Ajker Patrika

অতিরিক্ত হাসাহাসি করা অনুচিত

আবরার নাঈম
অতিরিক্ত হাসাহাসি করা অনুচিত

সুখ-দুঃখ হাসি-কান্না মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য এক অংশ। এগুলো কখনো বলে-কয়ে আসে না। বিপদে কান্না করা আর সুখের দিনে আনন্দ-ফুর্তি করা বৈধ। যদি সেটা শরিয়তের গণ্ডিতে থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে অতিরঞ্জন অনুচিত। কারণ অধিক হাসিতে অন্তর আল্লাহ বিমুখ হয়ে যায় এবং আধ্যাত্মিকতার মৃত্যু ঘটে। নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা বেশি হাসবে না। কেননা অধিক হাসি অন্তরের মৃত্যু ঘটায়।’ (আদাবুল মুফরাদ: ২৫২)

পরিবার-পরিজন কিংবা সাথী-সঙ্গীদের সঙ্গে হাসি-কৌতুক করা, অতীত নিয়ে স্মৃতিচারণ করা দোষণীয় নয়। যদি সেখানে মিথ্যার মিশ্রণ না ঘটে এবং শরিয়তের সীমা পেরিয়ে না যায়। নবী (সা.) স্বয়ং মাঝেমধ্যে সাহাবিদের নিয়ে কবিতা আবৃত্তি ও রসাত্মক আলাপ করতেন; অতীত নিয়ে স্মৃতিচারণ করতেন। জাবির ইবনে সামুরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে শতাধিক বৈঠকে ছিলাম। সেসব বৈঠকে তাঁর সাহাবিগণ কবিতা আবৃত্তি করতেন এবং জাহিলি যুগের বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করতেন, তিনি সেগুলো চুপ করে শুনতেন এবং কখনো কখনো মুচকি হাসতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ২৮৫০)

হাসির ক্ষেত্রে মুচকি হাসাই প্রিয় নবী (সা.)-এর সুন্নত। তিনি কখনো অট্টহাসি দিতেন না। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে এভাবে কখনো হাসতে দেখিনি, যাতে তাঁর কণ্ঠনালির আলজিভ দেখা যায়। তিনি মুচকি হাসি হাসতেন।’ (সহিহ বুখারি: ৪৮২৮)

আবরার নাঈম, মুহাদ্দিস, জামিয়া ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ঢাকা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লুটপাটে শেষ ৫ কোটির প্রকল্প: ইউএনও-উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে শুনানি কাল

চীন–রাশিয়া থেকে ভারতকে দূরে রাখতে কয়েক দশকের মার্কিন প্রচেষ্টা ভেস্তে দিচ্ছেন ট্রাম্প: জন বোল্টন

‘হানি ট্র্যাপের’ ঘটনা ভিডিও করায় খুন হন সাংবাদিক তুহিন: পুলিশ

আটজন উপদেষ্টার ‘সীমাহীন’ দুর্নীতির প্রমাণ আছে: সাবেক সচিব

স্ত্রীকে মেরে ফেলেছি, আমাকে নিয়ে যান— ৯৯৯–এ স্বামীর ফোন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত