মাওলানা ইমরান হোসাইন
মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর ইবাদত করার জন্যই মানুষ ও জিন জাতিকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি জিন ও মানুষকে কেবল এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদত করবে।’ (সুরা জারিয়াত: ৫৬) মানুষ দুই ধরনের ইবাদত করে থাকে—ফরজ ও নফল। ফরজ আমল, যা পালন করা অপরিহার্য; শরিয়ত অনুমোদিত অপারগতা ছাড়া ত্যাগ করলে আল্লাহর নাফরমানি বলে গণ্য হবে এবং শাস্তি পেতে হবে। আর নফল আমল, যা পালন করা আবশ্যক নয়। তবে কিছু নফল সুন্নতে মুআক্কাদা, তথা সেগুলো পালনে সবিশেষ তাগিদ রয়েছে; ছাড়লে গুনাহ হবে। আর কিছু নফল সুন্নতে জায়েদা তথা আদায় করলে সওয়াব পাওয়া যায়, ছেড়ে দিলে গুনাহ হয় না।
কেয়ামতের দিন ফরজ ইবাদতের হিসাব দিতে গিয়ে যখন ভয়াবহ অবস্থা হবে, তখন এই নফল ইবাদতগুলোই কাজে আসবে। তাই নফল ইবাদতে অবহেলা করতে নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) এইরশাদ করেন, ‘কেয়ামতের দিন আমলসমূহের মধ্যে প্রথম নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মহান রব বান্দার নামাজ সম্পর্কে জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করবেন—দেখো তো সে তা পূর্ণরূপে আদায় করেছে, না তাতে কোনো ত্রুটি আছে? এরপর বান্দার নামাজ পরিপূর্ণ হলে তা তেমনই লেখা হবে। পক্ষান্তরে তাতে কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি দেখা গেলে তিনি ফেরেশতাদের বলবেন—দেখো তো আমার বান্দার কোনো নফল নামাজ আছে কি না। যদি থাকে তবে তিনি বলবেন—তোমরা তার নফল নামাজ দিয়ে ফরজ নামাজের ত্রুটি দূর করো। এরপর এভাবে সব ফরজ আমলের ত্রুটি নফল দিয়ে দূর করা হবে।’ (আবু দাউদ: ৮৬৪)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর ইবাদত করার জন্যই মানুষ ও জিন জাতিকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি জিন ও মানুষকে কেবল এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদত করবে।’ (সুরা জারিয়াত: ৫৬) মানুষ দুই ধরনের ইবাদত করে থাকে—ফরজ ও নফল। ফরজ আমল, যা পালন করা অপরিহার্য; শরিয়ত অনুমোদিত অপারগতা ছাড়া ত্যাগ করলে আল্লাহর নাফরমানি বলে গণ্য হবে এবং শাস্তি পেতে হবে। আর নফল আমল, যা পালন করা আবশ্যক নয়। তবে কিছু নফল সুন্নতে মুআক্কাদা, তথা সেগুলো পালনে সবিশেষ তাগিদ রয়েছে; ছাড়লে গুনাহ হবে। আর কিছু নফল সুন্নতে জায়েদা তথা আদায় করলে সওয়াব পাওয়া যায়, ছেড়ে দিলে গুনাহ হয় না।
কেয়ামতের দিন ফরজ ইবাদতের হিসাব দিতে গিয়ে যখন ভয়াবহ অবস্থা হবে, তখন এই নফল ইবাদতগুলোই কাজে আসবে। তাই নফল ইবাদতে অবহেলা করতে নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) এইরশাদ করেন, ‘কেয়ামতের দিন আমলসমূহের মধ্যে প্রথম নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মহান রব বান্দার নামাজ সম্পর্কে জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করবেন—দেখো তো সে তা পূর্ণরূপে আদায় করেছে, না তাতে কোনো ত্রুটি আছে? এরপর বান্দার নামাজ পরিপূর্ণ হলে তা তেমনই লেখা হবে। পক্ষান্তরে তাতে কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি দেখা গেলে তিনি ফেরেশতাদের বলবেন—দেখো তো আমার বান্দার কোনো নফল নামাজ আছে কি না। যদি থাকে তবে তিনি বলবেন—তোমরা তার নফল নামাজ দিয়ে ফরজ নামাজের ত্রুটি দূর করো। এরপর এভাবে সব ফরজ আমলের ত্রুটি নফল দিয়ে দূর করা হবে।’ (আবু দাউদ: ৮৬৪)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
শান্তি, শৃঙ্খলা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূলমন্ত্র হলো পরামর্শ। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্র পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে পরামর্শভিত্তিক কাজের গুরুত্ব অপরিসীম। পরামর্শ করে কাজ করলে যেমন মানসিক তৃপ্তি আসে, তেমনি তাতে আল্লাহর রহমতও বর্ষিত হয়। ইসলামে পরামর্শকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.)
৪ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের ৬২ তম সুরা, সুরা জুমুআ। এটি মাদানি সুরা, যা জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে কেন্দ্র করে নাজিল হয়েছে। এই সুরার মূল বার্তা হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে ইমানদারদের পরিশুদ্ধ জীবন লাভ এবং ইহুদিদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।
১ দিন আগেজনসম্পদকে আমানত হিসেবে দেখা, এর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর অপব্যবহার থেকে বিরত থাকা ইমানের অপরিহার্য অংশ। এটি একজন মুমিনের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্যের পরিচায়ক। এই সম্পদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নৈতিক ও ইমানি কর্তব্য।
১ দিন আগেআমি প্রবাসে আছি সাত বছর হলো। এখনো বিয়ে করিনি। বিয়ের পর আর প্রবাসে আসার ইচ্ছে নেই। তাই মা-বাবাকে বলেছি, পাত্রী দেখার জন্য। যদি সবকিছু ঠিক থাকে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে দেশে চলে আসব। প্রবাসে বসে মোবাইলে বিয়ে করা কি আমার জন্য জায়েজ হবে? এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১ দিন আগে