Ajker Patrika

কম খরচের বিয়েতে বরকত বেশি

কাউসার লাবীব
আপডেট : ২৪ জুন ২০২৫, ০৯: ৩৮
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিয়ে দুজন মানুষের সম্পর্কের স্বীকৃতি। ভালোবাসা, আস্থা, দায়িত্ববোধ ও সহনশীলতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে এই সম্পর্ক। বিয়ের মাধ্যমে একজন তার জীবনসঙ্গী খুঁজে পায়, যার সঙ্গে ভাগ করে নেয় সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে—তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শন রয়েছে সেই জাতির জন্য, যারা চিন্তা করে। (সুরা রুম: ২১)

বিয়ে পবিত্র বন্ধন। ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। বিয়ে নিছক সামাজিক কোনো উপলক্ষ নয়, এটি আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এর সুন্নত। মুমিন-জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত বিয়ে। প্রতিটি ইবাদত যেমন নবী করিম (সা.)-এর দেখানো পথে করতে হয়, বিয়েও তেমনি। বিয়ের আয়োজনকে কেন্দ্র করে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, খাবারের অপচয়, যৌতুক কিংবা গানবাজনার আয়োজন—কোনোটিই ইসলাম সমর্থন করে না।

বিয়ে সহজ একটি ইবাদত। ব্যয়বহুল আয়োজন, উচ্চ আয়ের অধিকারী বর নির্বাচন, যৌতুকের লোভ আর নানা অযাচিত খরচ আমাদের সমাজে বিয়ে কঠিন করে তুলেছে। অযাচিত খরচের আশঙ্কায় অনেক যুবক বিয়ের নাম নিতেই ভয় পায়, অনেক বাবা আর্থিক সংকটের কারণে উপযুক্ত মেয়ে ঘরে রেখে চোখের জলে বুক ভাসায়। অথচ বিয়েতে অহেতুক খরচ সুন্নত পরিপন্থী। আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘সর্বাধিক বরকতপূর্ণ বিয়ে, যার খরচ যত সহজ ও স্বাভাবিক হয়।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৪৫২৯)। অন্য হাদিসে এসেছে, ‘খরচের দিক থেকে সহজসাধ্য বিয়ে সর্বোত্তম।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২১৯)

কোনো কোনো মেয়ের বাবা মনে করেন, মোটা অঙ্কের মোহরানার মধ্যেই মেয়ের সুখ। কিন্তু নবী করিম (সা.) বলেন, ‘কনের বরকতের চিহ্ন হচ্ছে—বিয়ের প্রস্তাব সহজ হওয়া, মোহরানা সহজসাধ্য হওয়া এবং গর্ভধারণ সহজ হওয়া।’ (সহিহুল জামে: ২২৩৫)

পরিমিত মোহরানায় অযাচিত খরচবিহীন যৌতুকমুক্ত বিয়ে আমাদের সমাজে সুফল বয়ে আনতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত