মুফতি শাব্বির আহমদ

মুসলমানদের কোনো উৎসবই নিছক উৎসব নয়—ইবাদতও বটে। বরং ইবাদতের দিকটাই এখানে প্রবল। ঈদুল আজহায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কোরবানি। আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবানুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ—আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের চেষ্টা করা।
কোরবানিতে যেমন আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়, তেমনি এর আরেক উপকার হলো—কোরবানির গোশত নিজে খেতে পারা ও অন্যকে উপহার দেওয়ার সুযোগ।
গোশত বণ্টনের শরয়ি বিধান
কোরবানির গোশত এক-তৃতীয়াংশ গরিব-মিসকিনকে এবং এক-তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম। এটি বাধ্যতামূলক কোনো আমল নয় বরং মোস্তাহাব। যদি কেউ পুরো গোশত নিজে রেখে দেয়, তাতেও কোনো অসুবিধা নেই। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২২৪, ফাতাওয়া আলমগিরি: ৫/৩০০)
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা খাও এবং অভাবগ্রস্ত দরিদ্র লোকদের খাওয়াও। (সুরা হজ: ২৮)
নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমরা খাও, জমা করে রাখো এবং দান-খয়রাত করো।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৬৯, সহিহ্ মুসলিম: ১৯৭২, সুনানে নাসায়ি: ৪৪২৬, মুআত্তা মালিক: ২১৩৫)
এভাবেই কোরবানির গোশত নিজে খাওয়া এবং অন্যকে খাওয়ানোর উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এটি মুসলিম সমাজের ঐতিহ্য। এ যেন আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাকে আতিথেয়তা। কোরবানির দিনগুলোতে সকল মুসলিম আল্লাহর মেহমান। বান্দা শুধু গরিব-দুঃখীদের ঘরে ঘরে গোশত পৌঁছে দেয় আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে। এটা বান্দার পক্ষ থেকে কোনো করুণা নয়।
সামাজিক অসংগতি
কোরবানির ঈদের দিন দুপুর থেকে আমাদের সমাজে একটি দৃশ্য সকলের চোখে পড়ে। তা হলো কোরবানিদাতার বাড়ির দরজায় কিছু মানুষ গোশতের জন্য ভিড় করে। যাদের কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই।
কোরবানি আদ্যোপান্ত একটি ইবাদত। আর ইবাদতের সঙ্গে এই দৃশ্যটি অসংগতিপূর্ণ। ইবাদতের মধ্যে বিনয় নম্রতা থাকা অপরিহার্য। তবেই এটা আল্লাহর কাছে গ্রহণীয় হয়। সামাজিক এই দৃশ্যটি বিনয়ের বিপরীত এবং অহমিকার বহিঃপ্রকাশ। লোকজন আমার বাড়ির সামনে ছুটে আসছে। আমি গোশত বিলাচ্ছি। এতে নিজের অহংবোধ স্বাভাবিকভাবে জেগে ওঠে, আমিত্ব জেগে উঠে, মনের পশু সজাগ হয়। ইবাদত করতে গিয়ে যদি ইবাদতের মূল মহিমাই ক্ষুণ্ন হয়—তাহলে ইবাদতের বাকি থাকল কী!
এ যেন ইবাদতের পরিবর্তে ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিষ্ঠা। যে ভিক্ষাবৃত্তি ইসলাম জায়েজ রাখেনি, পছন্দ করেনি—সাময়িকভাবে আমরাই সে ভিক্ষাবৃত্তিকে প্রতিষ্ঠা করি। কোনো মুসলমান এমনটি করতে পারে না এবং এই চিত্র পছন্দ করতে পারে না।
রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ মোমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা পছন্দ করবে যা নিজের জন্য করে। (সহিহ্ বুখারি: ১৩, সহিহ্ মুসলিম: ৪৫)
কোনো মুসলমান নিজের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি পছন্দ করে না—তাহলে সে তার অন্য ভাই-বোনের জন্য এই ভিক্ষাবৃত্তি কীভাবে পছন্দ করে! ইবাদত হচ্ছে পুণ্য, মহত্ত্ব আর ভিক্ষা হচ্ছে অনুচিত।
কোরবানির গোশত অন্যকে খাওয়ানো যখন ইবাদত, তখন সেই ইবাদতে ভিক্ষার কলঙ্ক কেন যুক্ত হবে! কোরবানি হচ্ছে হজরত ইবরাহিম (আ.) এর সুন্নত। মহান নবীর মহান সুন্নত কেন ভিক্ষাবৃত্তির কালিতে মলিন হবে!
ইবাদতের মূল প্রাণ হচ্ছে তাকওয়া ও আল্লাহ ভীতি। কোরবানির মাধ্যমে তাকওয়া ভীতি জেগে উঠুক। নিজের আমিত্ব ও অহংবোধ চিরতরে কোরবানি হয়ে যাক।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, আল্লাহর কাছে তোমাদের পশুর গোশত, রক্ত কিছুই পৌঁছায় না—তাঁর কাছে পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া ও আল্লাহ ভীতি। (সুরা হজ: ৩৭)
কোরবানির মূল সার্থকতা হলো, নিজের আমিত্বকে ত্যাগ করে আল্লাহর সামনে নিজেকে পেশ করা। সুতরাং নিজের আমিত্বকে কোরবানি করার একটি বড় সুযোগ হচ্ছে ঈদুল আজহা।
কোরবানির গোশত নিয়ে আমি যদি মুসলিম ভাইবোনদের দুয়ার দুয়ারে ঘুরে বেড়াতে পারি—সেটা আমার আমিত্ব অহমিকা দূর করার কার্যকরী ওষুধ হবে এবং এটি হবে আমার বিনয় নম্রতার পরিচয়। এটি গরিব মিসকিনের প্রতি ভ্রাতৃত্ব মমত্ববোধ। এতে আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট হন। কোরবানি যখন ইবাদত, তখন গোশত বণ্টনও আল্লাহর সন্তুষ্টি মোতাবেক হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
আমাদের করণীয়
কোরবানির আগেই আমরা নিজ নিজ এলাকার একটি তালিকা তৈরি করে রাখব—কারা কোরবানি দিতে সক্ষম নয়? তারপর কোরবানির দিন সে তালিকা অনুযায়ী সবার ঘরে ঘরে আমরাই কোরবানির গোশত পৌঁছে দেব।
প্রত্যেক মহল্লার কোরবানিদাতারা এই চিন্তা চেতনায় লালন করলে একটি প্রকৃত ইসলামি সমাজ, এবং সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের চোখ জুড়ানো দৃশ্য ফুটে উঠবে—যা কোরবানির দিনকে করবে আনন্দ ভাগাভাগির দিন। আল্লাহর নৈকট্য হাসিলে নিজেকে সঁপে দিয়ে ইবাদতের মহিমায় ভাস্বর হওয়ার দিন।
একটি সতর্কতা
১. মানতের কোরবানির গোশত মানতকারী ও তার পরিবার খেতে পারবে না; বরং তার পুরোটাই দান করে দিতে হবে এবং যারা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত শুধু তাদেরই দেওয়া যাবে, ধনীদের দেওয়া যাবে না। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/১৯৫, রদ্দুল মুহতার: ৩/৭৩৭)
২. কিছু সমাজে প্রচলিত আছে সকল কোরবানিদাতাদের থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ গোশত সংগ্রহ করে তা সমাজের প্রতিটি ঘরে বণ্টন করা হয়। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় কোরবানিদাতা চক্ষুলজ্জার ভয়ে কিংবা সামাজিক চাপে পড়েই গোশত দিতে বাধ্য হন।
একই সঙ্গে এ ক্ষেত্রে ধনী, গরিব এমনকি স্বয়ং কোরবানিদাতাও ওই গোশতের ভাগ পায়। কিন্তু সমাজে অনেকের কোরবানি মানতের থাকে, যা গরিবদের অধিকার। তাই এ পদ্ধতি জায়েজ নেই।
তবে যদি মানতের না হয়, কুরবানিদাতা স্বেচ্ছায় এখানে গোশত দেন এবং তা শুধু গরিবদের মাঝেই বিতরণ করা হয়—তাহলে তা জায়েজ হবে। (দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইট, ফতোয়া নং: ১৫৩৮৩১)
লেখক: শিক্ষক, প্রাবন্ধিক

মুসলমানদের কোনো উৎসবই নিছক উৎসব নয়—ইবাদতও বটে। বরং ইবাদতের দিকটাই এখানে প্রবল। ঈদুল আজহায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কোরবানি। আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবানুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ—আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের চেষ্টা করা।
