ইসলাম ডেস্ক
প্রশ্ন: হাত-পা ভেঙে গেলে জোড়া লাগানোর জন্য প্লাস্টার কাঠ বা জিপসাম দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। অনুরূপভাবে দগ্ধ বা আহত স্থান ব্যান্ডেজ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা হয়, এমন অবস্থায় অজু-গোসল করার সময় করণীয় কী? বিস্তারিত জানতে চাই। মামুনুর রশিদ, কুষ্টিয়া
উত্তর: শরীরের কোনো স্থানে পানি লাগানো ক্ষতিকর হলে অজু-গোসলের সময় তা ধৌত করতে ইসলাম বাধ্য করে না। কারণ ইসলামের নীতি হচ্ছে, ‘আল্লাহ তাআলা সাধ্যের বাইরে কোনো বিধান চাপিয়ে দেন না।’ (সুরা বাকারা: ২৮৬) এমন অবস্থায় ইসলামের বিধান হচ্ছে, গোসলের ক্ষেত্রে পরিমাপ হিসেবে শরীরের অর্ধেকের বেশি অংশ যদি প্লাস্টারকৃত বা ব্যান্ডেজ লাগানো থাকে, তাহলে গোসলের বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম করবে। এর কম হলে সুস্থ অংশটা পানি দিয়ে ধৌত করে বাকি অংশের
ওপর মাসেহ (হালকাভাবে ভেজা হাত দিয়ে মোছা) করবে। আর অজুর ক্ষেত্রে গণনা হিসেবে অজুর অধিকাংশ অঙ্গ প্লাস্টার করা বা ব্যান্ডেজ লাগানো থাকলে তায়াম্মুম করবে। অন্যথায় খোলা অংশ পানি দিয়ে ধুয়ে ব্যান্ডেজ লাগানো অংশে মাসেহ করবে। (আদ-দুররুল মুখতার: ১ / ২৫৭) তবে মাসেহ সহিহ হওয়ার জন্য নিচের শর্তগুলো আবশ্যক।
এক. ব্যান্ডেজ বা প্লাস্টার যেন জখমের স্থান কিংবা চিকিৎসার জন্য যতটুকু প্রয়োজন, তা অতিক্রম না করে। অপ্রয়োজনীয় স্থানে ব্যান্ডেজ লাগানো থাকলে তা খুলে ধুতে হবে। অবশ্য খুলতে গেলে যদি আহত স্থানের ক্ষতি হয়, তাহলে মাসেহ করবে।
দুই. পট্টি ও ব্যান্ডেজ, যা খোলা ও লাগানো সহজ, তার ব্যাপারে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:
ক. যদি তা খোলা সহজ হয় এবং ক্ষতি হওয়া অথবা আরোগ্য লাভ দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা না থাকে, তবে তা খুলে ধৌত করে আবার লাগিয়ে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে মাসেহ যথেষ্ট হবে না।
খ. আর যদি খোলা সহজ না হয় এবং তার নিচের অংশ ধৌত করতে গেলে ক্ষতি বা আরোগ্য লাভ দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে আহত অঙ্গ ধৌত করার সময় আহত অংশে লাগানো প্লাস্টার, ব্যান্ডেজ ও পট্টির ওপর মাসেহ করবে।
পবিত্রতা অর্জনে ইচ্ছুক ব্যক্তি যে অঙ্গের ওপর ব্যান্ডেজ আছে তার আশপাশ ধৌত করবে, তারপর পুরো ব্যান্ডেজ বা পট্টি মাসেহ করবে। যদি ব্যান্ডেজ বা পট্টির কোনো অংশ ধৌত করা জরুরি নয়, এমন অঙ্গ ঢেকে রাখে, তাহলে সে অংশে মাসেহ করার প্রয়োজন নেই। (ফাতাওয়া শামি: ১ / ২৮১; আল হিদায়া: ১ / ৬০)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
প্রশ্ন: হাত-পা ভেঙে গেলে জোড়া লাগানোর জন্য প্লাস্টার কাঠ বা জিপসাম দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। অনুরূপভাবে দগ্ধ বা আহত স্থান ব্যান্ডেজ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা হয়, এমন অবস্থায় অজু-গোসল করার সময় করণীয় কী? বিস্তারিত জানতে চাই। মামুনুর রশিদ, কুষ্টিয়া
উত্তর: শরীরের কোনো স্থানে পানি লাগানো ক্ষতিকর হলে অজু-গোসলের সময় তা ধৌত করতে ইসলাম বাধ্য করে না। কারণ ইসলামের নীতি হচ্ছে, ‘আল্লাহ তাআলা সাধ্যের বাইরে কোনো বিধান চাপিয়ে দেন না।’ (সুরা বাকারা: ২৮৬) এমন অবস্থায় ইসলামের বিধান হচ্ছে, গোসলের ক্ষেত্রে পরিমাপ হিসেবে শরীরের অর্ধেকের বেশি অংশ যদি প্লাস্টারকৃত বা ব্যান্ডেজ লাগানো থাকে, তাহলে গোসলের বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম করবে। এর কম হলে সুস্থ অংশটা পানি দিয়ে ধৌত করে বাকি অংশের
ওপর মাসেহ (হালকাভাবে ভেজা হাত দিয়ে মোছা) করবে। আর অজুর ক্ষেত্রে গণনা হিসেবে অজুর অধিকাংশ অঙ্গ প্লাস্টার করা বা ব্যান্ডেজ লাগানো থাকলে তায়াম্মুম করবে। অন্যথায় খোলা অংশ পানি দিয়ে ধুয়ে ব্যান্ডেজ লাগানো অংশে মাসেহ করবে। (আদ-দুররুল মুখতার: ১ / ২৫৭) তবে মাসেহ সহিহ হওয়ার জন্য নিচের শর্তগুলো আবশ্যক।
এক. ব্যান্ডেজ বা প্লাস্টার যেন জখমের স্থান কিংবা চিকিৎসার জন্য যতটুকু প্রয়োজন, তা অতিক্রম না করে। অপ্রয়োজনীয় স্থানে ব্যান্ডেজ লাগানো থাকলে তা খুলে ধুতে হবে। অবশ্য খুলতে গেলে যদি আহত স্থানের ক্ষতি হয়, তাহলে মাসেহ করবে।
দুই. পট্টি ও ব্যান্ডেজ, যা খোলা ও লাগানো সহজ, তার ব্যাপারে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:
ক. যদি তা খোলা সহজ হয় এবং ক্ষতি হওয়া অথবা আরোগ্য লাভ দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা না থাকে, তবে তা খুলে ধৌত করে আবার লাগিয়ে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে মাসেহ যথেষ্ট হবে না।
খ. আর যদি খোলা সহজ না হয় এবং তার নিচের অংশ ধৌত করতে গেলে ক্ষতি বা আরোগ্য লাভ দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে আহত অঙ্গ ধৌত করার সময় আহত অংশে লাগানো প্লাস্টার, ব্যান্ডেজ ও পট্টির ওপর মাসেহ করবে।
পবিত্রতা অর্জনে ইচ্ছুক ব্যক্তি যে অঙ্গের ওপর ব্যান্ডেজ আছে তার আশপাশ ধৌত করবে, তারপর পুরো ব্যান্ডেজ বা পট্টি মাসেহ করবে। যদি ব্যান্ডেজ বা পট্টির কোনো অংশ ধৌত করা জরুরি নয়, এমন অঙ্গ ঢেকে রাখে, তাহলে সে অংশে মাসেহ করার প্রয়োজন নেই। (ফাতাওয়া শামি: ১ / ২৮১; আল হিদায়া: ১ / ৬০)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
জুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১১ ঘণ্টা আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
১১ ঘণ্টা আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
১৪ ঘণ্টা আগেনবীজি (সা.) সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর দয়া ও ভালোবাসা শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা পশুপাখিসহ সব প্রাণীর প্রতি প্রসারিত হয়েছিল। তবে বিড়ালের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিড়ালের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা ইসলামে প্রাণীর অধিকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে