ফারুক মেহেদী
কীভাবে কালোটাকা তৈরি হয়, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার বিধান কতটা নৈতিক–এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: খবর বেরিয়েছে, বিদায়ী অর্থবছরে ২০ হাজার কোটি কালোটাকা সাদা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ হাজার কোটিই নগদ টাকা। এটা কতটা বাস্তবসম্মত?
গোলাম রহমান: আসলে নগদ টাকা সাদা হয়েছে, নাকি তা শুধু ঘোষণা–এটা একটা জটিল বিষয়। যদি নগদ টাকার বিষয় আসে, তবে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেই তথ্য আছে—কত টাকা ছাপানো হয়েছে, কত টাকা বাজারে আছে আর কত টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। যখন নগদ টাকার বিষয় আসে, তা ব্যাংকে থাকুক, পকেটে থাকুক, মাটির নিচে থাকুক, তখন অবশ্যই এর ফিজিক্যাল উপস্থিতি আছে ধরে নিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে কত হাজার কোটি টাকা সার্কুলেশন হয়, এটা যদি বের করা যায়, তাহলেই বোঝা যাবে, এই ১৭ হাজার কোটি টাকা সাদা করা সম্ভব কি সম্ভব না। এ প্রশ্নটার বোধ হয় উত্তর পাওয়া দরকার। এমনও হতে পারে, আদতে এই ক্যাশ টাকা নেই।
আজকের পত্রিকা: কালোটাকা কীভাবে তৈরি হয়?
গোলাম রহমান: কিছু লোক কর ফাঁকি দিচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কর ফাঁকি অনেক সময় ইচ্ছে করে দেয়, অনেক সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে দেয়। জমি বিক্রি করে অনেকে বেশি দামের জমি কম দাম দেখায়। অনেকে টাকা নগদে হাতে নেয়। এর ফলে ওই টাকার কোনো প্রমাণ থাকে না। নিজেরা যোগসাজশ করে টাকাটা নেয়। এভাবে অন্তত ১০ থেকে ১২ শতাংশ টাকার অস্তিত্ব থাকে না কাগজে-কলমে। অর্থাৎ, যে পরিমাণ টাকায় জমি বিক্রি করা হয়, আর যে অঙ্ক কাগজে-কলমে দেখানো হয়, তার মধ্যে যে ফাঁক থাকে, এটাই ফাঁকি। এই টাকাটা পকেটে থেকে যায়। পকেটে মানে তার কাছেই থাকে–ব্যাংকে বা কোনো ফার্মে। যার হিসাব করের খাতায় নেই। এটাই তো কালোটাকা হয়ে গেছে। এভাবে প্রচুর কালোটাকা তৈরি হয়।
আজকের পত্রিকা: কর ফাইলে দেখানো টাকা কি বাস্তবে থাকে, নাকি শুধুই ঘোষণা?
গোলাম রহমান: কিছু লোক যেটা করে, টাকাটা হয়তো তখনো পায়নি, শুধু বিনিয়োগ দেখানোর জন্য কিছু টাকা সরকারের কোষাগারে দিয়ে তা দেখিয়ে দেয়। অনেকের হয়তো বিপুল অঙ্কের টাকা ফাইলে আছে বিনিয়োগের জন্য–এটাও করে কেউ কেউ। অনেকে ফাইলে দেখিয়ে রাখল, কোনোদিন যদি ঘুষ খায়, কোনো অপকর্ম করে টাকা রুজি করে, তখন ফাইলে যেন দেখানো থাকে যে, তিনি এই টাকার কর আগেই দিয়েছেন বা ঘোষণা দিয়ে বৈধ করেছেন।
আজকের পত্রিকা: আপনি দুদকের চেয়ারম্যান ছিলেন। কালোটাকার মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না–আপনার দৃষ্টিতে এটা কতটা নৈতিক?
গোলাম রহমান: হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করলে এটা বোধ হয় বাতিল হয়ে যাবে। এখন দুদক করবে কি করবে না, এটা আমি জানি না। তবে আমি দুদকে থাকলে করতাম। এটা হয় না, শুধু কর দিলেই অবৈধ টাকা বৈধ হতে পারে না। আপনি ডাকাতি করবেন, আর কর দিলে পরে তা হালাল হয়ে যাবে–এটা হয় না।
কীভাবে কালোটাকা তৈরি হয়, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার বিধান কতটা নৈতিক–এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: খবর বেরিয়েছে, বিদায়ী অর্থবছরে ২০ হাজার কোটি কালোটাকা সাদা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ হাজার কোটিই নগদ টাকা। এটা কতটা বাস্তবসম্মত?
গোলাম রহমান: আসলে নগদ টাকা সাদা হয়েছে, নাকি তা শুধু ঘোষণা–এটা একটা জটিল বিষয়। যদি নগদ টাকার বিষয় আসে, তবে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেই তথ্য আছে—কত টাকা ছাপানো হয়েছে, কত টাকা বাজারে আছে আর কত টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। যখন নগদ টাকার বিষয় আসে, তা ব্যাংকে থাকুক, পকেটে থাকুক, মাটির নিচে থাকুক, তখন অবশ্যই এর ফিজিক্যাল উপস্থিতি আছে ধরে নিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে কত হাজার কোটি টাকা সার্কুলেশন হয়, এটা যদি বের করা যায়, তাহলেই বোঝা যাবে, এই ১৭ হাজার কোটি টাকা সাদা করা সম্ভব কি সম্ভব না। এ প্রশ্নটার বোধ হয় উত্তর পাওয়া দরকার। এমনও হতে পারে, আদতে এই ক্যাশ টাকা নেই।
আজকের পত্রিকা: কালোটাকা কীভাবে তৈরি হয়?
গোলাম রহমান: কিছু লোক কর ফাঁকি দিচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কর ফাঁকি অনেক সময় ইচ্ছে করে দেয়, অনেক সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে দেয়। জমি বিক্রি করে অনেকে বেশি দামের জমি কম দাম দেখায়। অনেকে টাকা নগদে হাতে নেয়। এর ফলে ওই টাকার কোনো প্রমাণ থাকে না। নিজেরা যোগসাজশ করে টাকাটা নেয়। এভাবে অন্তত ১০ থেকে ১২ শতাংশ টাকার অস্তিত্ব থাকে না কাগজে-কলমে। অর্থাৎ, যে পরিমাণ টাকায় জমি বিক্রি করা হয়, আর যে অঙ্ক কাগজে-কলমে দেখানো হয়, তার মধ্যে যে ফাঁক থাকে, এটাই ফাঁকি। এই টাকাটা পকেটে থেকে যায়। পকেটে মানে তার কাছেই থাকে–ব্যাংকে বা কোনো ফার্মে। যার হিসাব করের খাতায় নেই। এটাই তো কালোটাকা হয়ে গেছে। এভাবে প্রচুর কালোটাকা তৈরি হয়।
আজকের পত্রিকা: কর ফাইলে দেখানো টাকা কি বাস্তবে থাকে, নাকি শুধুই ঘোষণা?
গোলাম রহমান: কিছু লোক যেটা করে, টাকাটা হয়তো তখনো পায়নি, শুধু বিনিয়োগ দেখানোর জন্য কিছু টাকা সরকারের কোষাগারে দিয়ে তা দেখিয়ে দেয়। অনেকের হয়তো বিপুল অঙ্কের টাকা ফাইলে আছে বিনিয়োগের জন্য–এটাও করে কেউ কেউ। অনেকে ফাইলে দেখিয়ে রাখল, কোনোদিন যদি ঘুষ খায়, কোনো অপকর্ম করে টাকা রুজি করে, তখন ফাইলে যেন দেখানো থাকে যে, তিনি এই টাকার কর আগেই দিয়েছেন বা ঘোষণা দিয়ে বৈধ করেছেন।
আজকের পত্রিকা: আপনি দুদকের চেয়ারম্যান ছিলেন। কালোটাকার মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না–আপনার দৃষ্টিতে এটা কতটা নৈতিক?
গোলাম রহমান: হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করলে এটা বোধ হয় বাতিল হয়ে যাবে। এখন দুদক করবে কি করবে না, এটা আমি জানি না। তবে আমি দুদকে থাকলে করতাম। এটা হয় না, শুধু কর দিলেই অবৈধ টাকা বৈধ হতে পারে না। আপনি ডাকাতি করবেন, আর কর দিলে পরে তা হালাল হয়ে যাবে–এটা হয় না।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন। দীর্ঘ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে বিভাগটির ইমেরিটাস অধ্যাপক। মার্কসবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ অধ্যাপক চৌধুরী নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
৪২ মিনিট আগে‘বাংলাদেশের মানুষ যদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ কিংবা অনুপাতভিত্তিক ভোটব্যবস্থা বুঝত! উল্টো তারা বলবে, আমরা এসব বুঝি না! আমি তোমাকে ভোট দেব, কয় টাকা দেবে? সহজ ভাষায় বললে বিষয়টি তা-ই—তুমি টাকা দাও, আমি ভোট দেব—দেশে ভোটের চর্চা এমনই।’
৭ দিন আগেগত বছর জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতায় সহস্রাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) মামলার বিচার প্রক্রিয়াসহ নানা দিক নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী
১১ দিন আগেড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন বিষয়ে বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক।
২১ দিন আগে