ইসলাম ডেস্ক
জিলহজ মাসে মহান আল্লাহর মহিমা ঘোষণার জন্য এক বিশেষ জিকির করার কথা কোরআন-হাদিসে এসেছে। সেই জিকিরকে শরিয়তের পরিভাষায় বলা হয়, তাকবিরে তাশরিক।
তাকবিরে তাশরিক কী?
তাকবিরে তাশরিক হলো, ‘আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ অর্থ: ‘আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য।’
তাকবিরে তাশরিকের গুরুত্ব
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যেন তারা নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে।’ (সুরা হজ: ২৮)। বিখ্যাত সাহাবি রইসুল মুফাস্সিরিন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, এখানে নির্দিষ্ট দিন বলতে ‘আইয়ামে তাশরিক’ ও ‘আল্লাহর স্মরণ’ বলতে তাকবিরে তাশরিক বোঝানো হয়েছে। (সহিহ্ বুখারি)
তাশরিকের দিনগুলোতে প্রতি ফরজ নামাজের পর পুরুষদের ওপর উচ্চ স্বরে একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। আর নারীরা নিচু স্বরে পড়বেন, যাতে নিজে শোনেন। (ফাতাওয়া শামি: ২ / ১৭৮)
তাকবিরে তাশরিকের বিধান
জামাতে নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে ইমাম সাহেব তাকবির বলতে ভুলে গেলে ইমামের জন্য অপেক্ষা না করে মুক্তাদিদের তাকবির বলা উচিত। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১ / ১৫২)। প্রতি ফরজ নামাজের সালামের পরপরই কোনো কথাবার্তা বা নামাজ পরিপন্থী কোনো কাজ করার আগেই তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে। (রদ্দুল মুহতার ২ / ১৮০)। নামাজের পর তাকবির বলতে ভুলে গেলে—পুরুষেরা মসজিদ থেকে বের হওয়ার আগে এবং নারীরা নামাজের স্থান ত্যাগ করার আগে তা মনে পড়লে তাকবির আদায় করে নিতে হবে। আর যদি মসজিদ বা নামাজের স্থান থেকে বের হয়ে যায়, তাহলে এই ওয়াজিব ছুটে যাবে। এই ওয়াজিবের কোনো কাজা নেই এবং ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার কারণে ওই ব্যক্তি গুনাহগার হবেন। (মাবসুত সারাখসি ২ / ৪৫)
কোনো ব্যক্তির যদি জামায়াতে নামাজ আদায়কালে প্রথম দিকে এক বা একাধিক রাকাত ছুটে যায়, তাহলে ইমাম সাহেব সালাম ফেরানোর পর ওই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নিজের নামাজ আদায় করার পর তাকবিরে তাশরিক বলবেন। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১ / ১৫২)
তাকবিরে তাশরিকের ফজিলত
তাকবিরে তাশরিক অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘(আইয়ামে তাশরিকের) এই দিনগুলোতে তাকবিরে তাশরিকের আমলের চেয়ে অন্য কোনো দিনের আমল উত্তম নয়।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর পথে লড়াইও কি (এর চেয়ে উত্তম) নয়? নবীজি (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াইও নয়। তবে সে ব্যক্তির কথা ভিন্ন, যে নিজের জানমালের ঝুঁকি নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় লড়াইয়ে যায় এবং কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না। (সহিহ্ বুখারি: ৯৬৯)
তাকবিরে তাশরিক কখন পড়বেন
ফরজ নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা হোক বা একাকী, ওয়াক্তের মধ্যে পড়া হোক বা কাজা, নামাজি ব্যক্তি মুকিম হোক বা মুসাফির, শহরের বাসিন্দা হোক বা গ্রামের, নারী হোক বা পুরুষ—সবার ওপর ফরজ নামাজের পর একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। (দুররে মুখতার: ২ / ১৮০)
৯ জিলহজ ফজর থেকে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক বলা আবশ্যক। এমনকি ৯ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত কোনো নামাজ কাজা হয়ে গেলে—এ কাজা ওই দিনগুলোতে আদায় করলে সে কাজা নামাজের পরও তাকবিরে তাশরিক পড়বে। (ফাতাওয়া শামি: ২ / ১৭৮)
তাকবিরে তাশরিক কতবার পড়তে হয়
তাকবিরে তাশরিক একবার পড়া ওয়াজিব। তিনবার বলার কোনো ভিত্তি নেই। সুন্নত মনে করে তিনবার পড়লে মাকরুহ হবে। (ফাতাওয়া নাওয়াজেল: ১৪ / ৫৯৪)
জিলহজ মাসে মহান আল্লাহর মহিমা ঘোষণার জন্য এক বিশেষ জিকির করার কথা কোরআন-হাদিসে এসেছে। সেই জিকিরকে শরিয়তের পরিভাষায় বলা হয়, তাকবিরে তাশরিক।
তাকবিরে তাশরিক কী?
তাকবিরে তাশরিক হলো, ‘আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ অর্থ: ‘আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য।’
তাকবিরে তাশরিকের গুরুত্ব
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যেন তারা নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে।’ (সুরা হজ: ২৮)। বিখ্যাত সাহাবি রইসুল মুফাস্সিরিন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, এখানে নির্দিষ্ট দিন বলতে ‘আইয়ামে তাশরিক’ ও ‘আল্লাহর স্মরণ’ বলতে তাকবিরে তাশরিক বোঝানো হয়েছে। (সহিহ্ বুখারি)
তাশরিকের দিনগুলোতে প্রতি ফরজ নামাজের পর পুরুষদের ওপর উচ্চ স্বরে একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। আর নারীরা নিচু স্বরে পড়বেন, যাতে নিজে শোনেন। (ফাতাওয়া শামি: ২ / ১৭৮)
তাকবিরে তাশরিকের বিধান
জামাতে নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে ইমাম সাহেব তাকবির বলতে ভুলে গেলে ইমামের জন্য অপেক্ষা না করে মুক্তাদিদের তাকবির বলা উচিত। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১ / ১৫২)। প্রতি ফরজ নামাজের সালামের পরপরই কোনো কথাবার্তা বা নামাজ পরিপন্থী কোনো কাজ করার আগেই তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে। (রদ্দুল মুহতার ২ / ১৮০)। নামাজের পর তাকবির বলতে ভুলে গেলে—পুরুষেরা মসজিদ থেকে বের হওয়ার আগে এবং নারীরা নামাজের স্থান ত্যাগ করার আগে তা মনে পড়লে তাকবির আদায় করে নিতে হবে। আর যদি মসজিদ বা নামাজের স্থান থেকে বের হয়ে যায়, তাহলে এই ওয়াজিব ছুটে যাবে। এই ওয়াজিবের কোনো কাজা নেই এবং ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার কারণে ওই ব্যক্তি গুনাহগার হবেন। (মাবসুত সারাখসি ২ / ৪৫)
কোনো ব্যক্তির যদি জামায়াতে নামাজ আদায়কালে প্রথম দিকে এক বা একাধিক রাকাত ছুটে যায়, তাহলে ইমাম সাহেব সালাম ফেরানোর পর ওই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নিজের নামাজ আদায় করার পর তাকবিরে তাশরিক বলবেন। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১ / ১৫২)
তাকবিরে তাশরিকের ফজিলত
তাকবিরে তাশরিক অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘(আইয়ামে তাশরিকের) এই দিনগুলোতে তাকবিরে তাশরিকের আমলের চেয়ে অন্য কোনো দিনের আমল উত্তম নয়।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর পথে লড়াইও কি (এর চেয়ে উত্তম) নয়? নবীজি (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াইও নয়। তবে সে ব্যক্তির কথা ভিন্ন, যে নিজের জানমালের ঝুঁকি নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় লড়াইয়ে যায় এবং কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না। (সহিহ্ বুখারি: ৯৬৯)
তাকবিরে তাশরিক কখন পড়বেন
ফরজ নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা হোক বা একাকী, ওয়াক্তের মধ্যে পড়া হোক বা কাজা, নামাজি ব্যক্তি মুকিম হোক বা মুসাফির, শহরের বাসিন্দা হোক বা গ্রামের, নারী হোক বা পুরুষ—সবার ওপর ফরজ নামাজের পর একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। (দুররে মুখতার: ২ / ১৮০)
৯ জিলহজ ফজর থেকে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক বলা আবশ্যক। এমনকি ৯ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত কোনো নামাজ কাজা হয়ে গেলে—এ কাজা ওই দিনগুলোতে আদায় করলে সে কাজা নামাজের পরও তাকবিরে তাশরিক পড়বে। (ফাতাওয়া শামি: ২ / ১৭৮)
তাকবিরে তাশরিক কতবার পড়তে হয়
তাকবিরে তাশরিক একবার পড়া ওয়াজিব। তিনবার বলার কোনো ভিত্তি নেই। সুন্নত মনে করে তিনবার পড়লে মাকরুহ হবে। (ফাতাওয়া নাওয়াজেল: ১৪ / ৫৯৪)
কোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি সম্মান একটি মৌলিক মানবিক গুণ, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। প্রত্যেক মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এবং একে অপরকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম, বর্ণ, জাতি কিংবা পেশা ভেদে কাউকে ছোট করা মানবতার পরিপন্থী। সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক...
২ দিন আগেসপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ এই দিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ—এর অন্যতম কারণ জুমার নামাজ। জুমার নামাজ আদায় করলেই কেবল এই দিনের বরকত, ফজিলত লাভের আশা করা যায়।
২ দিন আগেএক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২ দিন আগে