আবদুল আযীয কাসেমি
মানুষের প্রতি আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহের সীমা নেই। মানুষের উপকারার্থে আল্লাহ তাআলা অনেক কিছু সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সব আমি তোমাদের উপকারার্থেই সৃষ্টি করেছি।’ বিশাল আকাশ, পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, চন্দ্র-সূর্য—সবই আমাদের কল্যাণার্থেই সৃজিত। বন ও অরণ্য আল্লাহর বড় নিয়ামত। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর স্থলভাগের প্রায় ৩০ শতাংশই অরণ্যঘেরা। আমাদের দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হলো সুন্দরবনের দীর্ঘ বনাঞ্চল। বনাঞ্চলের কল্যাণেই আবহাওয়া থাকে শুদ্ধ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পায়। গাছ থেকে যেভাবে আমাদের খাদ্য তৈরি হয়, সেভাবে আমরা একে ব্যবহার করি নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে। এসব নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি পরিমাণমতো, সেগুলোকে আমি ভূমিতে সংরক্ষণ করি এবং আমি তা অপসারণ করতে সক্ষম। সেই পানি দিয়ে তোমাদের জন্য খেজুর ও আঙুরবাগান সৃষ্টি করছি। তোমাদের জন্য এতে প্রচুর ফল আছে এবং তোমরা তা থেকে আহার করে থাকো।’ (সুরা মুমিনিন: ১৮-১৯)। অন্যত্র মহান আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘আমি আকাশ থেকে কল্যাণময় বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং এর দ্বারা বাগানে শস্য উৎপাদন করি। যেগুলোর ফসল আহরণ করা হয়।’ (সুরা কাফ: ৯)
পবিত্র কোরআনে খেজুরগাছ, লাউগাছ, আনারগাছ, জলপাইগাছ, কুলগাছ ও অনেক কাঁটাবিশিষ্ট জাক্কুম সম্পর্কে আলোচনা স্থান পেয়েছে। পরিবেশের ওপর গাছের প্রভাব থাকায় রাসুল (সা.) গাছ কাটতে নিষেধ করেছেন। কেননা, মানুষ ছাড়াও অনেক প্রাণী গাছ থেকে উপকৃত হয়। বিনা প্রয়োজনে গাছ কাটাকে রাসুল (সা.) নিরুৎসাহিত করেছেন। শুধু তা-ই নয়, যুদ্ধের ময়দানেও অমুসলিম শত্রুদের গাছ কাটা নিষিদ্ধ করেছেন। মুতার যুদ্ধে সেনাপতিকে লক্ষ করে বলেছিলেন, ‘তোমরা কোনো খেজুর বৃক্ষ জ্বালিয়ে দেবে না এবং কোনো বৃক্ষ কর্তন করবে না।’ অপর এক হাদিসে এসেছে, তিনি এমন ঘৃণিত কর্ম সম্পাদনকারী সম্পর্কে বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা প্রয়োজনে কাঁটাযুক্ত কোনো বৃক্ষ কর্তন করবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন।’ (আবু দাউদ: ৪৬২৬)
প্রায়ই আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হই। অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হয়। তাদের দুঃখ-কষ্ট দেখে নিজেদের স্থির রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠেকাতে ব্যাপক বনাঞ্চলের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কষ্টের বিষয় হলো, মাঝে মাঝেই পত্রপত্রিকায় চোখ বুলালে বনভূমি জবরদখলের ঘৃণ্য চিত্র দেখা যায়। এসবের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যসহ যেকোনো বনভূমি শুধু রক্ষণাবেক্ষণ নয়, সম্প্রসারণও করতে হবে। একই সঙ্গে সামাজিক ও কৃষি বনায়ন কর্মসূচি জোরদার করতে হবে।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
মানুষের প্রতি আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহের সীমা নেই। মানুষের উপকারার্থে আল্লাহ তাআলা অনেক কিছু সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সব আমি তোমাদের উপকারার্থেই সৃষ্টি করেছি।’ বিশাল আকাশ, পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, চন্দ্র-সূর্য—সবই আমাদের কল্যাণার্থেই সৃজিত। বন ও অরণ্য আল্লাহর বড় নিয়ামত। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর স্থলভাগের প্রায় ৩০ শতাংশই অরণ্যঘেরা। আমাদের দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হলো সুন্দরবনের দীর্ঘ বনাঞ্চল। বনাঞ্চলের কল্যাণেই আবহাওয়া থাকে শুদ্ধ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পায়। গাছ থেকে যেভাবে আমাদের খাদ্য তৈরি হয়, সেভাবে আমরা একে ব্যবহার করি নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে। এসব নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি পরিমাণমতো, সেগুলোকে আমি ভূমিতে সংরক্ষণ করি এবং আমি তা অপসারণ করতে সক্ষম। সেই পানি দিয়ে তোমাদের জন্য খেজুর ও আঙুরবাগান সৃষ্টি করছি। তোমাদের জন্য এতে প্রচুর ফল আছে এবং তোমরা তা থেকে আহার করে থাকো।’ (সুরা মুমিনিন: ১৮-১৯)। অন্যত্র মহান আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘আমি আকাশ থেকে কল্যাণময় বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং এর দ্বারা বাগানে শস্য উৎপাদন করি। যেগুলোর ফসল আহরণ করা হয়।’ (সুরা কাফ: ৯)
পবিত্র কোরআনে খেজুরগাছ, লাউগাছ, আনারগাছ, জলপাইগাছ, কুলগাছ ও অনেক কাঁটাবিশিষ্ট জাক্কুম সম্পর্কে আলোচনা স্থান পেয়েছে। পরিবেশের ওপর গাছের প্রভাব থাকায় রাসুল (সা.) গাছ কাটতে নিষেধ করেছেন। কেননা, মানুষ ছাড়াও অনেক প্রাণী গাছ থেকে উপকৃত হয়। বিনা প্রয়োজনে গাছ কাটাকে রাসুল (সা.) নিরুৎসাহিত করেছেন। শুধু তা-ই নয়, যুদ্ধের ময়দানেও অমুসলিম শত্রুদের গাছ কাটা নিষিদ্ধ করেছেন। মুতার যুদ্ধে সেনাপতিকে লক্ষ করে বলেছিলেন, ‘তোমরা কোনো খেজুর বৃক্ষ জ্বালিয়ে দেবে না এবং কোনো বৃক্ষ কর্তন করবে না।’ অপর এক হাদিসে এসেছে, তিনি এমন ঘৃণিত কর্ম সম্পাদনকারী সম্পর্কে বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা প্রয়োজনে কাঁটাযুক্ত কোনো বৃক্ষ কর্তন করবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন।’ (আবু দাউদ: ৪৬২৬)
প্রায়ই আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হই। অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হয়। তাদের দুঃখ-কষ্ট দেখে নিজেদের স্থির রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠেকাতে ব্যাপক বনাঞ্চলের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কষ্টের বিষয় হলো, মাঝে মাঝেই পত্রপত্রিকায় চোখ বুলালে বনভূমি জবরদখলের ঘৃণ্য চিত্র দেখা যায়। এসবের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যসহ যেকোনো বনভূমি শুধু রক্ষণাবেক্ষণ নয়, সম্প্রসারণও করতে হবে। একই সঙ্গে সামাজিক ও কৃষি বনায়ন কর্মসূচি জোরদার করতে হবে।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
সন্তানকে ইবাদতে উৎসাহ দেওয়া মা-বাবার মহান দায়িত্ব। ছোটবেলা থেকেই নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা পরবর্তী জীবনে নীতিমান ও ধার্মিক হয়ে বেড়ে ওঠে। খেলার ছলে নামাজের ভঙ্গি শেখানো, দোয়া মুখস্থ করানো, পরিবারের সঙ্গে ইবাদতে অংশ নিতে বলা—এগুলো তাদের মনে ধর্মীয় চেতনা গড়ে তোলে।
৫ ঘণ্টা আগেকোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে।
১ দিন আগেমানুষের প্রতি সম্মান একটি মৌলিক মানবিক গুণ, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। প্রত্যেক মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এবং একে অপরকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম, বর্ণ, জাতি কিংবা পেশা ভেদে কাউকে ছোট করা মানবতার পরিপন্থী। সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক...
২ দিন আগেসপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ এই দিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ—এর অন্যতম কারণ জুমার নামাজ। জুমার নামাজ আদায় করলেই কেবল এই দিনের বরকত, ফজিলত লাভের আশা করা যায়।
২ দিন আগে