মনজুর সা’দ
সন্তান মহান আল্লাহর অমূল্য নিয়ামত। যার সন্তান নেই, সে বোঝে সন্তান না থাকা কতটা কষ্টের। মা-বাবার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য যেমন রয়েছে, তেমনি সন্তানের প্রতিও মা-বাবার রয়েছে অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য। সুসন্তান পার্থিব জীবনে সুখ-শান্তি এবং পরকালে মুক্তির অন্যতম মাধ্যম।
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে, তখন থেকে তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি আমল অবশিষ্ট থাকে। (এসবের পুণ্য সে মৃত্যুর পরও প্রাপ্ত হবে) ১. সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব, ২. উপকারী জ্ঞানের পুণ্য এবং ৩. নেক সন্তানের দোয়া। (মুসলিম, মিশকাত)
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে মা-বাবার যেসব দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে, তা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এখানে তুলে ধরা হলো—
১. মাতৃগর্ভে সুরক্ষা
প্রতিটি মানবশিশুর মাতৃগর্ভে সুরক্ষিত থাকার অধিকার রয়েছে। মা-বাবার এ বিষয়ে যথেষ্ট যত্নবান হওয়া দরকার। মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় অন্যায়ভাবে হত্যা করা অথবা ভ্রুণ নষ্ট করা মা-বাবাকে জালিমদের অন্তর্ভুক্ত করবে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা দারিদ্র্যের ভয়ে সন্তান হত্যা কোরো না।’
২. কানে আজান দেওয়া
সন্তান জন্মানোর পর ডান কানে আজান ওবং বাঁ কানে ইকামত দেওয়া উচিত। আবু রাফে থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি মহানবী (সা.)-কে দেখেছি, ফাতিমা (রা.)-এর গর্ভ থেকে যখন হাসান ভূমিষ্ঠ হয়, তখন তার কানে নামাজের আজানের মতো আজান দিয়েছেন।’ (তিরমিজি)
৩. অর্থবহ নাম রাখা
সন্তান জন্ম নেওয়ার পর সুন্দর অর্থবহ নাম রাখা উচিত। কারণ, নাম আলাদা প্রভাব ফেলে সন্তানের ওপর।
৪. ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষা দেওয়া
ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সন্তানদের শিক্ষা দেওয়া আবশ্যক। যাতে তারা দুনিয়ায় আমলদার এবং আখিরাতে সওয়াবের ভাগীদার হতে পারে। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক মুসলমানের ওপর জ্ঞানার্জন করা ফরজ।’ (ইবনে মাজাহ)
৫. সন্তানের জন্য দোয়া করা
দোয়া ইবাদতের মুখ্য বিষয়। বান্দার প্রতিটি দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। তাই মা-বাবার উচিত সন্তানের জন্য বেশি বেশি দোয়া করা। কারণ, দোয়ার মাধ্যমে বালা-মুসিবত দূর হয়।
মা-বাবা সন্তানকে সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার কারিগর। সন্তানের জীবন সুন্দর, নৈতিক ও আলোকিত করার জন্য তাঁদের বেশি ভাবতে হবে।
সন্তান মহান আল্লাহর অমূল্য নিয়ামত। যার সন্তান নেই, সে বোঝে সন্তান না থাকা কতটা কষ্টের। মা-বাবার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য যেমন রয়েছে, তেমনি সন্তানের প্রতিও মা-বাবার রয়েছে অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য। সুসন্তান পার্থিব জীবনে সুখ-শান্তি এবং পরকালে মুক্তির অন্যতম মাধ্যম।
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে, তখন থেকে তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি আমল অবশিষ্ট থাকে। (এসবের পুণ্য সে মৃত্যুর পরও প্রাপ্ত হবে) ১. সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব, ২. উপকারী জ্ঞানের পুণ্য এবং ৩. নেক সন্তানের দোয়া। (মুসলিম, মিশকাত)
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে মা-বাবার যেসব দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে, তা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এখানে তুলে ধরা হলো—
১. মাতৃগর্ভে সুরক্ষা
প্রতিটি মানবশিশুর মাতৃগর্ভে সুরক্ষিত থাকার অধিকার রয়েছে। মা-বাবার এ বিষয়ে যথেষ্ট যত্নবান হওয়া দরকার। মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় অন্যায়ভাবে হত্যা করা অথবা ভ্রুণ নষ্ট করা মা-বাবাকে জালিমদের অন্তর্ভুক্ত করবে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা দারিদ্র্যের ভয়ে সন্তান হত্যা কোরো না।’
২. কানে আজান দেওয়া
সন্তান জন্মানোর পর ডান কানে আজান ওবং বাঁ কানে ইকামত দেওয়া উচিত। আবু রাফে থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি মহানবী (সা.)-কে দেখেছি, ফাতিমা (রা.)-এর গর্ভ থেকে যখন হাসান ভূমিষ্ঠ হয়, তখন তার কানে নামাজের আজানের মতো আজান দিয়েছেন।’ (তিরমিজি)
৩. অর্থবহ নাম রাখা
সন্তান জন্ম নেওয়ার পর সুন্দর অর্থবহ নাম রাখা উচিত। কারণ, নাম আলাদা প্রভাব ফেলে সন্তানের ওপর।
৪. ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষা দেওয়া
ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সন্তানদের শিক্ষা দেওয়া আবশ্যক। যাতে তারা দুনিয়ায় আমলদার এবং আখিরাতে সওয়াবের ভাগীদার হতে পারে। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক মুসলমানের ওপর জ্ঞানার্জন করা ফরজ।’ (ইবনে মাজাহ)
৫. সন্তানের জন্য দোয়া করা
দোয়া ইবাদতের মুখ্য বিষয়। বান্দার প্রতিটি দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। তাই মা-বাবার উচিত সন্তানের জন্য বেশি বেশি দোয়া করা। কারণ, দোয়ার মাধ্যমে বালা-মুসিবত দূর হয়।
মা-বাবা সন্তানকে সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার কারিগর। সন্তানের জীবন সুন্দর, নৈতিক ও আলোকিত করার জন্য তাঁদের বেশি ভাবতে হবে।
আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১৬ ঘণ্টা আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
১ দিন আগেপ্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখার মধ্যে বেশ ফজিলত রয়েছে। হাদিসের ভাষায় এই তিনটি রোজাকে বলায় হয় আইয়ামে বিজের রোজা। এই রোজা প্রতি আরবি মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখে রাখতে হয়।
২ দিন আগেএকজন মুসলমানের জীবনে ইমান এক অমূল্য সম্পদ। তবে সৎকার ছাড়া ইমানও মূল্যহীন। আসুন, ইমান ও সৎকাজের পুরস্কার সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিই।
২ দিন আগে