ইসলাম ডেস্ক
প্রশ্ন: হজ থেকে ফেরার পর অনেককেই নামের সঙ্গে হাজি বা আলহাজ শব্দ যোগ করতে দেখা যায়। কারও কারও ধারণা, একবার হজ করলে হাজি এবং একাধিকবার হজ করলে আলহাজ বলতে হয়। অনেকে আবার নামের সঙ্গে হাজি বা আলহাজ শব্দ না বললে অসন্তুষ্ট হন। ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে এসবের ব্যাখ্যা কী, বিস্তারিত জানতে চাই।
আশিকুর রহিম, ঢাকা
উত্তর: হজ একটি ইবাদত। এটি কেবল আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্যই আদায় করতে হয়। পার্থিব কোনো স্বার্থ এর সঙ্গে জড়িত থাকলে তার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয় না। নাম-যশ-খ্যাতির জন্য বা মানুষের সামনে ভালো সাজার জন্য হজ করা ইসলামসম্মত নয়। মহানবী (সা.) হজের সময় দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, তোমার জন্য হজ করতে শুরু করলাম, যশ-খ্যাতি যেন আমাদের উদ্দেশ্য না হয়।’ (ইবনে মাজাহ)
মূলত উর্দু ও বাংলা ভাষায় হজ আদায়কারীকে হাজি বলা হয়। শব্দটি আরবি হাজ্জ বা আলহাজ থেকে এসেছে। সাধারণত আরবি ভাষায় আলহাজ শব্দই ব্যবহার করা হয়। এর অর্থ হজ আদায়কারী। হাজি অর্থও একই। তাই হাজি বা আলহাজ শব্দের অর্থগত কোনো পার্থক্য নেই। একবার হজ করলে তার জন্য যেমন হাজি বা আলহাজ শব্দ প্রযোজ্য, তেমনি একাধিকবার হজ করলেও দুটোই প্রযোজ্য।
তবে হজ করার পর হাজি বা আলহাজ উপাধি গ্রহণ করা এবং তা রীতিমতো প্রচার করে বেড়ানো অহংকার ও রিয়ার অন্তর্ভুক্ত, যা ইবাদতের উদ্দেশ্য ও উপকারিতা নষ্ট করে দেয়। তাই ইসলামের দৃষ্টিতে হাজি বা আলহাজ উপাধি গ্রহণ করা উচিত হবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তি কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ অহংকার রয়েছে।’ (মুসলিম: ৯১; মিশকাত: ৫১০৮)। এ ছাড়া একাধিক হাদিসে রিয়াকে ছোট শিরক বলা হয়েছে। (বুখারি: ৬৪৯৯; মুসলিম: ২৯৮৬; মিশকাত: ৫৩১৬)
তাই হজ আদায়কারীর নামের সঙ্গে হাজি বা আলহাজ যুক্ত না করলে তাতে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা শরিয়তসম্মত নয়। তবে কেউ যদি শ্রদ্ধা করে আলহাজ বা হাজি সাহেব বলে ডাকেন, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। বরং তা ইসলামে প্রশংসিত বিষয়। মহানবী (সা.) সাহাবিদের বিভিন্ন ভালো কাজের দিকে সম্বন্ধ করে উপাধি দিতেন। (ফাতহুল বারি, হাদিস: ৩৬৭৯)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু সওবান শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
প্রশ্ন: হজ থেকে ফেরার পর অনেককেই নামের সঙ্গে হাজি বা আলহাজ শব্দ যোগ করতে দেখা যায়। কারও কারও ধারণা, একবার হজ করলে হাজি এবং একাধিকবার হজ করলে আলহাজ বলতে হয়। অনেকে আবার নামের সঙ্গে হাজি বা আলহাজ শব্দ না বললে অসন্তুষ্ট হন। ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে এসবের ব্যাখ্যা কী, বিস্তারিত জানতে চাই।
আশিকুর রহিম, ঢাকা
উত্তর: হজ একটি ইবাদত। এটি কেবল আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্যই আদায় করতে হয়। পার্থিব কোনো স্বার্থ এর সঙ্গে জড়িত থাকলে তার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয় না। নাম-যশ-খ্যাতির জন্য বা মানুষের সামনে ভালো সাজার জন্য হজ করা ইসলামসম্মত নয়। মহানবী (সা.) হজের সময় দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, তোমার জন্য হজ করতে শুরু করলাম, যশ-খ্যাতি যেন আমাদের উদ্দেশ্য না হয়।’ (ইবনে মাজাহ)
মূলত উর্দু ও বাংলা ভাষায় হজ আদায়কারীকে হাজি বলা হয়। শব্দটি আরবি হাজ্জ বা আলহাজ থেকে এসেছে। সাধারণত আরবি ভাষায় আলহাজ শব্দই ব্যবহার করা হয়। এর অর্থ হজ আদায়কারী। হাজি অর্থও একই। তাই হাজি বা আলহাজ শব্দের অর্থগত কোনো পার্থক্য নেই। একবার হজ করলে তার জন্য যেমন হাজি বা আলহাজ শব্দ প্রযোজ্য, তেমনি একাধিকবার হজ করলেও দুটোই প্রযোজ্য।
তবে হজ করার পর হাজি বা আলহাজ উপাধি গ্রহণ করা এবং তা রীতিমতো প্রচার করে বেড়ানো অহংকার ও রিয়ার অন্তর্ভুক্ত, যা ইবাদতের উদ্দেশ্য ও উপকারিতা নষ্ট করে দেয়। তাই ইসলামের দৃষ্টিতে হাজি বা আলহাজ উপাধি গ্রহণ করা উচিত হবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তি কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ অহংকার রয়েছে।’ (মুসলিম: ৯১; মিশকাত: ৫১০৮)। এ ছাড়া একাধিক হাদিসে রিয়াকে ছোট শিরক বলা হয়েছে। (বুখারি: ৬৪৯৯; মুসলিম: ২৯৮৬; মিশকাত: ৫৩১৬)
তাই হজ আদায়কারীর নামের সঙ্গে হাজি বা আলহাজ যুক্ত না করলে তাতে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা শরিয়তসম্মত নয়। তবে কেউ যদি শ্রদ্ধা করে আলহাজ বা হাজি সাহেব বলে ডাকেন, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। বরং তা ইসলামে প্রশংসিত বিষয়। মহানবী (সা.) সাহাবিদের বিভিন্ন ভালো কাজের দিকে সম্বন্ধ করে উপাধি দিতেন। (ফাতহুল বারি, হাদিস: ৩৬৭৯)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু সওবান শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা এই পঙ্ক্তিগুলো শুধু কাব্যের সৌন্দর্য নয়, এগুলো একটি চেতনার ঘোষণা। কাজী নজরুল ইসলাম এই চার লাইনের মধ্যে তুলে ধরেছেন ইসলামের সর্বজনীনতা, সাম্যের দীক্ষা এবং মানবতাবাদের এক অভিন্ন বার্তা। কিন্তু আমরা যখন এই কবিতার আলোকে বর্তমান বাংলাদেশের দিকে তাকাই, তখন অনেক প্রশ্ন ভিড়...
৬ ঘণ্টা আগেমানুষ হিসেবে আমাদের একটি স্বভাবজাত চাহিদা হলো, আমরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে খুব পছন্দ করি। প্রশংসা মিথ্যা হলেও বলতে বারণ করি না, শুনতেই থাকি। বরং আরও বেশি কামনা করি। এর বিপরীতে নিন্দা বা সমালোচনা একদমই সহ্য করতে পারি না। চরম বাস্তব ও সত্য হলেও সমালোচককে থামিয়ে দিই। ক্ষমতা থাকলে নিন্দুককে দমিয়ে দিই...
১০ ঘণ্টা আগেসুখী সংসার গঠনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হয়। বিশেষ করে স্বামীকে হতে হয় খুব সচেতন, দায়িত্ববান এবং চিন্তাশীল। ঘরে ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে তাকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করা সচেতন পুরুষের পরিচয়। এটি নবী করিম (সা.)-এর সুন্নত। এতে অত্যন্ত সওয়াবও পাওয়া যায়।
১২ ঘণ্টা আগেবিশ্বাসভঙ্গের এক নির্মম রূপ বিশ্বাসঘাতকতা বা গাদ্দারি। এটি বিশ্বাসের বন্ধন ছিন্ন করে দেয়। বিশ্বাস মানুষের মনে-প্রাণে আস্থার দেয়াল গড়ে তোলে। আর বিশ্বাসঘাতকতা সেই দেয়ালে আঘাত করে ভেঙে ফেলে সবকিছু।
১৯ ঘণ্টা আগে