ইসলাম ডেস্ক
জিলহজ। আরবি বছরের শেষ মাস। হজ, কোরবানি, ও ঈদুল আজহার মাস। সম্মানের বিচারে জিলহজের রয়েছে অনন্য উচ্চতা।
এই মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত বোঝাতে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা জিলহজের প্রথম দশকের কসম খেয়েছেন। নবীজি (সা.)-ও জিলহজের শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়েছেন। এক হাদিসে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘মনে রেখো, জিলহজ হলো সবচেয়ে সম্মানিত মাস।’ (মুসনাদে আহমদ: ১১৭৬২)
জিলহজের প্রথম দশক বিপুল মর্যাদা ও ফজিলতের দশক। বছরের সেরা দশক। অন্য সময়ের তুলনায় এই দশকের ইবাদত অনেক দামি। আল্লাহর কাছে অতি পছন্দনীয় এবং প্রিয়। এই দশকে অল্প ইবাদতেও আল্লাহর রহমত এবং সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।
মহানবী (সা.) বলেন, জিলহজের প্রথম দশ দিনের আমল আল্লাহর কাছে যত প্রিয়, অন্য কোনো সময়ের আমল তত প্রিয় নয়। সাহাবায়ে কেরাম জানতে চাইলেন, আল্লাহর পথে লড়াইও কি এর চেয়ে প্রিয় নয়? নবীজি বললেন, না, আল্লাহর পথে জিহাদও এই দশ দিনের নেক আমলের চেয়ে বেশি প্রিয় নয়। তবে ওই ব্যক্তির কথা ভিন্ন, যে নিজের জানমাল নিয়ে আল্লাহর পথে লড়াইয়ের জন্য বেরিয়ে যায় এবং কোনো কিছু নিয়ে আর ঘরে ফিরে আসেনি। (সহিহ্ বুখারি: ৯৬৯)
অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ঘোষাণা করেন, ‘জগতের সর্বোত্তম দিন হলো জিলহজের প্রথম দশ দিন।’ (মুসনাদে বাজ্জার: ১১২৭)
সবাই সবকিছুতে সেরা খোঁজে। বাড়তি মূল্যায়ন করে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বছরের সেরা এই দিনগুলোর মূল্যায়ন করে কয়জন! পরকালীন পুঁজি সংগ্রহের সুবর্ণ এই সময় আমলে কাটানোই প্রকৃত মোমিনের কাজ। এভাবে ইমান আমলের আলোয় জীবন সমৃদ্ধ ও আলোকিত করা উচিত।
এ দশকে যে কোনো ধরনের নফল আমল করা যায়। নির্ধারিত কোনো নিয়ম বা সংখ্যা নেই। তবে রোজা রাখা উত্তম। সম্ভব হলে নয়টি রোজা রাখা। কেননা নবীজি (সা.) এই নয় দিন রোজা রাখতেন। হজরত হাফসা (রা.) থেকে বর্ণিত, আশুরার রোজা, জিলহজের প্রথম দশকের রোজা আল্লাহর রাসুল কখনো ছাড়তেন না। (সুনানে নাসায়ি: ২৪১৫)
অপর এক হাদিসে বর্ণিত, ‘নবীজি (সা.) জিলহজের নয়টি রোজা রাখতেন।’ (মুসনাদে আহমদ: ২২৩৩৪)
জিলহজের প্রথম দশকের গুরুত্ব ও মহিমা সবার উপলব্ধিতে আসুক। সৌভাগ্যের এবং ইবাদতের এই সুবর্ণ সময়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ুক আমলের সৌরভ।
লেখক: মুহাম্মদ এনায়েত কবীর শিক্ষক, শেখ জনূরুদ্দীন রহ. দারুল কুরআন চৌধুরীপাড়া মাদরাসা, ঢাকা-১২১৯
জিলহজ। আরবি বছরের শেষ মাস। হজ, কোরবানি, ও ঈদুল আজহার মাস। সম্মানের বিচারে জিলহজের রয়েছে অনন্য উচ্চতা।
এই মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত বোঝাতে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা জিলহজের প্রথম দশকের কসম খেয়েছেন। নবীজি (সা.)-ও জিলহজের শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়েছেন। এক হাদিসে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘মনে রেখো, জিলহজ হলো সবচেয়ে সম্মানিত মাস।’ (মুসনাদে আহমদ: ১১৭৬২)
