মুফতি আইয়ুব নাদীম
পৃথিবীর সব মানুষের প্রথম ভাষা কান্না। কান্নার ভাষা সর্বজনীন। সব জায়গা ও সব ভাষার মানুষ কাঁদে। মানুষের কান্নার ভাষা পৃথিবীর সব ভাষাভাষী বোঝে। একজন নবজাতকও দুনিয়াতে নিজের আগমন ও অস্তিত্বের জানান এই কান্নার ভাষায় দিয়ে থাকে।
এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক নবজাতককে জন্মের সময় শয়তান খোঁচা দেয়, ফলে সে শয়তানের খোঁচায় চিৎকার করে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩৪৩১)
সাধারণত কান্নার শব্দ শুনলে আমরা মনে করি লোকটা বড় কষ্ট ও বিপদের মধ্যে আছে। আসলে কি তাই? কান্নায় কি কেবল মনের দুঃখ-কষ্টের প্রকাশ ঘটে, না অন্য কিছুও থাকে? আসলে কান্নার আছে অনেক প্রকার।
১. বিপদের কান্না: এটা সবাই জানেন, বিপদে পড়লে ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সবাই কান্না করে থাকে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর শিশুপুত্র ইবরাহিমের মৃত্যুর সময় কান্নারত অবস্থায় বলেছেন, ‘চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে, হৃদয় ব্যথিত হয়। তবে আমরা তাই বলি—যার ওপর আমাদের সব সন্তুষ্টি। আর তোমার বিচ্ছেদে আমরা ব্যথিত।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৪০৭)
২. বিচ্ছেদের কান্না: আপনজন ও প্রিয়জনের বিচ্ছেদে মানুষ কান্না করে থাকে। হজরত ইয়াকুব (আ.) আপন সন্তান ইউসুফ (আ.)-এর বিচ্ছেদে কান্না করেছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তার চোখ দুটি কাঁপতে কাঁপতে সাদা হয়ে গিয়েছিল এবং তার হৃদয় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছিল।’ (সুরা ইউসুফ: ৮৪)
৩. তিলাওয়াতের কান্না: এমন অনেক সৌভাগ্যবান ব্যক্তি আছেন, যারা কোরআন তিলাওয়াতের সময় কান্না করেন। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কেঁদে কেঁদে কোরআন তিলাওয়াত করো। যদি কান্না না আসে, তা হলে কান্নার ভান ধরো।’ (সুনানে ইবনে মাজা: ১৩৩৭)
৪. গুনাহের কথা স্মরণ করে কান্না: যাপিত জীবনে কমবেশি সবাই গুনাহ করে থাকে, তবে গুনাহের কথা স্মরণ করে কান্না করা এক অনন্য গুণ। যে ব্যক্তি আপন গুনাহের কথা স্মরণ করে কান্না করে, আল্লাহ তাআলা তার ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যান।
এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলার কাছে দুই ফোঁটা অত্যন্ত প্রিয়। এক. আল্লাহ তাআলার ভয়ে যে অশ্রু ফোঁটা ঝরে। দুই. আল্লাহ তাআলার রাস্তায় যে অশ্রু ফোঁটা ঝরে।’ (জামে তিরমিজি: ১৬৩৯)
৫. আল্লাহর ভয়ে কান্না: চোখের সদ্ব্যবহারের একটি অনন্য দিক হলো, আল্লাহর ভয়ে কাঁদা। আল্লাহর ভয়ে কাঁদা মোমিনের একটি বিশেষ গুণ এবং একনিষ্ঠতার বড় প্রমাণ। আল্লাহর ভয় ইমানের অপরিহার্য উপাদান। কেননা ইমান হলো, আশা ও ভয়ের ভেতরে।
নবী-রাসুলদের বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘এরা সৎ কাজে ছিল ক্ষিপ্রগতি। তারা আমাকে ডাকত আশা নিয়ে ও ভীত হয়ে। আর তারা ছিল আমার প্রতি বিনয়ী।’ (সুরা আম্বিয়া: ৯০)
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
পৃথিবীর সব মানুষের প্রথম ভাষা কান্না। কান্নার ভাষা সর্বজনীন। সব জায়গা ও সব ভাষার মানুষ কাঁদে। মানুষের কান্নার ভাষা পৃথিবীর সব ভাষাভাষী বোঝে। একজন নবজাতকও দুনিয়াতে নিজের আগমন ও অস্তিত্বের জানান এই কান্নার ভাষায় দিয়ে থাকে।
এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক নবজাতককে জন্মের সময় শয়তান খোঁচা দেয়, ফলে সে শয়তানের খোঁচায় চিৎকার করে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩৪৩১)
সাধারণত কান্নার শব্দ শুনলে আমরা মনে করি লোকটা বড় কষ্ট ও বিপদের মধ্যে আছে। আসলে কি তাই? কান্নায় কি কেবল মনের দুঃখ-কষ্টের প্রকাশ ঘটে, না অন্য কিছুও থাকে? আসলে কান্নার আছে অনেক প্রকার।
১. বিপদের কান্না: এটা সবাই জানেন, বিপদে পড়লে ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সবাই কান্না করে থাকে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর শিশুপুত্র ইবরাহিমের মৃত্যুর সময় কান্নারত অবস্থায় বলেছেন, ‘চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে, হৃদয় ব্যথিত হয়। তবে আমরা তাই বলি—যার ওপর আমাদের সব সন্তুষ্টি। আর তোমার বিচ্ছেদে আমরা ব্যথিত।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৪০৭)
২. বিচ্ছেদের কান্না: আপনজন ও প্রিয়জনের বিচ্ছেদে মানুষ কান্না করে থাকে। হজরত ইয়াকুব (আ.) আপন সন্তান ইউসুফ (আ.)-এর বিচ্ছেদে কান্না করেছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তার চোখ দুটি কাঁপতে কাঁপতে সাদা হয়ে গিয়েছিল এবং তার হৃদয় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছিল।’ (সুরা ইউসুফ: ৮৪)
৩. তিলাওয়াতের কান্না: এমন অনেক সৌভাগ্যবান ব্যক্তি আছেন, যারা কোরআন তিলাওয়াতের সময় কান্না করেন। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কেঁদে কেঁদে কোরআন তিলাওয়াত করো। যদি কান্না না আসে, তা হলে কান্নার ভান ধরো।’ (সুনানে ইবনে মাজা: ১৩৩৭)
৪. গুনাহের কথা স্মরণ করে কান্না: যাপিত জীবনে কমবেশি সবাই গুনাহ করে থাকে, তবে গুনাহের কথা স্মরণ করে কান্না করা এক অনন্য গুণ। যে ব্যক্তি আপন গুনাহের কথা স্মরণ করে কান্না করে, আল্লাহ তাআলা তার ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যান।
এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলার কাছে দুই ফোঁটা অত্যন্ত প্রিয়। এক. আল্লাহ তাআলার ভয়ে যে অশ্রু ফোঁটা ঝরে। দুই. আল্লাহ তাআলার রাস্তায় যে অশ্রু ফোঁটা ঝরে।’ (জামে তিরমিজি: ১৬৩৯)
৫. আল্লাহর ভয়ে কান্না: চোখের সদ্ব্যবহারের একটি অনন্য দিক হলো, আল্লাহর ভয়ে কাঁদা। আল্লাহর ভয়ে কাঁদা মোমিনের একটি বিশেষ গুণ এবং একনিষ্ঠতার বড় প্রমাণ। আল্লাহর ভয় ইমানের অপরিহার্য উপাদান। কেননা ইমান হলো, আশা ও ভয়ের ভেতরে।
নবী-রাসুলদের বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘এরা সৎ কাজে ছিল ক্ষিপ্রগতি। তারা আমাকে ডাকত আশা নিয়ে ও ভীত হয়ে। আর তারা ছিল আমার প্রতি বিনয়ী।’ (সুরা আম্বিয়া: ৯০)
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
কোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি সম্মান একটি মৌলিক মানবিক গুণ, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। প্রত্যেক মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এবং একে অপরকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম, বর্ণ, জাতি কিংবা পেশা ভেদে কাউকে ছোট করা মানবতার পরিপন্থী। সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক...
২ দিন আগেসপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ এই দিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ—এর অন্যতম কারণ জুমার নামাজ। জুমার নামাজ আদায় করলেই কেবল এই দিনের বরকত, ফজিলত লাভের আশা করা যায়।
২ দিন আগেএক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২ দিন আগে