মুফতি আবু দারদা
কবরে যা ইচ্ছা করার অনুমতি দেয় না ইসলাম। কবরকে ঘিরে আমাদের সমাজে প্রচলিত অনেক কাজ করতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। এখানে এমন কয়েকটি কাজের কথা তুলে ধরা হলো—
১. কবরে পশু জবাই করা নিষেধ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ইসলামে (কবরের পাশে) কোনো জবাই নেই।...জাহিলি যুগের লোকজন কবরে গাভি বা ছাগল জবাই করত।’ (আবু দাউদ: ৩২২২)
২. কবরের ওপর বসা নিষেধ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ কবরের ওপর বসবে, এর চেয়ে উত্তম হলো আগুনের টুকরার ওপর বসা। আর সেই আগুন যেন তার কাপড় পুড়িয়ে দিয়ে চামড়া পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেয়।’ (মুসলিম: ৯৭১)
৩. কবরের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করা নিষেধ। এটি হারাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কবরের দিকে (মুখ করে) নামাজ আদায় করবে না এবং তার ওপর বসবেও না।’ (মুসলিম: ৯৭২)
৪. কাবামুখী হয়ে পড়লেও কবরের পাশে নামাজ পড়া অনুচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পুরো পৃথিবীই মসজিদ, শুধু কবরস্থান ও গোসলখানা ছাড়া।’ (তিরমিজি: ৩১৭)
৫. কবরস্থানকে উৎসবের জায়গা বানানো অনুচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবর বানিয়ো না এবং কবরগুলোকে উৎসবের জায়গা বানিয়ো না।’ (আবু দাউদ: ২০৪২)
৬. কবরের ওপর মসজিদ নির্মাণ করা ও মোমবাতি জ্বালানো নিষেধ। নারীদেরও কবর জিয়ারতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ তারা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) নারী কবর জিয়ারতকারী, তার ওপর মসজিদ নির্মাণকারী ও তাতে বাতি প্রজ্বালনকারীদের অভিশাপ দিয়েছেন।’ (আবু দাউদ: ৩২৩৬)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
কবরে যা ইচ্ছা করার অনুমতি দেয় না ইসলাম। কবরকে ঘিরে আমাদের সমাজে প্রচলিত অনেক কাজ করতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। এখানে এমন কয়েকটি কাজের কথা তুলে ধরা হলো—
১. কবরে পশু জবাই করা নিষেধ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ইসলামে (কবরের পাশে) কোনো জবাই নেই।...জাহিলি যুগের লোকজন কবরে গাভি বা ছাগল জবাই করত।’ (আবু দাউদ: ৩২২২)
২. কবরের ওপর বসা নিষেধ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ কবরের ওপর বসবে, এর চেয়ে উত্তম হলো আগুনের টুকরার ওপর বসা। আর সেই আগুন যেন তার কাপড় পুড়িয়ে দিয়ে চামড়া পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেয়।’ (মুসলিম: ৯৭১)
৩. কবরের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করা নিষেধ। এটি হারাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কবরের দিকে (মুখ করে) নামাজ আদায় করবে না এবং তার ওপর বসবেও না।’ (মুসলিম: ৯৭২)
৪. কাবামুখী হয়ে পড়লেও কবরের পাশে নামাজ পড়া অনুচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পুরো পৃথিবীই মসজিদ, শুধু কবরস্থান ও গোসলখানা ছাড়া।’ (তিরমিজি: ৩১৭)
৫. কবরস্থানকে উৎসবের জায়গা বানানো অনুচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবর বানিয়ো না এবং কবরগুলোকে উৎসবের জায়গা বানিয়ো না।’ (আবু দাউদ: ২০৪২)
৬. কবরের ওপর মসজিদ নির্মাণ করা ও মোমবাতি জ্বালানো নিষেধ। নারীদেরও কবর জিয়ারতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ তারা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) নারী কবর জিয়ারতকারী, তার ওপর মসজিদ নির্মাণকারী ও তাতে বাতি প্রজ্বালনকারীদের অভিশাপ দিয়েছেন।’ (আবু দাউদ: ৩২৩৬)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
হালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
১ দিন আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
১ দিন আগে