রায়হান রাশেদ
আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৮ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মুমিনুন, সুরা নুর ও সুরা ফুরকানের ১ থেকে ২০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে দীনের মূলনীতি, মুমিনের গুণ, খাঁটি ইমান, ব্যভিচার, ব্যভিচারের অপবাদ, অপপ্রচারের শাস্তি, দৃষ্টির হেফাজত, ঘরে প্রবেশের অনুমতি, বিধবাদের বিয়ের ব্যবস্থাসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
মুমিন জীবনে সফলতার পাথেয় সুরা মুমিনুন
সুরা মুমিনুন মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১৮। কোরআনের ২৩ তম সুরা এটি। সুরাতে কয়েকজন নবীর ঘটনা আলোচিত হয়েছে। যথা—নুহ (আ.), হুদ (আ.), সালেহ (আ.), মুসা (আ.), হারুন (আ.) ও ইসা (আ.)। এ সুরায় মুমিন বান্দাদের সম্পর্কে আলোচনা থাকায় এটিকে সুরা মুমিনুন বলা হয়।
মুমিনের সাত গুণ
সুরা মুমিনের ২ থেকে ৯ নম্বর আয়াতে মুমিনদের সাতটি গুণের কথা বলা হয়েছে। যাঁদের এ গুণগুলো থাকবে, তাঁরা জান্নাতের অধিবাসী হবেন। গুণগুলো হলো—
১. তাঁরা নামাজে বিনয়-নম্র
২. অনর্থক কথাবার্তা থেকে দূরে থাকেন
৩. জাকাত দেন
৪. অবৈধ যৌনাচার থেকে বিরত থাকেন
৫. আমানত ফিরিয়ে দেন
৬. অঙ্গীকার পূর্ণ করেন
৭. নামাজে যত্নবান থাকেন অর্থাৎ নিয়মিত নামাজ আদায়, নামাজের সময়, আদব ও শর্তের প্রতি পুরোপুরি খেয়াল রাখেন
বৃষ্টি আল্লাহর নেয়ামত
আল্লাহ পানির মাধ্যমে পৃথিবীকে সজীব রাখেন। পানি ছাড়া প্রাণ জীবন্ত থাকতে পারে না। তৃষিত মন শীতল হয় না। সেই পানি জোগানের জন্য আল্লাহ প্রথমে সূর্যের তপ্ত আগুনকে নিক্ষিপ্ত করেন বিশাল সমুদ্রে। সেখান থেকে পানি বাষ্প হয়ে ওপরে উঠে যায়। সেখানে মেঘের সৃষ্টি হয়। সেই মেঘ বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে পৃথিবীতে। মৃত জলাধার ফিরে পায় সোনালি যৌবন। সবুজ হয়ে ওঠে মাঠের পর মাঠ। বৃষ্টির পানি পান করে মিষ্টি ও সুস্বাদু হচ্ছে আম, আঙুর, খেজুর ইত্যাদি। একই পানি প্রয়োজনের সীমা পার করলে হয়ে ওঠে মরণ। পানি ফুরিয়ে গেলে দেখা দেয় আকাল। আল্লাহ বলেন, ‘আমি আকাশ থেকে পরিমিত বৃষ্টি বর্ষণ করি, আমি তা জমিনে সংরক্ষণ করি...। এরপর আমি তা দিয়ে তোমাদের জন্য খেজুর ও আঙুরের বাগান সৃষ্টি করি...।’ (সুরা মুমিনুন: ১৮-১৯)
ব্যভিচারের অপবাদ মুক্তির ঘোষণা—সুরা নুর
সুরা নুর মদিনায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৬৪। কোরআনের ১৪ তম সুরা এটি। এ সুরাতে নারী-পুরুষের মৌলিক সম্পর্ক বিশেষ করে নারীর সতীত্ব বিধান, সংরক্ষণ ও পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। এ সুরায় ‘নুর’ শব্দটি থাকায় এটিকে ‘সুরা নুর’ বলা হয়।
আয়েশা (রা.)-এর পবিত্রতায় ১০ আয়াত
বনি মুসতালিকের যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে রাসুল (সা.) মদিনায় ফিরছিলেন। সে যুদ্ধে আয়েশা (রা.) তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ফেরার পথে যাত্রাবিরতিতে আয়েশা (রা.) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হয়েছিলেন। কিন্তু সেটি কেউ টের পাননি। তাঁর ওজন কম থাকায় হাওদা বহনকারীরাও বুঝতে পারেননি। ফলে তাঁকে ছাড়াই কাফেলা এগিয়ে যায়। আয়েশা (রা.) ফিরে এসে কাউকে পেলেন না। সেখানেই চাদর মুড়িয়ে শুয়ে রইলেন। পরে সাহাবি সাফওয়ান বিন মুআত্তাল (রা.)—যাঁকে রাসুল (সা.) ফেলে যাওয়া আসবাবপত্র কুড়িয়ে নেওয়ার জন্য রেখে গিয়েছিলেন; আয়েশা (রা.) তার সঙ্গে ফিরলেন।