জিলহজের প্রথম দশক বিপুল মর্যাদা ও ফজিলতের দশক। বছরের সেরা দশক। অন্য সময়ের তুলনায় এই দশকের ইবাদত অনেক দামি। আল্লাহর কাছে অতি পছন্দনীয় এবং প্রিয়। এই দশকে অল্প ইবাদতেও আল্লাহর রহমত এবং সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।
মহানবী (সা.) বলেন, জিলহজের প্রথম দশ দিনের আমল আল্লাহর কাছে যত প্রিয়, অন্য কোনো সময়ের আমল তত প্রিয় নয়। সাহাবায়ে কেরাম জানতে চাইলেন, আল্লাহর পথে লড়াইও কি এর চেয়ে প্রিয় নয়? নবীজি বললেন, না, আল্লাহর পথে জিহাদও এই দশ দিনের নেক আমলের চেয়ে বেশি প্রিয় নয়। তবে ওই ব্যক্তির কথা ভিন্ন, যে নিজের জানমাল নিয়ে আল্লাহর পথে লড়াইয়ের জন্য বেরিয়ে যায় এবং কোনো কিছু নিয়ে আর ঘরে ফিরে আসেনি। (সহিহ্ বুখারি: ৯৬৯)
অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ঘোষাণা করেন, ‘জগতের সর্বোত্তম দিন হলো জিলহজের প্রথম দশ দিন।’ (মুসনাদে বাজ্জার: ১১২৭)
সবাই সবকিছুতে সেরা খোঁজে। বাড়তি মূল্যায়ন করে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বছরের সেরা এই দিনগুলোর মূল্যায়ন করে কয়জন! পরকালীন পুঁজি সংগ্রহের সুবর্ণ এই সময় আমলে কাটানোই প্রকৃত মোমিনের কাজ। এভাবে ইমান আমলের আলোয় জীবন সমৃদ্ধ ও আলোকিত করা উচিত।
এ দশকে যে কোনো ধরনের নফল আমল করা যায়। নির্ধারিত কোনো নিয়ম বা সংখ্যা নেই। তবে রোজা রাখা উত্তম। সম্ভব হলে নয়টি রোজা রাখা। কেননা নবীজি (সা.) এই নয় দিন রোজা রাখতেন। হজরত হাফসা (রা.) থেকে বর্ণিত, আশুরার রোজা, জিলহজের প্রথম দশকের রোজা আল্লাহর রাসুল কখনো ছাড়তেন না। (সুনানে নাসায়ি: ২৪১৫)
অপর এক হাদিসে বর্ণিত, ‘নবীজি (সা.) জিলহজের নয়টি রোজা রাখতেন।’ (মুসনাদে আহমদ: ২২৩৩৪)
জিলহজের প্রথম দশকের গুরুত্ব ও মহিমা সবার উপলব্ধিতে আসুক। সৌভাগ্যের এবং ইবাদতের এই সুবর্ণ সময়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ুক আমলের সৌরভ।
লেখক: মুহাম্মদ এনায়েত কবীর শিক্ষক, শেখ জনূরুদ্দীন রহ. দারুল কুরআন চৌধুরীপাড়া মাদরাসা, ঢাকা-১২১৯
কোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি সম্মান একটি মৌলিক মানবিক গুণ, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। প্রত্যেক মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এবং একে অপরকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম, বর্ণ, জাতি কিংবা পেশা ভেদে কাউকে ছোট করা মানবতার পরিপন্থী। সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক...
২ দিন আগেসপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ এই দিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ—এর অন্যতম কারণ জুমার নামাজ। জুমার নামাজ আদায় করলেই কেবল এই দিনের বরকত, ফজিলত লাভের আশা করা যায়।
২ দিন আগেএক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২ দিন আগে