আমিনুল ইসলাম হুসাইনী

আল্লাহ তাআলা এতই দয়ালু যে, তিনি চান না তাঁর একটা বান্দাও জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হোক। বরং তিনি চান, তাঁর বান্দারা পরকালীন অনন্ত জীবনে পরম শান্তিতে বসবাস করুক। সে জন্যই তো সৃষ্টি করেছেন চিরস্থায়ী সুখ নিবাস জান্নাত।
কিন্তু মানুষ যে গুনাহের পুতুল। কখনো কখনো নিজেরই অজান্তে কিংবা শয়তানের প্ররোচনায় অসংখ্য গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ে। আর সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলগুলোই তখন সুখময় জান্নাতের সম্মুখে প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায়। তবে আল্লাহ তো অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু। তিনি ক্ষমা করতেই ভালোবাসেন।
তাই তো গুনাহগার বান্দারা যেন হতাশ না হয়, সে জন্য ক্ষমার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ‘হে আমার ইমানদার বান্দাগণ, যারা নিজেদের ওপর সীমালঙ্ঘন করেছ, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করেন। তিনি তো অতি ক্ষমাশীল, বড় মেহেরবান।’ (সুরা জুমার: ৩৯)
তাই যারা ভুল পথে পা বাড়িয়েছিল, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদের ভুল শুধরানোর জন্য এমন কিছু বিশেষ সময়কে নির্ধারিত করে রেখেছেন, যে সময়গুলোতে বান্দা বেশি বেশি ইবাদত করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে নিজেদের গুনাহসমূহ মাফ করিয়ে নেন। এমনই এক বিশেষ সময় হলো জিলহজ মাসের প্রথম দশদিন। যে দিনগুলোকে রাসুল (সা.) আখ্যায়িত করেছেন শ্রেষ্ঠ দিন বলে। (মুসনাদে আবি ইয়ালা: ২০৯০)
প্রথমত আল্লাহ তাআলার কাছে প্রত্যেকটা দিনই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তিনিই তো এই দিন-রাতের স্রষ্টা। দিন-রাত প্রত্যেককেই তিনি অনন্য গুণে গুণান্বিত করেছেন। তবে এদিনগুলোতে যেহেতু সবগুলো মৌলিক ইবাদতের সমাবেশ ঘটে, সেহেতু এ দিনগুলোর শ্রেষ্ঠত্ব অন্যান্য দিনের চেয়ে অধিক হওয়াই যুক্তিসংগত। যেমনটা হাফেজ ইবনে হাজর (রহ.) ফাতহুল বারি গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘জিলহজের দশকের বৈশিষ্ট্যে ও কারণ যা প্রতীয়মান হয়, তা হলো—এতে সকল মৌলিক ইবাদতের সন্নিবেশ ঘটে। যেমন নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। অন্য কোনো দিন এতগুলো ইবাদতের সমাবেশ ঘটে না। (ফাতহুল বারি: ২/৪৬০)
এই গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো আমাদের জন্য অতীব জরুরি। জাগতিক পরীক্ষার দিনগুলোতে যদি সবচেয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করার লক্ষ্যে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে পারি, তবে কেন আখিরাতের পরীক্ষার জন্য এমন মাহাত্ম্যপূর্ণ দিনগুলোতে সর্বাধিক প্রচেষ্টা করতে পারব না! এ দিনগুলোতে আমল করার সওয়াব তো বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক অনেক বেশি।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জিলহজের দশ দিনের ইবাদত আল্লাহর নিকট অন্যান্য দিনের ইবাদতের তুলনায় বেশি প্রিয়। এ মাসের প্রত্যেক দিনের রোজা এক বছরের রোজার ন্যায়, আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের ন্যায়।’ (জামে তিরমিজি: ৭৫৮)
জিলহজ মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত যত দিন সম্ভব নফল রোজা রাখা আর রাতের বেলা বেশি বেশি ইবাদত করা একজন সত্যিকার মোমিনের বৈশিষ্ট্য। তাই এই দিনগুলোতে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, তাসবিহ-তাহলিল, তাওবা-ইস্তিগফার ও রোনাজারির মাধ্যমে কাটানো কিংবা যতটুকু সম্ভব ইবাদত করা উচিত। পুরো নয় দিন রোজা না রাখতে পারলেও আরাফাহর দিনে রোজা রাখা খুবই জরুরি।
হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আরাফাহর দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, এ রোজা তার পূর্বের ও পরের বছরের গুনাহ মুছে ফেলবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৭৪০)
আরাফাহর দিনের আরেকটি আমল হলো এই কালিমাটি বেশি বেশি পড়া—‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু বিয়াদিহিল খাইরু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’ (মুসনাদে আহমদ: ৬৯২২)
জিলহজ মাসের নবম তারিখের ফজর থেকে তেরো তারিখ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক বুদ্ধিমান মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। উল্লেখ্য, পুরুষের জন্য শব্দ করে আর মহিলাদের জন্য নীরবে। তাকবিরে তাশরিক হচ্ছে—‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ (সুনানে বায়হাকি: ৬০৭১)
জিলহজের প্রথম দশকের অন্যতম আরেকটি দিবস হলো কোরবানির দিন। হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন হলো, কোরবানির দিন, অতঃপর স্থিরতার দিন (কোরবানির পরের দিন)।’ (সুনানে নাসায়ি: ১০৫১২)। এ দিনের সবচেয়ে বড় আমল হলো ঈদের নামাজ শেষে কোরবানি করা।
যারা কোরবানি দেবেন তাদের জন্য আরেকটি আমল হলো, জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে হাত-পায়ের নখ, মাথার চুল ও অবাঞ্ছিত পশম ইত্যাদি কাটা বা ছাটা থেকে বিরত থাকা।
হজরত উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন (জিলহজের প্রথম) ১০ দিনের সূচনা হয়, আর তোমাদের কেউ কোরবানি করার ইচ্ছে করে—সে যেন চুল-নখ ইত্যাদি না কাটে।’ (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১৪৯)
তবে খেয়াল রাখতে হবে হাত-পায়ের নখ, মাথার চুল ও অবাঞ্ছিত পশমের বয়স যেন চল্লিশ দিনের বেশি না হয়ে যায়। আর এ জন্য উত্তম হলো জিলহজের চাঁদ উদিত হওয়ার আগেই তা পরিষ্কার করে ফেলা।
আরও পড়ুন:

আল্লাহ তাআলা এতই দয়ালু যে, তিনি চান না তাঁর একটা বান্দাও জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হোক। বরং তিনি চান, তাঁর বান্দারা পরকালীন অনন্ত জীবনে পরম শান্তিতে বসবাস করুক। সে জন্যই তো সৃষ্টি করেছেন চিরস্থায়ী সুখ নিবাস জান্নাত।
কিন্তু মানুষ যে গুনাহের পুতুল। কখনো কখনো নিজেরই অজান্তে কিংবা শয়তানের প্ররোচনায় অসংখ্য গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ে। আর সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলগুলোই তখন সুখময় জান্নাতের সম্মুখে প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায়। তবে আল্লাহ তো অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু। তিনি ক্ষমা করতেই ভালোবাসেন।
তাই তো গুনাহগার বান্দারা যেন হতাশ না হয়, সে জন্য ক্ষমার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ‘হে আমার ইমানদার বান্দাগণ, যারা নিজেদের ওপর সীমালঙ্ঘন করেছ, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করেন। তিনি তো অতি ক্ষমাশীল, বড় মেহেরবান।’ (সুরা জুমার: ৩৯)
তাই যারা ভুল পথে পা বাড়িয়েছিল, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদের ভুল শুধরানোর জন্য এমন কিছু বিশেষ সময়কে নির্ধারিত করে রেখেছেন, যে সময়গুলোতে বান্দা বেশি বেশি ইবাদত করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে নিজেদের গুনাহসমূহ মাফ করিয়ে নেন। এমনই এক বিশেষ সময় হলো জিলহজ মাসের প্রথম দশদিন। যে দিনগুলোকে রাসুল (সা.) আখ্যায়িত করেছেন শ্রেষ্ঠ দিন বলে। (মুসনাদে আবি ইয়ালা: ২০৯০)
প্রথমত আল্লাহ তাআলার কাছে প্রত্যেকটা দিনই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তিনিই তো এই দিন-রাতের স্রষ্টা। দিন-রাত প্রত্যেককেই তিনি অনন্য গুণে গুণান্বিত করেছেন। তবে এদিনগুলোতে যেহেতু সবগুলো মৌলিক ইবাদতের সমাবেশ ঘটে, সেহেতু এ দিনগুলোর শ্রেষ্ঠত্ব অন্যান্য দিনের চেয়ে অধিক হওয়াই যুক্তিসংগত। যেমনটা হাফেজ ইবনে হাজর (রহ.) ফাতহুল বারি গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘জিলহজের দশকের বৈশিষ্ট্যে ও কারণ যা প্রতীয়মান হয়, তা হলো—এতে সকল মৌলিক ইবাদতের সন্নিবেশ ঘটে। যেমন নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। অন্য কোনো দিন এতগুলো ইবাদতের সমাবেশ ঘটে না। (ফাতহুল বারি: ২/৪৬০)
এই গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো আমাদের জন্য অতীব জরুরি। জাগতিক পরীক্ষার দিনগুলোতে যদি সবচেয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করার লক্ষ্যে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে পারি, তবে কেন আখিরাতের পরীক্ষার জন্য এমন মাহাত্ম্যপূর্ণ দিনগুলোতে সর্বাধিক প্রচেষ্টা করতে পারব না! এ দিনগুলোতে আমল করার সওয়াব তো বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক অনেক বেশি।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জিলহজের দশ দিনের ইবাদত আল্লাহর নিকট অন্যান্য দিনের ইবাদতের তুলনায় বেশি প্রিয়। এ মাসের প্রত্যেক দিনের রোজা এক বছরের রোজার ন্যায়, আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের ন্যায়।’ (জামে তিরমিজি: ৭৫৮)
জিলহজ মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত যত দিন সম্ভব নফল রোজা রাখা আর রাতের বেলা বেশি বেশি ইবাদত করা একজন সত্যিকার মোমিনের বৈশিষ্ট্য। তাই এই দিনগুলোতে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, তাসবিহ-তাহলিল, তাওবা-ইস্তিগফার ও রোনাজারির মাধ্যমে কাটানো কিংবা যতটুকু সম্ভব ইবাদত করা উচিত। পুরো নয় দিন রোজা না রাখতে পারলেও আরাফাহর দিনে রোজা রাখা খুবই জরুরি।
হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আরাফাহর দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, এ রোজা তার পূর্বের ও পরের বছরের গুনাহ মুছে ফেলবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৭৪০)
আরাফাহর দিনের আরেকটি আমল হলো এই কালিমাটি বেশি বেশি পড়া—‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু বিয়াদিহিল খাইরু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’ (মুসনাদে আহমদ: ৬৯২২)
জিলহজ মাসের নবম তারিখের ফজর থেকে তেরো তারিখ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক বুদ্ধিমান মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। উল্লেখ্য, পুরুষের জন্য শব্দ করে আর মহিলাদের জন্য নীরবে। তাকবিরে তাশরিক হচ্ছে—‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ (সুনানে বায়হাকি: ৬০৭১)
জিলহজের প্রথম দশকের অন্যতম আরেকটি দিবস হলো কোরবানির দিন। হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন হলো, কোরবানির দিন, অতঃপর স্থিরতার দিন (কোরবানির পরের দিন)।’ (সুনানে নাসায়ি: ১০৫১২)। এ দিনের সবচেয়ে বড় আমল হলো ঈদের নামাজ শেষে কোরবানি করা।
যারা কোরবানি দেবেন তাদের জন্য আরেকটি আমল হলো, জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে হাত-পায়ের নখ, মাথার চুল ও অবাঞ্ছিত পশম ইত্যাদি কাটা বা ছাটা থেকে বিরত থাকা।
হজরত উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন (জিলহজের প্রথম) ১০ দিনের সূচনা হয়, আর তোমাদের কেউ কোরবানি করার ইচ্ছে করে—সে যেন চুল-নখ ইত্যাদি না কাটে।’ (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১৪৯)
তবে খেয়াল রাখতে হবে হাত-পায়ের নখ, মাথার চুল ও অবাঞ্ছিত পশমের বয়স যেন চল্লিশ দিনের বেশি না হয়ে যায়। আর এ জন্য উত্তম হলো জিলহজের চাঁদ উদিত হওয়ার আগেই তা পরিষ্কার করে ফেলা।
আরও পড়ুন:
আমিনুল ইসলাম হুসাইনী

আল্লাহ তাআলা এতই দয়ালু যে, তিনি চান না তাঁর একটা বান্দাও জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হোক। বরং তিনি চান, তাঁর বান্দারা পরকালীন অনন্ত জীবনে পরম শান্তিতে বসবাস করুক। সে জন্যই তো সৃষ্টি করেছেন চিরস্থায়ী সুখ নিবাস জান্নাত।
কিন্তু মানুষ যে গুনাহের পুতুল। কখনো কখনো নিজেরই অজান্তে কিংবা শয়তানের প্ররোচনায় অসংখ্য গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ে। আর সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলগুলোই তখন সুখময় জান্নাতের সম্মুখে প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায়। তবে আল্লাহ তো অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু। তিনি ক্ষমা করতেই ভালোবাসেন।
তাই তো গুনাহগার বান্দারা যেন হতাশ না হয়, সে জন্য ক্ষমার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ‘হে আমার ইমানদার বান্দাগণ, যারা নিজেদের ওপর সীমালঙ্ঘন করেছ, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করেন। তিনি তো অতি ক্ষমাশীল, বড় মেহেরবান।’ (সুরা জুমার: ৩৯)