কোরবানিতে যেমন আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়, তেমনি এর আরেক উপকার হলো—কোরবানির গোশত নিজে খেতে পারা ও অন্যকে উপহার দেওয়ার সুযোগ।
গোশত বণ্টনের শরয়ি বিধান
কোরবানির গোশত এক-তৃতীয়াংশ গরিব-মিসকিনকে এবং এক-তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম। এটি বাধ্যতামূলক কোনো আমল নয় বরং মোস্তাহাব। যদি কেউ পুরো গোশত নিজে রেখে দেয়, তাতেও কোনো অসুবিধা নেই। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২২৪, ফাতাওয়া আলমগিরি: ৫/৩০০)
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা খাও এবং অভাবগ্রস্ত দরিদ্র লোকদের খাওয়াও। (সুরা হজ: ২৮)
নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমরা খাও, জমা করে রাখো এবং দান-খয়রাত করো।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৬৯, সহিহ্ মুসলিম: ১৯৭২, সুনানে নাসায়ি: ৪৪২৬, মুআত্তা মালিক: ২১৩৫)
এভাবেই কোরবানির গোশত নিজে খাওয়া এবং অন্যকে খাওয়ানোর উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এটি মুসলিম সমাজের ঐতিহ্য। এ যেন আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাকে আতিথেয়তা। কোরবানির দিনগুলোতে সকল মুসলিম আল্লাহর মেহমান। বান্দা শুধু গরিব-দুঃখীদের ঘরে ঘরে গোশত পৌঁছে দেয় আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে। এটা বান্দার পক্ষ থেকে কোনো করুণা নয়।
সামাজিক অসংগতি
কোরবানির ঈদের দিন দুপুর থেকে আমাদের সমাজে একটি দৃশ্য সকলের চোখে পড়ে। তা হলো কোরবানিদাতার বাড়ির দরজায় কিছু মানুষ গোশতের জন্য ভিড় করে। যাদের কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই।
কোরবানি আদ্যোপান্ত একটি ইবাদত। আর ইবাদতের সঙ্গে এই দৃশ্যটি অসংগতিপূর্ণ। ইবাদতের মধ্যে বিনয় নম্রতা থাকা অপরিহার্য। তবেই এটা আল্লাহর কাছে গ্রহণীয় হয়। সামাজিক এই দৃশ্যটি বিনয়ের বিপরীত এবং অহমিকার বহিঃপ্রকাশ। লোকজন আমার বাড়ির সামনে ছুটে আসছে। আমি গোশত বিলাচ্ছি। এতে নিজের অহংবোধ স্বাভাবিকভাবে জেগে ওঠে, আমিত্ব জেগে উঠে, মনের পশু সজাগ হয়। ইবাদত করতে গিয়ে যদি ইবাদতের মূল মহিমাই ক্ষুণ্ন হয়—তাহলে ইবাদতের বাকি থাকল কী!
এ যেন ইবাদতের পরিবর্তে ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিষ্ঠা। যে ভিক্ষাবৃত্তি ইসলাম জায়েজ রাখেনি, পছন্দ করেনি—সাময়িকভাবে আমরাই সে ভিক্ষাবৃত্তিকে প্রতিষ্ঠা করি। কোনো মুসলমান এমনটি করতে পারে না এবং এই চিত্র পছন্দ করতে পারে না।
রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ মোমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা পছন্দ করবে যা নিজের জন্য করে। (সহিহ্ বুখারি: ১৩, সহিহ্ মুসলিম: ৪৫)
কোনো মুসলমান নিজের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি পছন্দ করে না—তাহলে সে তার অন্য ভাই-বোনের জন্য এই ভিক্ষাবৃত্তি কীভাবে পছন্দ করে! ইবাদত হচ্ছে পুণ্য, মহত্ত্ব আর ভিক্ষা হচ্ছে অনুচিত।
কোরবানির গোশত অন্যকে খাওয়ানো যখন ইবাদত, তখন সেই ইবাদতে ভিক্ষার কলঙ্ক কেন যুক্ত হবে! কোরবানি হচ্ছে হজরত ইবরাহিম (আ.) এর সুন্নত। মহান নবীর মহান সুন্নত কেন ভিক্ষাবৃত্তির কালিতে মলিন হবে!
ইবাদতের মূল প্রাণ হচ্ছে তাকওয়া ও আল্লাহ ভীতি। কোরবানির মাধ্যমে তাকওয়া ভীতি জেগে উঠুক। নিজের আমিত্ব ও অহংবোধ চিরতরে কোরবানি হয়ে যাক।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, আল্লাহর কাছে তোমাদের পশুর গোশত, রক্ত কিছুই পৌঁছায় না—তাঁর কাছে পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া ও আল্লাহ ভীতি। (সুরা হজ: ৩৭)
কোরবানির মূল সার্থকতা হলো, নিজের আমিত্বকে ত্যাগ করে আল্লাহর সামনে নিজেকে পেশ করা। সুতরাং নিজের আমিত্বকে কোরবানি করার একটি বড় সুযোগ হচ্ছে ঈদুল আজহা।
কোরবানির গোশত নিয়ে আমি যদি মুসলিম ভাইবোনদের দুয়ার দুয়ারে ঘুরে বেড়াতে পারি—সেটা আমার আমিত্ব অহমিকা দূর করার কার্যকরী ওষুধ হবে এবং এটি হবে আমার বিনয় নম্রতার পরিচয়। এটি গরিব মিসকিনের প্রতি ভ্রাতৃত্ব মমত্ববোধ। এতে আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট হন। কোরবানি যখন ইবাদত, তখন গোশত বণ্টনও আল্লাহর সন্তুষ্টি মোতাবেক হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
আমাদের করণীয়
কোরবানির আগেই আমরা নিজ নিজ এলাকার একটি তালিকা তৈরি করে রাখব—কারা কোরবানি দিতে সক্ষম নয়? তারপর কোরবানির দিন সে তালিকা অনুযায়ী সবার ঘরে ঘরে আমরাই কোরবানির গোশত পৌঁছে দেব।
প্রত্যেক মহল্লার কোরবানিদাতারা এই চিন্তা চেতনায় লালন করলে একটি প্রকৃত ইসলামি সমাজ, এবং সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের চোখ জুড়ানো দৃশ্য ফুটে উঠবে—যা কোরবানির দিনকে করবে আনন্দ ভাগাভাগির দিন। আল্লাহর নৈকট্য হাসিলে নিজেকে সঁপে দিয়ে ইবাদতের মহিমায় ভাস্বর হওয়ার দিন।
একটি সতর্কতা
১. মানতের কোরবানির গোশত মানতকারী ও তার পরিবার খেতে পারবে না; বরং তার পুরোটাই দান করে দিতে হবে এবং যারা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত শুধু তাদেরই দেওয়া যাবে, ধনীদের দেওয়া যাবে না। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/১৯৫, রদ্দুল মুহতার: ৩/৭৩৭)
২. কিছু সমাজে প্রচলিত আছে সকল কোরবানিদাতাদের থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ গোশত সংগ্রহ করে তা সমাজের প্রতিটি ঘরে বণ্টন করা হয়। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় কোরবানিদাতা চক্ষুলজ্জার ভয়ে কিংবা সামাজিক চাপে পড়েই গোশত দিতে বাধ্য হন।
একই সঙ্গে এ ক্ষেত্রে ধনী, গরিব এমনকি স্বয়ং কোরবানিদাতাও ওই গোশতের ভাগ পায়। কিন্তু সমাজে অনেকের কোরবানি মানতের থাকে, যা গরিবদের অধিকার। তাই এ পদ্ধতি জায়েজ নেই।
তবে যদি মানতের না হয়, কুরবানিদাতা স্বেচ্ছায় এখানে গোশত দেন এবং তা শুধু গরিবদের মাঝেই বিতরণ করা হয়—তাহলে তা জায়েজ হবে। (দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইট, ফতোয়া নং: ১৫৩৮৩১)
লেখক: শিক্ষক, প্রাবন্ধিক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

মুসলমানদের কোনো উৎসবই নিছক উৎসব নয়—ইবাদতও বটে। বরং ইবাদতের দিকটাই এখানে প্রবল। ঈদুল আজহায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কোরবানি। আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবানুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ—আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের চেষ্টা করা। কোরবানিতে যেমন আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়, তেমনি এর আরেক উপকার হলো—কোরবানির গোশত...
০৪ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মুসলমানদের কোনো উৎসবই নিছক উৎসব নয়—ইবাদতও বটে। বরং ইবাদতের দিকটাই এখানে প্রবল। ঈদুল আজহায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কোরবানি। আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবানুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ—আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের চেষ্টা করা। কোরবানিতে যেমন আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়, তেমনি এর আরেক উপকার হলো—কোরবানির গোশত...
০৪ জুন ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৬ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

মুসলমানদের কোনো উৎসবই নিছক উৎসব নয়—ইবাদতও বটে। বরং ইবাদতের দিকটাই এখানে প্রবল। ঈদুল আজহায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কোরবানি। আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবানুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ—আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের চেষ্টা করা। কোরবানিতে যেমন আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়, তেমনি এর আরেক উপকার হলো—কোরবানির গোশত...
০৪ জুন ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মুসলমানদের কোনো উৎসবই নিছক উৎসব নয়—ইবাদতও বটে। বরং ইবাদতের দিকটাই এখানে প্রবল। ঈদুল আজহায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কোরবানি। আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবানুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ—আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের চেষ্টা করা। কোরবানিতে যেমন আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়, তেমনি এর আরেক উপকার হলো—কোরবানির গোশত...
০৪ জুন ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে