আজকের পত্রিকা
করোনায়ও পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসা বাড়ছে কেন? কারখানা খুলে দেওয়া কি সঠিক সিদ্ধান্ত? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন–বিটিএমএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: করোনায় কীভাবে সামলাচ্ছেন ব্যবসা?
আবদুল হাই সরকার: করোনার প্রথম দিকে আমরা সবাই বেশ আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। আমাদের টেক্সটাইলসহ বেশ কিছু উদ্যোগ আছে। মনে হচ্ছিল, ব্যবসাটা শেষ হয়ে যাবে। এরপর আকস্মিক দেখলাম আমাদের অর্ডার বেড়ে যাচ্ছে। স্পিনিং, ডায়িং, ফিনিশিং যা-ই বলেন না কেন, বেলাশেষে সবকিছুই কিন্তু গার্মেন্টসের জন্য। এ খাত যখন তেজি হয়, সংগত কারণেই এর সঙ্গে জড়িত অন্য খাতগুলোও ভালো করে। সেই হিসাবে আমাদের টেক্সটাইল খাত যথেষ্ট সুবিধা পেয়েছে। এমনকি আমরা সাধারণ সময়ে যে ব্যবসা করছিলাম, এর চেয়েও ভালো ব্যবসা আসতে থাকল। আমরা যে করোনায়ও এত ভালো ব্যবসা করতে পারছি, এর কারণ হলো আমরা সরকারের সহায়তা পাচ্ছি। এ সময়ে প্রণোদনা খুব কাজে দিয়েছে।
আজকের পত্রিকা: কারখানা খুলে দেওয়া কি সঠিক সিদ্ধান্ত?
আবদুল হাই সরকার: রপ্তানি খাতকে চালু না রেখে উপায় নেই। এটা না করলে আমাদের ব্যবসা অন্যত্র চলে যাবে। এ করোনার যে অবস্থা, আমরা কেউ বলতে পারি না এর শেষ কোথায়? এর মধ্যেই আমাদের বাঁচতে হবে। এখন যদি আমরা করোনা থেকে বাঁচতে সবকিছু বন্ধ করে দিই, তাহলে দেশটা কিন্তু ধ্বংস হয়ে যাবে। অর্থনীতি শেষ হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষের আয়ের তো কোনো রাস্তা নেই। ৮০ শতাংশ আয় আসে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল খাত থেকে। অর্থাৎ অর্থনীতির মূল অবদান আসে গার্মেন্টস থেকে। এখন যে সিদ্ধান্তটা নিল সরকার, এটা খুব ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমি এই সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে স্যালুট জানাই। তিনি বাস্তবতা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি উদ্যোক্তাদের প্রতি খুবই সংবেদনশীল।
আজকের পত্রিকা: এখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব হবে?
আবদুল হাই সরকার: গার্মেন্টস চালু থাকলে অধিকাংশ কর্মীকে স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়। কারণ এসব না মেনে কেউ কারখানায় ঢুকতে পারে না। সুতরাং কারখানায় কাজে আসা মানে তারা বাসায় থাকার চেয়ে বেশি সুরক্ষিত থাকা। যদি সব লকডাউন করে দেওয়া হয়, তারা বাসায় না থেকে এখানে-সেখানে ঘোরে, বেড়াতে যায়, তখন স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বেশি থাকে। কারখানা বন্ধ থাকা মানে তাদের আয় বন্ধ হয়ে যাওয়া। খেয়ে না-খেয়ে থাকতে হয়। যেহেতু তারাই পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস।
আজকের পত্রিকা: এই করোনায়ও রপ্তানি বাড়ছে কেন?
আবদুল হাই সরকার: এখন আমাদের যে ব্যবসা ভালো হচ্ছে এর মূল কারণ হলো পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে চীনের টানাপোড়েন। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে চীন তাদের ব্যবসা সরাচ্ছে। পশ্চিমা ক্রেতারাও অন্য দিকে ঝুঁকছে। সুতরাং চীনের ছুটে যাওয়া ব্যবসার যদি ১০ শতাংশও আমরা নিতে পারি, তাতেও আমাদের বিরাট ব্যাপার। এ ছাড়া আমাদের প্রতিযোগী মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে। তাদের সমস্যা শিগগির সমাধান হবে না। দুই বছর পরে নির্বাচন দেবে। জনগণও সরকারের বিপক্ষে। এতে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে ক্রেতারা। এটাও এখন বাংলাদেশমুখী। সব মিলিয়ে আমাদের ব্যবসার যে অবস্থা দাঁড়াচ্ছে, তা খুবই আশাব্যঞ্জক।
আজকের পত্রিকা: বস্ত্র ও পোশাক খাতের প্রভাব কি অন্য ব্যবসায় পড়ে?
আবদুল হাই সরকার: রপ্তানি খাত ভালো হওয়া মানে অন্য খাতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়া। এতে সহযোগী ব্যবসাগুলোও চাঙা থাকে। এতে আবাসন, পর্যটনসহ প্রায় সব খাতের ব্যবসাই ভালো হয়। আমাদের একটাই বাধা, সেটা হলো করোনা। এ পরিস্থিতিতে আমাদের সাবধানে কাজ করতে হবে। পণ্য ও সেবার সব কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না। তাহলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সব মিলিয়ে আমি মনে করি, করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ না হলে আমাদের অর্থনীতি আরও ভালোর দিকে যাবে।
আজকের পত্রিকা: আপনি ব্যাংকিং খাতেও জড়িত। কেমন চলছে ব্যাংকিং ব্যবসা?
আবদুল হাই সরকার: জনশক্তি, গার্মেন্টসসহ অন্যান্য কারখানা যদি ভালো চলে তবে ব্যাংকিং ব্যবসাও চলবে। ব্যাংক হলো বেসিক জায়গা। আপনি সেখান থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা করবেন, কারখানা বানাবেন, আবার টাকা ফেরত দেবেন। এটাই ব্যাংকের ব্যবসা। আমাদের অন্য ব্যবসা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ব্যাংকের ব্যবসাও খারাপ হবে। যদিও এ সময়ে বিনিয়োগে ধীরগতি চলছে। তবে একেবারেই বিনিয়োগ হচ্ছে না, এটা বলা যাবে না। কম হলেও হচ্ছে।
করোনায়ও পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসা বাড়ছে কেন? কারখানা খুলে দেওয়া কি সঠিক সিদ্ধান্ত? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন–বিটিএমএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: করোনায় কীভাবে সামলাচ্ছেন ব্যবসা?
আবদুল হাই সরকার: করোনার প্রথম দিকে আমরা সবাই বেশ আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। আমাদের টেক্সটাইলসহ বেশ কিছু উদ্যোগ আছে। মনে হচ্ছিল, ব্যবসাটা শেষ হয়ে যাবে। এরপর আকস্মিক দেখলাম আমাদের অর্ডার বেড়ে যাচ্ছে। স্পিনিং, ডায়িং, ফিনিশিং যা-ই বলেন না কেন, বেলাশেষে সবকিছুই কিন্তু গার্মেন্টসের জন্য। এ খাত যখন তেজি হয়, সংগত কারণেই এর সঙ্গে জড়িত অন্য খাতগুলোও ভালো করে। সেই হিসাবে আমাদের টেক্সটাইল খাত যথেষ্ট সুবিধা পেয়েছে। এমনকি আমরা সাধারণ সময়ে যে ব্যবসা করছিলাম, এর চেয়েও ভালো ব্যবসা আসতে থাকল। আমরা যে করোনায়ও এত ভালো ব্যবসা করতে পারছি, এর কারণ হলো আমরা সরকারের সহায়তা পাচ্ছি। এ সময়ে প্রণোদনা খুব কাজে দিয়েছে।
আজকের পত্রিকা: কারখানা খুলে দেওয়া কি সঠিক সিদ্ধান্ত?
আবদুল হাই সরকার: রপ্তানি খাতকে চালু না রেখে উপায় নেই। এটা না করলে আমাদের ব্যবসা অন্যত্র চলে যাবে। এ করোনার যে অবস্থা, আমরা কেউ বলতে পারি না এর শেষ কোথায়? এর মধ্যেই আমাদের বাঁচতে হবে। এখন যদি আমরা করোনা থেকে বাঁচতে সবকিছু বন্ধ করে দিই, তাহলে দেশটা কিন্তু ধ্বংস হয়ে যাবে। অর্থনীতি শেষ হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষের আয়ের তো কোনো রাস্তা নেই। ৮০ শতাংশ আয় আসে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল খাত থেকে। অর্থাৎ অর্থনীতির মূল অবদান আসে গার্মেন্টস থেকে। এখন যে সিদ্ধান্তটা নিল সরকার, এটা খুব ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমি এই সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে স্যালুট জানাই। তিনি বাস্তবতা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি উদ্যোক্তাদের প্রতি খুবই সংবেদনশীল।
আজকের পত্রিকা: এখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব হবে?
আবদুল হাই সরকার: গার্মেন্টস চালু থাকলে অধিকাংশ কর্মীকে স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়। কারণ এসব না মেনে কেউ কারখানায় ঢুকতে পারে না। সুতরাং কারখানায় কাজে আসা মানে তারা বাসায় থাকার চেয়ে বেশি সুরক্ষিত থাকা। যদি সব লকডাউন করে দেওয়া হয়, তারা বাসায় না থেকে এখানে-সেখানে ঘোরে, বেড়াতে যায়, তখন স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বেশি থাকে। কারখানা বন্ধ থাকা মানে তাদের আয় বন্ধ হয়ে যাওয়া। খেয়ে না-খেয়ে থাকতে হয়। যেহেতু তারাই পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস।
আজকের পত্রিকা: এই করোনায়ও রপ্তানি বাড়ছে কেন?
আবদুল হাই সরকার: এখন আমাদের যে ব্যবসা ভালো হচ্ছে এর মূল কারণ হলো পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে চীনের টানাপোড়েন। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে চীন তাদের ব্যবসা সরাচ্ছে। পশ্চিমা ক্রেতারাও অন্য দিকে ঝুঁকছে। সুতরাং চীনের ছুটে যাওয়া ব্যবসার যদি ১০ শতাংশও আমরা নিতে পারি, তাতেও আমাদের বিরাট ব্যাপার। এ ছাড়া আমাদের প্রতিযোগী মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে। তাদের সমস্যা শিগগির সমাধান হবে না। দুই বছর পরে নির্বাচন দেবে। জনগণও সরকারের বিপক্ষে। এতে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে ক্রেতারা। এটাও এখন বাংলাদেশমুখী। সব মিলিয়ে আমাদের ব্যবসার যে অবস্থা দাঁড়াচ্ছে, তা খুবই আশাব্যঞ্জক।
আজকের পত্রিকা: বস্ত্র ও পোশাক খাতের প্রভাব কি অন্য ব্যবসায় পড়ে?
আবদুল হাই সরকার: রপ্তানি খাত ভালো হওয়া মানে অন্য খাতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়া। এতে সহযোগী ব্যবসাগুলোও চাঙা থাকে। এতে আবাসন, পর্যটনসহ প্রায় সব খাতের ব্যবসাই ভালো হয়। আমাদের একটাই বাধা, সেটা হলো করোনা। এ পরিস্থিতিতে আমাদের সাবধানে কাজ করতে হবে। পণ্য ও সেবার সব কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না। তাহলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সব মিলিয়ে আমি মনে করি, করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ না হলে আমাদের অর্থনীতি আরও ভালোর দিকে যাবে।
আজকের পত্রিকা: আপনি ব্যাংকিং খাতেও জড়িত। কেমন চলছে ব্যাংকিং ব্যবসা?
আবদুল হাই সরকার: জনশক্তি, গার্মেন্টসসহ অন্যান্য কারখানা যদি ভালো চলে তবে ব্যাংকিং ব্যবসাও চলবে। ব্যাংক হলো বেসিক জায়গা। আপনি সেখান থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা করবেন, কারখানা বানাবেন, আবার টাকা ফেরত দেবেন। এটাই ব্যাংকের ব্যবসা। আমাদের অন্য ব্যবসা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ব্যাংকের ব্যবসাও খারাপ হবে। যদিও এ সময়ে বিনিয়োগে ধীরগতি চলছে। তবে একেবারেই বিনিয়োগ হচ্ছে না, এটা বলা যাবে না। কম হলেও হচ্ছে।
মিয়ানমারের সংকটকবলিত রাখাইনে খাদ্যসহ জরুরি রসদ সরবরাহে মানবিক করিডর দিতে নীতিগত সম্মতির কথা বলছে সরকার। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসবিষয়ক গবেষক আলতাফ পারভেজ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিভুরঞ্জন সরকার ও মাসুদ রানা।
১৩ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের অন্যতম আলোচিত রাজনৈতিক পক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির নীতি নির্ধারণে অন্যতম ভূমিকা পালন করছেন যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। দলের গঠনতন্ত্র প্রণয়নে গঠিত কমিটিতেও রয়েছেন তিনি।
৮ দিন আগেবাংলাদেশি তরুণ ওমর আহমেদ বর্তমানে বেলজিয়ামের ইএএসপিডি ব্রাসেলসের ইইউ প্রজেক্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত। বেলজিয়ামে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কাজ, বাংলাদেশিদের সুযোগ ও প্রস্তুতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন নাদিম মজিদ।
২২ মার্চ ২০২৫ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব একজন প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ এবং জননীতি বিশ্লেষক। তিনি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। সম্প্রতি তথ্য খাতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অর্চি হক।
১৭ মার্চ ২০২৫