মুনাফিক স্বভাবের কিছু লোক আয়েশা (রা.)–এর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অপবাদ দিল। রাসুল (সা.) কষ্ট পেলেন। স্ত্রীকে পৃথক করলেন। রেখে এলেন শ্বশুর আবু বকর (রা.)-এর ঘরে। আয়েশা (রা.) চরম কষ্ট পেলেন। জড়সড় শুয়ে থাকেন বাবার ঘরে। একদিকে অপবাদের বোঝা অন্যদিকে প্রিয় নবীর সান্নিধ্য বঞ্চিত—কষ্টে অন্তর চৌচির হয়ে যায়। তিনি আল্লাহর কাছে দিনমান ফরিয়াদ করতে লাগলেন। অপেক্ষা করতে লাগলেন আল্লাহর সিদ্ধান্তের। নবীজিও পেরেশান। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।
এদিকে মুনাফিকেরা অপবাদের বিষ ছড়িয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ এক মাস পর আল্লাহ তাআলা আয়েশা (রা.)-এর পবিত্রতা ঘোষণা করে সুরা নুর–এ ১০টি আয়াত নাজিল করেন। আল্লাহর কাছে নারীর সতীত্বের এতই মর্যাদা যে, সতীত্বের পবিত্রতায় তিনি কোরআনে ১০টি আয়াত নাজিল করেছেন।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তার গুরুত্ব
আল্লাহ তাআলা সুরা নুরের ২৭ থেকে ২৯ ও ৫৮ নম্বর আয়াতে ঘরে প্রবেশের নীতিমালা বর্ণনা করেছেন। কারও ঘরে প্রবেশে অনুমতি নেওয়া আল্লাহর আদেশ ও মহানবীর আদর্শ। সেটা স্ত্রী, মা-বাবা, সন্তান ও বন্ধু-বান্ধব—যেই হোক না কেন। ঘরে প্রবেশের ক্ষেত্রে দুটি কাজ করতে হবে, এক. অনুমতি নেওয়া। দুই. সালাম দেওয়া। অপ্রাপ্তবয়স্করা বিশেষ তিন সময়ে অনুমতি নেবে—এক. ফজর নামাজের আগে। দুই. দুপুরে ঘুমানোর সময়। তিন. এশার নামাজের পর। এ সময়গুলোতে স্বামী-স্ত্রী নির্জনে সময় কাটানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। মানুষ তখন নিজের মতো করে ঘুমাতে যায়।
অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করা অপরাধ। আল্লাহ তাআলা ঘরে প্রবেশে অনুমতি নেওয়াকে আবশ্যক করেছেন। তিনবার অনুমতি চাইতে হবে। অনুমতি না পেয়ে কিংবা ঘরের ভেতর থেকে সাড়া-শব্দ না পেয়ে উঁকি দেওয়া নিষেধ। ঘরের ভেতর উঁকি দিয়ে দেখতে রাসুল (সা.) নিষেধ করেছেন। অনুমতিবিহীন উঁকি দেওয়ার সময় চোখ ফুঁড়ে দিলেও ইসলাম কোনো ক্ষতিপূরণ ধার্য করেনি।
বর্তমানে অনেক বাসায় কলিং বেল থাকে, সে ক্ষেত্রে অনুমতির জন্য কলিং বেল তিনবার চাপবেন। অনুমতি এলে ঘরে প্রবেশ করবেন, অন্যথায় চলে আসতে হবে। এর বেশি কলিং বেল দাবা যাবে না।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে আসমান-জমিন সৃষ্টি, আল্লাহর ভয়, কিয়ামতের ভয়াবহতা, হিসাবের পাল্লা, ক্ষমা প্রার্থনা, পর্দা, বৃদ্ধা নারীর পর্দা, দাস-দাসীদের ব্যাপারে নির্দেশনা, সমাজ জীবনে শিষ্টাচার, কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও নবী-রাসুলরা মানুষ ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক
আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৮ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মুমিনুন, সুরা নুর ও সুরা ফুরকানের ১ থেকে ২০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে দীনের মূলনীতি, মুমিনের গুণ, খাঁটি ইমান, ব্যভিচার, ব্যভিচারের অপবাদ, অপপ্রচারের শাস্তি, দৃষ্টির হেফাজত, ঘরে প্রবেশের অনুমতি, বিধবাদের বিয়ের ব্যবস্থাসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
মুমিন জীবনে সফলতার পাথেয় সুরা মুমিনুন
সুরা মুমিনুন মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১৮। কোরআনের ২৩ তম সুরা এটি। সুরাতে কয়েকজন নবীর ঘটনা আলোচিত হয়েছে। যথা—নুহ (আ.), হুদ (আ.), সালেহ (আ.), মুসা (আ.), হারুন (আ.) ও ইসা (আ.)। এ সুরায় মুমিন বান্দাদের সম্পর্কে আলোচনা থাকায় এটিকে সুরা মুমিনুন বলা হয়।
মুমিনের সাত গুণ
সুরা মুমিনের ২ থেকে ৯ নম্বর আয়াতে মুমিনদের সাতটি গুণের কথা বলা হয়েছে। যাঁদের এ গুণগুলো থাকবে, তাঁরা জান্নাতের অধিবাসী হবেন। গুণগুলো হলো—
১. তাঁরা নামাজে বিনয়-নম্র
২. অনর্থক কথাবার্তা থেকে দূরে থাকেন
৩. জাকাত দেন
৪. অবৈধ যৌনাচার থেকে বিরত থাকেন
৫. আমানত ফিরিয়ে দেন
৬. অঙ্গীকার পূর্ণ করেন
৭. নামাজে যত্নবান থাকেন অর্থাৎ নিয়মিত নামাজ আদায়, নামাজের সময়, আদব ও শর্তের প্রতি পুরোপুরি খেয়াল রাখেন
বৃষ্টি আল্লাহর নেয়ামত
আল্লাহ পানির মাধ্যমে পৃথিবীকে সজীব রাখেন। পানি ছাড়া প্রাণ জীবন্ত থাকতে পারে না। তৃষিত মন শীতল হয় না। সেই পানি জোগানের জন্য আল্লাহ প্রথমে সূর্যের তপ্ত আগুনকে নিক্ষিপ্ত করেন বিশাল সমুদ্রে। সেখান থেকে পানি বাষ্প হয়ে ওপরে উঠে যায়। সেখানে মেঘের সৃষ্টি হয়। সেই মেঘ বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে পৃথিবীতে। মৃত জলাধার ফিরে পায় সোনালি যৌবন। সবুজ হয়ে ওঠে মাঠের পর মাঠ। বৃষ্টির পানি পান করে মিষ্টি ও সুস্বাদু হচ্ছে আম, আঙুর, খেজুর ইত্যাদি। একই পানি প্রয়োজনের সীমা পার করলে হয়ে ওঠে মরণ। পানি ফুরিয়ে গেলে দেখা দেয় আকাল। আল্লাহ বলেন, ‘আমি আকাশ থেকে পরিমিত বৃষ্টি বর্ষণ করি, আমি তা জমিনে সংরক্ষণ করি...। এরপর আমি তা দিয়ে তোমাদের জন্য খেজুর ও আঙুরের বাগান সৃষ্টি করি...।’ (সুরা মুমিনুন: ১৮-১৯)
ব্যভিচারের অপবাদ মুক্তির ঘোষণা—সুরা নুর
সুরা নুর মদিনায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৬৪। কোরআনের ১৪ তম সুরা এটি। এ সুরাতে নারী-পুরুষের মৌলিক সম্পর্ক বিশেষ করে নারীর সতীত্ব বিধান, সংরক্ষণ ও পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। এ সুরায় ‘নুর’ শব্দটি থাকায় এটিকে ‘সুরা নুর’ বলা হয়।
আয়েশা (রা.)-এর পবিত্রতায় ১০ আয়াত
বনি মুসতালিকের যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে রাসুল (সা.) মদিনায় ফিরছিলেন। সে যুদ্ধে আয়েশা (রা.) তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ফেরার পথে যাত্রাবিরতিতে আয়েশা (রা.) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হয়েছিলেন। কিন্তু সেটি কেউ টের পাননি। তাঁর ওজন কম থাকায় হাওদা বহনকারীরাও বুঝতে পারেননি। ফলে তাঁকে ছাড়াই কাফেলা এগিয়ে যায়। আয়েশা (রা.) ফিরে এসে কাউকে পেলেন না। সেখানেই চাদর মুড়িয়ে শুয়ে রইলেন। পরে সাহাবি সাফওয়ান বিন মুআত্তাল (রা.)—যাঁকে রাসুল (সা.) ফেলে যাওয়া আসবাবপত্র কুড়িয়ে নেওয়ার জন্য রেখে গিয়েছিলেন; আয়েশা (রা.) তার সঙ্গে ফিরলেন।
