মুফতি আইয়ুব নাদীম
মানুষ তার ভালো কাজের যেমন প্রতিদান পায়, ঠিক তেমনি গুনাহ ও মন্দ কাজের জন্য শাস্তি পায়। কুপ্রবৃত্তির তাড়নায় মানুষ যেসব গুনাহে জড়িয়ে থাকে, তার মধ্যে অন্যতম হলো রিয়া অর্থাৎ লোকদেখানো আমল। কোরআন-হাদিসে লোকদেখানো আমলকারীর ব্যাপারে চারটি শাস্তির কথা জানা যায়—
এক. আল্লাহর নজর থেকে পড়ে যাওয়া: যারা মানুষের দেখানোর জন্য আমল করে, তারা মানুষের কাছে বড় হলেও আল্লাহর নজর থেকে পড়ে যায়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, আল্লাহ যাকে লাঞ্ছিত করেন, তার কোনো সম্মানদাতা নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ করেন, যা তিনি চান।’ (সুরা হজ: ১৮)
দুই. আল্লাহর দরবারে সিজদাবঞ্চিত হওয়া: কিয়ামতের দিন যখন আল্লাহ তাআলা তাঁর নূর প্রকাশ করবেন, তখন সমস্ত মাখলুক সিজদায় লুটে পড়বে। ইমানদারেরা সেদিন সিজদা করবে। তবে কাফির, মুশরিক, মুনাফিক এবং রিয়াকারী সিজদা করতে পারবে না। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মানুষের দেখানোর জন্য সিজদা করত, কিয়ামতের ময়দানে তার কোমর একেবারে সোজা হয়ে যাবে। সে সিজদা করতে সক্ষম হবে না। আল্লাহ তাআলা তাকে সিজদার সুযোগ দেবেন না। (সহিহ্ মুসলিম: ২৬৯)
তিন. রিয়াকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর জন্য এবং তাদের মাঝে প্রসিদ্ধ লাভের জন্য বয়ান করে, আল্লাহ তাআলা তাকে কিয়ামতের দিন রিয়াকারী দলের অন্তর্ভুক্ত করে দেবেন।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৫৪৯৩)
চার. কিয়ামতের দিন অপমানিত হবে: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি তোমাদের ওপর যে জিনিস বেশি ভয় করি, তা হলো ছোট শিরক। সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, ছোট শিরক কী? তিনি উত্তর দিলেন, রিয়া। আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন যখন মানুষকে তাদের আমলের বিনিময় দেবেন, তখন রিয়াকারীকে বলবেন, যাও, দুনিয়াতে যাদের তোমরা তোমাদের আমল দেখাতে, দেখো তাদের নিকট কোনো সওয়াব পাও কি না! (মুসনাদে আহমদ: ২৩৬৮১)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলুম মাদ্রাসা, মধুপুর, টাঙ্গাইল
মানুষ তার ভালো কাজের যেমন প্রতিদান পায়, ঠিক তেমনি গুনাহ ও মন্দ কাজের জন্য শাস্তি পায়। কুপ্রবৃত্তির তাড়নায় মানুষ যেসব গুনাহে জড়িয়ে থাকে, তার মধ্যে অন্যতম হলো রিয়া অর্থাৎ লোকদেখানো আমল। কোরআন-হাদিসে লোকদেখানো আমলকারীর ব্যাপারে চারটি শাস্তির কথা জানা যায়—
এক. আল্লাহর নজর থেকে পড়ে যাওয়া: যারা মানুষের দেখানোর জন্য আমল করে, তারা মানুষের কাছে বড় হলেও আল্লাহর নজর থেকে পড়ে যায়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, আল্লাহ যাকে লাঞ্ছিত করেন, তার কোনো সম্মানদাতা নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ করেন, যা তিনি চান।’ (সুরা হজ: ১৮)
দুই. আল্লাহর দরবারে সিজদাবঞ্চিত হওয়া: কিয়ামতের দিন যখন আল্লাহ তাআলা তাঁর নূর প্রকাশ করবেন, তখন সমস্ত মাখলুক সিজদায় লুটে পড়বে। ইমানদারেরা সেদিন সিজদা করবে। তবে কাফির, মুশরিক, মুনাফিক এবং রিয়াকারী সিজদা করতে পারবে না। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মানুষের দেখানোর জন্য সিজদা করত, কিয়ামতের ময়দানে তার কোমর একেবারে সোজা হয়ে যাবে। সে সিজদা করতে সক্ষম হবে না। আল্লাহ তাআলা তাকে সিজদার সুযোগ দেবেন না। (সহিহ্ মুসলিম: ২৬৯)
তিন. রিয়াকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর জন্য এবং তাদের মাঝে প্রসিদ্ধ লাভের জন্য বয়ান করে, আল্লাহ তাআলা তাকে কিয়ামতের দিন রিয়াকারী দলের অন্তর্ভুক্ত করে দেবেন।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৫৪৯৩)
চার. কিয়ামতের দিন অপমানিত হবে: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি তোমাদের ওপর যে জিনিস বেশি ভয় করি, তা হলো ছোট শিরক। সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, ছোট শিরক কী? তিনি উত্তর দিলেন, রিয়া। আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন যখন মানুষকে তাদের আমলের বিনিময় দেবেন, তখন রিয়াকারীকে বলবেন, যাও, দুনিয়াতে যাদের তোমরা তোমাদের আমল দেখাতে, দেখো তাদের নিকট কোনো সওয়াব পাও কি না! (মুসনাদে আহমদ: ২৩৬৮১)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলুম মাদ্রাসা, মধুপুর, টাঙ্গাইল
মানুষের জীবনের প্রতিটি কাজের মধ্যে মহানবী (সা.)-এর উত্তম আদর্শ বিদ্যমান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি অধ্যায় তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে সাজানো উচিত। খাবার গ্রহণ জীবনের একটি অপরিহার্য কাজ। যদি এ খাবার গ্রহণও মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী করা হয়, তাহলে ক্ষুধার নিবারণ হওয়ার পাশাপাশি এর মাধ্যমে...
১ দিন আগেজুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
২ দিন আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
২ দিন আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
২ দিন আগে