
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ককে সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের নেতৃত্বে আনার ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প । সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বিবেক রামাস্বামীর সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করবেন মাস্ক। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করা, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গঠন করবেন মাস্ক ও বিবেক। দীর্ঘদিন ধরেই এ দায়িত্ব পালনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন ইলন মাস্ক। এবার তিনি এক্সে কয়েক জন সরকারি চাকরিজীবীর নাম প্রকাশ করলেন যাদের তিনি ছাঁটাই করতে চান।
ট্রাম্প মাস্ক ও রামাস্বামীকে দায়িত্ব দেওয়ার পর অনেক সরকারি কর্মচারী বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁরা চাকরি হারাতে যাচ্ছেন। এই নাম প্রকাশ তাঁদের এ আশঙ্কার পালে হাওয়া লাগাল।
মাস্ক একটি এক্স অ্যাকাউন্টের পোস্ট রিপোস্ট করেন। সেখানে জলবায়ু সম্পর্কিত কিছু সরকারি পদে কর্মরত ব্যক্তিদের নাম ও পদবির বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছিল। মাস্কের রিপোস্টের পর পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁদের চাকরিকে ‘ভুয়া চাকরি’ আখ্যায়িত করা হয়। লাখো মানুষ পোস্টে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। ওই তালিকায় থাকা এক নারী তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট মুছে দিতে বাধ্য হন।
মাস্ক যে অ্যাকাউন্টের পোস্ট রিপোস্ট করেছিলেন, তার নাম—ডেটাহ্যাজার্ড, হ্যান্ডেল ফেন্টাসিল। পরিচয় হিসেবে লেখা, অসংগঠিত থিংক ট্যাংক। যারা সরকারি দক্ষতা, নাগরিক অধিকার, ভুক্তভোগীর আইনি সহায়তার বিষয়ে কাজ করে থাকে।
ডেটাহ্যাজার্ডের ওই পোস্টে লেখা ছিল—‘আমি মনে করি না, ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশনে “ডিরেক্টর অব ক্লাইমেট ডাইভার্সিফিকেশন’ পদে একজন কর্মচারী নিয়োগের জন্য মার্কিন করদাতাদের অর্থ প্রদান করা উচিত।’ পোস্টের সঙ্গে ছবিতে একজন কর্মচারীর নাম, পদবি ও কর্মস্থল দেওয়া ছিল।’
গত বছর নিজেকে ‘সুপার প্রো ক্লাইমেট’ হিসেবে উল্লেখ করা মাস্ক ডেটাহ্যাজার্ডের পোস্টটি পুনরায় শেয়ার করে মন্তব্য করেন, ‘প্রচুর ভুয়া চাকরি।’ এই পোস্টটি তিন কোটি ৩০ লাখের বেশি ভিউ পায় এবং নেতিবাচক মন্তব্যের ঝড় ওঠে। কেউ কেউ একে জালিয়াতির চাকরি বলে আখ্যা দিয়েছে। অন্যরা মাস্কের ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ থেকে এ ধরনের চাকরি বাদ দেওয়ার কথা বলেন।
ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন (ডিএফসি) জানায়, তারা কোনো কর্মকর্তার পদ বা চাকরিজনিত এসব বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে ইচ্ছুক নয়। ডিএফসি নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বিধ্বংসী প্রভাবের সম্মুখীন হওয়া অঞ্চলে জলবায়ু প্রশমন, স্থিতিস্থাপকতা এবং অভিযোজনের জন্য বিনিয়োগ সমর্থন করে।
মাস্ক একইভাবে মার্কিন শক্তি দপ্তরের লোন প্রোগ্রাম অফিসে কর্মরত প্রধান জলবায়ু কর্মকর্তাকে (চিফ ক্লাইমেট অফিসার) উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন। এই অফিস নতুন শক্তি প্রযুক্তিগুলোর জন্য প্রাথমিক বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা পূরণে সাহায্য করে। ২০১০ সালে টেসলা মোটরসকে ৪৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছিল, যার ফলে মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ির কোম্পানি টেসলা ইভি (ইলেকট্রিক ভেহিকেল) শিল্পের শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে যায়। এই অফিসে কর্মরত প্রধান জলবায়ু কর্মকর্তা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে মিলে ‘পরিবেশবান্ধব শক্তির প্রতিবন্ধকতাগুলো কমাতে ও সহায়তা করতে’ কাজ করে।
হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস (এইচএইচএস) বিভাগে পরিবেশ ন্যায্যতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকারী এক নারী মাস্কের রোষানলে পড়েছেন। বাইডেন প্রশাসনের আমলে ২০২২ সালে এইচএইচএস জনস্বাস্থ্য দূষণ ও অন্যান্য পরিবেশগত বিপদ থেকে রক্ষা করতে কাজ করে।
হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট (এইচইউডি) বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ পরামর্শকও মাস্কের লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন। এই পদে কর্মরত অ্যালেক্সিস পেলোসি যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের সাবেক স্পিকার ও প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট ন্যান্সি পেলোসির ভাই বা বোনের মেয়ে। ডেটাহ্যাজার্ডের এক্স পোস্টে বলা হয়, ক্লাইমেট অ্যাডভাইজর বা জলবায়ু পরামর্শক পদে কাজ করার জন্য তাঁকে ১ লাখ ৮১ হাজার ৬৪৮ ডলার বেতন দেওয়া উচিত নয়। মাস্ক সেই পোস্টটি শেয়ার করে লেখেন, ‘সম্ভবত তাঁর পরামর্শটি অসাধারণ।’ এরপর দুটি হাসির ইমোজি দেন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে জানা যায়, এ ধরনের কাজ মাস্ক এর আগেও করেছেন। মাস্কের চোখে যাঁরা ভুল বা পথের অন্তরায়, তাঁরা প্রায়ই তাঁর রোষানলে পড়েন। সাবেক এক সরকারি চাকরিজীবী মাস্কের রোষানলে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, আমার পরিস্থিতি অনেকটা এমনই ছিল।
জর্জ মেসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক মেরি কামিংস। এই আমেরিকান প্রকৌশলী যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে প্রথম মহিলা ফাইটার পাইলটদের মধ্যে একজন ছিলেন। ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (এনএইচটিএসএ) জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত থাকাকালে টেসলার অটোপাইলট সিস্টেম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং সেটা যথাযথ নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছিলেন। এরপরই মাস্কের চক্ষুশূলে পরিণত হন তিনি। মেরির ওপর মাস্ক ও তাঁর অনুসারীদের ব্যক্তিগত আক্রমণের মাত্রা তীব্র হতে থাকে। তাঁকে মৃত্যুর হুমকি ও অন্যান্য ধরনের আক্রমণের শিকার হতে হয়।
কামিংস নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাকরি ও স্থান পরিবর্তনে বাধ্য হন। তিনি বলেন, ‘এটি মাস্কের একটি পদ্ধতি—মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য যাতে তাঁরা নিজ থেকেই চাকরি ছেড়ে দেয়। এর মাধ্যমে অন্যদের প্রতি বার্তা দেওয়া হয় ইউ আর নেক্সট অর্থাৎ তোমারও এই অবস্থা হতে পারে।’
তবে ডেটাহ্যাজার্ডের পোস্টে যাঁদের কথা বলা হয়েছে, তাঁরা সরাসরি জনগণের সঙ্গে কাজ করেন না। কিছু সরকারি চাকরিজীবী সিএনএনকে জানান, মাস্ক যেভাবে গোপনে আমলাদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য বানাচ্ছেন, তাঁরা আতঙ্কিত। তাঁদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হতে পারে। এমনকি তাঁদের ওপর সরাসরি হামলা হতে পারে বলে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা।
অনেক কর্মী বলেন, সঠিকভাবে যাচাই বাছাই না করে মাস্কের ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে প্রশাসনে যে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন মাস্ক, তার ফলে তাঁদের অনেকেরই চাকরি চলে যাবে। আমেরিকান ফেডারেশন অব গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের (এএফজিই) সভাপতি এভারেট কেলি বলেন, তথ্য প্রকাশের এই কৌশলগুলো সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে করা হচ্ছে। এটি তাঁদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে, যেন মানুষ কথা বলতে ভয় পায়। ২৩ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর মধ্যে ৮ লাখেরও বেশি কর্মচারী এএফজির সদস্য।
কেলি আরও বলেন, মাস্ক নিজে সরকারি প্রোগ্রাম থেকে উপকৃত হয়েছেন। যেখানে ফেডারেল কন্ট্রাক্টর—যাঁরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে কাজ করেন, তাঁদের জন্য বছরে ৭৫ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হয়, যা সিভিলিয়ান ফেডারেল কর্মচারীদের জন্য খরচের তুলনায় অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক সরকারি চাকরিজীবীদের পেছনে ২০ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হয়।
মাস্কের নজরে পড়া সরকারি চাকরিজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে সিএনএন। যাঁদের পাওয়া গেছে তাঁরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। ব্যবহারকারীদের নেতিবাচক মন্তব্যের প্রভাবে তাদের মধ্যকার এক নারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এক্সের কাছে ইমেইল পাঠানো হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিও কোনো সাড়া দেয়নি।
এ বিষয়ে সাইবার হয়রানির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে সিএনএন। কিন্তু অনেকেই মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তাঁরা মাস্কের ‘লক্ষ্যবস্তু’ হতে চান না। একজন বলেন, যা ঘটেছে তা অবিশ্বাস্য এবং এটি ভীতিপ্রদ প্রভাব ফেলেছে। আরেকজন বলেন, তাঁরা মাস্কের পোস্টগুলো দেখে অবাক হননি। এগুলো ‘সাইবার হ্যারাসমেন্টের ক্ল্যাসিক প্যাটার্ন’।
সরকারি কর্ম বিভাগে মাস্কের সহকর্মী রামাস্বামী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি সিএনএনকে বলেন, ‘বেশির ভাগ সরকারি চাকরিজীবী ভালো মানুষ। তাঁদের সঙ্গে শ্রদ্ধা রেখে আচরণ করা উচিত, তবে আসল সমস্যা হলো আমলাতন্ত্র। আমাদের প্রতিপক্ষ কোনো বিশেষ ব্যক্তি নয়, আমাদের প্রতিপক্ষ হলো আমলাতন্ত্র।’
এদিকে এক ফলো-আপ পোস্টে ফেন্টাসিল অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, ‘কাউকে কেবলমাত্র তাঁর উচ্চপদস্থ সরকারি পদে থাকার জন্য হয়রানি করা উচিত নয়—সেই পদের অস্তিত্ব থাকা উচিত না হলেও। তবে জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তারা তো সাধারণ কর্মচারী নন। আমাদের জানার অধিকার আছে, কে আমাদের সরকার পরিচালনা করছে এবং তারা কী করছে।’
এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মাস্কের রোষানলে পড়া কামিংস বলেন, ‘কাউকে না কাউকে তো কথা বলতে হবে। এ বিষয়ে তিনি (মাস্ক) সফল হোন, তা চাইব না আমি।’
এর আগে গত অক্টোবরে এক সমাবেশে মাস্ক বলেছিলেন, তিনি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট প্রায় দুই ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত কমানো সম্ভব। বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মীসংখ্যা হ্রাসের কথাও বলেন তিনি। অন্যদিকে, রামাস্বামী শিক্ষা বিভাগ, পরমাণু নিয়ন্ত্রণ কমিশন, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগ ও এফবিআইয়ের মতো বিভাগ বন্ধ করার প্রস্তাব রেখেছিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ককে সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের নেতৃত্বে আনার ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প । সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বিবেক রামাস্বামীর সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করবেন মাস্ক। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করা, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গঠন করবেন মাস্ক ও বিবেক। দীর্ঘদিন ধরেই এ দায়িত্ব পালনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন ইলন মাস্ক। এবার তিনি এক্সে কয়েক জন সরকারি চাকরিজীবীর নাম প্রকাশ করলেন যাদের তিনি ছাঁটাই করতে চান।
ট্রাম্প মাস্ক ও রামাস্বামীকে দায়িত্ব দেওয়ার পর অনেক সরকারি কর্মচারী বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁরা চাকরি হারাতে যাচ্ছেন। এই নাম প্রকাশ তাঁদের এ আশঙ্কার পালে হাওয়া লাগাল।
মাস্ক একটি এক্স অ্যাকাউন্টের পোস্ট রিপোস্ট করেন। সেখানে জলবায়ু সম্পর্কিত কিছু সরকারি পদে কর্মরত ব্যক্তিদের নাম ও পদবির বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছিল। মাস্কের রিপোস্টের পর পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁদের চাকরিকে ‘ভুয়া চাকরি’ আখ্যায়িত করা হয়। লাখো মানুষ পোস্টে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। ওই তালিকায় থাকা এক নারী তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট মুছে দিতে বাধ্য হন।
মাস্ক যে অ্যাকাউন্টের পোস্ট রিপোস্ট করেছিলেন, তার নাম—ডেটাহ্যাজার্ড, হ্যান্ডেল ফেন্টাসিল। পরিচয় হিসেবে লেখা, অসংগঠিত থিংক ট্যাংক। যারা সরকারি দক্ষতা, নাগরিক অধিকার, ভুক্তভোগীর আইনি সহায়তার বিষয়ে কাজ করে থাকে।
ডেটাহ্যাজার্ডের ওই পোস্টে লেখা ছিল—‘আমি মনে করি না, ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশনে “ডিরেক্টর অব ক্লাইমেট ডাইভার্সিফিকেশন’ পদে একজন কর্মচারী নিয়োগের জন্য মার্কিন করদাতাদের অর্থ প্রদান করা উচিত।’ পোস্টের সঙ্গে ছবিতে একজন কর্মচারীর নাম, পদবি ও কর্মস্থল দেওয়া ছিল।’
গত বছর নিজেকে ‘সুপার প্রো ক্লাইমেট’ হিসেবে উল্লেখ করা মাস্ক ডেটাহ্যাজার্ডের পোস্টটি পুনরায় শেয়ার করে মন্তব্য করেন, ‘প্রচুর ভুয়া চাকরি।’ এই পোস্টটি তিন কোটি ৩০ লাখের বেশি ভিউ পায় এবং নেতিবাচক মন্তব্যের ঝড় ওঠে। কেউ কেউ একে জালিয়াতির চাকরি বলে আখ্যা দিয়েছে। অন্যরা মাস্কের ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ থেকে এ ধরনের চাকরি বাদ দেওয়ার কথা বলেন।
ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন (ডিএফসি) জানায়, তারা কোনো কর্মকর্তার পদ বা চাকরিজনিত এসব বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে ইচ্ছুক নয়। ডিএফসি নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বিধ্বংসী প্রভাবের সম্মুখীন হওয়া অঞ্চলে জলবায়ু প্রশমন, স্থিতিস্থাপকতা এবং অভিযোজনের জন্য বিনিয়োগ সমর্থন করে।
মাস্ক একইভাবে মার্কিন শক্তি দপ্তরের লোন প্রোগ্রাম অফিসে কর্মরত প্রধান জলবায়ু কর্মকর্তাকে (চিফ ক্লাইমেট অফিসার) উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন। এই অফিস নতুন শক্তি প্রযুক্তিগুলোর জন্য প্রাথমিক বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা পূরণে সাহায্য করে। ২০১০ সালে টেসলা মোটরসকে ৪৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছিল, যার ফলে মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ির কোম্পানি টেসলা ইভি (ইলেকট্রিক ভেহিকেল) শিল্পের শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে যায়। এই অফিসে কর্মরত প্রধান জলবায়ু কর্মকর্তা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে মিলে ‘পরিবেশবান্ধব শক্তির প্রতিবন্ধকতাগুলো কমাতে ও সহায়তা করতে’ কাজ করে।
হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস (এইচএইচএস) বিভাগে পরিবেশ ন্যায্যতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকারী এক নারী মাস্কের রোষানলে পড়েছেন। বাইডেন প্রশাসনের আমলে ২০২২ সালে এইচএইচএস জনস্বাস্থ্য দূষণ ও অন্যান্য পরিবেশগত বিপদ থেকে রক্ষা করতে কাজ করে।
হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট (এইচইউডি) বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ পরামর্শকও মাস্কের লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন। এই পদে কর্মরত অ্যালেক্সিস পেলোসি যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের সাবেক স্পিকার ও প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট ন্যান্সি পেলোসির ভাই বা বোনের মেয়ে। ডেটাহ্যাজার্ডের এক্স পোস্টে বলা হয়, ক্লাইমেট অ্যাডভাইজর বা জলবায়ু পরামর্শক পদে কাজ করার জন্য তাঁকে ১ লাখ ৮১ হাজার ৬৪৮ ডলার বেতন দেওয়া উচিত নয়। মাস্ক সেই পোস্টটি শেয়ার করে লেখেন, ‘সম্ভবত তাঁর পরামর্শটি অসাধারণ।’ এরপর দুটি হাসির ইমোজি দেন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে জানা যায়, এ ধরনের কাজ মাস্ক এর আগেও করেছেন। মাস্কের চোখে যাঁরা ভুল বা পথের অন্তরায়, তাঁরা প্রায়ই তাঁর রোষানলে পড়েন। সাবেক এক সরকারি চাকরিজীবী মাস্কের রোষানলে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, আমার পরিস্থিতি অনেকটা এমনই ছিল।
জর্জ মেসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক মেরি কামিংস। এই আমেরিকান প্রকৌশলী যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে প্রথম মহিলা ফাইটার পাইলটদের মধ্যে একজন ছিলেন। ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (এনএইচটিএসএ) জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত থাকাকালে টেসলার অটোপাইলট সিস্টেম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং সেটা যথাযথ নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছিলেন। এরপরই মাস্কের চক্ষুশূলে পরিণত হন তিনি। মেরির ওপর মাস্ক ও তাঁর অনুসারীদের ব্যক্তিগত আক্রমণের মাত্রা তীব্র হতে থাকে। তাঁকে মৃত্যুর হুমকি ও অন্যান্য ধরনের আক্রমণের শিকার হতে হয়।
কামিংস নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাকরি ও স্থান পরিবর্তনে বাধ্য হন। তিনি বলেন, ‘এটি মাস্কের একটি পদ্ধতি—মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য যাতে তাঁরা নিজ থেকেই চাকরি ছেড়ে দেয়। এর মাধ্যমে অন্যদের প্রতি বার্তা দেওয়া হয় ইউ আর নেক্সট অর্থাৎ তোমারও এই অবস্থা হতে পারে।’
তবে ডেটাহ্যাজার্ডের পোস্টে যাঁদের কথা বলা হয়েছে, তাঁরা সরাসরি জনগণের সঙ্গে কাজ করেন না। কিছু সরকারি চাকরিজীবী সিএনএনকে জানান, মাস্ক যেভাবে গোপনে আমলাদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য বানাচ্ছেন, তাঁরা আতঙ্কিত। তাঁদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হতে পারে। এমনকি তাঁদের ওপর সরাসরি হামলা হতে পারে বলে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা।
অনেক কর্মী বলেন, সঠিকভাবে যাচাই বাছাই না করে মাস্কের ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে প্রশাসনে যে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন মাস্ক, তার ফলে তাঁদের অনেকেরই চাকরি চলে যাবে। আমেরিকান ফেডারেশন অব গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের (এএফজিই) সভাপতি এভারেট কেলি বলেন, তথ্য প্রকাশের এই কৌশলগুলো সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে করা হচ্ছে। এটি তাঁদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে, যেন মানুষ কথা বলতে ভয় পায়। ২৩ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর মধ্যে ৮ লাখেরও বেশি কর্মচারী এএফজির সদস্য।
কেলি আরও বলেন, মাস্ক নিজে সরকারি প্রোগ্রাম থেকে উপকৃত হয়েছেন। যেখানে ফেডারেল কন্ট্রাক্টর—যাঁরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে কাজ করেন, তাঁদের জন্য বছরে ৭৫ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হয়, যা সিভিলিয়ান ফেডারেল কর্মচারীদের জন্য খরচের তুলনায় অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক সরকারি চাকরিজীবীদের পেছনে ২০ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হয়।
মাস্কের নজরে পড়া সরকারি চাকরিজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে সিএনএন। যাঁদের পাওয়া গেছে তাঁরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। ব্যবহারকারীদের নেতিবাচক মন্তব্যের প্রভাবে তাদের মধ্যকার এক নারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এক্সের কাছে ইমেইল পাঠানো হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিও কোনো সাড়া দেয়নি।
এ বিষয়ে সাইবার হয়রানির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে সিএনএন। কিন্তু অনেকেই মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তাঁরা মাস্কের ‘লক্ষ্যবস্তু’ হতে চান না। একজন বলেন, যা ঘটেছে তা অবিশ্বাস্য এবং এটি ভীতিপ্রদ প্রভাব ফেলেছে। আরেকজন বলেন, তাঁরা মাস্কের পোস্টগুলো দেখে অবাক হননি। এগুলো ‘সাইবার হ্যারাসমেন্টের ক্ল্যাসিক প্যাটার্ন’।
সরকারি কর্ম বিভাগে মাস্কের সহকর্মী রামাস্বামী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি সিএনএনকে বলেন, ‘বেশির ভাগ সরকারি চাকরিজীবী ভালো মানুষ। তাঁদের সঙ্গে শ্রদ্ধা রেখে আচরণ করা উচিত, তবে আসল সমস্যা হলো আমলাতন্ত্র। আমাদের প্রতিপক্ষ কোনো বিশেষ ব্যক্তি নয়, আমাদের প্রতিপক্ষ হলো আমলাতন্ত্র।’
এদিকে এক ফলো-আপ পোস্টে ফেন্টাসিল অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, ‘কাউকে কেবলমাত্র তাঁর উচ্চপদস্থ সরকারি পদে থাকার জন্য হয়রানি করা উচিত নয়—সেই পদের অস্তিত্ব থাকা উচিত না হলেও। তবে জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তারা তো সাধারণ কর্মচারী নন। আমাদের জানার অধিকার আছে, কে আমাদের সরকার পরিচালনা করছে এবং তারা কী করছে।’
এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মাস্কের রোষানলে পড়া কামিংস বলেন, ‘কাউকে না কাউকে তো কথা বলতে হবে। এ বিষয়ে তিনি (মাস্ক) সফল হোন, তা চাইব না আমি।’
এর আগে গত অক্টোবরে এক সমাবেশে মাস্ক বলেছিলেন, তিনি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট প্রায় দুই ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত কমানো সম্ভব। বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মীসংখ্যা হ্রাসের কথাও বলেন তিনি। অন্যদিকে, রামাস্বামী শিক্ষা বিভাগ, পরমাণু নিয়ন্ত্রণ কমিশন, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগ ও এফবিআইয়ের মতো বিভাগ বন্ধ করার প্রস্তাব রেখেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক বলেছেন, সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের শহর আল-ফাশেরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গণকবর খুঁড়ছে। গত মাসে আরএসএফ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে সেখানে গণহত্যা ও গণ–উচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। মূলত গণহত্যার প্রমাণ লোপাট করতে তারা এসব গণকবর
২২ মিনিট আগে
ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র পদে প্রথম মুসলিম হিসেবে জয়ী হয়েছেন নিজেকে এক সময় ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক’ বলে পরিচয় দেওয়া জোহরান মামদানি। তাঁকে সরাসরি সমর্থন দিয়েছে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। একই দিনে, মার্কিন দুই অঙ্গরাজ্য নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদেও জয়ী হয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন জোহরান মামদানি। ভোট শেষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পরপরই বার্তা সংস্থা এপি তাঁর বিজয়ের খবর নিশ্চিত করে। বিশ্বের দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া উত্তেজনাপূর্ণ এই নির্বাচনে তাঁর জয় ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গণনাও শুরু হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই নির্বাচনে অন্তত ২০ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহকারী প্ল্যাটফর্ম ডিসিশন ডেস্ক এইচকিউ জানিয়েছে, জোহরান মামদানিই জিতবেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক বলেছেন, সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের শহর আল-ফাশেরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গণকবর খুঁড়ছে। গত মাসে আরএসএফ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে সেখানে গণহত্যা ও গণ–উচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। মূলত গণহত্যার প্রমাণ লোপাট করতে তারা এসব গণকবর খুঁড়ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইয়েলের স্কুল অব পাবলিক হেলথের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের নির্বাহী পরিচালক ন্যাথানিয়েল রেমন্ড মঙ্গলবার আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আরএসএফ শহরজুড়ে গণকবর খনন শুরু করেছে এবং মরদেহ সংগ্রহ করছে।’ তিনি বলেন, ‘তারা গণহত্যার চিহ্ন মুছে ফেলছে।’
গত ২৬ অক্টোবর আরএসএফ উত্তর দারফুরের রাজধানী আল-ফাশেরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর আগে সুদানি সেনাবাহিনী (এসএএফ) শহরটি থেকে সরে যায়। ২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া সংঘাতের পর থেকে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই দুই বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
জাতিসংঘের হিসাবে, আরএসএফ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে আল-ফাশের ও আশপাশের এলাকা থেকে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, সেখানে ‘তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ড’, যৌন সহিংসতা ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে।
ইয়েলের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের ২৮ অক্টোবর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আরএসএফ শহরটি দখলের পর থেকে ‘গণহত্যার প্রমাণ’ মিলেছে। স্যাটেলাইট চিত্রে রক্তের দাগ ও দেহ টেনে নেওয়ার চিহ্নও দেখা গেছে। জাতিসংঘ কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে সতর্ক করেছেন, শহরটিতে হাজার হাজার মানুষ এখনো আটকা পড়ে আছে।
সুদানে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জ্যাকুলিন উইলমা পারলেভলিয়েট বলেন, ‘বর্তমান অস্থিতিশীলতা শহরে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। ফলে আটকে পড়া মানুষদের কাছে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না।’
সুদানি সাংবাদিক আবদাল্লাহ হুসেইন আল-জাজিরাকে বলেন, আরএসএফ পুরোপুরি দখল নেওয়ার আগেই আল-ফাশের শহরটি ১৮ মাস ধরে তাদের অবরোধে ছিল। তিনি বলেন, ‘কোনো ত্রাণ শহরে প্রবেশ করতে পারেনি। কোনো হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্র চালু ছিল না। এখন অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে গেছে, যারা শহরে রয়ে গেছে তাদের জন্য।’
বিশ্বজুড়ে নিন্দার মুখে আরএসএফ ও তাদের সমর্থকেরা আল-ফাশেরের হত্যাযজ্ঞের দায় অন্য জঙ্গি গোষ্ঠীর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। আরএসএফের নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো—যিনি হেমেদতি নামেও পরিচিত—ঘটনার তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কিন্তু ইয়েলের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের রেমন্ড বলেন, ‘যদি তারা সত্যিই তদন্ত করতে চায়, তাহলে শহর থেকে সরে যেতে হবে। জাতিসংঘ, রেডক্রস ও মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর কর্মীদের প্রবেশ করতে দিতে হবে, ঘরে ঘরে গিয়ে দেখতে দিতে হবে কে বেঁচে আছে।’
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা আরএসএফকে তাদের কৃতকর্মের তদন্ত নিজেদেরই করতে দিতে পারি না।’ রেমন্ড আরও বলেন, জাতিসংঘের তথ্য ও আল-ফাশেরে যেটা দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে গত ১০ দিনে সেখানে যত মানুষ মারা গেছে, তা গত দুই বছরে গাজায় নিহতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন ভয়াবহতার কথাই বলছি, এটা কোনো অতিরঞ্জন নয়।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ এখনই জরুরি সহায়তা দরকার।’ জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় ৬৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক বলেছেন, সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের শহর আল-ফাশেরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গণকবর খুঁড়ছে। গত মাসে আরএসএফ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে সেখানে গণহত্যা ও গণ–উচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। মূলত গণহত্যার প্রমাণ লোপাট করতে তারা এসব গণকবর খুঁড়ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইয়েলের স্কুল অব পাবলিক হেলথের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের নির্বাহী পরিচালক ন্যাথানিয়েল রেমন্ড মঙ্গলবার আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আরএসএফ শহরজুড়ে গণকবর খনন শুরু করেছে এবং মরদেহ সংগ্রহ করছে।’ তিনি বলেন, ‘তারা গণহত্যার চিহ্ন মুছে ফেলছে।’
গত ২৬ অক্টোবর আরএসএফ উত্তর দারফুরের রাজধানী আল-ফাশেরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর আগে সুদানি সেনাবাহিনী (এসএএফ) শহরটি থেকে সরে যায়। ২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া সংঘাতের পর থেকে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই দুই বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
জাতিসংঘের হিসাবে, আরএসএফ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে আল-ফাশের ও আশপাশের এলাকা থেকে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, সেখানে ‘তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ড’, যৌন সহিংসতা ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে।
ইয়েলের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের ২৮ অক্টোবর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আরএসএফ শহরটি দখলের পর থেকে ‘গণহত্যার প্রমাণ’ মিলেছে। স্যাটেলাইট চিত্রে রক্তের দাগ ও দেহ টেনে নেওয়ার চিহ্নও দেখা গেছে। জাতিসংঘ কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে সতর্ক করেছেন, শহরটিতে হাজার হাজার মানুষ এখনো আটকা পড়ে আছে।
সুদানে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জ্যাকুলিন উইলমা পারলেভলিয়েট বলেন, ‘বর্তমান অস্থিতিশীলতা শহরে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। ফলে আটকে পড়া মানুষদের কাছে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না।’
সুদানি সাংবাদিক আবদাল্লাহ হুসেইন আল-জাজিরাকে বলেন, আরএসএফ পুরোপুরি দখল নেওয়ার আগেই আল-ফাশের শহরটি ১৮ মাস ধরে তাদের অবরোধে ছিল। তিনি বলেন, ‘কোনো ত্রাণ শহরে প্রবেশ করতে পারেনি। কোনো হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্র চালু ছিল না। এখন অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে গেছে, যারা শহরে রয়ে গেছে তাদের জন্য।’
বিশ্বজুড়ে নিন্দার মুখে আরএসএফ ও তাদের সমর্থকেরা আল-ফাশেরের হত্যাযজ্ঞের দায় অন্য জঙ্গি গোষ্ঠীর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। আরএসএফের নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো—যিনি হেমেদতি নামেও পরিচিত—ঘটনার তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কিন্তু ইয়েলের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের রেমন্ড বলেন, ‘যদি তারা সত্যিই তদন্ত করতে চায়, তাহলে শহর থেকে সরে যেতে হবে। জাতিসংঘ, রেডক্রস ও মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর কর্মীদের প্রবেশ করতে দিতে হবে, ঘরে ঘরে গিয়ে দেখতে দিতে হবে কে বেঁচে আছে।’
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা আরএসএফকে তাদের কৃতকর্মের তদন্ত নিজেদেরই করতে দিতে পারি না।’ রেমন্ড আরও বলেন, জাতিসংঘের তথ্য ও আল-ফাশেরে যেটা দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে গত ১০ দিনে সেখানে যত মানুষ মারা গেছে, তা গত দুই বছরে গাজায় নিহতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন ভয়াবহতার কথাই বলছি, এটা কোনো অতিরঞ্জন নয়।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ এখনই জরুরি সহায়তা দরকার।’ জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় ৬৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

মাস্ক ও রামাস্বামীকে দায়িত্ব দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁরা প্রশাসনে বড় ধরনের সরকারি কাটছাঁটের সুপারিশ করবেন। সে সময় অনেক সরকারি কর্মচারী বুঝতে পারেন যে তারা চাকরি হারাতে যাচ্ছেন। এখন এক্স-এ কয়েকজনের নাম প্রকাশ হতে দেখে তাঁদের মনে ভয়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ও তাঁর ব্যক্তিগত লক্ষ্য হয়ে উঠতে পারেন ত
২৮ নভেম্বর ২০২৪
ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র পদে প্রথম মুসলিম হিসেবে জয়ী হয়েছেন নিজেকে এক সময় ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক’ বলে পরিচয় দেওয়া জোহরান মামদানি। তাঁকে সরাসরি সমর্থন দিয়েছে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। একই দিনে, মার্কিন দুই অঙ্গরাজ্য নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদেও জয়ী হয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন জোহরান মামদানি। ভোট শেষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পরপরই বার্তা সংস্থা এপি তাঁর বিজয়ের খবর নিশ্চিত করে। বিশ্বের দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া উত্তেজনাপূর্ণ এই নির্বাচনে তাঁর জয় ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গণনাও শুরু হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই নির্বাচনে অন্তত ২০ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহকারী প্ল্যাটফর্ম ডিসিশন ডেস্ক এইচকিউ জানিয়েছে, জোহরান মামদানিই জিতবেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র পদে প্রথম মুসলিম হিসেবে জয়ী হয়েছেন নিজেকে এক সময় ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক’ বলে পরিচয় দেওয়া জোহরান মামদানি। তাঁকে সরাসরি সমর্থন দিয়েছে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। একই দিনে, মার্কিন দুই অঙ্গরাজ্য নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদেও জয়ী হয়েছে বিরোধী দলটির প্রার্থীরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, নিউ জার্সিতে ডেমোক্রেটিক কংগ্রেস সদস্য মিকি শেরিল জয় পেয়েছেন। সাবেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ও ব্যবসায়ী জ্যাক সিয়াতারেল্লিকে হারিয়ে তিনি গভর্নর নির্বাচনে জয়ী হন। শেরিল ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রথমবার কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হন, তখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ও মধ্যপন্থী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। এই নির্বাচনের মূল ইস্যু ছিল রাজ্যের জীবনযাত্রার ব্যয় ও মানুষের সামর্থ্য অনুযায়ী নীতিনির্ধারণ।
ভার্জিনিয়ায় ডেমোক্র্যাট দলের সাবেক কংগ্রেস সদস্য অ্যাবিগেইল স্প্যানবার্গার রাজ্যের প্রথম নারী গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। জয়ী হয়ে স্প্যানবার্গার বলেন, তিনি বাস্তববাদী নীতি অনুসরণ করবেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের টার্গেটে থাকা রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সুরক্ষা দেবেন। তিনি জানান, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় সহনীয় করা হবে তাঁর প্রথম দিনের অগ্রাধিকার।
বিপরীতে রিপাবলিকান প্রার্থী রাজ্যের বর্তমান লেফটেন্যান্ট গভর্নর উইনসোম আর্ল-সিয়ার্স নির্বাচনে নিজের রক্ষণশীল ভোটার ঘাঁটিকে কেন্দ্র করে প্রচারণা চালান এবং স্প্যানবার্গারের রাজনৈতিক রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তবে বিষয়টি নিয়ে খুব একটা সফল হয়নি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন জোহরান মামদানি। ভোট শেষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পরপরই বার্তা সংস্থা এপি তাঁর বিজয়ের খবর নিশ্চিত করে। বিশ্বের দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া উত্তেজনাপূর্ণ এ নির্বাচনে তার জয় ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ৮৪ লাখের বেশি মানুষের এই শহর অর্থনীতি ও সংস্কৃতির বৈশ্বিক শক্তিকেন্দ্র। সেই শহরের প্রথম মুসলিম, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রথম আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া নেতা হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখালেন মামদানি।
বহুধর্মী ও বহুজাতির এই মহানগরের ভোটারেরা মামদানির জয়কে ঐতিহাসিক অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন। তবে তাঁর নিবেদিত সমর্থকেরা বলছেন, এটি কেবল ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়ের জয় নয়—এটি জীবনের ব্যয় সামাল দেওয়ার বাস্তব সমস্যায় তার তীক্ষ্ণ ও স্পষ্ট অবস্থানের প্রতিফলন।
এই নির্বাচন ডেমোক্রেটিক পার্টির ভবিষ্যৎ রাজনীতির দিকনির্দেশক হিসেবেও দেখা হচ্ছে। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো অনেকের কাছে পুরোনো ধনবান দাতানির্ভর রাজনীতির প্রতীক। আর নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মামদানি দলটির জন্য নতুন এক পথের সম্ভাবনা তৈরি করেছেন।

ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র পদে প্রথম মুসলিম হিসেবে জয়ী হয়েছেন নিজেকে এক সময় ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক’ বলে পরিচয় দেওয়া জোহরান মামদানি। তাঁকে সরাসরি সমর্থন দিয়েছে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। একই দিনে, মার্কিন দুই অঙ্গরাজ্য নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদেও জয়ী হয়েছে বিরোধী দলটির প্রার্থীরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, নিউ জার্সিতে ডেমোক্রেটিক কংগ্রেস সদস্য মিকি শেরিল জয় পেয়েছেন। সাবেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ও ব্যবসায়ী জ্যাক সিয়াতারেল্লিকে হারিয়ে তিনি গভর্নর নির্বাচনে জয়ী হন। শেরিল ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রথমবার কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হন, তখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ও মধ্যপন্থী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। এই নির্বাচনের মূল ইস্যু ছিল রাজ্যের জীবনযাত্রার ব্যয় ও মানুষের সামর্থ্য অনুযায়ী নীতিনির্ধারণ।
ভার্জিনিয়ায় ডেমোক্র্যাট দলের সাবেক কংগ্রেস সদস্য অ্যাবিগেইল স্প্যানবার্গার রাজ্যের প্রথম নারী গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। জয়ী হয়ে স্প্যানবার্গার বলেন, তিনি বাস্তববাদী নীতি অনুসরণ করবেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের টার্গেটে থাকা রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সুরক্ষা দেবেন। তিনি জানান, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় সহনীয় করা হবে তাঁর প্রথম দিনের অগ্রাধিকার।
বিপরীতে রিপাবলিকান প্রার্থী রাজ্যের বর্তমান লেফটেন্যান্ট গভর্নর উইনসোম আর্ল-সিয়ার্স নির্বাচনে নিজের রক্ষণশীল ভোটার ঘাঁটিকে কেন্দ্র করে প্রচারণা চালান এবং স্প্যানবার্গারের রাজনৈতিক রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তবে বিষয়টি নিয়ে খুব একটা সফল হয়নি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন জোহরান মামদানি। ভোট শেষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পরপরই বার্তা সংস্থা এপি তাঁর বিজয়ের খবর নিশ্চিত করে। বিশ্বের দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া উত্তেজনাপূর্ণ এ নির্বাচনে তার জয় ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ৮৪ লাখের বেশি মানুষের এই শহর অর্থনীতি ও সংস্কৃতির বৈশ্বিক শক্তিকেন্দ্র। সেই শহরের প্রথম মুসলিম, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রথম আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া নেতা হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখালেন মামদানি।
বহুধর্মী ও বহুজাতির এই মহানগরের ভোটারেরা মামদানির জয়কে ঐতিহাসিক অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন। তবে তাঁর নিবেদিত সমর্থকেরা বলছেন, এটি কেবল ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়ের জয় নয়—এটি জীবনের ব্যয় সামাল দেওয়ার বাস্তব সমস্যায় তার তীক্ষ্ণ ও স্পষ্ট অবস্থানের প্রতিফলন।
এই নির্বাচন ডেমোক্রেটিক পার্টির ভবিষ্যৎ রাজনীতির দিকনির্দেশক হিসেবেও দেখা হচ্ছে। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো অনেকের কাছে পুরোনো ধনবান দাতানির্ভর রাজনীতির প্রতীক। আর নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মামদানি দলটির জন্য নতুন এক পথের সম্ভাবনা তৈরি করেছেন।

মাস্ক ও রামাস্বামীকে দায়িত্ব দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁরা প্রশাসনে বড় ধরনের সরকারি কাটছাঁটের সুপারিশ করবেন। সে সময় অনেক সরকারি কর্মচারী বুঝতে পারেন যে তারা চাকরি হারাতে যাচ্ছেন। এখন এক্স-এ কয়েকজনের নাম প্রকাশ হতে দেখে তাঁদের মনে ভয়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ও তাঁর ব্যক্তিগত লক্ষ্য হয়ে উঠতে পারেন ত
২৮ নভেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক বলেছেন, সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের শহর আল-ফাশেরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গণকবর খুঁড়ছে। গত মাসে আরএসএফ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে সেখানে গণহত্যা ও গণ–উচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। মূলত গণহত্যার প্রমাণ লোপাট করতে তারা এসব গণকবর
২২ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন জোহরান মামদানি। ভোট শেষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পরপরই বার্তা সংস্থা এপি তাঁর বিজয়ের খবর নিশ্চিত করে। বিশ্বের দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া উত্তেজনাপূর্ণ এই নির্বাচনে তাঁর জয় ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গণনাও শুরু হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই নির্বাচনে অন্তত ২০ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহকারী প্ল্যাটফর্ম ডিসিশন ডেস্ক এইচকিউ জানিয়েছে, জোহরান মামদানিই জিতবেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন জোহরান মামদানি। ভোট শেষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পরপরই বার্তা সংস্থা এপি তাঁর বিজয়ের খবর নিশ্চিত করে। বিশ্বের দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া উত্তেজনাপূর্ণ এই নির্বাচনে তাঁর জয় ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ৮৪ লাখের বেশি মানুষের এই শহর অর্থনীতি ও সংস্কৃতির বৈশ্বিক শক্তির কেন্দ্র। সেই শহরের প্রথম মুসলিম, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রথম আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া নেতা হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখালেন মামদানি।
বহুধর্মী ও বহুজাতির এই মহানগরের ভোটাররা মামদানির জয়কে ঐতিহাসিক অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন। তবে তাঁর নিবেদিত সমর্থকেরা বলছেন, এটি শুধু ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়ের জয় নয়, এটি জীবনের ব্যয় সামাল দেওয়ার বাস্তব সমস্যায় তাঁর তীক্ষ্ণ ও স্পষ্ট অবস্থানের প্রতিফলন।
এই নির্বাচন ডেমোক্রেটিক পার্টির ভবিষ্যৎ রাজনীতির দিকনির্দেশক হিসেবেও দেখা হচ্ছে। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো অনেকের কাছে পুরোনো ধনবান দাতানির্ভর রাজনীতির প্রতীক। আর নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মামদানি দলটির জন্য নতুন এক পথের সম্ভাবনা তৈরি করেছেন।
মঙ্গলবার ভোট দেওয়ার সময় কুমো বলেন, এটি ‘ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতরের এক গৃহযুদ্ধ, যা বহুদিন ধরে জ্বলছিল।’ তিনি বলেন, ‘চরমপন্থী বামপন্থীরা, যারা নিজেদের সমাজতন্ত্রী বলে, তারা মাঝারি ডেমোক্র্যাটদের চ্যালেঞ্জ করছে। তোমরা যেটা এখানে দেখছ, সেটাই সেই সংঘর্ষ।’
তবে ব্রংক্সের মোট হ্যাভেন এলাকার সমাজকর্মী জোশুয়া উইলসন মামদানিকে ভোট দিয়েছেন। তাঁর মতে, কুমো যা বলেছেন, তা আংশিক সত্য। তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদকালে এখন সবার নজর নিউইয়র্কে, নজর যুক্তরাষ্ট্রে। সবকিছু রাজনীতিকরণ হয়ে গেছে, ঘৃণা আর তিক্ততা বেড়ে গেছে।’ ৩৩ বছর বয়সী উইলসন বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের কণ্ঠ আসছে, এটা অনেককে ভয় দেখাচ্ছে। তারা পুরোনো অবস্থা ধরে রাখতে চায়, যেন কিছুই না বদলায়।’
একই এলাকার ৬৮ বছর বয়সী লুসি করদেরো বললেন, ‘আমরা কুমোকে চিনি, তিনি খুব ভালো মানুষ নন। আমি মামদানিকে বেছে নিয়েছি। কারণ, তিনি নতুন, তরতাজা। হয়তো তিনি পরিবর্তন আনতে পারবেন, যা এখন খুব দরকার।’
নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে ট্রাম্প কুমোকে সমর্থন দিয়েছিলেন, যাতে রক্ষণশীল ভোটারদের উজ্জীবিত করা যায়। কিন্তু সেটি উল্টো ফল দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কুমোর সাবেক সমর্থকেরাও মামদানির প্রচারণায় আকৃষ্ট হয়েছেন। ৬০ বছর বয়সী বাংলাদেশি ইফতিখার খান বলেন, মামদানি মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় ভোটারদের এক বিশাল ঐক্য গড়ে তুলেছেন। অনেকেই মনে করছেন, তাঁর এই বিজয় নিউইয়র্কের মুসলিমদের জন্য নতুন রাজনৈতিক জাগরণের সূচনা। কারণ, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর মুসলিমরা এই শহরে বৈষম্যের কঠিন সময় পার করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন জোহরান মামদানি। ভোট শেষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পরপরই বার্তা সংস্থা এপি তাঁর বিজয়ের খবর নিশ্চিত করে। বিশ্বের দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া উত্তেজনাপূর্ণ এই নির্বাচনে তাঁর জয় ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ৮৪ লাখের বেশি মানুষের এই শহর অর্থনীতি ও সংস্কৃতির বৈশ্বিক শক্তির কেন্দ্র। সেই শহরের প্রথম মুসলিম, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রথম আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া নেতা হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখালেন মামদানি।
বহুধর্মী ও বহুজাতির এই মহানগরের ভোটাররা মামদানির জয়কে ঐতিহাসিক অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন। তবে তাঁর নিবেদিত সমর্থকেরা বলছেন, এটি শুধু ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়ের জয় নয়, এটি জীবনের ব্যয় সামাল দেওয়ার বাস্তব সমস্যায় তাঁর তীক্ষ্ণ ও স্পষ্ট অবস্থানের প্রতিফলন।
এই নির্বাচন ডেমোক্রেটিক পার্টির ভবিষ্যৎ রাজনীতির দিকনির্দেশক হিসেবেও দেখা হচ্ছে। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো অনেকের কাছে পুরোনো ধনবান দাতানির্ভর রাজনীতির প্রতীক। আর নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মামদানি দলটির জন্য নতুন এক পথের সম্ভাবনা তৈরি করেছেন।
মঙ্গলবার ভোট দেওয়ার সময় কুমো বলেন, এটি ‘ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতরের এক গৃহযুদ্ধ, যা বহুদিন ধরে জ্বলছিল।’ তিনি বলেন, ‘চরমপন্থী বামপন্থীরা, যারা নিজেদের সমাজতন্ত্রী বলে, তারা মাঝারি ডেমোক্র্যাটদের চ্যালেঞ্জ করছে। তোমরা যেটা এখানে দেখছ, সেটাই সেই সংঘর্ষ।’
তবে ব্রংক্সের মোট হ্যাভেন এলাকার সমাজকর্মী জোশুয়া উইলসন মামদানিকে ভোট দিয়েছেন। তাঁর মতে, কুমো যা বলেছেন, তা আংশিক সত্য। তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদকালে এখন সবার নজর নিউইয়র্কে, নজর যুক্তরাষ্ট্রে। সবকিছু রাজনীতিকরণ হয়ে গেছে, ঘৃণা আর তিক্ততা বেড়ে গেছে।’ ৩৩ বছর বয়সী উইলসন বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের কণ্ঠ আসছে, এটা অনেককে ভয় দেখাচ্ছে। তারা পুরোনো অবস্থা ধরে রাখতে চায়, যেন কিছুই না বদলায়।’
একই এলাকার ৬৮ বছর বয়সী লুসি করদেরো বললেন, ‘আমরা কুমোকে চিনি, তিনি খুব ভালো মানুষ নন। আমি মামদানিকে বেছে নিয়েছি। কারণ, তিনি নতুন, তরতাজা। হয়তো তিনি পরিবর্তন আনতে পারবেন, যা এখন খুব দরকার।’
নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে ট্রাম্প কুমোকে সমর্থন দিয়েছিলেন, যাতে রক্ষণশীল ভোটারদের উজ্জীবিত করা যায়। কিন্তু সেটি উল্টো ফল দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কুমোর সাবেক সমর্থকেরাও মামদানির প্রচারণায় আকৃষ্ট হয়েছেন। ৬০ বছর বয়সী বাংলাদেশি ইফতিখার খান বলেন, মামদানি মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় ভোটারদের এক বিশাল ঐক্য গড়ে তুলেছেন। অনেকেই মনে করছেন, তাঁর এই বিজয় নিউইয়র্কের মুসলিমদের জন্য নতুন রাজনৈতিক জাগরণের সূচনা। কারণ, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর মুসলিমরা এই শহরে বৈষম্যের কঠিন সময় পার করেছেন।

মাস্ক ও রামাস্বামীকে দায়িত্ব দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁরা প্রশাসনে বড় ধরনের সরকারি কাটছাঁটের সুপারিশ করবেন। সে সময় অনেক সরকারি কর্মচারী বুঝতে পারেন যে তারা চাকরি হারাতে যাচ্ছেন। এখন এক্স-এ কয়েকজনের নাম প্রকাশ হতে দেখে তাঁদের মনে ভয়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ও তাঁর ব্যক্তিগত লক্ষ্য হয়ে উঠতে পারেন ত
২৮ নভেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক বলেছেন, সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের শহর আল-ফাশেরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গণকবর খুঁড়ছে। গত মাসে আরএসএফ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে সেখানে গণহত্যা ও গণ–উচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। মূলত গণহত্যার প্রমাণ লোপাট করতে তারা এসব গণকবর
২২ মিনিট আগে
ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র পদে প্রথম মুসলিম হিসেবে জয়ী হয়েছেন নিজেকে এক সময় ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক’ বলে পরিচয় দেওয়া জোহরান মামদানি। তাঁকে সরাসরি সমর্থন দিয়েছে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। একই দিনে, মার্কিন দুই অঙ্গরাজ্য নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদেও জয়ী হয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গণনাও শুরু হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই নির্বাচনে অন্তত ২০ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহকারী প্ল্যাটফর্ম ডিসিশন ডেস্ক এইচকিউ জানিয়েছে, জোহরান মামদানিই জিতবেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গণনাও শুরু হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই নির্বাচনে অন্তত ২০ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহকারী প্ল্যাটফর্ম ডিসিশন ডেস্ক এইচকিউ জানিয়েছে, জোহরান মামদানিই জিতবেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ভোট গণনা সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশের আশা করা হচ্ছে। প্রার্থীদের সমর্থকেরা ফলাফলের অপেক্ষায় নানা স্থানে আয়োজন করেছে ওয়াচ পার্টি।
মামদানির নির্বাচনী অনুষ্ঠান হচ্ছে ডাউনটাউন ব্রুকলিনের ঐতিহাসিক কনসার্ট ভেন্যু ব্রুকলিন প্যারামাউন্টে। অন্যদিকে, কুমো তাঁর নির্বাচনী আয়োজন করেছেন ম্যানহাটনের মিডটাউনের জিগফেল্ড থিয়েটারে। রিপাবলিকান প্রার্থী স্লিওয়া তাঁর নির্বাচনী পার্টির আয়োজন করেছেন ম্যানহাটনের আপার ওয়েস্ট সাইডের একটি রেস্তোরাঁয়, যেটি মূলত ডেমোক্র্যাটদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
নিউইয়র্ক সিটি বোর্ড অব ইলেকশন জানিয়েছে, ১৯৮৯ সালের পর এবারই প্রথম ভোটার উপস্থিতি ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। স্থানীয় সময় রাত ৯টায় ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার আগেই বোর্ড এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।
এদিকে, নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জোহরান মামদানির প্রচারশিবিরের প্রেস সেক্রেটারি ডোরা পেকেক আল–জাজিরাকে বলেন, ‘আজ যা দেখছি, তা এক বছরের পরিশ্রম আর এক বছরের আন্দোলনের ফল। ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি আমাদের জন্য সত্যিই ভালো খবর। প্রাইমারিতেও এটি আমাদের পক্ষে গিয়েছিল, এবারও সেটি আমাদের পক্ষে যাবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা নতুন মানুষকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করছি।’
অপরদিকে, নির্বাচনে নিয়ে কাজ করা স্বাধীন সংস্থা ডিসিশন ডেস্ক এইচকিউ ইতোমধ্যেই মামদানিকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত কেবল এই সংস্থাটিই এমন ঘোষণা দিয়েছে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছে, ‘ডিসিশন ডেস্ক এইচকিউ জানাচ্ছে যে, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানিই জিততে যাচ্ছেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গণনাও শুরু হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই নির্বাচনে অন্তত ২০ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহকারী প্ল্যাটফর্ম ডিসিশন ডেস্ক এইচকিউ জানিয়েছে, জোহরান মামদানিই জিতবেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ভোট গণনা সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশের আশা করা হচ্ছে। প্রার্থীদের সমর্থকেরা ফলাফলের অপেক্ষায় নানা স্থানে আয়োজন করেছে ওয়াচ পার্টি।
মামদানির নির্বাচনী অনুষ্ঠান হচ্ছে ডাউনটাউন ব্রুকলিনের ঐতিহাসিক কনসার্ট ভেন্যু ব্রুকলিন প্যারামাউন্টে। অন্যদিকে, কুমো তাঁর নির্বাচনী আয়োজন করেছেন ম্যানহাটনের মিডটাউনের জিগফেল্ড থিয়েটারে। রিপাবলিকান প্রার্থী স্লিওয়া তাঁর নির্বাচনী পার্টির আয়োজন করেছেন ম্যানহাটনের আপার ওয়েস্ট সাইডের একটি রেস্তোরাঁয়, যেটি মূলত ডেমোক্র্যাটদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
নিউইয়র্ক সিটি বোর্ড অব ইলেকশন জানিয়েছে, ১৯৮৯ সালের পর এবারই প্রথম ভোটার উপস্থিতি ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। স্থানীয় সময় রাত ৯টায় ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার আগেই বোর্ড এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।
এদিকে, নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জোহরান মামদানির প্রচারশিবিরের প্রেস সেক্রেটারি ডোরা পেকেক আল–জাজিরাকে বলেন, ‘আজ যা দেখছি, তা এক বছরের পরিশ্রম আর এক বছরের আন্দোলনের ফল। ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি আমাদের জন্য সত্যিই ভালো খবর। প্রাইমারিতেও এটি আমাদের পক্ষে গিয়েছিল, এবারও সেটি আমাদের পক্ষে যাবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা নতুন মানুষকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করছি।’
অপরদিকে, নির্বাচনে নিয়ে কাজ করা স্বাধীন সংস্থা ডিসিশন ডেস্ক এইচকিউ ইতোমধ্যেই মামদানিকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত কেবল এই সংস্থাটিই এমন ঘোষণা দিয়েছে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছে, ‘ডিসিশন ডেস্ক এইচকিউ জানাচ্ছে যে, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানিই জিততে যাচ্ছেন।’

মাস্ক ও রামাস্বামীকে দায়িত্ব দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁরা প্রশাসনে বড় ধরনের সরকারি কাটছাঁটের সুপারিশ করবেন। সে সময় অনেক সরকারি কর্মচারী বুঝতে পারেন যে তারা চাকরি হারাতে যাচ্ছেন। এখন এক্স-এ কয়েকজনের নাম প্রকাশ হতে দেখে তাঁদের মনে ভয়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ও তাঁর ব্যক্তিগত লক্ষ্য হয়ে উঠতে পারেন ত
২৮ নভেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক বলেছেন, সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের শহর আল-ফাশেরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গণকবর খুঁড়ছে। গত মাসে আরএসএফ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে সেখানে গণহত্যা ও গণ–উচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। মূলত গণহত্যার প্রমাণ লোপাট করতে তারা এসব গণকবর
২২ মিনিট আগে
ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র পদে প্রথম মুসলিম হিসেবে জয়ী হয়েছেন নিজেকে এক সময় ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক’ বলে পরিচয় দেওয়া জোহরান মামদানি। তাঁকে সরাসরি সমর্থন দিয়েছে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। একই দিনে, মার্কিন দুই অঙ্গরাজ্য নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদেও জয়ী হয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন জোহরান মামদানি। ভোট শেষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পরপরই বার্তা সংস্থা এপি তাঁর বিজয়ের খবর নিশ্চিত করে। বিশ্বের দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া উত্তেজনাপূর্ণ এই নির্বাচনে তাঁর জয় ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।
২ ঘণ্টা আগে