মুহিব্বুল্লাহ কাফি
প্রত্যেক মুমিনই রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে ভালোবাসেন। ভালোবাসা উচিতও। তবে এ ভালোবাসা হবে তাঁরই বাতলে দেওয়া পদ্ধতিতে। নবীজি আমাদের যে দায়িত্বগুলো দিয়েছেন, তা পালন করাই তাঁর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের সেরা মাধ্যম। দায়িত্বগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—
এক. রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি পরিপূর্ণ ইমান আনা যে তিনি আল্লাহর রাসুল। তিনি যা কিছু বলেছেন ও করেছেন, সব সঠিক—এই সাক্ষ্য দেওয়া। কেননা রাসুল (সা.) যা বলতেন আল্লাহর পক্ষ থেকেই বলতেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনি (মুহাম্মদ) নিজ থেকে যা খুশি বলেন না, এটা ওহি ছাড়া আর কিছুই নয়; যা তাঁর কাছে পাঠানো হয়।’ (সুরা নাজম: ৩-৪)
দুই. তাঁর সুন্নতগুলো অনুসরণ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী, আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমাকে অনুসরণ করো। আল্লাহ তাআলাও তোমাদের ভালোবাসবেন।’ (সুরা আল ইমরান: ৩১)
তিন. নবীজিকে ভালোবাসা। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ সত্যিকার মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার পিতামাতা ও সন্তান-সন্ততি এবং সব মানুষের চেয়ে অধিক প্রিয় হব।’ (বুখারি: ১৫, মুসলিম: ৪৪)
চার. তাঁর প্রতি দরুদ পাঠ করা। কারণ ফেরেশতারাও নবীজির প্রতি দরুদ পড়েন। কেননা দরুদ পাঠে আল্লাহ খুশি হন। তিনি খুশি হয়ে রহমত নাজিল করেন। গুনাহ মাফ হয়। মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার ওপর ১০টি রহমত বর্ষণ করবেন এবং তার ১০টি গুনাহ মাফ করা হবে। তার ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে।’ (নাসায়ি: ১২৯৭)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রত্যেক মুমিনই রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে ভালোবাসেন। ভালোবাসা উচিতও। তবে এ ভালোবাসা হবে তাঁরই বাতলে দেওয়া পদ্ধতিতে। নবীজি আমাদের যে দায়িত্বগুলো দিয়েছেন, তা পালন করাই তাঁর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের সেরা মাধ্যম। দায়িত্বগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—
এক. রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি পরিপূর্ণ ইমান আনা যে তিনি আল্লাহর রাসুল। তিনি যা কিছু বলেছেন ও করেছেন, সব সঠিক—এই সাক্ষ্য দেওয়া। কেননা রাসুল (সা.) যা বলতেন আল্লাহর পক্ষ থেকেই বলতেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনি (মুহাম্মদ) নিজ থেকে যা খুশি বলেন না, এটা ওহি ছাড়া আর কিছুই নয়; যা তাঁর কাছে পাঠানো হয়।’ (সুরা নাজম: ৩-৪)
দুই. তাঁর সুন্নতগুলো অনুসরণ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী, আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমাকে অনুসরণ করো। আল্লাহ তাআলাও তোমাদের ভালোবাসবেন।’ (সুরা আল ইমরান: ৩১)
তিন. নবীজিকে ভালোবাসা। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ সত্যিকার মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার পিতামাতা ও সন্তান-সন্ততি এবং সব মানুষের চেয়ে অধিক প্রিয় হব।’ (বুখারি: ১৫, মুসলিম: ৪৪)
চার. তাঁর প্রতি দরুদ পাঠ করা। কারণ ফেরেশতারাও নবীজির প্রতি দরুদ পড়েন। কেননা দরুদ পাঠে আল্লাহ খুশি হন। তিনি খুশি হয়ে রহমত নাজিল করেন। গুনাহ মাফ হয়। মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার ওপর ১০টি রহমত বর্ষণ করবেন এবং তার ১০টি গুনাহ মাফ করা হবে। তার ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে।’ (নাসায়ি: ১২৯৭)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১২ ঘণ্টা আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
২০ ঘণ্টা আগেপ্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখার মধ্যে বেশ ফজিলত রয়েছে। হাদিসের ভাষায় এই তিনটি রোজাকে বলায় হয় আইয়ামে বিজের রোজা। এই রোজা প্রতি আরবি মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখে রাখতে হয়।
২ দিন আগেএকজন মুসলমানের জীবনে ইমান এক অমূল্য সম্পদ। তবে সৎকার ছাড়া ইমানও মূল্যহীন। আসুন, ইমান ও সৎকাজের পুরস্কার সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিই।
২ দিন আগে