সানা উল্লাহ মুহাম্মাদ কাউসার
ইতিহাসের পাতায় এমন কিছু ঘটনা থাকে, যা কেবল কালের এক ফ্রেম নয়; বরং মানবজাতির বিবেক, আস্থা ও আত্মত্যাগের এক চিরন্তন মাইলফলক হয়ে থাকে। কোরবানির ঘটনাটি তেমনি এক দীপ্তিময় অধ্যায়—যেখানে একজন পিতা তাঁর একমাত্র প্রিয় পুত্রকে আল্লাহর নির্দেশে উৎসর্গ করতে প্রস্তুত হন বিনা দ্বিধায়, বিনা প্রশ্নে, ইমানি প্রেরণায়।
হজরত ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানির জন্য প্রস্তুত হয়ে যে ইমানের উচ্চতর মান তুলে ধরেছিলেন, ঈদুল আজহার মাধ্যমে প্রতিটি মুসলমান সেই আত্মত্যাগ ও আনুগত্যের চেতনায় নিজেকে নতুন করে শাণিত করার সুযোগ পেয়ে থাকেন বারবার।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর এই ঐশী আনুগত্য ও আত্মত্যাগের ঘটনা কেবল ইমানের পরীক্ষা ছিল না; বরং এটি ছিল আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে সবকিছু বিসর্জন দেওয়ার এক মহা প্রেরণা।
তিনি যখন বললেন, ‘হে আমার পুত্র, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে—আমি তোমাকে জবেহ করছি, তোমার মতামত কী?’ (সুরা সাফফাত: ১০২)।
তখন পুত্র ইসমাইল (আ.)-এর জবাব ছিল ইমানদার সন্তানের এক অনুপম দৃষ্টান্ত, ‘হে আমার পিতা, আপনি যা আদিষ্ট হয়েছেন তা-ই করুন—ইনশাআল্লাহ, আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।’ (সুরা সাফফাত: ১০২)
এ যেন বিশ্বাসের শ্রেষ্ঠতম সংলাপ—যেখানে একজন পিতা আল্লাহর নির্দেশে হৃদয়ের প্রিয়তমকে উৎসর্গ করতে চলেছেন, আর পুত্র বলছেন, আমাকে ধৈর্যধারণকারীদের মধ্যে পাবেন। এমন আত্মত্যাগ, এমন আনুগত্য, ইমানের এমন দীপ্তিময় দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া দুষ্কর!
আল্লাহ তাঁদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ঘোষণা করে বললেন, ‘নিশ্চয়ই এটি ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা মাত্র।’ (সুরা সাফফাত: ১০৬)। এরপর কোরবানির প্রতীক হিসেবে আল্লাহ এক মহান পশু পাঠালেন, ‘আর আমরা তাকে এক মহান কোরবানির মাধ্যমে মুক্ত করলাম।’ (সুরা সাফফাত: ১০৭)
এই মহাকাব্যিক মুহূর্তে কেবল পিতা-পুত্র নয়, সমগ্র মানবজাতির জন্য রেখে গেছেন এক অমর বার্তা, ইমান শুধু মুখের কথা নয়, তা পরীক্ষা দেয় আত্মত্যাগে, প্রমাণ হয় কর্মে। ঈদুল আজহা তাই কেবল উৎসব নয়; বরং বিশ্বাসের দীপ্ত প্রতিজ্ঞা, আল্লাহর নির্দেশে হৃদয়ের সবচেয়ে প্রিয় জিনিসকেও উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকার শিক্ষা।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
ইতিহাসের পাতায় এমন কিছু ঘটনা থাকে, যা কেবল কালের এক ফ্রেম নয়; বরং মানবজাতির বিবেক, আস্থা ও আত্মত্যাগের এক চিরন্তন মাইলফলক হয়ে থাকে। কোরবানির ঘটনাটি তেমনি এক দীপ্তিময় অধ্যায়—যেখানে একজন পিতা তাঁর একমাত্র প্রিয় পুত্রকে আল্লাহর নির্দেশে উৎসর্গ করতে প্রস্তুত হন বিনা দ্বিধায়, বিনা প্রশ্নে, ইমানি প্রেরণায়।
