করিয়ে দেয় সেই হাদিসটির কথা, যে হাদিসে নবীজি (সা.) পৃথিবীতে মুসাফিরের মতো বসবাস করার নসিহত করছেন। সত্যিই, পৃথিবী এক ক্ষণস্থায়ী সরাইখানা ছাড়া কিছু নয়, আর আমরা সবাই মুসাফির। মুসাফিরের পথচলা একদিন শেষ হবে আর তাকে...
২১ ঘণ্টা আগে