
রমজান সংযমের মাস, বরকতের মাস। এই মাসে রোজা রাখা আবশ্যক করেছেন আল্লাহ তাআলা। তবে সবার জন্য রমজানের রোজা রাখা ফরজ নয়। বরং যাদের মধ্যে ৫টি শর্ত পাওয়া যাবে, কেবল তাঁদেরই রমজানের রোজা রাখতে হবে। শর্তগুলোর কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
১. ইসলামে বিশ্বাসী
ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জন্যই রমজানের রোজা ফরজ করেছে ইসলাম। সুতরাং অমুসলিমদের জন্য রমজানের রোজা রাখা জরুরি নয়। অমুসলিম ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখলে তা ধর্তব্য হবে না।
তবে কোনো অমুসলিম রমজানে ইসলাম গ্রহণ করলে এরপর থেকে তিনি রোজা রাখবেন। রমজানের বিগত দিনগুলোর জন্য তাঁকে কাজা করতে হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আপনি কাফেরদের বলে দিন, তারা যদি (কুফর থেকে) বিরত হয়ে যায়, তবে আগে যা কিছু ঘটে গেছে ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সুরা আনফাল: ৩৮)
অসংখ্য হাদিস থেকেও প্রমাণিত হয় যে, কেউ ইসলাম গ্রহণ করলে মহানবী (সা.) তাঁকে আগের ছুটে যাওয়া আবশ্যকীয় আমলগুলো কাজা করতে বলতেন না।
২. সাবালক ও মানসিকভাবে সুস্থ
ইসলামের দৃষ্টিতে সাবালক (প্রাপ্তবয়স্ক) ব্যক্তির জন্যই রোজা রাখা ফরজ। একইভাবে মানসিকভাবে সুস্থ ব্যক্তির জন্যই রোজা রাখা আবশ্যক। সুতরাং নাবালক ও মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা জরুরি নয়। এই দুই শ্রেণির মানুষের জন্য অন্য কোনো ফরজ ইবাদত পালন করাও আবশ্যক নয়। হজরত আলি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘তিন ধরনের লোকের ওপর থেকে কলম (বিধানের আবশ্যকতা) উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক. ঘুমন্ত ব্যক্তি—যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, দুই. নাবালক, যতক্ষণ না সে সাবালক হয় এবং তিন. পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞানসম্পন্ন হয়।’ (আবু দাউদ: ৪৪০৩; তিরমিজি: ১৪২৩)
৩. রোজা পালনে সক্ষম
শারীরিকভাবে রোজা পালনে সক্ষম ব্যক্তির জন্যই রোজা রাখা আবশ্যক। অসুস্থতা, বার্ধক্য বা অন্য কোনো কারণে যে ব্যক্তি রোজা রাখার সক্ষমতা রাখে না, তার জন্য রোজা রাখা জরুরি নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর যে ব্যক্তি অসুস্থ অথবা যে ব্যক্তি সফরে আছে, তারা সেই সংখ্যা অন্য দিনগুলোতে পূরণ করবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
রোজা রাখতে অক্ষম হওয়া দুই ধরনের হতে পারে: সাময়িক ও স্থায়ী। সাময়িক অর্থ—যে রোগ থেকে আরোগ্য লাভের আশা আছে এবং পরে রোজা কাজা আদায় করে দিতে পারবে। এমন হলে পরে কাজা আদায় করে দিতে হবে। আর স্থায়ী অক্ষমতা হলো এমন রোগী বা বৃদ্ধ ব্যক্তি, যার সুস্থতা বা রোজা রাখার সক্ষমতা ফিরে পাওয়ার কোনো আশা নেই। তার জন্য রোজার কাজাও আদায় করতে হবে না। বরং প্রতিটি রোজার বিনিময়ে ফিদিয়া দেবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যারা রোজা পালনে অক্ষম তারা একজন অসহায়কে ফিদিয়া (একদিনের খাবার) দেবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৪)
৪. নিজ ঘরে বা শহরে অবস্থানকারী
নিজের শহর বা ঘরে অবস্থানকারী ব্যক্তির জন্যই রোজা রাখা জরুরি। মুসাফির হয়ে দূরের কোনো শহর বা দেশে গেলে তাঁর জন্য রোজা না রাখার অনুমতি আছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘…যে ব্যক্তি সফরে আছে, তারা সেই সংখ্যা অন্য দিনগুলোতে পূরণ করবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
তবে এ কথায় সব আলিম একমত যে, মুসাফিরের জন্য রোজা না রাখা জায়েজ। তবে উত্তম হলো, তাঁর জন্য যেটি বেশি সহজ সেটি করা। তবে যদি রোজা পালন করলে তাঁর স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা হয়, তবে তাঁর জন্য রোজা পালন করা হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা আত্মহত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি অতি দয়াময়।’ (সুরা নিসা: ২৯)
৫. ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব থেকে মুক্ত নারী
ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব নামাজ-রোজার প্রতিবন্ধক। তাই এই দুই সময়ে নামাজ-রোজা আদায় করা যাবে না। আদায় করলেও তা আদায় হবে না। পরে রোজা কাজা করে দিতে হবে, তবে নামাজ কাজা করতে হবে না। (আশ-শারহুল মুমতি: ৬ / ৩৩০)
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘একজন নারীর ঋতুস্রাব হলে সে কি নামাজ ও রোজা ত্যাগ করে না?’ (বুখারি: ২৯৮)

রমজান সংযমের মাস, বরকতের মাস। এই মাসে রোজা রাখা আবশ্যক করেছেন আল্লাহ তাআলা। তবে সবার জন্য রমজানের রোজা রাখা ফরজ নয়। বরং যাদের মধ্যে ৫টি শর্ত পাওয়া যাবে, কেবল তাঁদেরই রমজানের রোজা রাখতে হবে। শর্তগুলোর কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
১. ইসলামে বিশ্বাসী
ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জন্যই রমজানের রোজা ফরজ করেছে ইসলাম। সুতরাং অমুসলিমদের জন্য রমজানের রোজা রাখা জরুরি নয়। অমুসলিম ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখলে তা ধর্তব্য হবে না।
তবে কোনো অমুসলিম রমজানে ইসলাম গ্রহণ করলে এরপর থেকে তিনি রোজা রাখবেন। রমজানের বিগত দিনগুলোর জন্য তাঁকে কাজা করতে হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আপনি কাফেরদের বলে দিন, তারা যদি (কুফর থেকে) বিরত হয়ে যায়, তবে আগে যা কিছু ঘটে গেছে ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সুরা আনফাল: ৩৮)
অসংখ্য হাদিস থেকেও প্রমাণিত হয় যে, কেউ ইসলাম গ্রহণ করলে মহানবী (সা.) তাঁকে আগের ছুটে যাওয়া আবশ্যকীয় আমলগুলো কাজা করতে বলতেন না।
২. সাবালক ও মানসিকভাবে সুস্থ
ইসলামের দৃষ্টিতে সাবালক (প্রাপ্তবয়স্ক) ব্যক্তির জন্যই রোজা রাখা ফরজ। একইভাবে মানসিকভাবে সুস্থ ব্যক্তির জন্যই রোজা রাখা আবশ্যক। সুতরাং নাবালক ও মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা জরুরি নয়। এই দুই শ্রেণির মানুষের জন্য অন্য কোনো ফরজ ইবাদত পালন করাও আবশ্যক নয়। হজরত আলি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘তিন ধরনের লোকের ওপর থেকে কলম (বিধানের আবশ্যকতা) উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক. ঘুমন্ত ব্যক্তি—যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, দুই. নাবালক, যতক্ষণ না সে সাবালক হয় এবং তিন. পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞানসম্পন্ন হয়।’ (আবু দাউদ: ৪৪০৩; তিরমিজি: ১৪২৩)
৩. রোজা পালনে সক্ষম
শারীরিকভাবে রোজা পালনে সক্ষম ব্যক্তির জন্যই রোজা রাখা আবশ্যক। অসুস্থতা, বার্ধক্য বা অন্য কোনো কারণে যে ব্যক্তি রোজা রাখার সক্ষমতা রাখে না, তার জন্য রোজা রাখা জরুরি নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর যে ব্যক্তি অসুস্থ অথবা যে ব্যক্তি সফরে আছে, তারা সেই সংখ্যা অন্য দিনগুলোতে পূরণ করবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
রোজা রাখতে অক্ষম হওয়া দুই ধরনের হতে পারে: সাময়িক ও স্থায়ী। সাময়িক অর্থ—যে রোগ থেকে আরোগ্য লাভের আশা আছে এবং পরে রোজা কাজা আদায় করে দিতে পারবে। এমন হলে পরে কাজা আদায় করে দিতে হবে। আর স্থায়ী অক্ষমতা হলো এমন রোগী বা বৃদ্ধ ব্যক্তি, যার সুস্থতা বা রোজা রাখার সক্ষমতা ফিরে পাওয়ার কোনো আশা নেই। তার জন্য রোজার কাজাও আদায় করতে হবে না। বরং প্রতিটি রোজার বিনিময়ে ফিদিয়া দেবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যারা রোজা পালনে অক্ষম তারা একজন অসহায়কে ফিদিয়া (একদিনের খাবার) দেবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৪)
৪. নিজ ঘরে বা শহরে অবস্থানকারী
নিজের শহর বা ঘরে অবস্থানকারী ব্যক্তির জন্যই রোজা রাখা জরুরি। মুসাফির হয়ে দূরের কোনো শহর বা দেশে গেলে তাঁর জন্য রোজা না রাখার অনুমতি আছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘…যে ব্যক্তি সফরে আছে, তারা সেই সংখ্যা অন্য দিনগুলোতে পূরণ করবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
তবে এ কথায় সব আলিম একমত যে, মুসাফিরের জন্য রোজা না রাখা জায়েজ। তবে উত্তম হলো, তাঁর জন্য যেটি বেশি সহজ সেটি করা। তবে যদি রোজা পালন করলে তাঁর স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা হয়, তবে তাঁর জন্য রোজা পালন করা হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা আত্মহত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি অতি দয়াময়।’ (সুরা নিসা: ২৯)
৫. ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব থেকে মুক্ত নারী
ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব নামাজ-রোজার প্রতিবন্ধক। তাই এই দুই সময়ে নামাজ-রোজা আদায় করা যাবে না। আদায় করলেও তা আদায় হবে না। পরে রোজা কাজা করে দিতে হবে, তবে নামাজ কাজা করতে হবে না। (আশ-শারহুল মুমতি: ৬ / ৩৩০)
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘একজন নারীর ঋতুস্রাব হলে সে কি নামাজ ও রোজা ত্যাগ করে না?’ (বুখারি: ২৯৮)

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

রমজান সংযমের মাস, বরকতের মাস। এই মাসে রোজা রাখা আবশ্যক করেছেন আল্লাহ তাআলা। তবে সবার জন্য রমজানের রোজা রাখা ফরজ নয়। বরং যাদের মধ্যে ৫টি শর্ত পাওয়া যাবে, কেবল তাঁদেরই রমজানের রোজা রাখতে হবে। শর্তগুলোর কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
২৪ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

রমজান সংযমের মাস, বরকতের মাস। এই মাসে রোজা রাখা আবশ্যক করেছেন আল্লাহ তাআলা। তবে সবার জন্য রমজানের রোজা রাখা ফরজ নয়। বরং যাদের মধ্যে ৫টি শর্ত পাওয়া যাবে, কেবল তাঁদেরই রমজানের রোজা রাখতে হবে। শর্তগুলোর কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
২৪ মার্চ ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

রমজান সংযমের মাস, বরকতের মাস। এই মাসে রোজা রাখা আবশ্যক করেছেন আল্লাহ তাআলা। তবে সবার জন্য রমজানের রোজা রাখা ফরজ নয়। বরং যাদের মধ্যে ৫টি শর্ত পাওয়া যাবে, কেবল তাঁদেরই রমজানের রোজা রাখতে হবে। শর্তগুলোর কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
২৪ মার্চ ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

রমজান সংযমের মাস, বরকতের মাস। এই মাসে রোজা রাখা আবশ্যক করেছেন আল্লাহ তাআলা। তবে সবার জন্য রমজানের রোজা রাখা ফরজ নয়। বরং যাদের মধ্যে ৫টি শর্ত পাওয়া যাবে, কেবল তাঁদেরই রমজানের রোজা রাখতে হবে। শর্তগুলোর কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
২৪ মার্চ ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে