ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
পার্থিব জীবনে সবাই ভুলভ্রান্তির শিকার হয়। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ নানা ধরনের গুনাহও করে ফেলে। এ থেকে নিষ্কৃতি লাভের জন্য আল্লাহ তাআলা তওবার দরজা খোলা রেখেছেন।
কেউ গোনাহ করে ফেললে তাই অনতিবিলম্বে তওবা করা উচিত। পাশাপাশি অধিকহারে নেক কাজেও মনোনিবেশ করতে হবে। কারণ নেক কাজের মাধ্যমে গোনাহ মাফ হওয়ার বিষয়টি কোরআন ও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় পুণ্যরাজি পাপরাশি মিটিয়ে দেয়। যারা উপদেশ গ্রহণ করে, এটা তাদের জন্য এক উপদেশ।’ (সুরা হুদ: ১১৪)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) ইয়েমেনের দিকে যাত্রা শুরু করার সময় রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে নিবেদন করেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে কিছু অসিয়ত করুন।’ তিনি বললেন, ‘যদি তোমার দ্বারা কোনো পাপকাজ সংঘটিত হয়ে যায়, তবে নেক কাজ করে নিয়ো এবং তোমার চরিত্রকে পবিত্র রেখো।’ (সহিহুত তারগিব: ৩১৫৮)
হজরত আবু জর গিফারি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন—‘তুমি যেখানেই থাকো, আল্লাহকে ভয় করো। মন্দ কাজের পরপরই ভালো কাজ করে নিয়ো, এতে মন্দ দূরীভূত হয়ে যাবে।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৮৭)
হজরত হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘তোমরা পূর্ববর্তী পাপ থেকে মুক্তি পেতে নেক কাজের সহায়তা নাও। কেননা পূর্ববর্তী পাপ মোচনে এর চেয়ে কার্যকর আর কিছুই পাবে না।’ (তফসিরে ইবনে আবি হাতেম: ৮ / ২৭৯)
নেক কাজের দ্বারা পাপরাশি তখনই মাফ হবে, যখন তা সগিরা গুনাহ হবে। যদি কবিরা গুনাহ হয়, তাহলে অবশ্যই এর জন্য তওবা করতে হবে। আর অপরাধটা যদি কোনো মানুষের অধিকার সম্পর্কিত হয়, তাহলে প্রথমে ওই ব্যক্তি থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। তারপর আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। অন্যথায় বান্দার অধিকার সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় ক্ষমা করা হবে না। আল্লাহ তাআলা আমাদের গুনাহমুক্ত জীবন দান করুন।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।
পার্থিব জীবনে সবাই ভুলভ্রান্তির শিকার হয়। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ নানা ধরনের গুনাহও করে ফেলে। এ থেকে নিষ্কৃতি লাভের জন্য আল্লাহ তাআলা তওবার দরজা খোলা রেখেছেন।
কেউ গোনাহ করে ফেললে তাই অনতিবিলম্বে তওবা করা উচিত। পাশাপাশি অধিকহারে নেক কাজেও মনোনিবেশ করতে হবে। কারণ নেক কাজের মাধ্যমে গোনাহ মাফ হওয়ার বিষয়টি কোরআন ও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় পুণ্যরাজি পাপরাশি মিটিয়ে দেয়। যারা উপদেশ গ্রহণ করে, এটা তাদের জন্য এক উপদেশ।’ (সুরা হুদ: ১১৪)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) ইয়েমেনের দিকে যাত্রা শুরু করার সময় রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে নিবেদন করেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে কিছু অসিয়ত করুন।’ তিনি বললেন, ‘যদি তোমার দ্বারা কোনো পাপকাজ সংঘটিত হয়ে যায়, তবে নেক কাজ করে নিয়ো এবং তোমার চরিত্রকে পবিত্র রেখো।’ (সহিহুত তারগিব: ৩১৫৮)
হজরত আবু জর গিফারি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন—‘তুমি যেখানেই থাকো, আল্লাহকে ভয় করো। মন্দ কাজের পরপরই ভালো কাজ করে নিয়ো, এতে মন্দ দূরীভূত হয়ে যাবে।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৮৭)
হজরত হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘তোমরা পূর্ববর্তী পাপ থেকে মুক্তি পেতে নেক কাজের সহায়তা নাও। কেননা পূর্ববর্তী পাপ মোচনে এর চেয়ে কার্যকর আর কিছুই পাবে না।’ (তফসিরে ইবনে আবি হাতেম: ৮ / ২৭৯)
নেক কাজের দ্বারা পাপরাশি তখনই মাফ হবে, যখন তা সগিরা গুনাহ হবে। যদি কবিরা গুনাহ হয়, তাহলে অবশ্যই এর জন্য তওবা করতে হবে। আর অপরাধটা যদি কোনো মানুষের অধিকার সম্পর্কিত হয়, তাহলে প্রথমে ওই ব্যক্তি থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। তারপর আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। অন্যথায় বান্দার অধিকার সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় ক্ষমা করা হবে না। আল্লাহ তাআলা আমাদের গুনাহমুক্ত জীবন দান করুন।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।
সাহাবায়ে কেরাম ছিলেন উম্মতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও উত্তম মানুষ। নবীজি (সা.)-এর প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসা ছিল, যার কারণে তাঁরা তাঁর প্রতিটি কথা ও কাজ অত্যন্ত যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করেছেন। এমনকি তিনি কোন কাজ কোন হাতে এবং কোন দিক থেকে শুরু করতেন, তাও তাঁরা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দার কল্যাণের জন্য অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ হলো নামাজ, যার মধ্যে রয়েছে বান্দার মুক্তি ও কল্যাণ। আল্লাহ তাআলা মুমিনদের জন্য প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন, যার মাধ্যমে মুমিন ব্যক্তি তাঁর রবের নৈকট্য অর্জন করতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগেইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত হলো রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
১৩ ঘণ্টা আগেলজ্জা বা হায়া ইসলামের একটি মৌলিক গুণ, যা মুমিনের চরিত্রকে সুশোভিত করে। এর কারণে মানুষের মধ্য থেকে কুটিলতা ও পাপ দূর হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা নিজেও এ গুণে গুণান্বিত, তাই তিনি লজ্জাশীল বান্দাকে পছন্দ করেন। এটি কেবল বাহ্যিক শালীনতা নয়, বরং অন্তরের পবিত্রতা ও আল্লাহভীতির প্রকাশ।
১ দিন আগে