আবরার নাঈম
ইসলাম এক পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের হৃদয়কে করে কোমল, কর্মকে করে কল্যাণময়। এই ধর্ম শুধু নামাজ, রোজা, হজ, জাকাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট আচরণকেও ইবাদতের মর্যাদা দিয়েছে। ইসলামের সৌন্দর্য এখানেই—এটি আমাদের এমন কাজের প্রতি উৎসাহ দেয়, যেগুলো হয়তো চোখে ছোট, কিন্তু আল্লাহর কাছে সেগুলোর মূল্য অনেক।
এক সাহাবি প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে জানতে চাইলেন, ‘ইসলামে কোন কাজ সবচেয়ে উত্তম?’ নবী করিম (সা.) উত্তরে বললেন—
১. তুমি খাদ্য খাওয়াবে
ক্ষুধার্তকে আহার করানো ইসলামে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ কাজ। এটি শুধু মানবিক দায়িত্বই নয়, বরং জান্নাতে পৌঁছার এক মহান সোপান। যারা ধন-সম্পদ থাকা সত্ত্বেও গরিবকে অন্ন দেয় না, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা খাদ্য দান করো, সালাম প্রচার করো—তাহলে জান্নাতে প্রবেশ পাবে।’ (জামে তিরমিজি)
এমনকি যদি খাবার দেওয়ার সামর্থ্য না-ও থাকে, তবু অন্তত গরিবকে ধমক না দিয়ে, ভালোভাবে বিদায় দেওয়ার শিক্ষাও ইসলাম দেয়। এতে আছে মহান মানবিকতা, উদারতা ও হৃদয়বৃত্তির অনুপম প্রকাশ।
২. তুমি চেনা–অচেনা সকলকে সালাম দেবে
সালাম মানে শান্তি, কল্যাণ, দোয়া। সালাম শুধু একটি শুভেচ্ছাবাক্য নয়, বরং তা একটি ইবাদত, যা মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি করে, সমাজে বন্ধন গড়ে তোলে। পরিচিত বা অপরিচিত—সবার সঙ্গে সালামের আদান-প্রদান ইসলামে সুন্নত এবং প্রশংসনীয় কাজ।
কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ করো, তখন তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলো। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি কল্যাণময় ও পবিত্র অভিবাদন।’ (সুরা নুর: ৬১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা একে অপরের মধ্যে সালাম প্রচার করো—তবে তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি হবে।’ (রিয়াজুস সালেহিন: ৮৫২)
ইসলামের সৌন্দর্য এটাই—এটি আমাদের বলে দেয়, ছোট ছোট কাজেও রয়েছে অফুরন্ত সওয়াব। অন্যকে খাওয়ানো, সালাম দেওয়া—এমন সহজ কাজগুলো যদি আমরা আন্তরিকতা দিয়ে করি, তবে তা আমাদের জান্নাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমরা যদি নিজেদের জীবনধারায় এই ছোট আমলগুলো নিয়মিতভাবে সংযুক্ত করি, তবে সমাজ হবে শান্তিময়, হৃদয় হবে নির্মল, আর আমাদের পরকাল হবে আলোকোজ্জ্বল।
ইসলাম এক পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের হৃদয়কে করে কোমল, কর্মকে করে কল্যাণময়। এই ধর্ম শুধু নামাজ, রোজা, হজ, জাকাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট আচরণকেও ইবাদতের মর্যাদা দিয়েছে। ইসলামের সৌন্দর্য এখানেই—এটি আমাদের এমন কাজের প্রতি উৎসাহ দেয়, যেগুলো হয়তো চোখে ছোট, কিন্তু আল্লাহর কাছে সেগুলোর মূল্য অনেক।
এক সাহাবি প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে জানতে চাইলেন, ‘ইসলামে কোন কাজ সবচেয়ে উত্তম?’ নবী করিম (সা.) উত্তরে বললেন—
১. তুমি খাদ্য খাওয়াবে
ক্ষুধার্তকে আহার করানো ইসলামে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ কাজ। এটি শুধু মানবিক দায়িত্বই নয়, বরং জান্নাতে পৌঁছার এক মহান সোপান। যারা ধন-সম্পদ থাকা সত্ত্বেও গরিবকে অন্ন দেয় না, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা খাদ্য দান করো, সালাম প্রচার করো—তাহলে জান্নাতে প্রবেশ পাবে।’ (জামে তিরমিজি)
এমনকি যদি খাবার দেওয়ার সামর্থ্য না-ও থাকে, তবু অন্তত গরিবকে ধমক না দিয়ে, ভালোভাবে বিদায় দেওয়ার শিক্ষাও ইসলাম দেয়। এতে আছে মহান মানবিকতা, উদারতা ও হৃদয়বৃত্তির অনুপম প্রকাশ।
২. তুমি চেনা–অচেনা সকলকে সালাম দেবে
সালাম মানে শান্তি, কল্যাণ, দোয়া। সালাম শুধু একটি শুভেচ্ছাবাক্য নয়, বরং তা একটি ইবাদত, যা মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি করে, সমাজে বন্ধন গড়ে তোলে। পরিচিত বা অপরিচিত—সবার সঙ্গে সালামের আদান-প্রদান ইসলামে সুন্নত এবং প্রশংসনীয় কাজ।
কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ করো, তখন তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলো। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি কল্যাণময় ও পবিত্র অভিবাদন।’ (সুরা নুর: ৬১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা একে অপরের মধ্যে সালাম প্রচার করো—তবে তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি হবে।’ (রিয়াজুস সালেহিন: ৮৫২)
ইসলামের সৌন্দর্য এটাই—এটি আমাদের বলে দেয়, ছোট ছোট কাজেও রয়েছে অফুরন্ত সওয়াব। অন্যকে খাওয়ানো, সালাম দেওয়া—এমন সহজ কাজগুলো যদি আমরা আন্তরিকতা দিয়ে করি, তবে তা আমাদের জান্নাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমরা যদি নিজেদের জীবনধারায় এই ছোট আমলগুলো নিয়মিতভাবে সংযুক্ত করি, তবে সমাজ হবে শান্তিময়, হৃদয় হবে নির্মল, আর আমাদের পরকাল হবে আলোকোজ্জ্বল।
ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
৩ ঘণ্টা আগেমহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র রিজিকদাতা। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে থাকেন। তাই রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা জরুরি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ৪টি আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়।
৪ ঘণ্টা আগেইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১১ ঘণ্টা আগে