মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

মুহাম্মদ বিন কাসিম (৬৯৫-৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক বীর সেনানায়ক, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর অসাধারণ সমর কৌশল, প্রজাস্বত্ব আচরণ ও ইসলামের প্রসার ঘটানোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি শুধু একজন বিজয়ী সেনাপতিই ছিলেন না, বরং একজন বিচক্ষণ প্রশাসক, সুবিচারক ও সহনশীল শাসক ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন
মুহাম্মদ বিন কাসিম ৬৯৫ খ্রিষ্টাব্দে (৭৫ হিজরি) আরবের তায়েফ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বনি সাকিফ গোত্রের সন্তান। তাঁর পিতা কাসিম বিন ইউসুফ ছিলেন সম্মানিত ব্যক্তি। শৈশবে তিনি বীরত্ব, নেতৃত্বগুণ ও সামরিক কৌশলে দক্ষ হয়ে ওঠেন। খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান এবং পরবর্তীতে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের শাসনামলে তিনি দক্ষ সেনানায়কে পরিণত হন।
সিন্ধু বিজয়ের পটভূমি
সিন্ধু অঞ্চলে তখন রাজা দাহিরের শাসন চলছিল। যিনি অত্যাচারী ও অসহিষ্ণু শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মুসলিম ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা ও লুটপাটের কারণে উমাইয়া খলিফার অধীনস্থ ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ সিন্ধু আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে বেশ কয়েকটি ছোট অভিযান ব্যর্থ হলে ৭১২ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মদ বিন কাসিমের নেতৃত্বে একটি সুসজ্জিত বাহিনী পাঠানো হয়।
সিন্ধু বিজয় অভিযান
মুহাম্মদ বিন কাসিম মাত্র ১৭ বছর বয়সে এক বিশাল বাহিনী নিয়ে সিন্ধু অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তাঁর বাহিনীতে ৬ হাজার ঘোড়সওয়ার, ৬ হাজার উটসওয়ার এবং অসংখ্য পদাতিক সেনা ছিল। তিনি যুদ্ধের কৌশল ও প্রযুক্তিতে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। তাঁর সৈন্যরা যুদ্ধের সময় তেল মিশ্রিত আগুনের গোলক ব্যবহার করত, যা শত্রু বাহিনীর দুর্গ ভেঙে ফেলতে সাহায্য করত।
রাজা দাহিরের সঙ্গে যুদ্ধ সিন্ধুর অর্নার (বর্তমানে হায়দ্রাবাদ, পাকিস্তান) নামক স্থানে সংঘটিত হয়। মুহাম্মদ বিন কাসিমের দক্ষ নেতৃত্ব ও কৌশলগত চালের ফলে রাজা দাহির পরাজিত হন ও নিহত হন। এরপর মুহাম্মদ বিন কাসিম ক্রমান্বয়ে সমগ্র সিন্ধু অঞ্চল দখল করেন এবং ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
সিন্ধু বিজয়ের তাৎপর্য
ইসলামের প্রসার: মুহাম্মদ বিন কাসিমের বিজয়ের মাধ্যমে সিন্ধু অঞ্চলে ইসলামের আলো ছড়িয়ে পড়ে। তিনি স্থানীয় জনগণকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করতে সহনশীলতা ও ন্যায়বিচারের নীতি অনুসরণ করেন।
সুশৃঙ্খল প্রশাসন প্রতিষ্ঠা: তিনি বিজিত অঞ্চলে সুবিচার ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শাসনামলে স্থানীয় হিন্দু ও বৌদ্ধদের ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়া হয় এবং কর ব্যবস্থা সহজ করা হয়।
মুসলিম শাসনের পথ তৈরি: মুহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয় পরবর্তীতে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে, যা পরবর্তীকালে সুলতানাত ও মোগল সাম্রাজ্যের উত্থানে সহায়ক হয়।
মুহাম্মদ বিন কাসিমের নীতি
মুহাম্মদ বিন কাসিমের জীবন থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। যথা—
নৈতিকতা ও সুবিচার: তিনি মুসলিম ও অমুসলিম সবার প্রতি সুবিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
সামরিক দক্ষতা ও নেতৃত্ব: তিনি প্রমাণ করেন যে কৌশলগত নেতৃত্বই যুদ্ধে বিজয়ের মূল চাবিকাঠি।