তাই যারা ভুল পথে পা বাড়িয়েছিল, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদের ভুল শুধরানোর জন্য এমন কিছু বিশেষ সময়কে নির্ধারিত করে রেখেছেন, যে সময়গুলোতে বান্দা বেশি বেশি ইবাদত করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে নিজেদের গুনাহসমূহ মাফ করিয়ে নেন। এমনই এক বিশেষ সময় হলো জিলহজ মাসের প্রথম দশদিন। যে দিনগুলোকে রাসুল (সা.) আখ্যায়িত করেছেন শ্রেষ্ঠ দিন বলে। (মুসনাদে আবি ইয়ালা: ২০৯০)
প্রথমত আল্লাহ তাআলার কাছে প্রত্যেকটা দিনই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তিনিই তো এই দিন-রাতের স্রষ্টা। দিন-রাত প্রত্যেককেই তিনি অনন্য গুণে গুণান্বিত করেছেন। তবে এদিনগুলোতে যেহেতু সবগুলো মৌলিক ইবাদতের সমাবেশ ঘটে, সেহেতু এ দিনগুলোর শ্রেষ্ঠত্ব অন্যান্য দিনের চেয়ে অধিক হওয়াই যুক্তিসংগত। যেমনটা হাফেজ ইবনে হাজর (রহ.) ফাতহুল বারি গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘জিলহজের দশকের বৈশিষ্ট্যে ও কারণ যা প্রতীয়মান হয়, তা হলো—এতে সকল মৌলিক ইবাদতের সন্নিবেশ ঘটে। যেমন নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। অন্য কোনো দিন এতগুলো ইবাদতের সমাবেশ ঘটে না। (ফাতহুল বারি: ২/৪৬০)
এই গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো আমাদের জন্য অতীব জরুরি। জাগতিক পরীক্ষার দিনগুলোতে যদি সবচেয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করার লক্ষ্যে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে পারি, তবে কেন আখিরাতের পরীক্ষার জন্য এমন মাহাত্ম্যপূর্ণ দিনগুলোতে সর্বাধিক প্রচেষ্টা করতে পারব না! এ দিনগুলোতে আমল করার সওয়াব তো বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক অনেক বেশি।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জিলহজের দশ দিনের ইবাদত আল্লাহর নিকট অন্যান্য দিনের ইবাদতের তুলনায় বেশি প্রিয়। এ মাসের প্রত্যেক দিনের রোজা এক বছরের রোজার ন্যায়, আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের ন্যায়।’ (জামে তিরমিজি: ৭৫৮)
জিলহজ মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত যত দিন সম্ভব নফল রোজা রাখা আর রাতের বেলা বেশি বেশি ইবাদত করা একজন সত্যিকার মোমিনের বৈশিষ্ট্য। তাই এই দিনগুলোতে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, তাসবিহ-তাহলিল, তাওবা-ইস্তিগফার ও রোনাজারির মাধ্যমে কাটানো কিংবা যতটুকু সম্ভব ইবাদত করা উচিত। পুরো নয় দিন রোজা না রাখতে পারলেও আরাফাহর দিনে রোজা রাখা খুবই জরুরি।
হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আরাফাহর দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, এ রোজা তার পূর্বের ও পরের বছরের গুনাহ মুছে ফেলবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৭৪০)
আরাফাহর দিনের আরেকটি আমল হলো এই কালিমাটি বেশি বেশি পড়া—‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু বিয়াদিহিল খাইরু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’ (মুসনাদে আহমদ: ৬৯২২)
জিলহজ মাসের নবম তারিখের ফজর থেকে তেরো তারিখ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক বুদ্ধিমান মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। উল্লেখ্য, পুরুষের জন্য শব্দ করে আর মহিলাদের জন্য নীরবে। তাকবিরে তাশরিক হচ্ছে—‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ (সুনানে বায়হাকি: ৬০৭১)
জিলহজের প্রথম দশকের অন্যতম আরেকটি দিবস হলো কোরবানির দিন। হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন হলো, কোরবানির দিন, অতঃপর স্থিরতার দিন (কোরবানির পরের দিন)।’ (সুনানে নাসায়ি: ১০৫১২)। এ দিনের সবচেয়ে বড় আমল হলো ঈদের নামাজ শেষে কোরবানি করা।
যারা কোরবানি দেবেন তাদের জন্য আরেকটি আমল হলো, জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে হাত-পায়ের নখ, মাথার চুল ও অবাঞ্ছিত পশম ইত্যাদি কাটা বা ছাটা থেকে বিরত থাকা।