মুনাফিক স্বভাবের কিছু লোক আয়েশা (রা.)–এর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অপবাদ দিল। রাসুল (সা.) কষ্ট পেলেন। স্ত্রীকে পৃথক করলেন। রেখে এলেন শ্বশুর আবু বকর (রা.)-এর ঘরে। আয়েশা (রা.) চরম কষ্ট পেলেন। জড়সড় শুয়ে থাকেন বাবার ঘরে। একদিকে অপবাদের বোঝা অন্যদিকে প্রিয় নবীর সান্নিধ্য বঞ্চিত—কষ্টে অন্তর চৌচির হয়ে যায়। তিনি আল্লাহর কাছে দিনমান ফরিয়াদ করতে লাগলেন। অপেক্ষা করতে লাগলেন আল্লাহর সিদ্ধান্তের। নবীজিও পেরেশান। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।
এদিকে মুনাফিকেরা অপবাদের বিষ ছড়িয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ এক মাস পর আল্লাহ তাআলা আয়েশা (রা.)-এর পবিত্রতা ঘোষণা করে সুরা নুর–এ ১০টি আয়াত নাজিল করেন। আল্লাহর কাছে নারীর সতীত্বের এতই মর্যাদা যে, সতীত্বের পবিত্রতায় তিনি কোরআনে ১০টি আয়াত নাজিল করেছেন।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তার গুরুত্ব
আল্লাহ তাআলা সুরা নুরের ২৭ থেকে ২৯ ও ৫৮ নম্বর আয়াতে ঘরে প্রবেশের নীতিমালা বর্ণনা করেছেন। কারও ঘরে প্রবেশে অনুমতি নেওয়া আল্লাহর আদেশ ও মহানবীর আদর্শ। সেটা স্ত্রী, মা-বাবা, সন্তান ও বন্ধু-বান্ধব—যেই হোক না কেন। ঘরে প্রবেশের ক্ষেত্রে দুটি কাজ করতে হবে, এক. অনুমতি নেওয়া। দুই. সালাম দেওয়া। অপ্রাপ্তবয়স্করা বিশেষ তিন সময়ে অনুমতি নেবে—এক. ফজর নামাজের আগে। দুই. দুপুরে ঘুমানোর সময়। তিন. এশার নামাজের পর। এ সময়গুলোতে স্বামী-স্ত্রী নির্জনে সময় কাটানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। মানুষ তখন নিজের মতো করে ঘুমাতে যায়।
অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করা অপরাধ। আল্লাহ তাআলা ঘরে প্রবেশে অনুমতি নেওয়াকে আবশ্যক করেছেন। তিনবার অনুমতি চাইতে হবে। অনুমতি না পেয়ে কিংবা ঘরের ভেতর থেকে সাড়া-শব্দ না পেয়ে উঁকি দেওয়া নিষেধ। ঘরের ভেতর উঁকি দিয়ে দেখতে রাসুল (সা.) নিষেধ করেছেন। অনুমতিবিহীন উঁকি দেওয়ার সময় চোখ ফুঁড়ে দিলেও ইসলাম কোনো ক্ষতিপূরণ ধার্য করেনি।
বর্তমানে অনেক বাসায় কলিং বেল থাকে, সে ক্ষেত্রে অনুমতির জন্য কলিং বেল তিনবার চাপবেন। অনুমতি এলে ঘরে প্রবেশ করবেন, অন্যথায় চলে আসতে হবে। এর বেশি কলিং বেল দাবা যাবে না।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে আসমান-জমিন সৃষ্টি, আল্লাহর ভয়, কিয়ামতের ভয়াবহতা, হিসাবের পাল্লা, ক্ষমা প্রার্থনা, পর্দা, বৃদ্ধা নারীর পর্দা, দাস-দাসীদের ব্যাপারে নির্দেশনা, সমাজ জীবনে শিষ্টাচার, কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও নবী-রাসুলরা মানুষ ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
৪ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১০ ঘণ্টা আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১ দিন আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১ দিন আগে