ধর্মীয় সহনশীলতা: বিজিত জনগোষ্ঠীর প্রতি তাঁর ন্যায়বিচার ও সহনশীল মনোভাব মুসলিম শাসনের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।
নির্মম পরিণতি
মুহাম্মদ বিন কাসিমের বিজয়ের পর তিনি কিছু সময় সিন্ধুতে শান্তিপূর্ণ শাসন চালান। কিন্তু উমাইয়া খলিফা ও হাজ্জাজের মৃত্যুর পর নতুন শাসকেরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। এক ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগে ৭১৫ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে ইরাকে ডেকে পাঠানো হয় এবং সেখানে তিনি নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মুহাম্মদ বিন কাসিম ইতিহাসে এক মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি তাঁর অসাধারণ সামরিক প্রতিভা, সুবিচার ও ধর্মীয় সহনশীলতার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর সিন্ধু বিজয় শুধু ইসলামি ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায় নয়, বরং এটি ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোতেও গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি আজও এক মহান নেতা ও বিজয়ী হিসেবে স্মরণীয়।
সূত্র:
১. ইবনুল আসীর, আল-কামিল ফিত তারিখ
২. ইবনে খালদুন, মুকাদ্দিমা
৩. আবুল ফজল, আকবরনামা
৪. আল-বালাদুরি, ফুতুহুল বুলদান

মুহাম্মদ বিন কাসিম (৬৯৫-৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক বীর সেনানায়ক, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর অসাধারণ সমর কৌশল, প্রজাস্বত্ব আচরণ ও ইসলামের প্রসার ঘটানোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি শুধু একজন বিজয়ী সেনাপতিই ছিলেন না, বরং একজন বিচক্ষণ প্রশাসক, সুবিচারক ও সহনশীল শাসক ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন
মুহাম্মদ বিন কাসিম ৬৯৫ খ্রিষ্টাব্দে (৭৫ হিজরি) আরবের তায়েফ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বনি সাকিফ গোত্রের সন্তান। তাঁর পিতা কাসিম বিন ইউসুফ ছিলেন সম্মানিত ব্যক্তি। শৈশবে তিনি বীরত্ব, নেতৃত্বগুণ ও সামরিক কৌশলে দক্ষ হয়ে ওঠেন। খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান এবং পরবর্তীতে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের শাসনামলে তিনি দক্ষ সেনানায়কে পরিণত হন।
সিন্ধু বিজয়ের পটভূমি
সিন্ধু অঞ্চলে তখন রাজা দাহিরের শাসন চলছিল। যিনি অত্যাচারী ও অসহিষ্ণু শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মুসলিম ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা ও লুটপাটের কারণে উমাইয়া খলিফার অধীনস্থ ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ সিন্ধু আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে বেশ কয়েকটি ছোট অভিযান ব্যর্থ হলে ৭১২ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মদ বিন কাসিমের নেতৃত্বে একটি সুসজ্জিত বাহিনী পাঠানো হয়।
সিন্ধু বিজয় অভিযান
মুহাম্মদ বিন কাসিম মাত্র ১৭ বছর বয়সে এক বিশাল বাহিনী নিয়ে সিন্ধু অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তাঁর বাহিনীতে ৬ হাজার ঘোড়সওয়ার, ৬ হাজার উটসওয়ার এবং অসংখ্য পদাতিক সেনা ছিল। তিনি যুদ্ধের কৌশল ও প্রযুক্তিতে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। তাঁর সৈন্যরা যুদ্ধের সময় তেল মিশ্রিত আগুনের গোলক ব্যবহার করত, যা শত্রু বাহিনীর দুর্গ ভেঙে ফেলতে সাহায্য করত।
রাজা দাহিরের সঙ্গে যুদ্ধ সিন্ধুর অর্নার (বর্তমানে হায়দ্রাবাদ, পাকিস্তান) নামক স্থানে সংঘটিত হয়। মুহাম্মদ বিন কাসিমের দক্ষ নেতৃত্ব ও কৌশলগত চালের ফলে রাজা দাহির পরাজিত হন ও নিহত হন। এরপর মুহাম্মদ বিন কাসিম ক্রমান্বয়ে সমগ্র সিন্ধু অঞ্চল দখল করেন এবং ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
সিন্ধু বিজয়ের তাৎপর্য
ইসলামের প্রসার: মুহাম্মদ বিন কাসিমের বিজয়ের মাধ্যমে সিন্ধু অঞ্চলে ইসলামের আলো ছড়িয়ে পড়ে। তিনি স্থানীয় জনগণকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করতে সহনশীলতা ও ন্যায়বিচারের নীতি অনুসরণ করেন।
সুশৃঙ্খল প্রশাসন প্রতিষ্ঠা: তিনি বিজিত অঞ্চলে সুবিচার ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শাসনামলে স্থানীয় হিন্দু ও বৌদ্ধদের ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়া হয় এবং কর ব্যবস্থা সহজ করা হয়।
মুসলিম শাসনের পথ তৈরি: মুহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয় পরবর্তীতে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে, যা পরবর্তীকালে সুলতানাত ও মোগল সাম্রাজ্যের উত্থানে সহায়ক হয়।
মুহাম্মদ বিন কাসিমের নীতি
মুহাম্মদ বিন কাসিমের জীবন থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। যথা—
নৈতিকতা ও সুবিচার: তিনি মুসলিম ও অমুসলিম সবার প্রতি সুবিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
সামরিক দক্ষতা ও নেতৃত্ব: তিনি প্রমাণ করেন যে কৌশলগত নেতৃত্বই যুদ্ধে বিজয়ের মূল চাবিকাঠি।
ধর্মীয় সহনশীলতা: বিজিত জনগোষ্ঠীর প্রতি তাঁর ন্যায়বিচার ও সহনশীল মনোভাব মুসলিম শাসনের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।
নির্মম পরিণতি
মুহাম্মদ বিন কাসিমের বিজয়ের পর তিনি কিছু সময় সিন্ধুতে শান্তিপূর্ণ শাসন চালান। কিন্তু উমাইয়া খলিফা ও হাজ্জাজের মৃত্যুর পর নতুন শাসকেরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। এক ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগে ৭১৫ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে ইরাকে ডেকে পাঠানো হয় এবং সেখানে তিনি নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মুহাম্মদ বিন কাসিম ইতিহাসে এক মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি তাঁর অসাধারণ সামরিক প্রতিভা, সুবিচার ও ধর্মীয় সহনশীলতার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর সিন্ধু বিজয় শুধু ইসলামি ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায় নয়, বরং এটি ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোতেও গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি আজও এক মহান নেতা ও বিজয়ী হিসেবে স্মরণীয়।
সূত্র:
১. ইবনুল আসীর, আল-কামিল ফিত তারিখ
২. ইবনে খালদুন, মুকাদ্দিমা
৩. আবুল ফজল, আকবরনামা
৪. আল-বালাদুরি, ফুতুহুল বুলদান
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

মুহাম্মদ বিন কাসিম (৬৯৫-৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক বীর সেনানায়ক, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর অসাধারণ সমর কৌশল, প্রজাস্বত্ব আচরণ ও ইসলামের প্রসার ঘটানোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি শুধু একজন বিজয়ী সেনাপতিই ছিলেন না, বরং একজন বিচক্ষণ প্রশাসক, সুবিচারক ও সহনশীল শাসক ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন
মুহাম্মদ বিন কাসিম ৬৯৫ খ্রিষ্টাব্দে (৭৫ হিজরি) আরবের তায়েফ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বনি সাকিফ গোত্রের সন্তান। তাঁর পিতা কাসিম বিন ইউসুফ ছিলেন সম্মানিত ব্যক্তি। শৈশবে তিনি বীরত্ব, নেতৃত্বগুণ ও সামরিক কৌশলে দক্ষ হয়ে ওঠেন। খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান এবং পরবর্তীতে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের শাসনামলে তিনি দক্ষ সেনানায়কে পরিণত হন।
সিন্ধু বিজয়ের পটভূমি
সিন্ধু অঞ্চলে তখন রাজা দাহিরের শাসন চলছিল। যিনি অত্যাচারী ও অসহিষ্ণু শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মুসলিম ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা ও লুটপাটের কারণে উমাইয়া খলিফার অধীনস্থ ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ সিন্ধু আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে বেশ কয়েকটি ছোট অভিযান ব্যর্থ হলে ৭১২ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মদ বিন কাসিমের নেতৃত্বে একটি সুসজ্জিত বাহিনী পাঠানো হয়।
সিন্ধু বিজয় অভিযান
মুহাম্মদ বিন কাসিম মাত্র ১৭ বছর বয়সে এক বিশাল বাহিনী নিয়ে সিন্ধু অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তাঁর বাহিনীতে ৬ হাজার ঘোড়সওয়ার, ৬ হাজার উটসওয়ার এবং অসংখ্য পদাতিক সেনা ছিল। তিনি যুদ্ধের কৌশল ও প্রযুক্তিতে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। তাঁর সৈন্যরা যুদ্ধের সময় তেল মিশ্রিত আগুনের গোলক ব্যবহার করত, যা শত্রু বাহিনীর দুর্গ ভেঙে ফেলতে সাহায্য করত।
রাজা দাহিরের সঙ্গে যুদ্ধ সিন্ধুর অর্নার (বর্তমানে হায়দ্রাবাদ, পাকিস্তান) নামক স্থানে সংঘটিত হয়। মুহাম্মদ বিন কাসিমের দক্ষ নেতৃত্ব ও কৌশলগত চালের ফলে রাজা দাহির পরাজিত হন ও নিহত হন। এরপর মুহাম্মদ বিন কাসিম ক্রমান্বয়ে সমগ্র সিন্ধু অঞ্চল দখল করেন এবং ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
সিন্ধু বিজয়ের তাৎপর্য
ইসলামের প্রসার: মুহাম্মদ বিন কাসিমের বিজয়ের মাধ্যমে সিন্ধু অঞ্চলে ইসলামের আলো ছড়িয়ে পড়ে। তিনি স্থানীয় জনগণকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করতে সহনশীলতা ও ন্যায়বিচারের নীতি অনুসরণ করেন।
সুশৃঙ্খল প্রশাসন প্রতিষ্ঠা: তিনি বিজিত অঞ্চলে সুবিচার ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শাসনামলে স্থানীয় হিন্দু ও বৌদ্ধদের ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়া হয় এবং কর ব্যবস্থা সহজ করা হয়।
মুসলিম শাসনের পথ তৈরি: মুহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয় পরবর্তীতে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে, যা পরবর্তীকালে সুলতানাত ও মোগল সাম্রাজ্যের উত্থানে সহায়ক হয়।
মুহাম্মদ বিন কাসিমের নীতি
মুহাম্মদ বিন কাসিমের জীবন থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। যথা—
নৈতিকতা ও সুবিচার: তিনি মুসলিম ও অমুসলিম সবার প্রতি সুবিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
সামরিক দক্ষতা ও নেতৃত্ব: তিনি প্রমাণ করেন যে কৌশলগত নেতৃত্বই যুদ্ধে বিজয়ের মূল চাবিকাঠি।
ধর্মীয় সহনশীলতা: বিজিত জনগোষ্ঠীর প্রতি তাঁর ন্যায়বিচার ও সহনশীল মনোভাব মুসলিম শাসনের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।
নির্মম পরিণতি
মুহাম্মদ বিন কাসিমের বিজয়ের পর তিনি কিছু সময় সিন্ধুতে শান্তিপূর্ণ শাসন চালান। কিন্তু উমাইয়া খলিফা ও হাজ্জাজের মৃত্যুর পর নতুন শাসকেরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। এক ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগে ৭১৫ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে ইরাকে ডেকে পাঠানো হয় এবং সেখানে তিনি নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মুহাম্মদ বিন কাসিম ইতিহাসে এক মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি তাঁর অসাধারণ সামরিক প্রতিভা, সুবিচার ও ধর্মীয় সহনশীলতার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর সিন্ধু বিজয় শুধু ইসলামি ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায় নয়, বরং এটি ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোতেও গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি আজও এক মহান নেতা ও বিজয়ী হিসেবে স্মরণীয়।
সূত্র:
১. ইবনুল আসীর, আল-কামিল ফিত তারিখ
২. ইবনে খালদুন, মুকাদ্দিমা
৩. আবুল ফজল, আকবরনামা
৪. আল-বালাদুরি, ফুতুহুল বুলদান

মুহাম্মদ বিন কাসিম (৬৯৫-৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক বীর সেনানায়ক, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর অসাধারণ সমর কৌশল, প্রজাস্বত্ব আচরণ ও ইসলামের প্রসার ঘটানোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি শুধু একজন বিজয়ী সেনাপতিই ছিলেন না, বরং একজন বিচক্ষণ প্রশাসক, সুবিচারক ও সহনশীল শাসক ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন
মুহাম্মদ বিন কাসিম ৬৯৫ খ্রিষ্টাব্দে (৭৫ হিজরি) আরবের তায়েফ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বনি সাকিফ গোত্রের সন্তান। তাঁর পিতা কাসিম বিন ইউসুফ ছিলেন সম্মানিত ব্যক্তি। শৈশবে তিনি বীরত্ব, নেতৃত্বগুণ ও সামরিক কৌশলে দক্ষ হয়ে ওঠেন। খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান এবং পরবর্তীতে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের শাসনামলে তিনি দক্ষ সেনানায়কে পরিণত হন।
সিন্ধু বিজয়ের পটভূমি
সিন্ধু অঞ্চলে তখন রাজা দাহিরের শাসন চলছিল। যিনি অত্যাচারী ও অসহিষ্ণু শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মুসলিম ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা ও লুটপাটের কারণে উমাইয়া খলিফার অধীনস্থ ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ সিন্ধু আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে বেশ কয়েকটি ছোট অভিযান ব্যর্থ হলে ৭১২ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মদ বিন কাসিমের নেতৃত্বে একটি সুসজ্জিত বাহিনী পাঠানো হয়।
সিন্ধু বিজয় অভিযান
মুহাম্মদ বিন কাসিম মাত্র ১৭ বছর বয়সে এক বিশাল বাহিনী নিয়ে সিন্ধু অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তাঁর বাহিনীতে ৬ হাজার ঘোড়সওয়ার, ৬ হাজার উটসওয়ার এবং অসংখ্য পদাতিক সেনা ছিল। তিনি যুদ্ধের কৌশল ও প্রযুক্তিতে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। তাঁর সৈন্যরা যুদ্ধের সময় তেল মিশ্রিত আগুনের গোলক ব্যবহার করত, যা শত্রু বাহিনীর দুর্গ ভেঙে ফেলতে সাহায্য করত।
রাজা দাহিরের সঙ্গে যুদ্ধ সিন্ধুর অর্নার (বর্তমানে হায়দ্রাবাদ, পাকিস্তান) নামক স্থানে সংঘটিত হয়। মুহাম্মদ বিন কাসিমের দক্ষ নেতৃত্ব ও কৌশলগত চালের ফলে রাজা দাহির পরাজিত হন ও নিহত হন। এরপর মুহাম্মদ বিন কাসিম ক্রমান্বয়ে সমগ্র সিন্ধু অঞ্চল দখল করেন এবং ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
সিন্ধু বিজয়ের তাৎপর্য
ইসলামের প্রসার: মুহাম্মদ বিন কাসিমের বিজয়ের মাধ্যমে সিন্ধু অঞ্চলে ইসলামের আলো ছড়িয়ে পড়ে। তিনি স্থানীয় জনগণকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করতে সহনশীলতা ও ন্যায়বিচারের নীতি অনুসরণ করেন।
সুশৃঙ্খল প্রশাসন প্রতিষ্ঠা: তিনি বিজিত অঞ্চলে সুবিচার ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শাসনামলে স্থানীয় হিন্দু ও বৌদ্ধদের ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়া হয় এবং কর ব্যবস্থা সহজ করা হয়।
মুসলিম শাসনের পথ তৈরি: মুহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয় পরবর্তীতে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে, যা পরবর্তীকালে সুলতানাত ও মোগল সাম্রাজ্যের উত্থানে সহায়ক হয়।
মুহাম্মদ বিন কাসিমের নীতি
মুহাম্মদ বিন কাসিমের জীবন থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। যথা—
নৈতিকতা ও সুবিচার: তিনি মুসলিম ও অমুসলিম সবার প্রতি সুবিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
সামরিক দক্ষতা ও নেতৃত্ব: তিনি প্রমাণ করেন যে কৌশলগত নেতৃত্বই যুদ্ধে বিজয়ের মূল চাবিকাঠি।
ধর্মীয় সহনশীলতা: বিজিত জনগোষ্ঠীর প্রতি তাঁর ন্যায়বিচার ও সহনশীল মনোভাব মুসলিম শাসনের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।
নির্মম পরিণতি
মুহাম্মদ বিন কাসিমের বিজয়ের পর তিনি কিছু সময় সিন্ধুতে শান্তিপূর্ণ শাসন চালান। কিন্তু উমাইয়া খলিফা ও হাজ্জাজের মৃত্যুর পর নতুন শাসকেরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। এক ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগে ৭১৫ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে ইরাকে ডেকে পাঠানো হয় এবং সেখানে তিনি নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মুহাম্মদ বিন কাসিম ইতিহাসে এক মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি তাঁর অসাধারণ সামরিক প্রতিভা, সুবিচার ও ধর্মীয় সহনশীলতার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর সিন্ধু বিজয় শুধু ইসলামি ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায় নয়, বরং এটি ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোতেও গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি আজও এক মহান নেতা ও বিজয়ী হিসেবে স্মরণীয়।
সূত্র:
১. ইবনুল আসীর, আল-কামিল ফিত তারিখ
২. ইবনে খালদুন, মুকাদ্দিমা
৩. আবুল ফজল, আকবরনামা
৪. আল-বালাদুরি, ফুতুহুল বুলদান

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

মুহাম্মদ বিন কাসিম (৬৯৫-৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক বীর সেনানায়ক, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর অসাধারণ সমর কৌশল, প্রজাস্বত্ব আচরণ ও ইসলামের প্রসার ঘটানোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি শুধু একজন বিজয়ী সেনাপতিই ছিলেন না, বরং একজন বিচক্ষণ প্রশাসক, সুবিচারক
২২ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মুহাম্মদ বিন কাসিম (৬৯৫-৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক বীর সেনানায়ক, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর অসাধারণ সমর কৌশল, প্রজাস্বত্ব আচরণ ও ইসলামের প্রসার ঘটানোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি শুধু একজন বিজয়ী সেনাপতিই ছিলেন না, বরং একজন বিচক্ষণ প্রশাসক, সুবিচারক
২২ মার্চ ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

মুহাম্মদ বিন কাসিম (৬৯৫-৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক বীর সেনানায়ক, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর অসাধারণ সমর কৌশল, প্রজাস্বত্ব আচরণ ও ইসলামের প্রসার ঘটানোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি শুধু একজন বিজয়ী সেনাপতিই ছিলেন না, বরং একজন বিচক্ষণ প্রশাসক, সুবিচারক
২২ মার্চ ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেসাকী মাহবুব

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

মুহাম্মদ বিন কাসিম (৬৯৫-৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক বীর সেনানায়ক, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর অসাধারণ সমর কৌশল, প্রজাস্বত্ব আচরণ ও ইসলামের প্রসার ঘটানোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি শুধু একজন বিজয়ী সেনাপতিই ছিলেন না, বরং একজন বিচক্ষণ প্রশাসক, সুবিচারক
২২ মার্চ ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে