মুফতি আবু দারদা
সামর্থ্য থাকলে একাই একটি বড় পশু কোরবানি দেওয়া যায়। তবে একটি গরু, মহিষ ও উটে সর্বোচ্চ সাতজন পর্যন্ত অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার সময় বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। যাঁর সঙ্গে অংশীদারত্ব স্থাপন করবেন, তাঁর সম্পর্কে আগেই যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে।
অংশীদারি কোরবানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অংশীদার সবার নিয়ত এক আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি কি না, তা যাচাই করা। তাঁদের মধ্যে কোনো একজনেরও যদি নিয়তে গলদ থাকে, যেমন—কেবল মাংস খাওয়ার জন্য যদি কোরবানি দিয়ে থাকেন, তবে কারও কোরবানিই কবুল হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪ / ২০৮)
অংশীদারদের আয়-রোজগার হালাল কি না, তা দেখাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হারাম টাকায় কোরবানি করলে তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, আল্লাহ তাআলা পবিত্র, তিনি হালাল ও পবিত্র বস্তু ছাড়া অন্য কোনো কিছু গ্রহণ করেন না।’ (মুসলিম: ২২১৫)
অংশদারি কোরবানির ক্ষেত্রে কোরবানির পশুর মাংস প্রত্যেককে নিজ ভাগ অনুযায়ী সমানভাবে বণ্টন করে দিতে হবে। কমবেশি হলে অংশীদারদের কারও কোরবানি শুদ্ধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪ / ২০৭)
উট, গরু, মহিষ সাত ভাগে এবং সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কোরবানি করা জায়েজ। (মুসলিম: ১৩১৮; বাদায়েউস সানায়ে: ৪/ ২০৭)
কোরবানি করার জন্য উটের ক্ষেত্রে শর্ত হলো, বয়স পাঁচ বছর হতে হবে। গরু ও মহিষের ক্ষেত্রে বয়স দুই বছর হতে হবে। (মুআত্তা মালেক: ৭৫৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
সামর্থ্য থাকলে একাই একটি বড় পশু কোরবানি দেওয়া যায়। তবে একটি গরু, মহিষ ও উটে সর্বোচ্চ সাতজন পর্যন্ত অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার সময় বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। যাঁর সঙ্গে অংশীদারত্ব স্থাপন করবেন, তাঁর সম্পর্কে আগেই যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে।
অংশীদারি কোরবানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অংশীদার সবার নিয়ত এক আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি কি না, তা যাচাই করা। তাঁদের মধ্যে কোনো একজনেরও যদি নিয়তে গলদ থাকে, যেমন—কেবল মাংস খাওয়ার জন্য যদি কোরবানি দিয়ে থাকেন, তবে কারও কোরবানিই কবুল হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪ / ২০৮)
অংশীদারদের আয়-রোজগার হালাল কি না, তা দেখাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হারাম টাকায় কোরবানি করলে তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, আল্লাহ তাআলা পবিত্র, তিনি হালাল ও পবিত্র বস্তু ছাড়া অন্য কোনো কিছু গ্রহণ করেন না।’ (মুসলিম: ২২১৫)
অংশদারি কোরবানির ক্ষেত্রে কোরবানির পশুর মাংস প্রত্যেককে নিজ ভাগ অনুযায়ী সমানভাবে বণ্টন করে দিতে হবে। কমবেশি হলে অংশীদারদের কারও কোরবানি শুদ্ধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪ / ২০৭)
উট, গরু, মহিষ সাত ভাগে এবং সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কোরবানি করা জায়েজ। (মুসলিম: ১৩১৮; বাদায়েউস সানায়ে: ৪/ ২০৭)
কোরবানি করার জন্য উটের ক্ষেত্রে শর্ত হলো, বয়স পাঁচ বছর হতে হবে। গরু ও মহিষের ক্ষেত্রে বয়স দুই বছর হতে হবে। (মুআত্তা মালেক: ৭৫৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
হালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
১ দিন আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
১ দিন আগে