অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেন। বৈঠকটি সৌজন্যমূলক কথাবার্তার মাধ্যমে শুরু হলেও কয়েক মিনিটের মধ্যেই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে রূপ নেয়। হোয়াইট হাউসে উপস্থিত বৈশ্বিক গণমাধ্যমের সামনেই এই আলাপ প্রকাশ্য বিবাদে পরিণত হয়। পরে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলকে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করতে বলা হয় এবং প্রেসিডেন্টের জন্য নির্ধারিত আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজ অব্যবহৃত অবস্থায় থেকে যায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকটি হ্যান্ডশেক এবং হাসির মাধ্যমে শুরু হলেও দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে কূটনীতির প্রয়োজনীয়তার কথা জোর দিয়ে বলার পর।
ভ্যান্স বলেন, ‘চার বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, যিনি সংবাদ সম্মেলনে দাঁড়িয়ে (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) ভ্লাদিমির পুতিন সম্পর্কে কঠোর ভাষায় কথা বলতেন। তারপর পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে দেশের একটি বিশাল অংশ ধ্বংস করে দেন। শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ হলো কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জো বাইডেনের পথ অনুসরণ করেছিলাম, নিজেদের শক্তি দেখিয়ে মনে করেছিলাম, মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথার চেয়ে তাঁর কর্মই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমেরিকাকে মহৎ করে তোলে কূটনীতির প্রতি তাঁর মনোযোগ। সেটাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প করছেন।’
এ সময় জেলেনস্কি জানতে চান, তিনি কি ভ্যান্সকে একটি প্রশ্ন করতে পারেন? ভ্যান্স সম্মতি জানালে জেলেনস্কি বলেন, ‘পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের বড় অংশ এবং ক্রিমিয়াসহ আমাদের ভূমি দখল করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি এটি দখল করেন। বছরের পর বছর ধরে তিনি (পুতিন) এটি করেছেন।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘আমি শুধু বাইডেনের কথা বলছি না, সেই সময় প্রেসিডেন্ট ছিলেন (বারাক) ওবামা, তারপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তারপর প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং এখন আবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ঈশ্বরের দয়ায় এবার তিনি (পুতিনকে) থামাবেন। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে কেউ তাঁকে থামাতে পারেনি। তিনি দখল করেছেন, হত্যা করেছেন।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত পরিস্থিতি একই ছিল। মানুষ মারা যাচ্ছিল, কিন্তু কেউ তাঁকে (পুতিনকে) থামাননি। আমাদের অনেকবার তাঁর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে...আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছিলাম। (ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল) মাখোঁ এবং (সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা) মের্কেল যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবাই আমাকে বলেছিল যে, তিনি (পুতিন) কখনো সীমা লঙ্ঘন করবেন না...কিন্তু পরে তিনি চুক্তি ভেঙে আমাদের মানুষ হত্যা করেন, বন্দীদের বিনিময় করেননি। আমরা বন্দিবিনিময়ের চুক্তি করেছিলাম, কিন্তু তিনি তা করেননি। আপনি কোন ধরনের কূটনীতির কথা বলছেন, জেডি? আপনি কী বোঝাতে চাইছেন?’
উত্তরে ভ্যান্স বলেন, ‘আমি এমন কূটনীতির কথা বলছি, যা আপনার দেশ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।’ জেলেনস্কি তখন বলতে যান, ‘হ্যাঁ, কিন্তু যদি আপনি...।’ কিন্তু ভ্যান্স তাঁকে থামিয়ে দেন।
ভ্যান্স বলেন, ‘জনাব প্রেসিডেন্ট (জেলেনস্কি), সম্মানের সঙ্গে বলছি, এটি অসম্মানজনক যে আপনি ওভাল অফিসে এসে এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়ার সামনে বিতর্ক করছেন। বর্তমানে, আপনারা ফ্রন্টলাইনে লড়াইয়ের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে সৈন্য পাঠাচ্ছেন, কারণ আপনাদের জনবলের সংকট চলছে। আপনার উচিত আমাদের প্রেসিডেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।’
উত্তপ্ত বিতর্কের মধ্যে জেলেনস্কি জানতে চান, ভ্যান্স কখনো ইউক্রেনে গিয়েছেন কি না, বাস্তব পরিস্থিতি দেখার জন্য। ভ্যান্স বলেন, ‘আমি খবর দেখেছি এবং জানি যে কী হচ্ছে। আপনি মানুষকে শুধু প্রচারণামূলক ভ্রমণে নিয়ে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনার সেনাবাহিনীতে লোক নিয়োগের সমস্যার কথা কি আপনি অস্বীকার করছেন? এবং আপনি কি মনে করেন এটি যথাযথ যে, আপনি যুক্তরাষ্ট্রের ওভাল অফিসে এসে সেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, যারা আপনার দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে?’
এতে জেলেনস্কি বলেন, ‘যুদ্ধের সময় সবাই সমস্যায় থাকে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা এখন সমাধানের কথা ভাবছেন না, তবে ভবিষ্যতে এটি অনুভব করবেন।’
এ বক্তব্য ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি জানেন না। আমাদের বলে দিতে আসবেন না, আমরা কী অনুভব করব। আমরা সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছি। আমাদের শেখানোর চেষ্টা করবেন না, আমরা কী অনুভব করব।’
জেলেনস্কি জবাবে বলেন, ‘আমি আপনাদের কিছু শেখাচ্ছি না, স্রেফ কথার জবাব দিচ্ছি...।’ ট্রাম্প তখন উচ্চ স্বরে বলেন, ‘আমরা কী অনুভব করব, তা আপনার শিখিয়ে দেওয়ার দরকার নেই। আমরা দৃঢ় এবং শক্তিশালী অনুভব করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনার দেশের অবস্থা ভালো নয়। আপনি নিজেকে একটি ভয়াবহ অবস্থায় ফেলেছেন।’
জেলেনস্কি কিছু বলার চেষ্টা করলে ট্রাম্প তাকে থামিয়ে বলেন, ‘আপনি লাখ লাখ মানুষের জীবন নিয়ে জুয়া খেলছেন, বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি নিচ্ছেন এবং আপনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অসম্মান দেখাচ্ছেন।’
ভ্যান্স তখন জেলেনস্কিকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি একবারও ধন্যবাদ দিয়েছেন?’ জেলেনস্কি বলেন, ‘অনেকবার।’ ভ্যান্স পাল্টা বলেন, ‘না, এই বৈঠকে? এই পুরো বৈঠকে একবারও? যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রেসিডেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন, যিনি আপনার দেশকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।’
জেলেনস্কি বলতে শুরু করেন, ‘হ্যাঁ, আপনি মনে করেন যে যদি আপনি উচ্চ স্বরে যুদ্ধের কথা বলেন...!’ কিন্তু ট্রাম্প তাঁকে থামিয়ে দেন। ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি উচ্চ স্বরে কিছু বলছেন না। আপনার দেশ গভীর সংকটে রয়েছে। আপনি এই যুদ্ধে জিতছেন না। আমাদের সহায়তা ছাড়া, দুই সপ্তাহেই সব শেষ হয়ে যেত।’
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি পুতিনের কাছ থেকে শুনেছি, তিন দিনে শেষ হয়ে যাবে।’ ট্রাম্প বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে ব্যবসা চালানো কঠিন হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা বিপর্যস্ত অবস্থায় আছেন, আপনার মানুষ মরছে, সৈন্যসংখ্যা কমছে। এবং এরপর আপনি আমাদের বলছেন, “আমি যুদ্ধবিরতি চাই না, আমি লড়াই চালিয়ে যেতে চাই’’।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা কৃতজ্ঞতার অনুভূতি দেখাচ্ছেন না এবং এটি মোটেও ভালো বিষয় নয়।’ পরিশেষে ট্রাম্প বলেন, ‘ঠিক আছে, আমরা যথেষ্ট দেখেছি। আপনি কী মনে করেন? এটি দুর্দান্ত টেলিভিশন শো হবে এবং আমি তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেন। বৈঠকটি সৌজন্যমূলক কথাবার্তার মাধ্যমে শুরু হলেও কয়েক মিনিটের মধ্যেই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে রূপ নেয়। হোয়াইট হাউসে উপস্থিত বৈশ্বিক গণমাধ্যমের সামনেই এই আলাপ প্রকাশ্য বিবাদে পরিণত হয়। পরে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলকে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করতে বলা হয় এবং প্রেসিডেন্টের জন্য নির্ধারিত আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজ অব্যবহৃত অবস্থায় থেকে যায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকটি হ্যান্ডশেক এবং হাসির মাধ্যমে শুরু হলেও দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে কূটনীতির প্রয়োজনীয়তার কথা জোর দিয়ে বলার পর।
ভ্যান্স বলেন, ‘চার বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, যিনি সংবাদ সম্মেলনে দাঁড়িয়ে (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) ভ্লাদিমির পুতিন সম্পর্কে কঠোর ভাষায় কথা বলতেন। তারপর পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে দেশের একটি বিশাল অংশ ধ্বংস করে দেন। শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ হলো কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জো বাইডেনের পথ অনুসরণ করেছিলাম, নিজেদের শক্তি দেখিয়ে মনে করেছিলাম, মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথার চেয়ে তাঁর কর্মই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমেরিকাকে মহৎ করে তোলে কূটনীতির প্রতি তাঁর মনোযোগ। সেটাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প করছেন।’
এ সময় জেলেনস্কি জানতে চান, তিনি কি ভ্যান্সকে একটি প্রশ্ন করতে পারেন? ভ্যান্স সম্মতি জানালে জেলেনস্কি বলেন, ‘পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের বড় অংশ এবং ক্রিমিয়াসহ আমাদের ভূমি দখল করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি এটি দখল করেন। বছরের পর বছর ধরে তিনি (পুতিন) এটি করেছেন।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘আমি শুধু বাইডেনের কথা বলছি না, সেই সময় প্রেসিডেন্ট ছিলেন (বারাক) ওবামা, তারপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তারপর প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং এখন আবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ঈশ্বরের দয়ায় এবার তিনি (পুতিনকে) থামাবেন। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে কেউ তাঁকে থামাতে পারেনি। তিনি দখল করেছেন, হত্যা করেছেন।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত পরিস্থিতি একই ছিল। মানুষ মারা যাচ্ছিল, কিন্তু কেউ তাঁকে (পুতিনকে) থামাননি। আমাদের অনেকবার তাঁর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে...আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছিলাম। (ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল) মাখোঁ এবং (সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা) মের্কেল যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবাই আমাকে বলেছিল যে, তিনি (পুতিন) কখনো সীমা লঙ্ঘন করবেন না...কিন্তু পরে তিনি চুক্তি ভেঙে আমাদের মানুষ হত্যা করেন, বন্দীদের বিনিময় করেননি। আমরা বন্দিবিনিময়ের চুক্তি করেছিলাম, কিন্তু তিনি তা করেননি। আপনি কোন ধরনের কূটনীতির কথা বলছেন, জেডি? আপনি কী বোঝাতে চাইছেন?’
উত্তরে ভ্যান্স বলেন, ‘আমি এমন কূটনীতির কথা বলছি, যা আপনার দেশ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।’ জেলেনস্কি তখন বলতে যান, ‘হ্যাঁ, কিন্তু যদি আপনি...।’ কিন্তু ভ্যান্স তাঁকে থামিয়ে দেন।
ভ্যান্স বলেন, ‘জনাব প্রেসিডেন্ট (জেলেনস্কি), সম্মানের সঙ্গে বলছি, এটি অসম্মানজনক যে আপনি ওভাল অফিসে এসে এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়ার সামনে বিতর্ক করছেন। বর্তমানে, আপনারা ফ্রন্টলাইনে লড়াইয়ের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে সৈন্য পাঠাচ্ছেন, কারণ আপনাদের জনবলের সংকট চলছে। আপনার উচিত আমাদের প্রেসিডেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।’
উত্তপ্ত বিতর্কের মধ্যে জেলেনস্কি জানতে চান, ভ্যান্স কখনো ইউক্রেনে গিয়েছেন কি না, বাস্তব পরিস্থিতি দেখার জন্য। ভ্যান্স বলেন, ‘আমি খবর দেখেছি এবং জানি যে কী হচ্ছে। আপনি মানুষকে শুধু প্রচারণামূলক ভ্রমণে নিয়ে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনার সেনাবাহিনীতে লোক নিয়োগের সমস্যার কথা কি আপনি অস্বীকার করছেন? এবং আপনি কি মনে করেন এটি যথাযথ যে, আপনি যুক্তরাষ্ট্রের ওভাল অফিসে এসে সেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, যারা আপনার দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে?’
এতে জেলেনস্কি বলেন, ‘যুদ্ধের সময় সবাই সমস্যায় থাকে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা এখন সমাধানের কথা ভাবছেন না, তবে ভবিষ্যতে এটি অনুভব করবেন।’
এ বক্তব্য ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি জানেন না। আমাদের বলে দিতে আসবেন না, আমরা কী অনুভব করব। আমরা সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছি। আমাদের শেখানোর চেষ্টা করবেন না, আমরা কী অনুভব করব।’
জেলেনস্কি জবাবে বলেন, ‘আমি আপনাদের কিছু শেখাচ্ছি না, স্রেফ কথার জবাব দিচ্ছি...।’ ট্রাম্প তখন উচ্চ স্বরে বলেন, ‘আমরা কী অনুভব করব, তা আপনার শিখিয়ে দেওয়ার দরকার নেই। আমরা দৃঢ় এবং শক্তিশালী অনুভব করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনার দেশের অবস্থা ভালো নয়। আপনি নিজেকে একটি ভয়াবহ অবস্থায় ফেলেছেন।’
জেলেনস্কি কিছু বলার চেষ্টা করলে ট্রাম্প তাকে থামিয়ে বলেন, ‘আপনি লাখ লাখ মানুষের জীবন নিয়ে জুয়া খেলছেন, বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি নিচ্ছেন এবং আপনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অসম্মান দেখাচ্ছেন।’
ভ্যান্স তখন জেলেনস্কিকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি একবারও ধন্যবাদ দিয়েছেন?’ জেলেনস্কি বলেন, ‘অনেকবার।’ ভ্যান্স পাল্টা বলেন, ‘না, এই বৈঠকে? এই পুরো বৈঠকে একবারও? যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রেসিডেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন, যিনি আপনার দেশকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।’
জেলেনস্কি বলতে শুরু করেন, ‘হ্যাঁ, আপনি মনে করেন যে যদি আপনি উচ্চ স্বরে যুদ্ধের কথা বলেন...!’ কিন্তু ট্রাম্প তাঁকে থামিয়ে দেন। ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি উচ্চ স্বরে কিছু বলছেন না। আপনার দেশ গভীর সংকটে রয়েছে। আপনি এই যুদ্ধে জিতছেন না। আমাদের সহায়তা ছাড়া, দুই সপ্তাহেই সব শেষ হয়ে যেত।’
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি পুতিনের কাছ থেকে শুনেছি, তিন দিনে শেষ হয়ে যাবে।’ ট্রাম্প বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে ব্যবসা চালানো কঠিন হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা বিপর্যস্ত অবস্থায় আছেন, আপনার মানুষ মরছে, সৈন্যসংখ্যা কমছে। এবং এরপর আপনি আমাদের বলছেন, “আমি যুদ্ধবিরতি চাই না, আমি লড়াই চালিয়ে যেতে চাই’’।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা কৃতজ্ঞতার অনুভূতি দেখাচ্ছেন না এবং এটি মোটেও ভালো বিষয় নয়।’ পরিশেষে ট্রাম্প বলেন, ‘ঠিক আছে, আমরা যথেষ্ট দেখেছি। আপনি কী মনে করেন? এটি দুর্দান্ত টেলিভিশন শো হবে এবং আমি তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের কিছু এলাকা ফেরত আনার চেষ্টা করবেন তিনি। আগামী শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের মূল ভূমির বড় অংশ দখল করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত মনটক এলাকাটি একসময় ছিল শান্তশিষ্ট ছেলেদের একটি গ্রাম। এখন অবশ্য তা রূপ নিয়েছে বিলাসবহুল ছুটি কাটানোর কেন্দ্রস্থলে। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিড় এবং জমজমাট রাতের জীবন এলাকাটির পুরোনো চেহারা দ্রুত বদলে দিচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেএভারেস্টের ভিড় কমাতে নেপাল সরকার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের দুর্গম ও অনাবিষ্কৃত আরও ৯৭টি শৃঙ্গ পর্বতারোহীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, নতুন উদ্যোগের ফলে এভারেস্টের ওপর চাপ কমবে এবং পর্যটন থেকে আয় দূরবর্তী দরিদ্র অঞ্চলেও পৌঁছাবে।
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে গৃহহীন মানুষদের উচ্ছেদ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীতে কয়েক শ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
৭ ঘণ্টা আগে