হজরত উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন (জিলহজের প্রথম) ১০ দিনের সূচনা হয়, আর তোমাদের কেউ কোরবানি করার ইচ্ছে করে—সে যেন চুল-নখ ইত্যাদি না কাটে।’ (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১৪৯)
তবে খেয়াল রাখতে হবে হাত-পায়ের নখ, মাথার চুল ও অবাঞ্ছিত পশমের বয়স যেন চল্লিশ দিনের বেশি না হয়ে যায়। আর এ জন্য উত্তম হলো জিলহজের চাঁদ উদিত হওয়ার আগেই তা পরিষ্কার করে ফেলা।
আরও পড়ুন:

আল্লাহ তাআলা এতই দয়ালু যে, তিনি চান না তাঁর একটা বান্দাও জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হোক। বরং তিনি চান, তাঁর বান্দারা পরকালীন অনন্ত জীবনে পরম শান্তিতে বসবাস করুক। সে জন্যই তো সৃষ্টি করেছেন চিরস্থায়ী সুখ নিবাস জান্নাত।
কিন্তু মানুষ যে গুনাহের পুতুল। কখনো কখনো নিজেরই অজান্তে কিংবা শয়তানের প্ররোচনায় অসংখ্য গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ে। আর সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলগুলোই তখন সুখময় জান্নাতের সম্মুখে প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায়। তবে আল্লাহ তো অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু। তিনি ক্ষমা করতেই ভালোবাসেন।
তাই তো গুনাহগার বান্দারা যেন হতাশ না হয়, সে জন্য ক্ষমার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ‘হে আমার ইমানদার বান্দাগণ, যারা নিজেদের ওপর সীমালঙ্ঘন করেছ, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করেন। তিনি তো অতি ক্ষমাশীল, বড় মেহেরবান।’ (সুরা জুমার: ৩৯)
তাই যারা ভুল পথে পা বাড়িয়েছিল, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদের ভুল শুধরানোর জন্য এমন কিছু বিশেষ সময়কে নির্ধারিত করে রেখেছেন, যে সময়গুলোতে বান্দা বেশি বেশি ইবাদত করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে নিজেদের গুনাহসমূহ মাফ করিয়ে নেন। এমনই এক বিশেষ সময় হলো জিলহজ মাসের প্রথম দশদিন। যে দিনগুলোকে রাসুল (সা.) আখ্যায়িত করেছেন শ্রেষ্ঠ দিন বলে। (মুসনাদে আবি ইয়ালা: ২০৯০)
প্রথমত আল্লাহ তাআলার কাছে প্রত্যেকটা দিনই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তিনিই তো এই দিন-রাতের স্রষ্টা। দিন-রাত প্রত্যেককেই তিনি অনন্য গুণে গুণান্বিত করেছেন। তবে এদিনগুলোতে যেহেতু সবগুলো মৌলিক ইবাদতের সমাবেশ ঘটে, সেহেতু এ দিনগুলোর শ্রেষ্ঠত্ব অন্যান্য দিনের চেয়ে অধিক হওয়াই যুক্তিসংগত। যেমনটা হাফেজ ইবনে হাজর (রহ.) ফাতহুল বারি গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘জিলহজের দশকের বৈশিষ্ট্যে ও কারণ যা প্রতীয়মান হয়, তা হলো—এতে সকল মৌলিক ইবাদতের সন্নিবেশ ঘটে। যেমন নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। অন্য কোনো দিন এতগুলো ইবাদতের সমাবেশ ঘটে না। (ফাতহুল বারি: ২/৪৬০)
এই গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো আমাদের জন্য অতীব জরুরি। জাগতিক পরীক্ষার দিনগুলোতে যদি সবচেয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করার লক্ষ্যে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে পারি, তবে কেন আখিরাতের পরীক্ষার জন্য এমন মাহাত্ম্যপূর্ণ দিনগুলোতে সর্বাধিক প্রচেষ্টা করতে পারব না! এ দিনগুলোতে আমল করার সওয়াব তো বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক অনেক বেশি।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জিলহজের দশ দিনের ইবাদত আল্লাহর নিকট অন্যান্য দিনের ইবাদতের তুলনায় বেশি প্রিয়। এ মাসের প্রত্যেক দিনের রোজা এক বছরের রোজার ন্যায়, আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের ন্যায়।’ (জামে তিরমিজি: ৭৫৮)
জিলহজ মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত যত দিন সম্ভব নফল রোজা রাখা আর রাতের বেলা বেশি বেশি ইবাদত করা একজন সত্যিকার মোমিনের বৈশিষ্ট্য। তাই এই দিনগুলোতে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, তাসবিহ-তাহলিল, তাওবা-ইস্তিগফার ও রোনাজারির মাধ্যমে কাটানো কিংবা যতটুকু সম্ভব ইবাদত করা উচিত। পুরো নয় দিন রোজা না রাখতে পারলেও আরাফাহর দিনে রোজা রাখা খুবই জরুরি।
হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আরাফাহর দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, এ রোজা তার পূর্বের ও পরের বছরের গুনাহ মুছে ফেলবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৭৪০)
আরাফাহর দিনের আরেকটি আমল হলো এই কালিমাটি বেশি বেশি পড়া—‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু বিয়াদিহিল খাইরু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’ (মুসনাদে আহমদ: ৬৯২২)
জিলহজ মাসের নবম তারিখের ফজর থেকে তেরো তারিখ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক বুদ্ধিমান মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। উল্লেখ্য, পুরুষের জন্য শব্দ করে আর মহিলাদের জন্য নীরবে। তাকবিরে তাশরিক হচ্ছে—‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ (সুনানে বায়হাকি: ৬০৭১)
জিলহজের প্রথম দশকের অন্যতম আরেকটি দিবস হলো কোরবানির দিন। হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন হলো, কোরবানির দিন, অতঃপর স্থিরতার দিন (কোরবানির পরের দিন)।’ (সুনানে নাসায়ি: ১০৫১২)। এ দিনের সবচেয়ে বড় আমল হলো ঈদের নামাজ শেষে কোরবানি করা।
যারা কোরবানি দেবেন তাদের জন্য আরেকটি আমল হলো, জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে হাত-পায়ের নখ, মাথার চুল ও অবাঞ্ছিত পশম ইত্যাদি কাটা বা ছাটা থেকে বিরত থাকা।
হজরত উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন (জিলহজের প্রথম) ১০ দিনের সূচনা হয়, আর তোমাদের কেউ কোরবানি করার ইচ্ছে করে—সে যেন চুল-নখ ইত্যাদি না কাটে।’ (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১৪৯)
তবে খেয়াল রাখতে হবে হাত-পায়ের নখ, মাথার চুল ও অবাঞ্ছিত পশমের বয়স যেন চল্লিশ দিনের বেশি না হয়ে যায়। আর এ জন্য উত্তম হলো জিলহজের চাঁদ উদিত হওয়ার আগেই তা পরিষ্কার করে ফেলা।
আরও পড়ুন:

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার নামাজের। যদি তার নামাজের হিসাব সঠিক হয় তাহলে সে সফলকাম হবে এবং নাজাত পাবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরজ নামাজে কিছু কমতি হয়, তাহলে আল্লাহ বলবেন, দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল ইবাদত রয়েছে কি না? তখন নফল দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। এরপর এভাবে অন্য সব ফরজ আমলের ত্রুটি নফলের মাধ্যমে দূর করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৮৬৪)
নফল নামাজের মধ্য চাশতের নামাজ খুব ফজিলত পূর্ণ। এই নফল নামাজ দ্বিপ্রহরের আগপর্যন্ত আদায় করা যায়। চাশতের নামাজ সাধারণত ৪ রাকাত। তবে বেশিও আদায় করা যায়। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) চাশতের নামাজ ৪ রাকাত আদায় করতেন। আল্লাহ চাইলে কখনো কখনো বেশিও পড়তেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৯৬)
আবু জর গিফারী (রা.)-কে নবী (সা.) একবার বলেন, ‘যদি তুমি চাশতের নামাজ ২ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না। যদি ৪ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে নেককারদের মধ্যে গণ্য করা হবে। যদি তুমি ৬ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি তুমি ৮ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে সফলকাম ব্যক্তিদের তালিকায় লেখা হবে। যদি ১০ রাকাত পড়, তাহলে সেদিন তোমার আমলনামায় কোনো গুনাহ লেখা হবে না। আর যদি ১২ রাকাত পড়, তাহলে জান্নাতে তোমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।’ (সুনানুল কুবরা বায়হাকি: ৪৯০৬)

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার নামাজের। যদি তার নামাজের হিসাব সঠিক হয় তাহলে সে সফলকাম হবে এবং নাজাত পাবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরজ নামাজে কিছু কমতি হয়, তাহলে আল্লাহ বলবেন, দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল ইবাদত রয়েছে কি না? তখন নফল দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। এরপর এভাবে অন্য সব ফরজ আমলের ত্রুটি নফলের মাধ্যমে দূর করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৮৬৪)
নফল নামাজের মধ্য চাশতের নামাজ খুব ফজিলত পূর্ণ। এই নফল নামাজ দ্বিপ্রহরের আগপর্যন্ত আদায় করা যায়। চাশতের নামাজ সাধারণত ৪ রাকাত। তবে বেশিও আদায় করা যায়। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) চাশতের নামাজ ৪ রাকাত আদায় করতেন। আল্লাহ চাইলে কখনো কখনো বেশিও পড়তেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৯৬)
আবু জর গিফারী (রা.)-কে নবী (সা.) একবার বলেন, ‘যদি তুমি চাশতের নামাজ ২ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না। যদি ৪ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে নেককারদের মধ্যে গণ্য করা হবে। যদি তুমি ৬ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি তুমি ৮ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে সফলকাম ব্যক্তিদের তালিকায় লেখা হবে। যদি ১০ রাকাত পড়, তাহলে সেদিন তোমার আমলনামায় কোনো গুনাহ লেখা হবে না। আর যদি ১২ রাকাত পড়, তাহলে জান্নাতে তোমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।’ (সুনানুল কুবরা বায়হাকি: ৪৯০৬)

আল্লাহ তাআলা এতই দয়ালু যে, তিনি চান না তাঁর একটা বান্দাও জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হোক। বরং তিনি চান, তাঁর বান্দারা পরকালীন অনন্ত জীবনে পরম শান্তিতে বসবাস করুক। সে জন্যই তো সৃষ্টি করেছেন চিরস্থায়ী সুখ নিবাস জান্নাত।
২৯ মে ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আল্লাহ তাআলা এতই দয়ালু যে, তিনি চান না তাঁর একটা বান্দাও জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হোক। বরং তিনি চান, তাঁর বান্দারা পরকালীন অনন্ত জীবনে পরম শান্তিতে বসবাস করুক। সে জন্যই তো সৃষ্টি করেছেন চিরস্থায়ী সুখ নিবাস জান্নাত।
২৯ মে ২০২৫
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
৯ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য আহ্বান করে।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তখনকার যুগে বিজ্ঞান, দর্শন, রাজনীতি কিংবা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিল না, অথচ কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে, সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকরাও তা অনুকরণ করে তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্যই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং আল্লাহর বাণী।
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শেখায়। এতে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা, নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার, সৃষ্টির অধিকারসহ এমন কোনো বিষয় নেই যে এতে বাদ আছে।
এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআনে শত শত বছর আগেই সেসব বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মাথা খাটিয়ে গবেষণা করে এগুলোর খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ, গভীর তত্ত্ব বের করতে হবে।
পবিত্র কোরআন এমন এক মুজিজা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয় বরং এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক—কোরআনের বাণী সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক ও চিরন্তন সত্যের প্রতীক।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরমাত্রও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য আহ্বান করে।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তখনকার যুগে বিজ্ঞান, দর্শন, রাজনীতি কিংবা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিল না, অথচ কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে, সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকরাও তা অনুকরণ করে তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্যই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং আল্লাহর বাণী।
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শেখায়। এতে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা, নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার, সৃষ্টির অধিকারসহ এমন কোনো বিষয় নেই যে এতে বাদ আছে।
এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআনে শত শত বছর আগেই সেসব বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মাথা খাটিয়ে গবেষণা করে এগুলোর খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ, গভীর তত্ত্ব বের করতে হবে।
পবিত্র কোরআন এমন এক মুজিজা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয় বরং এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক—কোরআনের বাণী সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক ও চিরন্তন সত্যের প্রতীক।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরমাত্রও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক

আল্লাহ তাআলা এতই দয়ালু যে, তিনি চান না তাঁর একটা বান্দাও জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হোক। বরং তিনি চান, তাঁর বান্দারা পরকালীন অনন্ত জীবনে পরম শান্তিতে বসবাস করুক। সে জন্যই তো সৃষ্টি করেছেন চিরস্থায়ী সুখ নিবাস জান্নাত।
২৯ মে ২০২৫
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের প্রতি করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪১)
মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে। তবে সমাজের সবাই সমান ভাগ্যবান নয়—কেউ কেউ আর্থিক, শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে অসহায় অবস্থায় দিন কাটান। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এ ছাড়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অসহায়ের সাহায্যে এগিয়ে আসা অত্যন্ত মহৎ কাজ। ইসলামে এ বিষয়টিতে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোটাই সৎকর্ম নয়, বরং প্রকৃত সৎকর্মশীল ওই ব্যক্তি, যে বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা, আল্লাহর কিতাব ও নবীদের ওপর এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, প্রার্থী ও দাস মুক্তির জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে, প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে; তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অন্যের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৬৬)

আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের প্রতি করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪১)
মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে। তবে সমাজের সবাই সমান ভাগ্যবান নয়—কেউ কেউ আর্থিক, শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে অসহায় অবস্থায় দিন কাটান। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এ ছাড়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অসহায়ের সাহায্যে এগিয়ে আসা অত্যন্ত মহৎ কাজ। ইসলামে এ বিষয়টিতে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোটাই সৎকর্ম নয়, বরং প্রকৃত সৎকর্মশীল ওই ব্যক্তি, যে বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা, আল্লাহর কিতাব ও নবীদের ওপর এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, প্রার্থী ও দাস মুক্তির জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে, প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে; তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অন্যের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৬৬)

আল্লাহ তাআলা এতই দয়ালু যে, তিনি চান না তাঁর একটা বান্দাও জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হোক। বরং তিনি চান, তাঁর বান্দারা পরকালীন অনন্ত জীবনে পরম শান্তিতে বসবাস করুক। সে জন্যই তো সৃষ্টি করেছেন চিরস্থায়ী সুখ নিবাস জান্নাত।
২৯ মে ২০২৫
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগে