আমজাদ ইউনুস
ভালো ও কল্যাণকর কাজে সহযোগিতা করা একটি মহৎ গুণ। অপরের সহযোগিতা করা মুমিনের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য। অপরকে সাহায্য করলে মহান আল্লাহর সাহায্য লাভ করা যায়। সৎ কাজের সহযোগী সৎ কাজ সম্পাদনকারীর সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা সৎ কাজে অপরকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সৎ কর্ম ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা করো। মন্দ কর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা কোরো না। আর আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ আজাব প্রদানে কঠোর।’ (সুরা মায়েদা: ২)
হজরত আবু জর (রা.) বলেন, একদিন আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কোন আমল সর্বোত্তম?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা ও তাঁর পথে যুদ্ধ করা।’ আমি বললাম, ‘কোন ক্রীতদাস স্বাধীন করা সর্বোত্তম?’ তিনি বললেন, “যে তার মালিকের দৃষ্টিতে সর্বশ্রেষ্ঠ ও অধিক মূল্যবান।’ আমি বললাম, ‘যদি আমি এসব (কাজ) করতে না পারি।’ তিনি বললেন, ‘তাহলে কাজের লোককে (তার কাজে) সাহায্য করবে কিংবা বেকারকে কাজ দেবে।’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি বলুন, যদি আমি (এর) কিছু কাজে অক্ষম হই (তাহলে কী করব) ?’ তিনি বললেন, ‘তুমি মানুষের ওপর থেকে তোমার মন্দকে নিবৃত্ত করো। তাহলে তা হবে তোমার পক্ষ থেকে তোমার নিজের জন্য সাদকাহস্বরূপ।’ (বুখারি)
অন্য হাদিসে আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.)-এর কাছে এক লোক এসে তার নিজের জন্য একটি বাহন চাইল। কিন্তু দেওয়ার মতো কোনো বাহন না পেয়ে তাকে অন্য এক লোকের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। সেই ব্যক্তি তাকে একটি বাহন দিল। এ ঘটনাটি তিনি নবী (সা.)-এর কাছে এসে বললে তিনি বলেন, ‘সৎ কাজের পথপ্রদর্শক ওই কাজ সম্পাদনকারীর সমতুল্য।’ (তিরমিজি)'
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ভালো ও কল্যাণকর কাজে সহযোগিতা করা একটি মহৎ গুণ। অপরের সহযোগিতা করা মুমিনের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য। অপরকে সাহায্য করলে মহান আল্লাহর সাহায্য লাভ করা যায়। সৎ কাজের সহযোগী সৎ কাজ সম্পাদনকারীর সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা সৎ কাজে অপরকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সৎ কর্ম ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা করো। মন্দ কর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা কোরো না। আর আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ আজাব প্রদানে কঠোর।’ (সুরা মায়েদা: ২)
হজরত আবু জর (রা.) বলেন, একদিন আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কোন আমল সর্বোত্তম?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা ও তাঁর পথে যুদ্ধ করা।’ আমি বললাম, ‘কোন ক্রীতদাস স্বাধীন করা সর্বোত্তম?’ তিনি বললেন, “যে তার মালিকের দৃষ্টিতে সর্বশ্রেষ্ঠ ও অধিক মূল্যবান।’ আমি বললাম, ‘যদি আমি এসব (কাজ) করতে না পারি।’ তিনি বললেন, ‘তাহলে কাজের লোককে (তার কাজে) সাহায্য করবে কিংবা বেকারকে কাজ দেবে।’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি বলুন, যদি আমি (এর) কিছু কাজে অক্ষম হই (তাহলে কী করব) ?’ তিনি বললেন, ‘তুমি মানুষের ওপর থেকে তোমার মন্দকে নিবৃত্ত করো। তাহলে তা হবে তোমার পক্ষ থেকে তোমার নিজের জন্য সাদকাহস্বরূপ।’ (বুখারি)
অন্য হাদিসে আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.)-এর কাছে এক লোক এসে তার নিজের জন্য একটি বাহন চাইল। কিন্তু দেওয়ার মতো কোনো বাহন না পেয়ে তাকে অন্য এক লোকের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। সেই ব্যক্তি তাকে একটি বাহন দিল। এ ঘটনাটি তিনি নবী (সা.)-এর কাছে এসে বললে তিনি বলেন, ‘সৎ কাজের পথপ্রদর্শক ওই কাজ সম্পাদনকারীর সমতুল্য।’ (তিরমিজি)'
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
সময়ের এক গাঢ় দুপুরে, জ্ঞান ভুবনের দরজায় এক সন্ন্যাসী দাঁড়িয়ে ছিলেন—নীরব, দীপ্ত, অদ্ভুত নিরাসক্ত। তাঁর হাতে ছিল না কোনো তরবারি, ছিল কেবল এক কলম। তাঁর কণ্ঠে ছিল না কোনো উচ্চারণ, কিন্তু তাঁর লেখা যুগে যুগে উচ্চারিত হয়েছে পৃথিবীর সকল ভাষায়। তিনি ইবনে সিনা। মৃত্যু তাঁকে কেড়ে নেয় ১০৩৭ সালের ২২ জুন...
৮ ঘণ্টা আগেঘুম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শরীরের ক্লান্তি আর অবসাদ দূর হয় ঘুমে। ঘুমোলেই ভেসে ওঠে নানা স্বপ্ন। কখনো ভয়ের, কখনো আসার কখনোবা আনন্দের। কোন স্বপ্ন দেখলে করণীয় কী—সে বিষয়ে রয়েছে ইসলামের নির্দেশনা।
১৪ ঘণ্টা আগেজান্নাত লাভের বহু পথ-পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আছে। এমন চারটি আমল রয়েছে; যা করলে নির্বিঘ্নে জান্নাত যাওয়া যাবে। হজরত আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল—
১৫ ঘণ্টা আগেসন্তানকে ইবাদতে উৎসাহ দেওয়া মা-বাবার মহান দায়িত্ব। ছোটবেলা থেকেই নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা পরবর্তী জীবনে নীতিমান ও ধার্মিক হয়ে বেড়ে ওঠে। খেলার ছলে নামাজের ভঙ্গি শেখানো, দোয়া মুখস্থ করানো, পরিবারের সঙ্গে ইবাদতে অংশ নিতে বলা—এগুলো তাদের মনে ধর্মীয় চেতনা গড়ে তোলে।
২০ ঘণ্টা আগে