Ajker Patrika

আবারও চাঁদে যাচ্ছে নাসার মহাকাশযান, বাজে আবহাওয়ায় উৎক্ষেপণ স্থগিত

আবারও চাঁদে যাচ্ছে নাসার মহাকাশযান, বাজে আবহাওয়ায় উৎক্ষেপণ স্থগিত

আবারও চাঁদে যাচ্ছে মার্কিন মহাকাশযান আর্টেমিস–১ মিশন। এরই মধ্যে উৎক্ষেপণের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় প্রথম দিনেই যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে, প্রায় ৫০ বছর আগে অ্যাপোলো–১৭ মিশনের মাধ্যমে সর্বশেষ চাঁদের বুকে পা রেখেছিল মানুষ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩২২ ফুট দীর্ঘ ওই মহাকাশ যানটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। বিগত কয়েক দশকের বহুল প্রতীক্ষিত এই উৎক্ষেপণ দেখতে উৎক্ষেপণকেন্দ্র এবং ফ্লোরিডার সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন। 

এই মিশনের লক্ষ্য হলো—মূল রকেটের সঙ্গে থাকা স্পেস লঞ্চিং সিস্টেম রকেট ও ওপরের অংশে থাকা ওরিয়ন ক্রু ক্যাপসুলটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা। অবশ্য এই যাত্রায় কোনো নভোচারী চাঁদে যাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, রকেটটিতে প্রায় ৩০ লাখ লিটারেরও বেশি অতিমাত্রায় ঠান্ডা হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন জ্বালানি ভরা হয়েছে। 

তবে, যাত্রার জন্য প্রস্তুত থাকলেও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় আর্টেমিস–১ ফ্লাইটের উৎক্ষেপণ বিলম্বিত হয়। বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের কারণে এর যাত্রা প্রায় ১ ঘণ্টার মতো দেরি হবে বলে ঘোষণা করা হয় নাসার পক্ষ থেকে। পরে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে রকেটটির গায়ে একটি সম্ভাব্য ছিদ্র থাকার কথা জানানো হয়। রকেটটিতে হাইড্রোজেন জ্বালানি ভরার সময় এই ছিদ্র শনাক্ত করা হয়। পরে অবশ্য নাসার এক্সপ্লোরেশন গ্রাউন্ড সিস্টেমের পক্ষ থেকে এক টুইটে জানিয়েছে, ‘লিকটি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে রয়েছে এবং আমরা দ্রুতই আবারও জ্বালানি ভরার কাজ শুরু করে দিয়েছি।’ 

আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবেতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগামী রকেটটি ওরিয়ন ক্যাপসুলকে নিয়ে প্রতি ঘণ্টায় ৩৯ হাজার ৪০০ কিলোমিটার বেগে চাঁদের উদ্দেশে রওনা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে, ২০২৪ সালের মধ্যেই মহাকাশচারীরা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে আসতে পারবেন এবং ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ চন্দ্রপৃষ্ঠে দুজন মানুষকে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করাতে চায় নাসা। 

নাসার প্রশাসক বিল নেলসন বলেছেন, ‘এই মিশনটি বিশ্বের বিপুলসংখ্যক মানুষের আশা ও স্বপ্ন নিয়ে যাচ্ছে এবং আমরা এখন আর্টেমিস প্রজন্ম।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত