আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও শিক্ষায় একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. অনুপম সেন। তিনি জানান, করোনার প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও। করোনাকালীন শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বলেছেন আজকের পত্রিকাকে।
প্রশ্ন: করোনাকালীন বেসরকারি উচ্চশিক্ষায় চট্টগ্রামের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
ড. অনুপম সেন: তেমন ভালো সেটা বলা যাবে না। এ মুহূর্তে পুরো বিশ্বে অস্থিরতা। প্রভাব পড়েছে প্রতিটি সেক্টরে। শিক্ষাও বাদ নেই। এখন সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা অনলাইনে নিতে হচ্ছে। প্রযুক্তি সুবিধা সবার এক রকম নয়। প্রশাসনিক কাজ চলছে রুটিন করে। সরকার সহযোগিতা করছে। তবে আরও বেশি দরকার। চট্টগ্রামের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে। অনেকে বেতন-ভাতা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। দু’একটি ইউনিভার্সিটি থেকে অনেক লোক বিদায় নিয়েছেন। শিক্ষা নিয়ে সত্যিই উদ্বিগ্ন ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক-শিক্ষকেরা। তবে পরিস্থিতি ভালো হলে আশা করছি সংকট কেটে যাবে।
প্রশ্ন: আগামী দিনের চ্যালেঞ্জগুলো কী দেখছেন?
ড. অনুপম সেন: চ্যালেঞ্জ তো অনেক। ছেলে মেয়েদের আবার পাঠ্য-বইমুখী করাতে হবে। ১৭ মাসের বিরতি হয়ে গেছে। অনেক শিক্ষার্থী সেমিস্টার ড্রপ দিয়েছে। কয়েকজন অভিভাবক বলেছেন, তাদের ৩ সন্তানের পড়ালেখা একসঙ্গে চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রদের আয়ে চলে। ভর্তি কমে যাওয়ায় সামনে আর্থিক সংকট আরও বড় হয়ে দেখা দেবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর টিকা নিশ্চিত করা জরুরি।
প্রশ্ন: সংকট উত্তরণে সরকারের কাছে আপনাদের প্রত্যাশা কী?
ড. অনুপম সেন: শিক্ষার জন্য বরাদ্দ ২ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ করা জরুরি। প্রয়োজনে শিক্ষার প্রসারে টাকা দিতে হবে। ছেলে মেয়েদের দ্রুত বৃত্তি দিতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট তুলনামূলক কম। সে কারণে অনেকে পড়তে চায়। কিন্তু সব ছেলে-মেয়ের অগাধ টাকা পয়সা নেই। দুই দশকে শিক্ষার মোটামুটি অগ্রগতি হয়েছে। এ মুহূর্তে করোনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দক্ষ লোক বাড়াতে হবে। সেখানে অভিজ্ঞ লোকের সংকট আছে। চট্টগ্রামের ইউনিভার্সিটিগুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে সরকারকে।
প্রশ্ন: বিভিন্ন শিল্পে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। শিক্ষা খাতে এ ধরনের প্রণোদনার দরকার আছে কী?
ড. অনুপম সেন: অবশ্যই। সরকার গার্মেন্টস শিল্প, ক্ষুদ্র শিল্প, কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছে। সেখানে প্রণোদনা দিয়েছে। শিক্ষা খাতেও তাদের এ ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে। বিনা শর্তে এ নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। ঊর্ধ্বতন মহল এই খাতকে টেনে না তুললে সামনে তা আরও বড় সংকটের মুখে পড়বে। আমাদের অনেক ছেলে মেয়ে প্রতিবছর বিদেশ চলে যায়। মেধাবীরা বাইরে চলে যায় ভালো শিক্ষার আশায়। সে শিক্ষা আমরা নিশ্চিত করতে পারছি না কেন? দরকার শুধু সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা।
চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও শিক্ষায় একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. অনুপম সেন। তিনি জানান, করোনার প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও। করোনাকালীন শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বলেছেন আজকের পত্রিকাকে।
প্রশ্ন: করোনাকালীন বেসরকারি উচ্চশিক্ষায় চট্টগ্রামের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
ড. অনুপম সেন: তেমন ভালো সেটা বলা যাবে না। এ মুহূর্তে পুরো বিশ্বে অস্থিরতা। প্রভাব পড়েছে প্রতিটি সেক্টরে। শিক্ষাও বাদ নেই। এখন সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা অনলাইনে নিতে হচ্ছে। প্রযুক্তি সুবিধা সবার এক রকম নয়। প্রশাসনিক কাজ চলছে রুটিন করে। সরকার সহযোগিতা করছে। তবে আরও বেশি দরকার। চট্টগ্রামের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে। অনেকে বেতন-ভাতা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। দু’একটি ইউনিভার্সিটি থেকে অনেক লোক বিদায় নিয়েছেন। শিক্ষা নিয়ে সত্যিই উদ্বিগ্ন ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক-শিক্ষকেরা। তবে পরিস্থিতি ভালো হলে আশা করছি সংকট কেটে যাবে।
প্রশ্ন: আগামী দিনের চ্যালেঞ্জগুলো কী দেখছেন?
ড. অনুপম সেন: চ্যালেঞ্জ তো অনেক। ছেলে মেয়েদের আবার পাঠ্য-বইমুখী করাতে হবে। ১৭ মাসের বিরতি হয়ে গেছে। অনেক শিক্ষার্থী সেমিস্টার ড্রপ দিয়েছে। কয়েকজন অভিভাবক বলেছেন, তাদের ৩ সন্তানের পড়ালেখা একসঙ্গে চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রদের আয়ে চলে। ভর্তি কমে যাওয়ায় সামনে আর্থিক সংকট আরও বড় হয়ে দেখা দেবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর টিকা নিশ্চিত করা জরুরি।
প্রশ্ন: সংকট উত্তরণে সরকারের কাছে আপনাদের প্রত্যাশা কী?
ড. অনুপম সেন: শিক্ষার জন্য বরাদ্দ ২ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ করা জরুরি। প্রয়োজনে শিক্ষার প্রসারে টাকা দিতে হবে। ছেলে মেয়েদের দ্রুত বৃত্তি দিতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট তুলনামূলক কম। সে কারণে অনেকে পড়তে চায়। কিন্তু সব ছেলে-মেয়ের অগাধ টাকা পয়সা নেই। দুই দশকে শিক্ষার মোটামুটি অগ্রগতি হয়েছে। এ মুহূর্তে করোনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দক্ষ লোক বাড়াতে হবে। সেখানে অভিজ্ঞ লোকের সংকট আছে। চট্টগ্রামের ইউনিভার্সিটিগুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে সরকারকে।
প্রশ্ন: বিভিন্ন শিল্পে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। শিক্ষা খাতে এ ধরনের প্রণোদনার দরকার আছে কী?
ড. অনুপম সেন: অবশ্যই। সরকার গার্মেন্টস শিল্প, ক্ষুদ্র শিল্প, কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছে। সেখানে প্রণোদনা দিয়েছে। শিক্ষা খাতেও তাদের এ ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে। বিনা শর্তে এ নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। ঊর্ধ্বতন মহল এই খাতকে টেনে না তুললে সামনে তা আরও বড় সংকটের মুখে পড়বে। আমাদের অনেক ছেলে মেয়ে প্রতিবছর বিদেশ চলে যায়। মেধাবীরা বাইরে চলে যায় ভালো শিক্ষার আশায়। সে শিক্ষা আমরা নিশ্চিত করতে পারছি না কেন? দরকার শুধু সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন। দীর্ঘ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে বিভাগটির ইমেরিটাস অধ্যাপক। মার্কসবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ অধ্যাপক চৌধুরী নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
১ দিন আগে‘বাংলাদেশের মানুষ যদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ কিংবা অনুপাতভিত্তিক ভোটব্যবস্থা বুঝত! উল্টো তারা বলবে, আমরা এসব বুঝি না! আমি তোমাকে ভোট দেব, কয় টাকা দেবে? সহজ ভাষায় বললে বিষয়টি তা-ই—তুমি টাকা দাও, আমি ভোট দেব—দেশে ভোটের চর্চা এমনই।’
৮ দিন আগেগত বছর জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতায় সহস্রাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) মামলার বিচার প্রক্রিয়াসহ নানা দিক নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী
১২ দিন আগেড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন বিষয়ে বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক।
২৩ দিন আগে