মুহাম্মাদ রাহাতুল ইসলাম
কোনো কোনো মানুষের ধারণা-কোরবানির গোশত অমুসলিমদের দেওয়া যায় না। এ ধারণা ঠিক নয়। সম্পূর্ণ ভুল। কোরবানির গোশত হিন্দু বা অন্য ধর্মাবলম্বীকে দেওয়া জায়েজ। (ফাতওয়ায়ে আলমগিরি ৫/৩০০)। এতে অসুবিধার কিছু নেই।
মুসলমানদের সদকাসমূহের মধ্যে শুধু জাকাত অমুসলিমদের দেওয়া যায় না। এ ছাড়া সদকায়ে ফিতরসহ বাকি সব সদকা ও দান মুসলিমদের পাশাপাশি অমুসলিম দরিদ্রদের দেওয়া যায়।
এই প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদের স্বদেশ থেকে বের করে দেয়নি—তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না। আল্লাহ তো ন্যায়পরায়ণতার ভালোবাসেন। (সুরা মুমতাহিনা: ৮)
অমুসলিম যদি প্রতিবেশী হয়। তবে প্রতিবেশী হিসেবে তারও হক রয়েছে। সাহাবিগণ অমুসলিম প্রতিবেশীর হকের প্রতি সবিশেষ লক্ষ রাখতেন।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.)-এর বাড়িতে একবার একটি বকরি (ছাগল) জবেহ করা হল। যখন তিনি বাড়িতে ফিরলেন জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি আমাদের ইহুদি প্রতিবেশীকে এ গোশত হাদিয়া পাঠিয়েছ? এভাবে দুই বার জিজ্ঞেস করলেন।
এরপর তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি—প্রতিবেশীর অধিকার প্রসঙ্গে জিবরাইল আমাকে অবিরত উপদেশ দিতেন। এমনকি আমার ধারণা হল যে হয়তো শিগগিরই প্রতিবেশীকে উত্তরাধিকারী বানিয়ে দেবে। (জামে তিরমিজি: ১৯৪৩)
ইসলাম মানবতার ধর্ম। ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ হিসেবে সবাই সমান। এখানে ধনী-গরিব, কালোসাদা ইত্যাদির কোনো ভেদাভেদ নেই। সে যেই ধর্মেরই হোক না কেন—ইসলামের প্রতি আঘাত না হানলে ইসলাম কখনোই তার বিরুদ্ধে যেতে নির্দেশ দেয় না।
মানুষ হিসেবে রাসুল (সা.)-এর নিকটও সবাই সমান ছিল। সবার প্রতি তিনি ছিলেন উদার ও উত্তম আচরণকারী। একবার বিশ্বনবী (সা.)-এর সামনে দিয়ে এক ইহুদির লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল আর এতে ওই লাশের সম্মানার্থে তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন হজরত জাবের (রা.) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এটি তো ইহুদির লাশ!’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছিলেন, ‘সে কি মানুষ নয়!’ (সহিহ্ বুখারি: ১২১৩)
লেখক: আলেম ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
কোনো কোনো মানুষের ধারণা-কোরবানির গোশত অমুসলিমদের দেওয়া যায় না। এ ধারণা ঠিক নয়। সম্পূর্ণ ভুল। কোরবানির গোশত হিন্দু বা অন্য ধর্মাবলম্বীকে দেওয়া জায়েজ। (ফাতওয়ায়ে আলমগিরি ৫/৩০০)। এতে অসুবিধার কিছু নেই।
মুসলমানদের সদকাসমূহের মধ্যে শুধু জাকাত অমুসলিমদের দেওয়া যায় না। এ ছাড়া সদকায়ে ফিতরসহ বাকি সব সদকা ও দান মুসলিমদের পাশাপাশি অমুসলিম দরিদ্রদের দেওয়া যায়।
এই প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদের স্বদেশ থেকে বের করে দেয়নি—তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না। আল্লাহ তো ন্যায়পরায়ণতার ভালোবাসেন। (সুরা মুমতাহিনা: ৮)
অমুসলিম যদি প্রতিবেশী হয়। তবে প্রতিবেশী হিসেবে তারও হক রয়েছে। সাহাবিগণ অমুসলিম প্রতিবেশীর হকের প্রতি সবিশেষ লক্ষ রাখতেন।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.)-এর বাড়িতে একবার একটি বকরি (ছাগল) জবেহ করা হল। যখন তিনি বাড়িতে ফিরলেন জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি আমাদের ইহুদি প্রতিবেশীকে এ গোশত হাদিয়া পাঠিয়েছ? এভাবে দুই বার জিজ্ঞেস করলেন।
এরপর তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি—প্রতিবেশীর অধিকার প্রসঙ্গে জিবরাইল আমাকে অবিরত উপদেশ দিতেন। এমনকি আমার ধারণা হল যে হয়তো শিগগিরই প্রতিবেশীকে উত্তরাধিকারী বানিয়ে দেবে। (জামে তিরমিজি: ১৯৪৩)
ইসলাম মানবতার ধর্ম। ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ হিসেবে সবাই সমান। এখানে ধনী-গরিব, কালোসাদা ইত্যাদির কোনো ভেদাভেদ নেই। সে যেই ধর্মেরই হোক না কেন—ইসলামের প্রতি আঘাত না হানলে ইসলাম কখনোই তার বিরুদ্ধে যেতে নির্দেশ দেয় না।
মানুষ হিসেবে রাসুল (সা.)-এর নিকটও সবাই সমান ছিল। সবার প্রতি তিনি ছিলেন উদার ও উত্তম আচরণকারী। একবার বিশ্বনবী (সা.)-এর সামনে দিয়ে এক ইহুদির লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল আর এতে ওই লাশের সম্মানার্থে তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন হজরত জাবের (রা.) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এটি তো ইহুদির লাশ!’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছিলেন, ‘সে কি মানুষ নয়!’ (সহিহ্ বুখারি: ১২১৩)
লেখক: আলেম ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
মানুষের জীবনের প্রতিটি কাজের মধ্যে মহানবী (সা.)-এর উত্তম আদর্শ বিদ্যমান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি অধ্যায় তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে সাজানো উচিত। খাবার গ্রহণ জীবনের একটি অপরিহার্য কাজ। যদি এ খাবার গ্রহণও মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী করা হয়, তাহলে ক্ষুধার নিবারণ হওয়ার পাশাপাশি এর মাধ্যমে...
১ দিন আগেজুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
২ দিন আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
২ দিন আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
২ দিন আগে