শাব্বির আহমদ
হিজরি সনের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল, যা মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময়। রবিউল আউয়ালের মর্যাদা নবী করিম (সা.)-এর পৃথিবীতে আগমন এবং ওফাতের কারণে। এ মাসেই তিনি মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন এবং মদিনায় ইন্তেকাল করেন।
বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এমন একটি প্রিয় নাম, যা প্রত্যেক মুসলিম তার হৃদয়ে গভীর ভালোবাসার সঙ্গে ধারণ করে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘হে রাসুল, আপনি বলুন—যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমাকে অনুসরণ করো, যাতে আল্লাহও তোমাদের ভালোবাসেন এবং তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।’ (সুরা আলে ইমরান: ৩১)
এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, আল্লাহকে ভালোবাসার একমাত্র পথ হলো রাসুল (সা.)-এর অনুসরণ ও আনুগত্য। রাসুলকে ভালোবাসা ছাড়া তাঁর আনুগত্য করা সম্ভব নয়। তাই আল্লাহকে ভালোবাসার স্বাভাবিক পরিণতিই হলো রাসুল (সা.)কে ভালোবাসা। আমাদের ভালোবাসা রাসুল (সা.)-এর জন্য কতটা গভীর, তা যাচাই করার উপায় কী? এর হিসাব নেওয়া কঠিন নয়। আমাদের ভালোবাসা যদি পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি কিংবা অন্য যেকোনো মানুষের চেয়ে রাসুলের প্রতি বেশি হয়, তবেই আমরা সত্যিকার অর্থে মুমিন। হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত সত্যিকারের মুমিন হবে না, যতক্ষণ আমি তার কাছে নিজ পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সব মানুষ থেকে প্রিয় না হব।’ (সহিহ্ বুখারি)।
আজকের বাস্তবতায় মুসলিম উম্মাহ নানা মতপার্থক্য ও বিভ্রান্তির মধ্যে নিমজ্জিত। এই অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের পথ একটাই—রাসুল (সা.)-এর দেখানো আদর্শে ফিরে আসা। রবিউল আউয়াল আমাদের সে শিক্ষা দেয় যে, প্রকৃত ভালোবাসা কেবল অনুভূতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তা প্রকাশ পায় আনুগত্য ও অনুসরণে। তাই এ মাসে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক—রাসুল (সা.)-এর জীবনাদর্শকে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে বাস্তবায়ন করা, তাঁর সিরাত থেকে শিক্ষা নিয়ে উম্মাহর ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সর্বদা সচেষ্ট থাকা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রবিউল আউয়াল মাসের বরকত, রাসুলের মহব্বত ও পরকালীন নাজাত নসিব করুন।
হিজরি সনের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল, যা মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময়। রবিউল আউয়ালের মর্যাদা নবী করিম (সা.)-এর পৃথিবীতে আগমন এবং ওফাতের কারণে। এ মাসেই তিনি মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন এবং মদিনায় ইন্তেকাল করেন।
বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এমন একটি প্রিয় নাম, যা প্রত্যেক মুসলিম তার হৃদয়ে গভীর ভালোবাসার সঙ্গে ধারণ করে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘হে রাসুল, আপনি বলুন—যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমাকে অনুসরণ করো, যাতে আল্লাহও তোমাদের ভালোবাসেন এবং তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।’ (সুরা আলে ইমরান: ৩১)
এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, আল্লাহকে ভালোবাসার একমাত্র পথ হলো রাসুল (সা.)-এর অনুসরণ ও আনুগত্য। রাসুলকে ভালোবাসা ছাড়া তাঁর আনুগত্য করা সম্ভব নয়। তাই আল্লাহকে ভালোবাসার স্বাভাবিক পরিণতিই হলো রাসুল (সা.)কে ভালোবাসা। আমাদের ভালোবাসা রাসুল (সা.)-এর জন্য কতটা গভীর, তা যাচাই করার উপায় কী? এর হিসাব নেওয়া কঠিন নয়। আমাদের ভালোবাসা যদি পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি কিংবা অন্য যেকোনো মানুষের চেয়ে রাসুলের প্রতি বেশি হয়, তবেই আমরা সত্যিকার অর্থে মুমিন। হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত সত্যিকারের মুমিন হবে না, যতক্ষণ আমি তার কাছে নিজ পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সব মানুষ থেকে প্রিয় না হব।’ (সহিহ্ বুখারি)।
আজকের বাস্তবতায় মুসলিম উম্মাহ নানা মতপার্থক্য ও বিভ্রান্তির মধ্যে নিমজ্জিত। এই অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের পথ একটাই—রাসুল (সা.)-এর দেখানো আদর্শে ফিরে আসা। রবিউল আউয়াল আমাদের সে শিক্ষা দেয় যে, প্রকৃত ভালোবাসা কেবল অনুভূতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তা প্রকাশ পায় আনুগত্য ও অনুসরণে। তাই এ মাসে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক—রাসুল (সা.)-এর জীবনাদর্শকে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে বাস্তবায়ন করা, তাঁর সিরাত থেকে শিক্ষা নিয়ে উম্মাহর ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সর্বদা সচেষ্ট থাকা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রবিউল আউয়াল মাসের বরকত, রাসুলের মহব্বত ও পরকালীন নাজাত নসিব করুন।
হিজরি সনের তৃতীয় মাস হলো রবিউল আউয়াল। ‘রবিউন’ শব্দের অর্থ বসন্ত। এ মাসে আরবের প্রকৃতিতে বসন্ত আসত, তাই এর নাম ‘রবিউল আউয়াল’ বা বসন্তের প্রথম মাস। মুসলিম উম্মাহর কাছে মাসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
১৮ ঘণ্টা আগেপ্রথমে আকিদা বিশুদ্ধ করতে হয়, এরপর বিশুদ্ধ আকিদার ওপর ইমান আনতে হয়। আকিদার বিশুদ্ধতা ছাড়া ইমানের কোনো সুযোগ ও বাস্তবতা ইসলামে নেই। তাই প্রথম কাজ হিসেবে আকিদার বিশুদ্ধতা নিয়ে অনেক আলোচনা ও লেখালেখি হলেও ইমানের ওপর আলোচনা ও কাজ খুবই কম হয়। তা ছাড়া ইমানের আলোচনায় সমসাময়িক বিষয়গুলো আলোকপাত করা...
১ দিন আগেসৃষ্টিকর্তা হিসেবে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জানা-অজানা, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব বিষয় সম্পর্কে অবগত। তিনি জানেন, মানুষ ভুল করবে এবং পাপকাজে লিপ্ত হবে। তবে এ পাপ হয়ে যাওয়ার পর বান্দা যখন অনুতপ্ত হয়ে তাঁর কাছে ফিরে আসে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে, তখন আল্লাহ অত্যন্ত খুশি হন।
১ দিন আগেইসলামে মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য যেমন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তেমনি সন্তানের প্রতিও মাতা-পিতার দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। সন্তান জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মাতা-পিতার প্রতি তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের কর্তব্য ও দায়িত্ব কার্যকর হতে শুরু করে এবং তখন থেকেই সে হক অনুযায়ী আমল করা মাতা-পিতার...
২ দিন আগে