হজরত ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানির জন্য প্রস্তুত হয়ে যে ইমানের উচ্চতর মান তুলে ধরেছিলেন, ঈদুল আজহার মাধ্যমে প্রতিটি মুসলমান সেই আত্মত্যাগ ও আনুগত্যের চেতনায় নিজেকে নতুন করে শাণিত করার সুযোগ পেয়ে থাকেন বারবার।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর এই ঐশী আনুগত্য ও আত্মত্যাগের ঘটনা কেবল ইমানের পরীক্ষা ছিল না; বরং এটি ছিল আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে সবকিছু বিসর্জন দেওয়ার এক মহা প্রেরণা।
তিনি যখন বললেন, ‘হে আমার পুত্র, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে—আমি তোমাকে জবেহ করছি, তোমার মতামত কী?’ (সুরা সাফফাত: ১০২)।
তখন পুত্র ইসমাইল (আ.)-এর জবাব ছিল ইমানদার সন্তানের এক অনুপম দৃষ্টান্ত, ‘হে আমার পিতা, আপনি যা আদিষ্ট হয়েছেন তা-ই করুন—ইনশাআল্লাহ, আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।’ (সুরা সাফফাত: ১০২)
এ যেন বিশ্বাসের শ্রেষ্ঠতম সংলাপ—যেখানে একজন পিতা আল্লাহর নির্দেশে হৃদয়ের প্রিয়তমকে উৎসর্গ করতে চলেছেন, আর পুত্র বলছেন, আমাকে ধৈর্যধারণকারীদের মধ্যে পাবেন। এমন আত্মত্যাগ, এমন আনুগত্য, ইমানের এমন দীপ্তিময় দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া দুষ্কর!
আল্লাহ তাঁদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ঘোষণা করে বললেন, ‘নিশ্চয়ই এটি ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা মাত্র।’ (সুরা সাফফাত: ১০৬)। এরপর কোরবানির প্রতীক হিসেবে আল্লাহ এক মহান পশু পাঠালেন, ‘আর আমরা তাকে এক মহান কোরবানির মাধ্যমে মুক্ত করলাম।’ (সুরা সাফফাত: ১০৭)
এই মহাকাব্যিক মুহূর্তে কেবল পিতা-পুত্র নয়, সমগ্র মানবজাতির জন্য রেখে গেছেন এক অমর বার্তা, ইমান শুধু মুখের কথা নয়, তা পরীক্ষা দেয় আত্মত্যাগে, প্রমাণ হয় কর্মে। ঈদুল আজহা তাই কেবল উৎসব নয়; বরং বিশ্বাসের দীপ্ত প্রতিজ্ঞা, আল্লাহর নির্দেশে হৃদয়ের সবচেয়ে প্রিয় জিনিসকেও উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকার শিক্ষা।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৬ ঘণ্টা আগেআত্মীয়তার বন্ধন আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। পারস্পরিক সম্পর্কের এ বন্ধন না থাকলে হয়তো পৃথিবীর রূপ ভিন্ন থাকত। মা তার সন্তানের প্রতি, ভাই তার ভাইয়ের প্রতি, স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার যে রূপ আমরা দেখতে পাই—তা হয়তো থাকত না। কোরআন ও হাদিসে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেজুলুম আরবি শব্দ। জুলুমের অর্থ ব্যাপক এবং অনেক বিস্তৃত। সাধারণত জুলুম অর্থ নির্যাতন, নিপীড়ন। শরিয়তের পরিভাষায় জুলুম বলা হয়—কোনো উপযুক্ত জিনিসকে উপযুক্ত স্থানে না রেখে অনুপযুক্ত স্থানে রাখা। যে জুলুম করে তাকে জালিম বলা হয়। মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে একজন অন্যজনের ওপর জুলুম করে।
২১ ঘণ্টা আগেমা-বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাঁদের আদর-সোহাগে আমাদের জীবনের ভিত্তি রচিত হয়। তাঁদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে গড়ে ওঠে সুন্দর ভবিষ্যৎ। তাঁদের ভরসায় আমরা শক্তি পাই এবং তাঁদের দোয়ায় জীবন সার্থক হয়। ইসলাম তাই মা-বাবাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে এবং তাঁদের প্রতি সদাচরণকে আল্লাহ তাআলার ইবাদতের
১ দিন আগে