ডা. আবু ইলিয়াস প্রধান
ঈদুল আজহা—একটি ধর্মীয় উৎসব যা আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই উৎসবের উদ্যাপনেও এসেছে নতুনত্ব। আধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় ঈদুল আজহার রীতিনীতিতে যুক্ত হয়েছে পরিবেশ সচেতনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নতুন মাত্রা। এই ফিচারে ঈদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, সামাজিক দিক, স্বাস্থ্যবিধি, পরিবেশ সুরক্ষা এবং আধুনিক জীবনের বাস্তবতায় কোরবানির ঈদ উদ্যাপনের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।
ঈদের নামাজ: আধ্যাত্মিক সংহতির সূচনা
ঈদের দিনটির সূচনা হয় ফজরের নামাজের মাধ্যমে। এরপর মুসল্লিরা ঈদগাহে বা মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এই নামাজ একদিকে যেমন ধর্মীয় দায়িত্ব, অন্যদিকে সামাজিক মিলনের মাধ্যম। অনেকে পুরো বছরে ঈদের দিনেই পরিবার-পরিজনসহ গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়তে যান। ঈদের নামাজের মূল বার্তাই হলো—ঐক্য, সংহতি, ও ধৈর্য।
ঈদের নামাজের পরে ইমামের খুতবা শ্রবণ একটি সুন্নত। অনেকেই খুতবার মধ্যে কোরবানির তাৎপর্য, সমাজে দরিদ্রের অধিকার, এবং নিজেকে কীভাবে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করা যায়—তা নিয়ে আলোচনা শোনেন। আধুনিক দিনে এই খুতবা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতার সেতুবন্ধন তৈরি করে।
কোরবানি: আত্মত্যাগ থেকে সহানুভূতির যাত্রা
হজরত ইবরাহিম (আ.) যখন স্বপ্নে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর আদেশে কোরবানি দিতে উদ্যত হয়েছিলেন, সেটি ছিল নিছক পশু জবাই নয়—বরং অন্তরের পরীক্ষা। এই কোরবানির মধ্য দিয়ে মানবজাতিকে শিক্ষা দেওয়া হয়—নিজের সব থেকে প্রিয় জিনিসটিও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আধুনিক জীবনের বাস্তবতায় কোরবানি এখন অনেক ক্ষেত্রেই আড়ম্বর ও প্রতিযোগিতার মাধ্যম হয়ে উঠছে। অনেকে বড় গরু, দামি পশু, অথবা বিরল জাতের পশু কিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। অথচ প্রকৃত কোরবানির শিক্ষা হলো নম্রতা, প্রচার বিমুখতা ও আত্মত্যাগ।
পশু নির্বাচন ও প্রস্তুতি: সচেতনতা ও করুণার অনুশীলন
সুন্নত অনুযায়ী কোরবানির পশু হতে হবে সুস্থ, সুন্দর এবং নির্দিষ্ট বয়স সম্পন্ন। আজকাল অনেকেই পশুর প্রতি মমত্ববোধ দেখাচ্ছেন—সঠিকভাবে খাবার দিচ্ছেন, পরিষ্কার রাখছেন এবং পশুকে ভয় না পাইয়ে আদর করছেন। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক পরিবর্তন। শিশুদের কাছেও এটি একটি শিক্ষণীয় অধ্যায়—তারা দেখছে কীভাবে পশুর সঙ্গে করুণা ও সহানুভূতির আচরণ করা উচিত।
তবে এখনো শহরের অনেক জায়গায় পশু হাটে অব্যবস্থা, পশুর ওপর অমানবিক আচরণ বা পরিবেশ বিপর্যয়ের দৃশ্য চোখে পড়ে। এসব জায়গায় প্রয়োজন প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতা।
কোরবানি ও স্বাস্থ্যবিধি: যত্নে থাকুক পরিবার
একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কোরবানির সময় পরিচ্ছন্নতা রক্ষা। পশু জবাইয়ের পর রক্ত পরিষ্কার না করা, বর্জ্য সঠিক স্থানে না ফেলা, কিংবা সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা না রাখা শহরগুলোতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
অনেকে এখন প্লাস্টিক প্যাকেট ব্যবহার না করে পেপার প্যাকিং করছেন, কিংবা কাপড়ে মুড়ে দিচ্ছেন মাংস। এটি স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশবান্ধব। ঢাকাসহ অনেক শহরে স্থানীয় প্রশাসন কোরবানি-পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করছে। আমাদের উচিত নির্ধারিত স্থানেই পশু জবাই করা এবং বর্জ্য নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্পটে ফেলা।
মাংস বণ্টন: আত্মীয়তা ও সহমর্মিতার সেতুবন্ধন
কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করা উত্তম। এর মধ্যে এক ভাগ নিজে, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের জন্য, এবং এক ভাগ গরিব-দুঃখীদের জন্য।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই নিয়মটিও আধুনিক রূপ নিচ্ছে। কেউ কেউ এখন কোরবানি করছেন গরিবদের জন্য একচেটিয়াভাবে, নিজেরা খান না। অনেকে মাংস পাঠাচ্ছেন এতিমখানা, হাফেজিয়া মাদ্রাসা, বৃদ্ধাশ্রম বা দুর্গম অঞ্চলের মানুষের কাছে। এমনকি কিছু উদ্যোগ এখন ‘মাংস ব্যাংক’-এর মাধ্যমে সারা বছর সংরক্ষিত মাংস গরিবদের মাঝে বিতরণ করছে।
এই ঈদে যদি আমাদের চারপাশে এমন কেউ থাকে, যিনি হয়তো কোরবানির মাংস পাচ্ছেন না—তবে তাকে সবার আগে মনে রাখা উচিত। কোরবানি তখনই পূর্ণ হয়, যখন তার সুফল সমাজের সবচেয়ে নিচু স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ঈদের সংবেদনশীলতা
ঈদের দিনে অনেকেই কোরবানির পশুর জবাইয়ের মুহূর্ত বা মাংসের স্তূপ ছবি শেয়ার করেন ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে। এটি একদিকে আনন্দ ভাগাভাগি, কিন্তু অপরদিকে সংবেদনশীলতাও জরুরি। কেউ কেউ হয়তো কোরবানি দিতে পারেননি, কেউ বা পশুপ্রেমী হয়ে এমন দৃশ্যকে কষ্টকর মনে করতে পারেন। শিশুদের মধ্যেও এই বিষয়গুলো নিয়ে দ্বিধা তৈরি হতে পারে। তাই যদি কেউ ছবি শেয়ার করেনও, তবে সেটি যেন সংযত হয়—এমন সচেতনতা কাম্য।
সংরক্ষণ: কোরবানির স্মৃতি টিকুক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায়
কোরবানির মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। ফ্রিজে রাখার পাশাপাশি অনেকেই মাংস সেদ্ধ করে সংরক্ষণ করছেন। কেউ কেউ ভাজা করে বাটিতে রেখে দিচ্ছেন, যাতে বিদ্যুৎ না থাকলেও নষ্ট না হয়।
গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায় এখনো ধোঁয়া দিয়ে মাংস সংরক্ষণ (smoked meat) করা হয়, যা ১০-১৫ দিন পর্যন্ত টিকে। শহরে এই পদ্ধতিটি আবার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটাও একটা পরিবেশবান্ধব উপায়।
তবে যেকোনো সংরক্ষণের আগে মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করা এবং ভাগ করে রাখা উচিত, যাতে প্রয়োজনে সহজে ব্যবহার করা যায় এবং অপচয় না হয়।
শেষ কথা: ঈদ হোক অন্তর্দৃষ্টি ও দায়িত্ববোধের মিলনস্থল
ঈদুল আজহা একটি উৎসব—কিন্তু এটি উৎসবের বাইরেও অনেক বড় কিছু। এটি আত্মসংযমের, আত্মত্যাগের, সহানুভূতির এবং সামাজিক সংহতির উৎসব।
আধুনিক জীবনে এই উৎসবকে ঘিরে যদি আমরা আরও সচেতন হই—পরিচ্ছন্নতা, সংবেদনশীলতা, মানবিকতা ও ধর্মীয় দায়িত্বের বিষয়ে—তবে কেবল ধর্মীয় নয়, সামাজিকভাবেও আমরা ঈদুল আজহাকে একটি পরিপূর্ণ উৎসবে পরিণত করতে পারি।
চলুন, এবার ঈদ হোক কেবল আনন্দ নয়—উৎসর্গ, ভালোবাসা, যত্ন আর মানবিকতার রঙে রঙিন।
ঈদুল আজহা—একটি ধর্মীয় উৎসব যা আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই উৎসবের উদ্যাপনেও এসেছে নতুনত্ব। আধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় ঈদুল আজহার রীতিনীতিতে যুক্ত হয়েছে পরিবেশ সচেতনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নতুন মাত্রা। এই ফিচারে ঈদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, সামাজিক দিক, স্বাস্থ্যবিধি, পরিবেশ সুরক্ষা এবং আধুনিক জীবনের বাস্তবতায় কোরবানির ঈদ উদ্যাপনের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।
ঈদের নামাজ: আধ্যাত্মিক সংহতির সূচনা
ঈদের দিনটির সূচনা হয় ফজরের নামাজের মাধ্যমে। এরপর মুসল্লিরা ঈদগাহে বা মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এই নামাজ একদিকে যেমন ধর্মীয় দায়িত্ব, অন্যদিকে সামাজিক মিলনের মাধ্যম। অনেকে পুরো বছরে ঈদের দিনেই পরিবার-পরিজনসহ গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়তে যান। ঈদের নামাজের মূল বার্তাই হলো—ঐক্য, সংহতি, ও ধৈর্য।
ঈদের নামাজের পরে ইমামের খুতবা শ্রবণ একটি সুন্নত। অনেকেই খুতবার মধ্যে কোরবানির তাৎপর্য, সমাজে দরিদ্রের অধিকার, এবং নিজেকে কীভাবে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করা যায়—তা নিয়ে আলোচনা শোনেন। আধুনিক দিনে এই খুতবা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতার সেতুবন্ধন তৈরি করে।
কোরবানি: আত্মত্যাগ থেকে সহানুভূতির যাত্রা
হজরত ইবরাহিম (আ.) যখন স্বপ্নে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর আদেশে কোরবানি দিতে উদ্যত হয়েছিলেন, সেটি ছিল নিছক পশু জবাই নয়—বরং অন্তরের পরীক্ষা। এই কোরবানির মধ্য দিয়ে মানবজাতিকে শিক্ষা দেওয়া হয়—নিজের সব থেকে প্রিয় জিনিসটিও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আধুনিক জীবনের বাস্তবতায় কোরবানি এখন অনেক ক্ষেত্রেই আড়ম্বর ও প্রতিযোগিতার মাধ্যম হয়ে উঠছে। অনেকে বড় গরু, দামি পশু, অথবা বিরল জাতের পশু কিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। অথচ প্রকৃত কোরবানির শিক্ষা হলো নম্রতা, প্রচার বিমুখতা ও আত্মত্যাগ।
পশু নির্বাচন ও প্রস্তুতি: সচেতনতা ও করুণার অনুশীলন
সুন্নত অনুযায়ী কোরবানির পশু হতে হবে সুস্থ, সুন্দর এবং নির্দিষ্ট বয়স সম্পন্ন। আজকাল অনেকেই পশুর প্রতি মমত্ববোধ দেখাচ্ছেন—সঠিকভাবে খাবার দিচ্ছেন, পরিষ্কার রাখছেন এবং পশুকে ভয় না পাইয়ে আদর করছেন। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক পরিবর্তন। শিশুদের কাছেও এটি একটি শিক্ষণীয় অধ্যায়—তারা দেখছে কীভাবে পশুর সঙ্গে করুণা ও সহানুভূতির আচরণ করা উচিত।
তবে এখনো শহরের অনেক জায়গায় পশু হাটে অব্যবস্থা, পশুর ওপর অমানবিক আচরণ বা পরিবেশ বিপর্যয়ের দৃশ্য চোখে পড়ে। এসব জায়গায় প্রয়োজন প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতা।
কোরবানি ও স্বাস্থ্যবিধি: যত্নে থাকুক পরিবার
একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কোরবানির সময় পরিচ্ছন্নতা রক্ষা। পশু জবাইয়ের পর রক্ত পরিষ্কার না করা, বর্জ্য সঠিক স্থানে না ফেলা, কিংবা সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা না রাখা শহরগুলোতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
অনেকে এখন প্লাস্টিক প্যাকেট ব্যবহার না করে পেপার প্যাকিং করছেন, কিংবা কাপড়ে মুড়ে দিচ্ছেন মাংস। এটি স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশবান্ধব। ঢাকাসহ অনেক শহরে স্থানীয় প্রশাসন কোরবানি-পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করছে। আমাদের উচিত নির্ধারিত স্থানেই পশু জবাই করা এবং বর্জ্য নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্পটে ফেলা।
মাংস বণ্টন: আত্মীয়তা ও সহমর্মিতার সেতুবন্ধন
কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করা উত্তম। এর মধ্যে এক ভাগ নিজে, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের জন্য, এবং এক ভাগ গরিব-দুঃখীদের জন্য।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই নিয়মটিও আধুনিক রূপ নিচ্ছে। কেউ কেউ এখন কোরবানি করছেন গরিবদের জন্য একচেটিয়াভাবে, নিজেরা খান না। অনেকে মাংস পাঠাচ্ছেন এতিমখানা, হাফেজিয়া মাদ্রাসা, বৃদ্ধাশ্রম বা দুর্গম অঞ্চলের মানুষের কাছে। এমনকি কিছু উদ্যোগ এখন ‘মাংস ব্যাংক’-এর মাধ্যমে সারা বছর সংরক্ষিত মাংস গরিবদের মাঝে বিতরণ করছে।
এই ঈদে যদি আমাদের চারপাশে এমন কেউ থাকে, যিনি হয়তো কোরবানির মাংস পাচ্ছেন না—তবে তাকে সবার আগে মনে রাখা উচিত। কোরবানি তখনই পূর্ণ হয়, যখন তার সুফল সমাজের সবচেয়ে নিচু স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ঈদের সংবেদনশীলতা
ঈদের দিনে অনেকেই কোরবানির পশুর জবাইয়ের মুহূর্ত বা মাংসের স্তূপ ছবি শেয়ার করেন ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে। এটি একদিকে আনন্দ ভাগাভাগি, কিন্তু অপরদিকে সংবেদনশীলতাও জরুরি। কেউ কেউ হয়তো কোরবানি দিতে পারেননি, কেউ বা পশুপ্রেমী হয়ে এমন দৃশ্যকে কষ্টকর মনে করতে পারেন। শিশুদের মধ্যেও এই বিষয়গুলো নিয়ে দ্বিধা তৈরি হতে পারে। তাই যদি কেউ ছবি শেয়ার করেনও, তবে সেটি যেন সংযত হয়—এমন সচেতনতা কাম্য।
সংরক্ষণ: কোরবানির স্মৃতি টিকুক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায়
কোরবানির মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। ফ্রিজে রাখার পাশাপাশি অনেকেই মাংস সেদ্ধ করে সংরক্ষণ করছেন। কেউ কেউ ভাজা করে বাটিতে রেখে দিচ্ছেন, যাতে বিদ্যুৎ না থাকলেও নষ্ট না হয়।
গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায় এখনো ধোঁয়া দিয়ে মাংস সংরক্ষণ (smoked meat) করা হয়, যা ১০-১৫ দিন পর্যন্ত টিকে। শহরে এই পদ্ধতিটি আবার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটাও একটা পরিবেশবান্ধব উপায়।
তবে যেকোনো সংরক্ষণের আগে মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করা এবং ভাগ করে রাখা উচিত, যাতে প্রয়োজনে সহজে ব্যবহার করা যায় এবং অপচয় না হয়।
শেষ কথা: ঈদ হোক অন্তর্দৃষ্টি ও দায়িত্ববোধের মিলনস্থল
ঈদুল আজহা একটি উৎসব—কিন্তু এটি উৎসবের বাইরেও অনেক বড় কিছু। এটি আত্মসংযমের, আত্মত্যাগের, সহানুভূতির এবং সামাজিক সংহতির উৎসব।
আধুনিক জীবনে এই উৎসবকে ঘিরে যদি আমরা আরও সচেতন হই—পরিচ্ছন্নতা, সংবেদনশীলতা, মানবিকতা ও ধর্মীয় দায়িত্বের বিষয়ে—তবে কেবল ধর্মীয় নয়, সামাজিকভাবেও আমরা ঈদুল আজহাকে একটি পরিপূর্ণ উৎসবে পরিণত করতে পারি।
চলুন, এবার ঈদ হোক কেবল আনন্দ নয়—উৎসর্গ, ভালোবাসা, যত্ন আর মানবিকতার রঙে রঙিন।
মানুষের জীবনের প্রতিটি কাজের মধ্যে মহানবী (সা.)-এর উত্তম আদর্শ বিদ্যমান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি অধ্যায় তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে সাজানো উচিত। খাবার গ্রহণ জীবনের একটি অপরিহার্য কাজ। যদি এ খাবার গ্রহণও মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী করা হয়, তাহলে ক্ষুধার নিবারণ হওয়ার পাশাপাশি এর মাধ্যমে...
১ দিন আগেজুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
২ দিন আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
২ দিন আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
২ দিন আগে