প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গতকাল সোমবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘পুনর্গঠনের’ সময় এসেছে। পাশাপাশি বলেছেন, যদি দলের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হতে হয়, তবে তিনি আসন্ন নির্বাচনে দল ও দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সঠিক ব্যক্তি নন।
ট্রুডো ২০১৫ সালে ‘আলোকোজ্জ্বল পথের’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। সারা বিশ্বে উদার ও প্রগতিশীল রাজনীতির মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত ট্রুডো বলেছেন, তিনি উত্তরসূরি নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন।
গত ডিসেম্বরে কানাডার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের পর ট্রুডোর ওপর চাপ বাড়তে থাকে। দলীয় চাপের মুখে অবশেষে তিনি পদত্যাগ করলেন। কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডোর পুত্র জাস্টিন ট্রুডো ২০১৫, ২০১৯ ও ২০২১ সালের নির্বাচনে জয়ী হন। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তা দীর্ঘদিন ধরে কমতে শুরু করেছে এবং কানাডার রাজনীতিতে টানা চারবার নির্বাচনে জেতা বিরল ঘটনা।
জনসমর্থনের বিচারে ট্রুডোর লিবারেল পার্টি পিয়েরে পোলিয়েভরের কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ে ২০ পয়েন্টের বেশি ব্যবধানে পিছিয়ে। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে এই ব্যবধান কমানো কঠিন।
কেন পদত্যাগ করলেন ট্রুডো
ট্রুডোর জনপ্রিয়তা দীর্ঘদিন ধরেই কমছে। কোভিড-১৯ মহামারির পর পশ্চিমা বিশ্বের অনেক শাসকের মতোই উচ্চ দ্রব্যমূল্য, সুদহার বৃদ্ধি, আবাসনের সংকট এবং অভিবাসন নিয়ে জনমনে বিরাজমান দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তাঁকে লড়তে হয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতা পোয়েলিভ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। জনতুষ্টিবাদী ঠোঁটকাটা স্বভাবের এই দেশের অর্থনৈতিক সমস্যার জন্য সরকারকে দোষারোপ করেছেন এবং বলেছেন, ‘কার্বন ট্যাক্স বাদ দিন, বাড়ি তৈরি করুন, বাজেট ঠিক করুন, অপরাধ বন্ধ করুন।’
তবে প্রতিপক্ষের চাপের চেয়ে নিজ দলের প্রভাবশালী নেতা ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগই মূলত ট্রুডোর পদত্যাগের সিদ্ধান্তে সবচেয়ে প্রভাব ফেলেছে। সাবেক সাংবাদিক ফ্রিল্যান্ড ট্রুডোর অন্যতম বিশ্বস্ত সহযোগী ছিলেন। তাঁর কাঁধে এত বেশি দায়িত্ব ছিল যে, তাঁকে ‘সবকিছুর মন্ত্রী’ নামে ডাকা হতো।
এর আগে, ফ্রিল্যান্ড বলেছিলেন, ট্রুডো তাঁকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে বরখাস্ত করে এবং মন্ত্রিসভায় নতুন ভূমিকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিষয়টিকে ফ্রিল্যান্ড পদাবনতি বলে মনে করে পদত্যাগ করেন এবং বলেন, ট্রুডো ট্রাম্প প্রশাসনকে মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত ছিলেন না।
ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণার পর ফ্রিল্যান্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে বলেন, ‘কানাডা ও কানাডাবাসীকে বছরের পর বছর ট্রুডো যে সেবা দিয়েছেন তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি তাঁর এবং তাঁর পরিবারের মঙ্গল কামনা করি।’
এরপর কী ঘটবে
ট্রুডো সোমবার বলেছেন, লিবারেল পার্টি তাঁর উত্তরসূরি, অর্থাৎ দলের প্রধান এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের জন্য দেশব্যাপী নেতৃত্ব বাছাইয়ের নির্বাচনের আয়োজন করবে। লিবারেল পার্টির বর্তমান প্রেসিডেন্ট সচিত মেহরা এক্সে বলেছেন, দলের ন্যাশনাল কাউন্সিল এই প্রক্রিয়া শুরু করতে চলতি সপ্তাহেই বৈঠক করবে।
এদিকে, ট্রুডো আরও বলেছেন, কানাডার গভর্নর জেনারেল মেরি সাইমন (কানাডা ব্রিটিশ ডমিনিয়ন হওয়ায় দেশটিতে রাষ্ট্রপ্রধানের কোনো পদ নেই। দেশটির আলংকারিক রাষ্ট্রপ্রধান ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে কানাডায় এক গভর্নর জেনারেল দায়িত্ব পালন করেন।) তাঁর অনুরোধে আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত বা মুলতবি রাখার অনুমতি দিয়েছেন।
পার্লামেন্টের নতুন অধিবেশন রাজার ভাষণের মাধ্যমে শুরু হয়। এই ভাষণেই সরকারের এজেন্ডা নির্ধারণ করা হয়। ক্ষমতাসীন দলকে টিকে থাকতে হলে এই ভাষণকে পার্লামেন্টের সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে পাস করিয়ে আনতে হয়।
ট্রুডোর উত্তরসূরির তালিকায় আছে কারা
এই তালিকায় আছেন—বর্তমান অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি, উদ্ভাবন মন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যাম্পেন এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। এ ছাড়া এই তালিকায় আরও বেশ কয়েকজন থাকতে পারেন, যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ভাবছেন। তাঁদের মধ্যে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া অঙ্গরাজ্যের সাবেক প্রিমিয়ার (মুখ্যমন্ত্রী) ক্রিস্টি ক্লার্ক এবং ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর মার্ক কার্নি।
ওয়াশিংটন পোস্ট থেকে সংক্ষেপিত
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গতকাল সোমবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘পুনর্গঠনের’ সময় এসেছে। পাশাপাশি বলেছেন, যদি দলের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হতে হয়, তবে তিনি আসন্ন নির্বাচনে দল ও দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সঠিক ব্যক্তি নন।
ট্রুডো ২০১৫ সালে ‘আলোকোজ্জ্বল পথের’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। সারা বিশ্বে উদার ও প্রগতিশীল রাজনীতির মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত ট্রুডো বলেছেন, তিনি উত্তরসূরি নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন।
গত ডিসেম্বরে কানাডার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের পর ট্রুডোর ওপর চাপ বাড়তে থাকে। দলীয় চাপের মুখে অবশেষে তিনি পদত্যাগ করলেন। কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডোর পুত্র জাস্টিন ট্রুডো ২০১৫, ২০১৯ ও ২০২১ সালের নির্বাচনে জয়ী হন। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তা দীর্ঘদিন ধরে কমতে শুরু করেছে এবং কানাডার রাজনীতিতে টানা চারবার নির্বাচনে জেতা বিরল ঘটনা।
জনসমর্থনের বিচারে ট্রুডোর লিবারেল পার্টি পিয়েরে পোলিয়েভরের কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ে ২০ পয়েন্টের বেশি ব্যবধানে পিছিয়ে। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে এই ব্যবধান কমানো কঠিন।
কেন পদত্যাগ করলেন ট্রুডো
ট্রুডোর জনপ্রিয়তা দীর্ঘদিন ধরেই কমছে। কোভিড-১৯ মহামারির পর পশ্চিমা বিশ্বের অনেক শাসকের মতোই উচ্চ দ্রব্যমূল্য, সুদহার বৃদ্ধি, আবাসনের সংকট এবং অভিবাসন নিয়ে জনমনে বিরাজমান দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তাঁকে লড়তে হয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতা পোয়েলিভ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। জনতুষ্টিবাদী ঠোঁটকাটা স্বভাবের এই দেশের অর্থনৈতিক সমস্যার জন্য সরকারকে দোষারোপ করেছেন এবং বলেছেন, ‘কার্বন ট্যাক্স বাদ দিন, বাড়ি তৈরি করুন, বাজেট ঠিক করুন, অপরাধ বন্ধ করুন।’
তবে প্রতিপক্ষের চাপের চেয়ে নিজ দলের প্রভাবশালী নেতা ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগই মূলত ট্রুডোর পদত্যাগের সিদ্ধান্তে সবচেয়ে প্রভাব ফেলেছে। সাবেক সাংবাদিক ফ্রিল্যান্ড ট্রুডোর অন্যতম বিশ্বস্ত সহযোগী ছিলেন। তাঁর কাঁধে এত বেশি দায়িত্ব ছিল যে, তাঁকে ‘সবকিছুর মন্ত্রী’ নামে ডাকা হতো।
এর আগে, ফ্রিল্যান্ড বলেছিলেন, ট্রুডো তাঁকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে বরখাস্ত করে এবং মন্ত্রিসভায় নতুন ভূমিকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিষয়টিকে ফ্রিল্যান্ড পদাবনতি বলে মনে করে পদত্যাগ করেন এবং বলেন, ট্রুডো ট্রাম্প প্রশাসনকে মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত ছিলেন না।
ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণার পর ফ্রিল্যান্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে বলেন, ‘কানাডা ও কানাডাবাসীকে বছরের পর বছর ট্রুডো যে সেবা দিয়েছেন তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি তাঁর এবং তাঁর পরিবারের মঙ্গল কামনা করি।’
এরপর কী ঘটবে
ট্রুডো সোমবার বলেছেন, লিবারেল পার্টি তাঁর উত্তরসূরি, অর্থাৎ দলের প্রধান এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের জন্য দেশব্যাপী নেতৃত্ব বাছাইয়ের নির্বাচনের আয়োজন করবে। লিবারেল পার্টির বর্তমান প্রেসিডেন্ট সচিত মেহরা এক্সে বলেছেন, দলের ন্যাশনাল কাউন্সিল এই প্রক্রিয়া শুরু করতে চলতি সপ্তাহেই বৈঠক করবে।
এদিকে, ট্রুডো আরও বলেছেন, কানাডার গভর্নর জেনারেল মেরি সাইমন (কানাডা ব্রিটিশ ডমিনিয়ন হওয়ায় দেশটিতে রাষ্ট্রপ্রধানের কোনো পদ নেই। দেশটির আলংকারিক রাষ্ট্রপ্রধান ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে কানাডায় এক গভর্নর জেনারেল দায়িত্ব পালন করেন।) তাঁর অনুরোধে আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত বা মুলতবি রাখার অনুমতি দিয়েছেন।
পার্লামেন্টের নতুন অধিবেশন রাজার ভাষণের মাধ্যমে শুরু হয়। এই ভাষণেই সরকারের এজেন্ডা নির্ধারণ করা হয়। ক্ষমতাসীন দলকে টিকে থাকতে হলে এই ভাষণকে পার্লামেন্টের সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে পাস করিয়ে আনতে হয়।
ট্রুডোর উত্তরসূরির তালিকায় আছে কারা
এই তালিকায় আছেন—বর্তমান অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি, উদ্ভাবন মন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যাম্পেন এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। এ ছাড়া এই তালিকায় আরও বেশ কয়েকজন থাকতে পারেন, যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ভাবছেন। তাঁদের মধ্যে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া অঙ্গরাজ্যের সাবেক প্রিমিয়ার (মুখ্যমন্ত্রী) ক্রিস্টি ক্লার্ক এবং ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর মার্ক কার্নি।
ওয়াশিংটন পোস্ট থেকে সংক্ষেপিত
২০০০ সালের ১০ আগস্ট। আর্কটিক সার্কেলের ওপরে ব্যারেন্টস সাগরে সামরিক কৌশল অনুশীলনে অংশ নিতে বন্দর ছেড়ে যায় রাশিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিন ‘কুরস্ক’। দুই দিন পর অর্থাৎ ১২ আগস্ট সেটির একটি অনুশীলন টর্পেডো ছোড়ার কথা ছিল। কিন্তু টর্পেডোটি ছোড়ার আগেই সাগরের তলদেশে হারিয়ে যায় সাবমেরিনটি। পরে এর ১১৮ জন ক্রুকেই
৫ মিনিট আগেইসরায়েলে ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের শূন্যস্থান পূরণে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি ভারতীয় শ্রমিক দেশটিতে গেছে। এমনটাই জানিয়েছে ভারত সরকার জানিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের চলমান অভিযানের মধ্যেই এ খবর প্রকাশ্যে এল। এটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইসরায়েলের প্রতি চাপ বাড়ার সময় ভারতের গুরুত্বপ
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় একটি ইস্পাত কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থাই সংকটাপন্ন। গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সকালে পিটসবার্গের কাছে ইউএস স্টিলের ক্লেয়ারটন কারখানায় এ বিস্ফোরণ হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য শান্তি স্থাপন ও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ ও আঞ্চলিক কয়েকটি দেশ যৌথভাবে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাতে যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এই ঘোষণা দেন। খবর সিঙ্গাপুরভিত্তিক
২ ঘণ্টা আগে