ইসলাম ডেস্ক

বর্তমান সমাজে অন্যায়, অপরাধ, অত্যাচার এবং জুলুম মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মানবিকতা, মায়া-মমতা এবং ভালোবাসা যেন আজ বিলুপ্তপ্রায়। মানুষে মানুষে হিংসা, বিদ্বেষ এবং একে অপরের ক্ষতি করার প্রবণতা এখন স্বাভাবিক চিত্রে পরিণত। সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ও সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে যারা বিত্তশালী হচ্ছেন, তারাই সমাজকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সমাজের দুর্বল ও নিরীহ মানুষজন হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার। মানুষ ভুলে গেছে পরকাল, আল্লাহর ভয় এবং জাহান্নামের কঠিন আগুনকে।
যদি মানুষের হৃদয়ে আল্লাহর ভয় থাকত, তবে এসব অন্যায়, অপরাধ ও জুলুম কখনো বাড়ত না। আল্লাহ তাআলা ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় দিয়ে মানবজাতিকে সতর্ক করেছেন, কিন্তু তবুও মানুষ শিক্ষা নিচ্ছে না। ইতিহাসের পাতায় এমন অনেক জাতি আছে, যাদেরকে আল্লাহ তাদের কৃত অন্যায় ও সীমালঙ্ঘনের কারণে ধ্বংস করে দিয়েছেন। মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে সেই সব ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতির বিবরণ এসেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল সামুদ জাতি।
প্রাচুর্য থেকে পাপে নিমজ্জিত সামুদ
একসময় পৃথিবীতে সামুদ জাতি ছিল অত্যন্ত অর্থশালী ও শক্তিশালী। তাদের সুখ-শান্তি বা প্রাচুর্যের কোনো কমতি ছিল না। তারা বড় বড় প্রাসাদ এবং পাহাড় কেটে দৃষ্টিনন্দন দালানকোঠা নির্মাণ করত। শিল্প ও নকশায় তারা ছিল অসামান্য, পাথর দিয়ে তৈরি করত সুন্দর প্রাসাদ। কিন্তু চরম প্রাচুর্য লাভ করে তারা মহান সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে গেল। তারা শুরু করল পাথর পূজা, মূর্তি পূজা ও দেব-দেবীর পূজা। তাদের সমাজে অন্যায়, অপরাধ ও নির্যাতন সীমাহীনভাবে বৃদ্ধি পেল।
আদ জাতি ধ্বংস হওয়ার প্রায় ৫০০ বছর পর, আল্লাহ এই পথভ্রষ্ট সামুদ জাতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে তাদেরই মধ্য থেকে একজন নবী হজরত সালেহ (আ.)-কে মনোনীত করে পাঠালেন। আল্লাহ তাআলা আল-কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘আমি সামুদ সম্প্রদায়ের নিকট তাদের ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর। কিন্তু তারা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে বিতর্কে লিপ্ত হলো।’ (সুরা নামল: ৪৫)
হজরত সালেহ (আ.) সামুদ জাতিকে আল্লাহর প্রতি ইমান আনার জন্য বারবার আহ্বান জানালেও তারা মানতে অস্বীকার করল। অল্প কিছু সংখ্যক লোক ইমান আনলেও বেশির ভাগই তাঁর কথা শুনল না।
অলৌকিক উট ও জাতির চরম ঔদ্ধত্য
বারংবার দাওয়াতের জবাবে সামুদ জাতি ঔদ্ধত্য দেখাল এবং হজরত সালেহ (আ.)-কে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করল। তারা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলল, যদি তিনি সত্য নবী হন, তবে একটি অলৌকিক নিদর্শন (মোজেজা) দেখান। তাদের চাহিদা ছিল: ওই পাহাড় থেকে একটি গর্ভবতী উট বেরিয়ে আসবে, তাৎক্ষণিক বাচ্চা প্রসব করবে এবং রীতিমতো দুধ পান করাবে।
আল্লাহর নির্দেশে হজরত সালেহ (আ.) তাদের কাছ থেকে ইমানের অঙ্গীকার আদায় করলেন এবং আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন। সঙ্গে সঙ্গেই পাহাড়ের ভেতর থেকে এক অতি সুন্দর উট বেরিয়ে এলো এবং একটি বাচ্চা প্রসব করল। এই অলৌকিক দৃশ্য দেখেও সামুদ জাতির অনেকেই তাদের ওয়াদা ভঙ্গ করল এবং ইমান আনল না।
সামুদ জাতির পানি পানের জন্য একটি কূপ ছিল, যেখান থেকে সাতটি গোত্রের সবাই পানি পান করত। অলৌকিক সেই উটটি এক দিন পুরো কূপের পানি পান করে শেষ করে দিত। আবার অন্য দিন সবাই উটটি দোহন করে মহা তৃপ্তিতে দুধ পান করত, কিন্তু উটের বাঁটের দুধ সামান্যও কমত না। হজরত সালেহ (আ.) সতর্ক করে দিলেন যে, এটি আল্লাহর বিশেষ উট, কেউ যেন একে কোনোভাবে বিরক্ত না করে, অন্যথায় কঠিন শাস্তি নেমে আসবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর হে আমার কওম, এটা হচ্ছে আল্লাহর উষ্ট্রী যা তোমাদের জন্য নিদর্শন। অতএব ওকে ছেড়ে দাও যেন আল্লাহর জমিনে চরে খায়, আর ওকে খারাপ উদ্দেশে স্পর্শ কর না, অন্যথায় তোমাদেরকে আকস্মিক শাস্তি এসে পাকড়াও করতে পারে।’ (সুরা হুদ: ৬৪)
ধ্বংসের চূড়ান্ত পরিণতি
এরপরও সামুদ জাতির ঔদ্ধত্য থামল না। একসময় কেদার ও মেসদা নামের দুই দুষ্কৃতকারী উটটিকে হত্যা করার ফন্দি আঁটল। কওমের অনেক শরাবপায়ী তাদের এই কাজে উৎসাহ দিল। উটটি যখন কূপের ধারে পানি পান করতে আসে, তখন কেদার তীর নিক্ষেপ করে তাকে আহত করে। মেসদা পেছন দিক থেকে তরবারি দিয়ে পায়ে আঘাত করে উটটিকে হত্যা করে ফেলল। এই অন্যায় কাজটিকে উপস্থিত জনতা নীরব সম্মতি দিল।
উট হত্যার খবর শুনে হজরত সালেহ (আ.) এসে কওমের লোকদের বললেন, ‘তোমরা এখন আর মাত্র তিনটি দিন দুনিয়াবি আরাম-আয়েশ করে নিতে পার। তোমাদের হায়াত আর মাত্র তিন দিন আছে।’ তিনি ধ্বংসের সুস্পষ্ট পূর্ব-নিদর্শন বর্ণনা করলেন: প্রথম দিন তাদের চেহারা সবুজ, দ্বিতীয় দিন লাল এবং তৃতীয় দিন ঘোর কালো রং ধারণ করবে।
এই নিদর্শনগুলো যখন একে একে প্রকাশ পেল, তখন উট হত্যাকারীরা ভীত হয়ে হজরত সালেহ (আ.)-কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাঁর ঘরে যাত্রা করল। কিন্তু ইতিমধ্যেই তাদের ওপর আল্লাহর গজব এসে পড়ল। আল্লাহর নির্দেশে হজরত জিবরাইল (আ.) এমন এক প্রচণ্ড হুংকার দিলেন, যার বিকট শব্দে সামুদ জাতির সব লোক অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল এবং চিরদিনের জন্য মাটির সঙ্গে বিলীন হয়ে গেল। তাদের কোনো চিহ্নই অবশিষ্ট রইল না। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন, ‘এইতো তাদের ঘরবাড়ি সীমা লঙ্ঘন হেতু যা জনশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে; এতে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নামল: ৫২)
সামুদ জাতির ধ্বংসের এই কাহিনি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ক্ষমতা, সম্পদ বা প্রযুক্তির দম্ভে আল্লাহকে ভুলে গেলে এবং সমাজে জুলুম-অত্যাচার বাড়ালে আল্লাহর চূড়ান্ত শাস্তি অনিবার্য। বর্তমান সমাজে যারা অন্যায় ও দুর্নীতিতে ডুবে আছে, সামুদ জাতির পরিণতি থেকে তাদের শিক্ষা নেওয়া অপরিহার্য।
লেখক: মাওলানা সাইফুল ইসলাম সালেহী, ইসলামবিষয়ক গবেষক

বর্তমান সমাজে অন্যায়, অপরাধ, অত্যাচার এবং জুলুম মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মানবিকতা, মায়া-মমতা এবং ভালোবাসা যেন আজ বিলুপ্তপ্রায়। মানুষে মানুষে হিংসা, বিদ্বেষ এবং একে অপরের ক্ষতি করার প্রবণতা এখন স্বাভাবিক চিত্রে পরিণত। সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ও সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে যারা বিত্তশালী হচ্ছেন, তারাই সমাজকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সমাজের দুর্বল ও নিরীহ মানুষজন হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার। মানুষ ভুলে গেছে পরকাল, আল্লাহর ভয় এবং জাহান্নামের কঠিন আগুনকে।
যদি মানুষের হৃদয়ে আল্লাহর ভয় থাকত, তবে এসব অন্যায়, অপরাধ ও জুলুম কখনো বাড়ত না। আল্লাহ তাআলা ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় দিয়ে মানবজাতিকে সতর্ক করেছেন, কিন্তু তবুও মানুষ শিক্ষা নিচ্ছে না। ইতিহাসের পাতায় এমন অনেক জাতি আছে, যাদেরকে আল্লাহ তাদের কৃত অন্যায় ও সীমালঙ্ঘনের কারণে ধ্বংস করে দিয়েছেন। মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে সেই সব ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতির বিবরণ এসেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল সামুদ জাতি।
প্রাচুর্য থেকে পাপে নিমজ্জিত সামুদ
একসময় পৃথিবীতে সামুদ জাতি ছিল অত্যন্ত অর্থশালী ও শক্তিশালী। তাদের সুখ-শান্তি বা প্রাচুর্যের কোনো কমতি ছিল না। তারা বড় বড় প্রাসাদ এবং পাহাড় কেটে দৃষ্টিনন্দন দালানকোঠা নির্মাণ করত। শিল্প ও নকশায় তারা ছিল অসামান্য, পাথর দিয়ে তৈরি করত সুন্দর প্রাসাদ। কিন্তু চরম প্রাচুর্য লাভ করে তারা মহান সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে গেল। তারা শুরু করল পাথর পূজা, মূর্তি পূজা ও দেব-দেবীর পূজা। তাদের সমাজে অন্যায়, অপরাধ ও নির্যাতন সীমাহীনভাবে বৃদ্ধি পেল।
আদ জাতি ধ্বংস হওয়ার প্রায় ৫০০ বছর পর, আল্লাহ এই পথভ্রষ্ট সামুদ জাতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে তাদেরই মধ্য থেকে একজন নবী হজরত সালেহ (আ.)-কে মনোনীত করে পাঠালেন। আল্লাহ তাআলা আল-কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘আমি সামুদ সম্প্রদায়ের নিকট তাদের ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর। কিন্তু তারা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে বিতর্কে লিপ্ত হলো।’ (সুরা নামল: ৪৫)
হজরত সালেহ (আ.) সামুদ জাতিকে আল্লাহর প্রতি ইমান আনার জন্য বারবার আহ্বান জানালেও তারা মানতে অস্বীকার করল। অল্প কিছু সংখ্যক লোক ইমান আনলেও বেশির ভাগই তাঁর কথা শুনল না।
অলৌকিক উট ও জাতির চরম ঔদ্ধত্য
বারংবার দাওয়াতের জবাবে সামুদ জাতি ঔদ্ধত্য দেখাল এবং হজরত সালেহ (আ.)-কে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করল। তারা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলল, যদি তিনি সত্য নবী হন, তবে একটি অলৌকিক নিদর্শন (মোজেজা) দেখান। তাদের চাহিদা ছিল: ওই পাহাড় থেকে একটি গর্ভবতী উট বেরিয়ে আসবে, তাৎক্ষণিক বাচ্চা প্রসব করবে এবং রীতিমতো দুধ পান করাবে।
আল্লাহর নির্দেশে হজরত সালেহ (আ.) তাদের কাছ থেকে ইমানের অঙ্গীকার আদায় করলেন এবং আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন। সঙ্গে সঙ্গেই পাহাড়ের ভেতর থেকে এক অতি সুন্দর উট বেরিয়ে এলো এবং একটি বাচ্চা প্রসব করল। এই অলৌকিক দৃশ্য দেখেও সামুদ জাতির অনেকেই তাদের ওয়াদা ভঙ্গ করল এবং ইমান আনল না।
সামুদ জাতির পানি পানের জন্য একটি কূপ ছিল, যেখান থেকে সাতটি গোত্রের সবাই পানি পান করত। অলৌকিক সেই উটটি এক দিন পুরো কূপের পানি পান করে শেষ করে দিত। আবার অন্য দিন সবাই উটটি দোহন করে মহা তৃপ্তিতে দুধ পান করত, কিন্তু উটের বাঁটের দুধ সামান্যও কমত না। হজরত সালেহ (আ.) সতর্ক করে দিলেন যে, এটি আল্লাহর বিশেষ উট, কেউ যেন একে কোনোভাবে বিরক্ত না করে, অন্যথায় কঠিন শাস্তি নেমে আসবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর হে আমার কওম, এটা হচ্ছে আল্লাহর উষ্ট্রী যা তোমাদের জন্য নিদর্শন। অতএব ওকে ছেড়ে দাও যেন আল্লাহর জমিনে চরে খায়, আর ওকে খারাপ উদ্দেশে স্পর্শ কর না, অন্যথায় তোমাদেরকে আকস্মিক শাস্তি এসে পাকড়াও করতে পারে।’ (সুরা হুদ: ৬৪)
ধ্বংসের চূড়ান্ত পরিণতি
এরপরও সামুদ জাতির ঔদ্ধত্য থামল না। একসময় কেদার ও মেসদা নামের দুই দুষ্কৃতকারী উটটিকে হত্যা করার ফন্দি আঁটল। কওমের অনেক শরাবপায়ী তাদের এই কাজে উৎসাহ দিল। উটটি যখন কূপের ধারে পানি পান করতে আসে, তখন কেদার তীর নিক্ষেপ করে তাকে আহত করে। মেসদা পেছন দিক থেকে তরবারি দিয়ে পায়ে আঘাত করে উটটিকে হত্যা করে ফেলল। এই অন্যায় কাজটিকে উপস্থিত জনতা নীরব সম্মতি দিল।
উট হত্যার খবর শুনে হজরত সালেহ (আ.) এসে কওমের লোকদের বললেন, ‘তোমরা এখন আর মাত্র তিনটি দিন দুনিয়াবি আরাম-আয়েশ করে নিতে পার। তোমাদের হায়াত আর মাত্র তিন দিন আছে।’ তিনি ধ্বংসের সুস্পষ্ট পূর্ব-নিদর্শন বর্ণনা করলেন: প্রথম দিন তাদের চেহারা সবুজ, দ্বিতীয় দিন লাল এবং তৃতীয় দিন ঘোর কালো রং ধারণ করবে।
এই নিদর্শনগুলো যখন একে একে প্রকাশ পেল, তখন উট হত্যাকারীরা ভীত হয়ে হজরত সালেহ (আ.)-কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাঁর ঘরে যাত্রা করল। কিন্তু ইতিমধ্যেই তাদের ওপর আল্লাহর গজব এসে পড়ল। আল্লাহর নির্দেশে হজরত জিবরাইল (আ.) এমন এক প্রচণ্ড হুংকার দিলেন, যার বিকট শব্দে সামুদ জাতির সব লোক অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল এবং চিরদিনের জন্য মাটির সঙ্গে বিলীন হয়ে গেল। তাদের কোনো চিহ্নই অবশিষ্ট রইল না। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন, ‘এইতো তাদের ঘরবাড়ি সীমা লঙ্ঘন হেতু যা জনশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে; এতে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নামল: ৫২)
সামুদ জাতির ধ্বংসের এই কাহিনি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ক্ষমতা, সম্পদ বা প্রযুক্তির দম্ভে আল্লাহকে ভুলে গেলে এবং সমাজে জুলুম-অত্যাচার বাড়ালে আল্লাহর চূড়ান্ত শাস্তি অনিবার্য। বর্তমান সমাজে যারা অন্যায় ও দুর্নীতিতে ডুবে আছে, সামুদ জাতির পরিণতি থেকে তাদের শিক্ষা নেওয়া অপরিহার্য।
লেখক: মাওলানা সাইফুল ইসলাম সালেহী, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম ডেস্ক

বর্তমান সমাজে অন্যায়, অপরাধ, অত্যাচার এবং জুলুম মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মানবিকতা, মায়া-মমতা এবং ভালোবাসা যেন আজ বিলুপ্তপ্রায়। মানুষে মানুষে হিংসা, বিদ্বেষ এবং একে অপরের ক্ষতি করার প্রবণতা এখন স্বাভাবিক চিত্রে পরিণত। সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ও সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে যারা বিত্তশালী হচ্ছেন, তারাই সমাজকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সমাজের দুর্বল ও নিরীহ মানুষজন হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার। মানুষ ভুলে গেছে পরকাল, আল্লাহর ভয় এবং জাহান্নামের কঠিন আগুনকে।
যদি মানুষের হৃদয়ে আল্লাহর ভয় থাকত, তবে এসব অন্যায়, অপরাধ ও জুলুম কখনো বাড়ত না। আল্লাহ তাআলা ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় দিয়ে মানবজাতিকে সতর্ক করেছেন, কিন্তু তবুও মানুষ শিক্ষা নিচ্ছে না। ইতিহাসের পাতায় এমন অনেক জাতি আছে, যাদেরকে আল্লাহ তাদের কৃত অন্যায় ও সীমালঙ্ঘনের কারণে ধ্বংস করে দিয়েছেন। মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে সেই সব ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতির বিবরণ এসেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল সামুদ জাতি।
প্রাচুর্য থেকে পাপে নিমজ্জিত সামুদ
একসময় পৃথিবীতে সামুদ জাতি ছিল অত্যন্ত অর্থশালী ও শক্তিশালী। তাদের সুখ-শান্তি বা প্রাচুর্যের কোনো কমতি ছিল না। তারা বড় বড় প্রাসাদ এবং পাহাড় কেটে দৃষ্টিনন্দন দালানকোঠা নির্মাণ করত। শিল্প ও নকশায় তারা ছিল অসামান্য, পাথর দিয়ে তৈরি করত সুন্দর প্রাসাদ। কিন্তু চরম প্রাচুর্য লাভ করে তারা মহান সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে গেল। তারা শুরু করল পাথর পূজা, মূর্তি পূজা ও দেব-দেবীর পূজা। তাদের সমাজে অন্যায়, অপরাধ ও নির্যাতন সীমাহীনভাবে বৃদ্ধি পেল।
আদ জাতি ধ্বংস হওয়ার প্রায় ৫০০ বছর পর, আল্লাহ এই পথভ্রষ্ট সামুদ জাতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে তাদেরই মধ্য থেকে একজন নবী হজরত সালেহ (আ.)-কে মনোনীত করে পাঠালেন। আল্লাহ তাআলা আল-কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘আমি সামুদ সম্প্রদায়ের নিকট তাদের ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর। কিন্তু তারা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে বিতর্কে লিপ্ত হলো।’ (সুরা নামল: ৪৫)
হজরত সালেহ (আ.) সামুদ জাতিকে আল্লাহর প্রতি ইমান আনার জন্য বারবার আহ্বান জানালেও তারা মানতে অস্বীকার করল। অল্প কিছু সংখ্যক লোক ইমান আনলেও বেশির ভাগই তাঁর কথা শুনল না।
অলৌকিক উট ও জাতির চরম ঔদ্ধত্য
বারংবার দাওয়াতের জবাবে সামুদ জাতি ঔদ্ধত্য দেখাল এবং হজরত সালেহ (আ.)-কে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করল। তারা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলল, যদি তিনি সত্য নবী হন, তবে একটি অলৌকিক নিদর্শন (মোজেজা) দেখান। তাদের চাহিদা ছিল: ওই পাহাড় থেকে একটি গর্ভবতী উট বেরিয়ে আসবে, তাৎক্ষণিক বাচ্চা প্রসব করবে এবং রীতিমতো দুধ পান করাবে।
আল্লাহর নির্দেশে হজরত সালেহ (আ.) তাদের কাছ থেকে ইমানের অঙ্গীকার আদায় করলেন এবং আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন। সঙ্গে সঙ্গেই পাহাড়ের ভেতর থেকে এক অতি সুন্দর উট বেরিয়ে এলো এবং একটি বাচ্চা প্রসব করল। এই অলৌকিক দৃশ্য দেখেও সামুদ জাতির অনেকেই তাদের ওয়াদা ভঙ্গ করল এবং ইমান আনল না।
সামুদ জাতির পানি পানের জন্য একটি কূপ ছিল, যেখান থেকে সাতটি গোত্রের সবাই পানি পান করত। অলৌকিক সেই উটটি এক দিন পুরো কূপের পানি পান করে শেষ করে দিত। আবার অন্য দিন সবাই উটটি দোহন করে মহা তৃপ্তিতে দুধ পান করত, কিন্তু উটের বাঁটের দুধ সামান্যও কমত না। হজরত সালেহ (আ.) সতর্ক করে দিলেন যে, এটি আল্লাহর বিশেষ উট, কেউ যেন একে কোনোভাবে বিরক্ত না করে, অন্যথায় কঠিন শাস্তি নেমে আসবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর হে আমার কওম, এটা হচ্ছে আল্লাহর উষ্ট্রী যা তোমাদের জন্য নিদর্শন। অতএব ওকে ছেড়ে দাও যেন আল্লাহর জমিনে চরে খায়, আর ওকে খারাপ উদ্দেশে স্পর্শ কর না, অন্যথায় তোমাদেরকে আকস্মিক শাস্তি এসে পাকড়াও করতে পারে।’ (সুরা হুদ: ৬৪)
ধ্বংসের চূড়ান্ত পরিণতি
এরপরও সামুদ জাতির ঔদ্ধত্য থামল না। একসময় কেদার ও মেসদা নামের দুই দুষ্কৃতকারী উটটিকে হত্যা করার ফন্দি আঁটল। কওমের অনেক শরাবপায়ী তাদের এই কাজে উৎসাহ দিল। উটটি যখন কূপের ধারে পানি পান করতে আসে, তখন কেদার তীর নিক্ষেপ করে তাকে আহত করে। মেসদা পেছন দিক থেকে তরবারি দিয়ে পায়ে আঘাত করে উটটিকে হত্যা করে ফেলল। এই অন্যায় কাজটিকে উপস্থিত জনতা নীরব সম্মতি দিল।
উট হত্যার খবর শুনে হজরত সালেহ (আ.) এসে কওমের লোকদের বললেন, ‘তোমরা এখন আর মাত্র তিনটি দিন দুনিয়াবি আরাম-আয়েশ করে নিতে পার। তোমাদের হায়াত আর মাত্র তিন দিন আছে।’ তিনি ধ্বংসের সুস্পষ্ট পূর্ব-নিদর্শন বর্ণনা করলেন: প্রথম দিন তাদের চেহারা সবুজ, দ্বিতীয় দিন লাল এবং তৃতীয় দিন ঘোর কালো রং ধারণ করবে।
এই নিদর্শনগুলো যখন একে একে প্রকাশ পেল, তখন উট হত্যাকারীরা ভীত হয়ে হজরত সালেহ (আ.)-কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাঁর ঘরে যাত্রা করল। কিন্তু ইতিমধ্যেই তাদের ওপর আল্লাহর গজব এসে পড়ল। আল্লাহর নির্দেশে হজরত জিবরাইল (আ.) এমন এক প্রচণ্ড হুংকার দিলেন, যার বিকট শব্দে সামুদ জাতির সব লোক অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল এবং চিরদিনের জন্য মাটির সঙ্গে বিলীন হয়ে গেল। তাদের কোনো চিহ্নই অবশিষ্ট রইল না। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন, ‘এইতো তাদের ঘরবাড়ি সীমা লঙ্ঘন হেতু যা জনশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে; এতে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নামল: ৫২)
সামুদ জাতির ধ্বংসের এই কাহিনি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ক্ষমতা, সম্পদ বা প্রযুক্তির দম্ভে আল্লাহকে ভুলে গেলে এবং সমাজে জুলুম-অত্যাচার বাড়ালে আল্লাহর চূড়ান্ত শাস্তি অনিবার্য। বর্তমান সমাজে যারা অন্যায় ও দুর্নীতিতে ডুবে আছে, সামুদ জাতির পরিণতি থেকে তাদের শিক্ষা নেওয়া অপরিহার্য।
লেখক: মাওলানা সাইফুল ইসলাম সালেহী, ইসলামবিষয়ক গবেষক

বর্তমান সমাজে অন্যায়, অপরাধ, অত্যাচার এবং জুলুম মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মানবিকতা, মায়া-মমতা এবং ভালোবাসা যেন আজ বিলুপ্তপ্রায়। মানুষে মানুষে হিংসা, বিদ্বেষ এবং একে অপরের ক্ষতি করার প্রবণতা এখন স্বাভাবিক চিত্রে পরিণত। সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ও সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে যারা বিত্তশালী হচ্ছেন, তারাই সমাজকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সমাজের দুর্বল ও নিরীহ মানুষজন হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার। মানুষ ভুলে গেছে পরকাল, আল্লাহর ভয় এবং জাহান্নামের কঠিন আগুনকে।
যদি মানুষের হৃদয়ে আল্লাহর ভয় থাকত, তবে এসব অন্যায়, অপরাধ ও জুলুম কখনো বাড়ত না। আল্লাহ তাআলা ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় দিয়ে মানবজাতিকে সতর্ক করেছেন, কিন্তু তবুও মানুষ শিক্ষা নিচ্ছে না। ইতিহাসের পাতায় এমন অনেক জাতি আছে, যাদেরকে আল্লাহ তাদের কৃত অন্যায় ও সীমালঙ্ঘনের কারণে ধ্বংস করে দিয়েছেন। মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে সেই সব ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতির বিবরণ এসেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল সামুদ জাতি।
প্রাচুর্য থেকে পাপে নিমজ্জিত সামুদ
একসময় পৃথিবীতে সামুদ জাতি ছিল অত্যন্ত অর্থশালী ও শক্তিশালী। তাদের সুখ-শান্তি বা প্রাচুর্যের কোনো কমতি ছিল না। তারা বড় বড় প্রাসাদ এবং পাহাড় কেটে দৃষ্টিনন্দন দালানকোঠা নির্মাণ করত। শিল্প ও নকশায় তারা ছিল অসামান্য, পাথর দিয়ে তৈরি করত সুন্দর প্রাসাদ। কিন্তু চরম প্রাচুর্য লাভ করে তারা মহান সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে গেল। তারা শুরু করল পাথর পূজা, মূর্তি পূজা ও দেব-দেবীর পূজা। তাদের সমাজে অন্যায়, অপরাধ ও নির্যাতন সীমাহীনভাবে বৃদ্ধি পেল।
আদ জাতি ধ্বংস হওয়ার প্রায় ৫০০ বছর পর, আল্লাহ এই পথভ্রষ্ট সামুদ জাতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে তাদেরই মধ্য থেকে একজন নবী হজরত সালেহ (আ.)-কে মনোনীত করে পাঠালেন। আল্লাহ তাআলা আল-কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘আমি সামুদ সম্প্রদায়ের নিকট তাদের ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর। কিন্তু তারা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে বিতর্কে লিপ্ত হলো।’ (সুরা নামল: ৪৫)
হজরত সালেহ (আ.) সামুদ জাতিকে আল্লাহর প্রতি ইমান আনার জন্য বারবার আহ্বান জানালেও তারা মানতে অস্বীকার করল। অল্প কিছু সংখ্যক লোক ইমান আনলেও বেশির ভাগই তাঁর কথা শুনল না।
অলৌকিক উট ও জাতির চরম ঔদ্ধত্য
বারংবার দাওয়াতের জবাবে সামুদ জাতি ঔদ্ধত্য দেখাল এবং হজরত সালেহ (আ.)-কে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করল। তারা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলল, যদি তিনি সত্য নবী হন, তবে একটি অলৌকিক নিদর্শন (মোজেজা) দেখান। তাদের চাহিদা ছিল: ওই পাহাড় থেকে একটি গর্ভবতী উট বেরিয়ে আসবে, তাৎক্ষণিক বাচ্চা প্রসব করবে এবং রীতিমতো দুধ পান করাবে।
আল্লাহর নির্দেশে হজরত সালেহ (আ.) তাদের কাছ থেকে ইমানের অঙ্গীকার আদায় করলেন এবং আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন। সঙ্গে সঙ্গেই পাহাড়ের ভেতর থেকে এক অতি সুন্দর উট বেরিয়ে এলো এবং একটি বাচ্চা প্রসব করল। এই অলৌকিক দৃশ্য দেখেও সামুদ জাতির অনেকেই তাদের ওয়াদা ভঙ্গ করল এবং ইমান আনল না।
সামুদ জাতির পানি পানের জন্য একটি কূপ ছিল, যেখান থেকে সাতটি গোত্রের সবাই পানি পান করত। অলৌকিক সেই উটটি এক দিন পুরো কূপের পানি পান করে শেষ করে দিত। আবার অন্য দিন সবাই উটটি দোহন করে মহা তৃপ্তিতে দুধ পান করত, কিন্তু উটের বাঁটের দুধ সামান্যও কমত না। হজরত সালেহ (আ.) সতর্ক করে দিলেন যে, এটি আল্লাহর বিশেষ উট, কেউ যেন একে কোনোভাবে বিরক্ত না করে, অন্যথায় কঠিন শাস্তি নেমে আসবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর হে আমার কওম, এটা হচ্ছে আল্লাহর উষ্ট্রী যা তোমাদের জন্য নিদর্শন। অতএব ওকে ছেড়ে দাও যেন আল্লাহর জমিনে চরে খায়, আর ওকে খারাপ উদ্দেশে স্পর্শ কর না, অন্যথায় তোমাদেরকে আকস্মিক শাস্তি এসে পাকড়াও করতে পারে।’ (সুরা হুদ: ৬৪)
ধ্বংসের চূড়ান্ত পরিণতি
এরপরও সামুদ জাতির ঔদ্ধত্য থামল না। একসময় কেদার ও মেসদা নামের দুই দুষ্কৃতকারী উটটিকে হত্যা করার ফন্দি আঁটল। কওমের অনেক শরাবপায়ী তাদের এই কাজে উৎসাহ দিল। উটটি যখন কূপের ধারে পানি পান করতে আসে, তখন কেদার তীর নিক্ষেপ করে তাকে আহত করে। মেসদা পেছন দিক থেকে তরবারি দিয়ে পায়ে আঘাত করে উটটিকে হত্যা করে ফেলল। এই অন্যায় কাজটিকে উপস্থিত জনতা নীরব সম্মতি দিল।
উট হত্যার খবর শুনে হজরত সালেহ (আ.) এসে কওমের লোকদের বললেন, ‘তোমরা এখন আর মাত্র তিনটি দিন দুনিয়াবি আরাম-আয়েশ করে নিতে পার। তোমাদের হায়াত আর মাত্র তিন দিন আছে।’ তিনি ধ্বংসের সুস্পষ্ট পূর্ব-নিদর্শন বর্ণনা করলেন: প্রথম দিন তাদের চেহারা সবুজ, দ্বিতীয় দিন লাল এবং তৃতীয় দিন ঘোর কালো রং ধারণ করবে।
এই নিদর্শনগুলো যখন একে একে প্রকাশ পেল, তখন উট হত্যাকারীরা ভীত হয়ে হজরত সালেহ (আ.)-কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাঁর ঘরে যাত্রা করল। কিন্তু ইতিমধ্যেই তাদের ওপর আল্লাহর গজব এসে পড়ল। আল্লাহর নির্দেশে হজরত জিবরাইল (আ.) এমন এক প্রচণ্ড হুংকার দিলেন, যার বিকট শব্দে সামুদ জাতির সব লোক অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল এবং চিরদিনের জন্য মাটির সঙ্গে বিলীন হয়ে গেল। তাদের কোনো চিহ্নই অবশিষ্ট রইল না। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন, ‘এইতো তাদের ঘরবাড়ি সীমা লঙ্ঘন হেতু যা জনশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে; এতে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নামল: ৫২)
সামুদ জাতির ধ্বংসের এই কাহিনি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ক্ষমতা, সম্পদ বা প্রযুক্তির দম্ভে আল্লাহকে ভুলে গেলে এবং সমাজে জুলুম-অত্যাচার বাড়ালে আল্লাহর চূড়ান্ত শাস্তি অনিবার্য। বর্তমান সমাজে যারা অন্যায় ও দুর্নীতিতে ডুবে আছে, সামুদ জাতির পরিণতি থেকে তাদের শিক্ষা নেওয়া অপরিহার্য।
লেখক: মাওলানা সাইফুল ইসলাম সালেহী, ইসলামবিষয়ক গবেষক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

বর্তমান সমাজে অন্যায়, অপরাধ, অত্যাচার এবং জুলুম মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মানবিকতা, মায়া-মমতা এবং ভালোবাসা যেন আজ বিলুপ্তপ্রায়। মানুষে মানুষে হিংসা, বিদ্বেষ এবং একে অপরের ক্ষতি করার প্রবণতা এখন স্বাভাবিক চিত্রে পরিণত। সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ও সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে যারা বিত্তশালী হচ্ছেন, তারাই সমাজকে..
০৬ অক্টোবর ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

বর্তমান সমাজে অন্যায়, অপরাধ, অত্যাচার এবং জুলুম মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মানবিকতা, মায়া-মমতা এবং ভালোবাসা যেন আজ বিলুপ্তপ্রায়। মানুষে মানুষে হিংসা, বিদ্বেষ এবং একে অপরের ক্ষতি করার প্রবণতা এখন স্বাভাবিক চিত্রে পরিণত। সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ও সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে যারা বিত্তশালী হচ্ছেন, তারাই সমাজকে..
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

বর্তমান সমাজে অন্যায়, অপরাধ, অত্যাচার এবং জুলুম মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মানবিকতা, মায়া-মমতা এবং ভালোবাসা যেন আজ বিলুপ্তপ্রায়। মানুষে মানুষে হিংসা, বিদ্বেষ এবং একে অপরের ক্ষতি করার প্রবণতা এখন স্বাভাবিক চিত্রে পরিণত। সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ও সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে যারা বিত্তশালী হচ্ছেন, তারাই সমাজকে..
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

বর্তমান সমাজে অন্যায়, অপরাধ, অত্যাচার এবং জুলুম মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মানবিকতা, মায়া-মমতা এবং ভালোবাসা যেন আজ বিলুপ্তপ্রায়। মানুষে মানুষে হিংসা, বিদ্বেষ এবং একে অপরের ক্ষতি করার প্রবণতা এখন স্বাভাবিক চিত্রে পরিণত। সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ও সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে যারা বিত্তশালী হচ্ছেন, তারাই সমাজকে..
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে